নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনা, তোমাকে বধিবে যে মাদ্রাসায় বাড়িছে সে।।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

কেন লিখব না বলুন তো। আমার বাসায় আমি নিরাপদ নই। কারো সাথে পারতে মানে ঝগড়াঝাটিতে জরাই না। এটা আমার একদম সয় না। দোষেগুনে পুরিপূর্ন মানুষ। নিজের দোষটা কেউ আবার নিজে দেখতে পায় না। সহজাত প্রবৃত্তির বশেই সম্ভবত। আবার আরশী ছাড়া নিজের অবয়ব দেখাটাও মুশকিল। সীমাবদ্ধ এই মানুষ গুলির আবার অসীম ছোবার প্রবল ইচ্ছা যা বড়ই কৌতুককর। নিলয় লীন কে? তাকে আমি গতকালও চিনতাম না। সে নাকি রসুল সা:কে কটুক্তি করেছিলো। তাই তাকে চাপতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আপনাদেরকে শাস্তি দাতা হিসাবে কারা নিয়োগ দিল। তারা কতটা শক্তিধর এইটি রাষ্ট্রের মধ্যে বসেই নির্বিগ্নে শারিয়া আইনের আরো একটি সরকার চালাচ্ছে। সরকারের ভেতরই লুকিয়ে আছে এই প্রতাপশালী সরকারটি। থানা এজাতীয় মামলা বা ডাইরী গ্রহন করে না তা নিলয়ের লেখনিতেই পড়েছি। ভাবলে অবাক লাগে আমরা কোথায় বসবাস করছি। সরকার নিরাপত্তা দিতে অপারগ। শুধু মাখন আর দুধ খাবে আমরা খাব পচা গম।

কারো ধর্মপরিচয় আমাকে উচ্ছাসিত বা সঙ্কুচিত করে না। মানুষের অবয়বে সবাইকে আমি মানুষ হিসাবেই বিচার করি। সুযোগ সন্ধানীরা অবশ্য আমার সাথে একমত হবেন না সে ক্ষেত্রে আমি নিরুপায়। সমাজকে নিরাপদ রাখতে যে অলিখিত নিয়মের স্পেশাল লাগাম আমরা পড়িয়ে রেখেছি তা কি যথেষ্ট। না তা যথেষ্ট নয়। মানুষের জীবন অংকের সমীকরণে চলে না। রাষ্ট্র নামের অভ্যন্তরে আমাদের অবস্থান। রাষ্ট্রের অবকাঠামো বলে দেবে আমাদের অধিকারের চৌহুদ্দি কতটুকু। সম্ভবত পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র কুপিয়ে হত্যার পক্ষ অবরম্বন করবে না। তারপর তা সংগঠিত হয় রাষ্ট্রের দুর্বল শাসন ব্যাবস্থা ও অবকাঠামো র্নিমাণের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার প্রবনতা থেকে।

শেখ হাসিনা হয়তো ভেবেছিলেন। বিশমিল্লাহ, ধর্মরাষ্ট্র বা ধর্মরাজনীতি এই গুলি কথার কথা এই মৌলবীর দল কোন দিন মাথা উচু করে দাড়াতেই পারবে না। ঐ আধুনিক শিক্ষা তাদের কই। তাদের গোয়াল তো মাদ্রাসায় সীমিবদ্ধ। ধর্মিও আফিং এর জোর যে কতটা প্রবল সেটা তিনি যদি বুঝতেন তবে ধর্মরাজনীতি থেকে দুরে থকতে পছন্দ করতেন। কে কোন ধর্ম পালন করল তাতে রাষ্ট্রের কি যায় আসে। ধর্মকে শিখন্ডি বানিয়ে কেউ যেন সুবিধা লুটতে না পারে সেটাই সরকারের দেখার কথা ছিল। তা কিন্তু হয়নি শফিহুজুরের পরিবার পেয়েছে সর্বউচ্চ সরকারী আনুকল্য। আর মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সীমাহিন র্দুনীতিতে সরকারের উদাসিনতা আমাকে স্তম্ভিত করে। যা শুধু দৃষ্টিকটুই নয় শেখ হাসিনার ফ্রান্কেনষ্টাইন তৈরীর একটি ছোট নমুনা। এই রকম কত নমুনা যে আমাদের চোখের আড়ালে ঘটে চলছে তার খবর কেই বা রাখে।

অতএব, শেখ হাসিনা আপনাকেই বলছি "তোমাকে বধিবে যে মাদ্রাসায় বাড়িছে সে।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.