নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষয়টি কেউ একটু বুঝিয়ে বলবেন কি।।

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৮

রসুল (সা:) সর্ম্পকে আমার এই দীর্ঘ জীবনে যা যা শুনেছি। তার একটা বর্ননা দিলে হয়তো একটি মহাভারত হয়ে যাবে। মহাভারত লেখার ইচ্ছা আমার নেই। যদি লিখতেই হয় তবে বঙ্গবন্ধুর উপর র্তুস্তি গাইব। পৃথিবীর একশত জন শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্যে রসুল (সা:) এর নাম সবার উপরে। এটা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তারপর উন্নত মানুষটাকেই উন্নতির উচ্চ শিখরে বসিয়েছিলেন। যারা এই অসাধ্য সাধন করেছিলেন।
তিনি সাধারন মানুষ নন। আমরা মাটির কৈরী কিন্তু তিনি মাটির তৈরী হলেও সেটা র্সগের মাটি দিয়ে। মতখেদে রসুলের ভক্তি শ্রোদ্ধা নিয়েও আছে যথেষ্ট্র মতদৈতটা।
মওদুদি মতাদর্শের জামাত বিএনপির সর্মথকরা যেহেতু নবীজির জন্ম ও মৃত্যুরদিন একটাই তাই তারা ঈদে সিরাতুন নবী উদযাপন করেন। কিন্তু কাউমি মাদ্রাসার রাঘব বোয়ালগুলো ঈদে মিলাদুননবী উদযাপন করেন। আবার এদের মধ্যেও আছে বিস্তর ফারাক কেউ কেউ তো মানতেই চান না। তারা ভাবেন নবীজির মৃত্যুটা একটি গাইবি ব্যাপার তিনি আজও রয়েছেনে মুসলমানদের মধ্যে থেকে দিক র্নিদেশনা দিচ্ছেন। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ ভুল করলেও নবীজি কোন দিন কোন ভুল করেননি। এমটাই আমাদের বিশ্বাস। আমরা প্রতিনিযত পাপ করে চলছি কিন্তু তিনি ছিলেন একজন নিস্পাপ মানুষ। তার রাশি রাশি গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমি পাপি।
এবিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও ধুনকী লাগে ইসলামি চিন্তাবিদদের বিভিন্ন আলাপ চারিতায়। সেদিন নেটের কল্যানেই একটি বিষয় অবগত হলাম যা আমার সমস্ত জানা জিনিস গুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিল।
তবে আসল কথায় আসা যাক। রসুল (সা:) বিপদে পড়লে নাকি তিনটি দোয়া পড়তেন।
দোয়া ৩টি হলো-
১। সাদ ইবনে আবি ওক্কাস রা. বলেন, নবীজি সা. দুঃখ-কষ্টের সময় বলতেন :
লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন। (দোয়া ইউনূস)
অর্থ : একমাত্র তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারী। (তিরমিজি : ৩৫০০)
২। আসমা বিনতে ওমাইর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না যা তুমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্যে পড়বে। সাহাবী বললেন, অবশ্যই শেখাবেন। নবীজি বললেন, দোয়াটি হচ্ছে : ‘আল্লাহু আল্লাহ রব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়ান।’
অর্থ : আল্লাহই আল্লাহ আমার প্রতিপালক। আমি তার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করি না। (আবু দাউদ : ১৫২৫)

আমার প্রশ্ন হলো ১নম্বর দোয়ায় নবীজি কি করে " নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারী। (তিরমিজি : ৩৫০০) কেন পড়তেন। তাহলে তিনিও কি পাপ করতেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০০

