নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কৃতকর্মের বিচার করার অধিকার ইশ্বরের নেই।।

১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

আমি সেচ্ছায় পৃথিবীতে আসিনি। দুজন মানব মানবীর আনন্দঘন মুর্হুতের ফসল আমি। ইশ্বরকে যে যে নামেই ডাকুক ইশ্বরের কোন অধিকার নেই আমার কৃতকর্মের বিচার করার। আমি এই জীবনে যা কিছু করেছি সবই তার ইশারায়। যদি বিশ্বাস করি তার হুকুম ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়ে না। তা হলে আমি কোন ছাড়। আমার কিইবা করার ক্ষমতা আছে। আমি বিধাতার প্রেরিত একটি কলের পুতুল বই তো আর কিছুই নই। মানুষের কল্যান চিন্তায় মনে আসে মানসিক মুক্তি। আর কুচিন্তায় মনে আসে অম্থিরতা ও অশান্তি। এইটুকু বুঝতে হলে ধর্মিও শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আদৌ কোন দরকার নেই। একটু মানবিক হলেই বোঝা যায়। মানুষের প্রকৃত ধর্ম মানবতা। আর ইশ্বর সেটাই চান।নিজেকে সবার উপরে স্থান দিতেই আমাদের যত্তসব ইতরামি। মানুষের মধ্যে মানুষের নানা পদের এই যে বিভক্তি তার জন্য মানুষই দায়ী, ইশ্বর নয়। যারা যারা ইশ্বরকে দেখেছিলেন বলে দাবী করে গেছেন তারা কেউ আর আমাদের মাঝে নেই। প্রকৃতির নিয়মে মিশে গেছেন প্রকৃতিতেই।।তাদের লেখা গ্রন্থ সমুহ পড়তে কোন বাধা নেই পড়ুন এবং যাচাই করুন নিজের আকল দিয়ে। তারা যা যা বলছেন তাকি সত্যি না বল্পনার মিশ্রন আছে। কেউ যদি বলে মিথ্যাকথা বলো না। সে যে অর্থে বলছে তা আগে বুঝতে হবে। মিথ্যা আরো মিথ্যার জন্ম দেয়। তাই হয়তো তিনি মিথ্যা বলতে বারন করেছিলেন।পাপ পুন্যের ধর্মিও কোন ক্রাইটেরিয়া আজো আমি খুজে পাইনি। বিবেকের নিষেধকে আমি পাপ বুঝি, আর বিবেকের আদেশকে আমি পুন্য বুঝি। এইটুকুই। মানুষ আবার বড্ড বেশী চালাক। কেউ কেউ অন্যায়টাকেও যুক্তিতর্কের আর্বতে ফেলে বিবেকের আদাশ বানিয়ে র্নিবিগ্নে অন্যায় করে যান আর বলে বেড়ান এতে আমার পুন্যই হবে। তবে অতি চারাকের গলায় দড়ি ঠিকি পরে।

জাগ্রত বিবেক দ্বারা পরিচালিত কোন মানুষ অন্যায় কাজ কখনো করতে পারেন না। ইচ্ছা করলে নামাজটা যে কেউ পড়তে পারে ধর্মর্নিবিষেশে। যোগ ব্যায়ামের মতো এতেও রয়েছে স্বাস্থ্য রক্ষার সমস্ত উপকরন। নামাযে উঠা, বসা ও সেজদা দেয়ার যে প্রক্রিয়াটি রোজ রোজ পাচবার সিয়ম করে করলে মানুষের শারীরিক সুস্থ্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যোগ ব্যায়ামে কতিপয় ক্ষেত্রে ক্ষতির আশংকা থাকলেও নামাযে কোন ক্ষতি নেই এটা প্রমানিত। নামাযের বাইন্ডিংন গুলি শুধু মাত্র মানুষকে মনযোগি করতেই দেয়া হয়েছে। মসজিদে গিয়ে পাচবার উঠা বসা করুন না ক্ষতি কি। সুরা বা নিয়তের স্থলে মঙ্গল চিন্তায় আপ্লুত থাকলেই হল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: *অক্ষতিকর কৃতকর্ম অর্থাৎ অন্যের ক্ষতি করে না এমন কৃতকর্মের বিচার করার ইচ্ছা স্রষ্টার থাকার কথা নয়।
*মনে হয়না স্রষ্টা জীবের দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ করে। করলে কি পৃথিবীর এ হাল হয় ? মুক্ত স্বাধীন মনে চিন্তা করে দেখলে একটা বোকা হাদারামেরও এটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।আসলে জন্ম থেকে অসত্যের প্রচীরে বেড়ে উঠা মানুষের পক্ষে এ দেয়াল ভেংগে বেরিয়ে আসা সহজ নয়।হয়তো ধর্মীয় প্রচারনা,মৃত্যুভয়,বিজ্ঞান মনস্কহীনতা, বিজ্ঞানীদের এখনো স্রষ্টা ও সৃষ্টি রহস্যের কুল কিনারা করতে না পারা কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থ ইত্যাদি মানুষকে এ দেয়াল ভেংগে আসার সাহস যোগায় না।।
*তবে জুলুম-অন্যায়ের একটা প্রাকৃতিক প্রতিশোধ বা বিচার আছে বলে মনে হয়।

২| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:২২

মোস্তাক খসরু বলেছেন: ওয়াহিদ সাইম প্রকৃতি সেটা কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিয়ে তারপর কবরে পাঠায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.