নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাবা ঘর নয় বিবেকই আল্লাহর ঘর।।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

সোজাসাপ্টা কথা বলতে সবাই ভয় পায়। মৃত্যু অনিবার্য জেনেই হয়তো ধর্মীও অনুভুতি গুলি মানুষকে সুরসরি দেয়। কোন ধর্মই হত্যা, লুন্ঠন, অগ্নি সংযোগ, লোক ঠকানো বা অত্যাচার নির্যাতন সর্মথন করে না। মোহাম্মদ, কৃষ্ণ বা ঈসা আ: এদের এই বির্তকে আনব না। আল্লাহ ও মানুষের মধ্যে র্পাথক্য কতটুকু তা কেউ বলতে পারবে না বা বলা সম্ভবও নয়। আল্লার ভয় দেখিয়ে যারা দুনিয়ায় কিছু করে খাচ্ছে। তাদের অযথা হয়রানি করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধু মানুষকে সত্যের কাছাকাছি পৌছে দেবার চেষ্টা করছি মাত্র। জন্মিলে মরিতে হইবে জানিও নিশ্চয়। কবিতার একটি পংক্তি। সবাই এটা জানেও কিন্তু নিজের জীবনে খুব একটা বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না। যদি সত্যসত্যই মানুষ আল্লহকে ভয় করতো বা মৃত্যুভয়ে ভীত হতো তবে পৃথিবী থেকে সেই কবে থেকে চলে আসা অনিয়ম গুলি এতদিনে উঠে যেত। পৃথিবী হয়ে উঠতো বসবাসের উপযুক্ত একটি গ্রহ। অনিয়ম গুলি যখন বহালা তবিয়তে বিরাজ করছে তার অর্থ হচ্ছে মানুষ তার বুদ্ধির ঘোড়ায় চেপে আল্লাহকে বোকা বানাবার কাজে সেই যে প্রাগঐতিহাসিক যুগ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল তা এখনো অব্যাহত রেখেছে। এখন বিজ্ঞান মনষ্কতার যুগে এটাকে ডিজিটাইল করে ব্যাবহার করছি আমরা মানুষই। আল্লাহ নেই এমন কথা যারা বিশ্বাস করেন আমি তাদের সাথে নেই। তবে প্রচলিত ধর্মের অসাঢ়তা গুলি প্রমানিত। এইগুলি শুধুই গল্পগাধা। মানুষকে জ্ঞান চক্ষু উন্মোচন করে খুজে বের করতে হবে প্রকৃত সত্যটা আর তা অশিক্ষিত মানুষ গুলিকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে। ধার্মিকরাই তো প্রতিনিযত বলে যাচ্ছে ফেরেস্তা ও জিনেরা আল্লার সেবায় রত রয়েছেন। মাটির তৈরী মানুষের পুজা না পেলে আল্লাহ যদি বিগরে যেতেন। তাহলে প্রতিনয়ত অন্যায়ের বিচার সরাসরি আসমান থেকেই নির্মজিত হত। তা কিন্তু হয় না। কারন আল্লার কর্মযজ্ঞ বোঝার সাধ্য আমাদের নেই। শুধু মনে রাখতে হবে ভালো কাজের পরিনাম শুভ আর খারাপ কাজের পরিনাম অশুভ, এই তো মোদ্দা কথা। এইটাই তো সবার অর্থাৎ সমস্ত ধর্মের কথা তবে কেন এত বিভক্তি? বিভক্তি দুনিযাদাড়ির জন্য। তালগাছটা আমার এটাই মুল কথা। তুমি কচু ঘেচু খেয়ে মর তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। আবার প্রতিবেশীকে অনাহারে রেখে খাদ্য গ্রহনে বাধা আছে ধর্মিও বিধানেই। এটা মানতে কেউ রাজি নয়। মানুষের জন্য চাই কল্যানকর রাষ্ট্রীয় কাঠামো। শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে সমভাবে সম্পদ বন্টনের চেষ্টা করাটাও বোকামী। মানুষই এটা পছন্দ করে না। রাত-দিন, সুখ-ধু:খ ধনী গরিব ও নারী পুরুষের প্রাপ্তি নিয়েও আছে বিস্তর মতভেদ। এই্গুলি সহসাই দুর হবে বলে মনে হয় না। যারা আখেরাতের বিশ্বাসে বিশ্বসী তাদের সুখনিদ্রা কে কেড়ে নিতে পারে বলুন।

মৃত্যুর পর যদি সত্যসত্যই আখেরাতে বিচারসভা আল্লাহ বসান তাহলে তিনি সহি বিচারই করবেন। হিন্দু, মুসলিম, বোদ্ধ বা ইহুদি বলে কেউ বিশেষ ছাড় পাবে না। এদিকে আবার মুসলমানরা তো বিশ্বাস করেই বসে আছে মুসলমান হয়ে মরতে পাড়লেই হল, বেহেস্তে সে যাবেই হাজার হত্যা ধর্ষন বা অন্যায় করলেও। এই ভুল ব্যখ্যাগুলি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। আল্লাহকে ভয় পাবার কোন দরকার নেই। তিনি নিরাকার তিনি আপনার বিবেকের মধ্যে বসবাস করেন। বিবেককে জিজ্ঞাসা করে কাজ করে দেখুন আপনি ঠকবেন না। বিবেক অন্যায় কাজ করতে বাধা দেয়। সৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করে। একটি মানুষের মধ্যে পৌন:পুনিক মানবতা থাকলেই তিনি পরিপুর্ন মানুষ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: অত্যন্ত ভাল বলেছেন । সাধুবাদ । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.