বালক বন্ধু বলেছেন: আপনি যে বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন সেই বিষয়টা অন্য কেউ বুঝিয়ে দিবেন আশা করি।
কিন্তু আমি আপনাকে অন্য একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
আপনি বলেছেন:
"পৃথিবীর একশত জন শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্যে রসুল (সাঃ) এর নাম সবার উপরে। এটা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তারপর উন্নত মানুষটাকেই উন্নতির উচ্চ শিখরে বসিয়েছিলেন।"
আমি যদি ভুল করে না থাকি তাহলে আপনি "The Hundred" বইটির কথা বলছেন। যদি ইংরেজীতে বইটার নাম হয় "The Hundred" তাহলে বাংলায় কোথা থেকে "শ্রেষ্ঠ" শব্দটা আসলো?
"The Hundred" বইটির মধ্যে কিন্তু হিটলার কেউ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তিনি নিশ্চয় কোন শ্রেষ্ঠ মনিষী না?
বইটির ইংরেজি সংস্করণের ভূমিকা পড়লেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে। এখানে এমন কিছু মানুষকে তুলে ধরা হয়েছে যারা নিজেদের প্রতিভা এবং কর্মের দ্বারা অন্য মানুষদের প্রভাবিত করতে পেরেছেন এবং পৃথিবীর ইতিহাসে নিজেদের লিপিবদ্ধ করতে পেরেছেন।
আমি আপনি বিশ্বাস করি মহানবী (সাঃ) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব!
কিন্তু সেই বইয়ের রেফারেন্স এই ভাবে উল্লেখের কোন প্রয়োজনীয়তা দেখি না।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

হানিফঢাকা বলেছেন: তিনি সাধারন মানুষ নন। আমরা মাটির কৈরী কিন্তু তিনি মাটির তৈরী হলেও সেটা র্সগের মাটি দিয়ে।- This is not right. Physically he was just like any human being, made of same thing. In moral character he was the best of all human being. So, there is no concept of র্সগের মাটি . So, don't have any confusion on it.

পৃথিবীর সমস্ত মানুষ ভুল করলেও নবীজি কোন দিন কোন ভুল করেননি। এমটাই আমাদের বিশ্বাস।- This is also not true. In Quran, many places Allah make him say that he was only a human being. So, he has built in human characteristics. In Quran, Allah give example of no less than 6 times that the prophet also do mistake, thus he was also a human being and fallible., so that people can not do the same mistake as Christian did by making their prophet in god.

আমার প্রশ্ন হলো ১নম্বর দোয়ায় নবীজি কি করে " নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারী। (তিরমিজি : ৩৫০০) কেন পড়তেন। তাহলে তিনিও কি পাপ করতেন। There are two answer for this Question. No, the prophet did not make any sin. But he always feared whether he did any unconsciously. No human can say it with 100% sure that he did not make any sin even the prophet cannot, since only Allah knows best. Therefore, he always tried to repent from any unnoticed/unconscious sin if any. Therefore, you find in Quran that many where in Quran where verse of prayer mentioned, Allah teaches us to confess our sin (Both knowing and unknowing)

The second reason is, by making such prayer, prophet also teach you how you pray to Allah as Allah mentioned in Quran so that when you pray you always confess your known and unknown sin- They way you become humble to Allah.

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: হানিফঢাকা, ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর করে লেখকের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেবার জন্য ... তাই রিপিট করার প্রয়োজন দেখছি না ...

লেখকের আরেকটি কথা ভুল ... লেখক বলেছেন ... "আমরা মাটির কৈরী কিন্তু তিনি মাটির তৈরী হলেও সেটা স্বর্গের মাটি দিয়ে" ... না ভাই আর ১০টা সাধারাণ মানুষের মত আমাদের নবীজী (সাঃ) ও একই মাটি দিয়ে তৈরি ... নবীজী উনার সারা জীবনে বার বার মানুষকে এই কথাটি বলেছেন ... যে "আমিও তোমাদের মত মানুষ, একই মাটি দিয়ে তৈরি"

আমাদের নবীজি (সাঃ) অবশ্যই স্পেশাল আর শ্রেষ্ঠতম ... কারণ আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন "হে নবী এই সুন্দর পৃথিবী, এই পাহাড়, এই পর্বত, এই নদী সবই আপনার জন্য ... আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে এই বিশ্ব জাহানই সৃষ্টি করতাম না" ... এতেই বুঝা যায় উনি কতটা স্পেশ্যাল ...

ফাইনালি লেখককে ধন্যবাদ, কারণ এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে ... ইসলাম মানে অন্ধের মত বিশ্বাস করে ধর্ম পালন নয় ... ইসলাম মানে জেনে বুঝে পালন করা ... আর জ্ঞান অর্জনের কোন শেষ নেই ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.