নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোংরা রাজনীতি।। হায় আওয়ামী লীগ হায় বিএনপি।

২৮ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

রাজসীতি বড়ই নোংরা। এই লোংরামিতে যে একবার পা ডুবিরেছে তার আর নিস্তার নেই। বার বার তাকে নোংরার মধ্যেই পচেগলে মরতে হয়। নোংরামিরও একটা সীমা থাকা দরকার। জামাতকে নিয়ে চলছে এই নোংরামির চরম খেলাটা। সরকার বিএনপিকে ছড়ির আগায় রাখতে জামাত নামক মৌলবাদি কিটটাকে অস্র হিসাবে সমানে ব্যাবহার করে যাচ্ছে। জামাতও তার আর্দশভিত্তিক ঐক্য ধরে রাখতে চাইছে। বেগম জিয়াও সেটা সর্মথন করছেন। তিনি জামাতের এফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে প্রমান করেছেন যে তিনি জামাত ছাড়া একা হাটতে পারবেন না। কে কি বললো তাতে তার কোন কিছু আসে যায় না। আওয়ামী লীগ আজ না হয় কাল জামাতকে ঠিকই নিষিদ্ধ করবে কিন্তু এখন নয় কেন? এর কোন উত্তর নেই। আওয়ামী লীগ জামাতকে নিষিদ্ধ করলে বিএনপির লাভ, আওয়ামী লীগের ক্ষতি। এই সমীকরনটি সবাই বেশ ভাল করেই জানে। জামাতকে সহসা নিষিদ্ধ করার ইচ্ছাও আওয়ামী লীগের নেই বলেই মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ জানে জামাতের ক্ষমতার দৌড় কতটুকু। বিএনপিকে রাজনীতিতে বিকলাঙ্গ করে রাখার কৌশল হিসাবেই জামাত জুজুর ভয়ে অস্থির হয়ে থাকার ভান করছে আওয়ামী রঘব বোয়াল গুলো। বিএনপি জামাতকে ছেড়ে দিলেই আওয়ামী লীগ জামাতকে নিষিদ্ধ করবে তার আগে নয়। এই বড় দুটি দলই রাজনৈতিক ফয়দা যার যার ঘরে তুলতে চান। জামাত আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন ভুমিকাই রাখে না। ধর্মরাষ্ট্র ও ধর্মরাজনীতি সংবিধানে রেখে আওয়ামী লীগ এরশাদ কাকা, জামাত ও বেগম জিয়াকে বরশির কাটায় আটকে রেখেছে মাত্র। দীর্ঘ একটি সময় ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল হিসাবে। তাকি সত্যি সত্যি পারবে আওয়ামী লীগ না প্রকৃতিক র্দুযোগের কারনে হঠাৎ একদিন মুখ থুবরে পড়ে গিয়ে দাত মুখ ভেঙ্গে আইসিইউতে শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করবে।

যে নারায়নগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম সেই নাররাযনগঞ্জই কি ডেকে আনবে আওয়ামী লীগের পতন। সামীম ওশমান ও আইভি যেন একই আর্দশের দুইটি ভিন্ন রুপ।ক্ষমতাশীন দলের খুব বড় দুই হস্তি। কেউ কাউকে তোয়াক্কা করেন না। ক্ষতি হচ্ছে দলের। দলের এই ব্যাপারে কারো মাথাব্যাথা নেই বললেই চলে। ধর্মরাষ্ট্র, ধর্মরাজনীতি বা বিশমিল্লাহ তুলে দিলে আওয়ামী লীগের কি ক্ষতি হবে। কিছুই হবে না। প্রতিপক্ষকে বাগে রাখতে এই অনুসঙ্গগুলির বর্তমানে বড়ই প্রয়োজন। এই অনুসঙ্গ গুলি না থাকলে বিএনপি আওয়ামী লীগকে নাস্তিকদের আড্ডাখানা বলে নিন্দা করে বেড়াতো। তারা ক্ষমতাশীন হলে ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েই সব ঠিক করে ফেলবেন। আওয়ামী লীগ কম যায় না বরং একটু বেড়েই খেলছে বিদায় হজ্বের আলোকে আলোকিত হয়ে দেশকে উন্নতির উচ্চশিখরে নিয়ে যাবার আপ্রান চেষ্টা করে চলছে। দেশবাসি তা মানুক বা না মানুক। আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে গরীবের জন্য কাজ আর পর্যপ্ক পয়সার ব্যাবস্থা করতে পারলেই আওয়ামী লীগকে সহসা নাড়ানো যাবে না।

বেগম খালেদা জিয়া যে ভুলের আর্বতে ঘুরপাক খাচ্ছেন তা থেকে বেড়িয়ে আসতে না পাড়লে তিনি আর কখনো দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনা তো দুরের কথা ক্ষমতাশীনও হতে পারবেন না। নিকট অতীতের আওয়ামী লীগের আন্দোলন গুলিতে তো তিনিই সব চাইতে বেশী নাকাল হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ঐগুলি মনে করে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে পারলেই বিএনপির কপালে ক্ষমতার ছিকেটা ছিড়লেও ছিড়তে পারে। বুড়াধুরা পাকিপ্রেমী পচধচা বাম নেতাদের দিয়ে কিছু হবে না। বিএনপির জন্য চাই নতুন রক্ত যা রাজনীতিকে নতুনত্বের স্বাদ দেবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.