নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব সভ্যতা ও একটি বৈজ্ঞানিক ষড়যন্ত্র.।.।। গল্প.।। কল্পনা হলে ও অসম্ভব কি???

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২

আজ পঞ্চম দিনের মত মিশন এ যেতে হবে স্মিথ কে। ইরাক, তুরস্ক, আফগানিস্তান এ এঁটোমিক অ্যাটাক সফল্ভাবে শেষ করেছে তার নেতৃতে থাকা সাউথ এক্স এয়ার ফরস টিমটি। ছয় সদস্য বিশিষ্ট স্পেসাল ট্রেইনড পাইলট এর সমন্নয়ে তার টিমটি গঠিত। এরকম আরও পঁচিশটি টিম আছে এই নিউ ওয়ার্ল্ড মিশন সাকসেস করার জন্য। প্রত্যেক টিমের কাজ টিমের জন্য নিরধারিত দেশ গুলো পারমানবিক বোমা ফেলে ধংস করে দেয়া। পঁচিশ বছর আগে তার মত একি দিনে জন্ম নেয়া একশো আশি জন এক দিনের শিশু কে "ওয়ার্ল্ড হেরো কেয়ার" এ আনা হয়। কোথায় থেকে কিভাবে আনা হয় তারা কেউ জানে না। তাদের কোন বাবা মা নেই। হয়ত আছে, কিন্তু কোথায় আছে তারা জানে না। এ নিয়ে তাদের কোন মাথা বাথা ও নেই। তাদের কে কোন এক অজানা জায়গায় ছোট থেকে লালন পালন করে বড় করা হয় স্পেসাল কেয়ারের মাধ্যমে। পাইলট বানানো হয়। নষ্ট সব কিছুই ধংস করতে হয়, নতুন কে গড়ার জন্য। এই আদর্শ তে তাদের শিক্ষা চলে। বড় হয়ে গেলে মিশন চলা কালে হয়ত ওয়ার্ল্ড হেরো দের কেউ যদি ধংস যজ্ঞ দেখে তাদের অথরিটি কে কোন প্রশ্ন করে, সে কারনে তাদের এ আদর্শে আদরসায়িত করা হয়। স্মিথ জানে এ গ্রহ নষ্ট হয়ে গেছে। এ গ্রহ কে ধংস করে তাদের মিশন শেষ করতে হবে। স্যাটার্ন এ স্থাপিত হবে নতুন মানব সভ্যতা। " নিউ ওয়ার্ল্ড" মিশন এর পাইলট রা হবে সেই ওয়ার্ল্ড এর " ওয়ার্ল্ড হেরো"। তাদের এভাবেই জানানো হয়েছে।



সারা পৃথিবী পারমানবিক বোমায় ধংস করা হচ্ছে। মুলত পৃথিবীর মানব সভ্যতা কে ধংস করা হচ্ছে। রাশিয়া, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জাপান, চীন, জার্মানি, ইস্রায়েল সহ আরও বেশ কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের গোপন পরিকল্পনার "নিউ ওয়ার্ল্ড" এর শেষ ধাপ এ ধংস যজ্ঞ। এসব দেশের অর্থায়নে এ পরিকল্পনায় দীর্ঘদিন থেকে অন্য কোন গ্রহে মানব বসতি স্থাপনের গবেষণা চালানো হচ্ছিল। যে মানব সভ্যতায় মানুষের কোন রোগ হবে না। তাদের কোন অর্থনৈতিক কাজ করতে হবে না। প্রাকৃতিক কোন খাদ্দের প্রয়োজন হবে না। শক্তি এর জন্য " হোমো এনার্জি" উৎপাদন করা হবে ল্যাব এ। তাদের কোন প্রাকৃতিক কাজ করতে হবে না। তারা একেক জন একেক গবেষণায় নিযুক্ত থাকবে। হিউম্যানাইড রবোটিক সিস্টেম এ সকল মানুষ হবে নিয়ন্ত্রিত। এ সিস্টেম এ মানুষের মাইন্ড রিড করে তা কন্ট্রোল করা, নতুন ডাটা ইন্সটল করা সবি সম্ভব। পৃথিবীর মানুষের মাইন্ড রিড করে বিজ্ঞানিরা সকল ডাটা নিয়ে ফেলেছে। নতুন গ্রহ জুপিটার ও ও মানুষের বসবাসের, গবেষণাগারের সব বানিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে যেসব বিজ্ঞানিরা আছেন, তারা আপাতত অক্সিজেন ব্যাবহার করছেন। কিন্তু স্থায়ী ব্রেথিং এর জন্য পৃথিবী তে " হোমো ব্রেথার" নাম এ এক নতুন প্রজুক্তি বানানো হয়েছে। এতে মানুষের শ্বাস- প্রশ্বাসের জন্য আর অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে না। "হোমো ব্রেথার" এ অক্সি ওয়েভ সৃষ্টি করে তা দিয়ে মানুষের শ্বাস কারযো চলবে। আর এ প্রযুক্তি চলবে ম্যাগনেট দিয়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এক্স-৭০ নামের এক বিরাট স্পেস ক্রাফট এ স্যাটার্ন এ নিয়ে যাওয়া হবে মিশন এর শেষ দিন এ। তাছাড়া এক্স-৯০, এক্স-২০ সহ আরও বিশটি ক্রাফট এ করে পৃথিবীর সব মানব সৃষ্ট শিল্পকর্ম সহ অন্যান্য ধন সম্পদ জুপিটার এ নিয়ে যাওয়া হবে মিউসিয়াম এ রাখার জন্য। যা ইতিমধ্যে পৃথিবীর সব দেশে বম্বিং মিশন এর আগে যুদ্ধ বিদ্রোহ সৃষ্টি করে নানা কলা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে আমেরিকায় জমা করা হয়েছে। পৃথিবীর সব বড় বিজ্ঞানি সহ সংস্লিস্ত দেশ গুলোর উচ্চ পর্যায়ের রাজনিতিক নেতা সহ ২০০০ শিশু, মত ২০০০০ মানুষ শুধু স্থান পাবে স্যাটার্ন এ। তারা সবাই নিউ ওয়ার্ল্ড এ যাওয়ার জন্য আমেরিকা তে আছেন। সব প্রস্তুতি শেষে শুরু করা হয়েছে " ওয়ার্ল্ড হেরো" দের বম্বিং মিশন, পৃথিবীর মানব সভ্যতা ধংস।



স্মিথ এসবের কিছুই জানে না। জানে না ওয়ার্ল্ড হেরো রা ও। পৃথিবীর সাধারন মানুষ ও জানে এ গোপন ঘৃণ্য পরিকল্পনার কথা।

স্মিথ কে তার আজকের মিশন শেষ করে আর দুইটা মিশন শেষ করে পারি জমাতে হবে স্যাটার্ন এর উদ্দেশে। কিন্তু আজ তার কেমন যেন লাগছে। সে জানে যে বোমার আঘাত এ একটা মানুষের শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। স্মিথ মৃত্যু দেখে নি কখনও। তার পরিবার ও নেই। সে জানে না ভালবাসা, মায়া কি? কিন্তু যাদের সাথে সে বড় হয়েছে, তাদের মধ্যে জেকব এর সাথে তার বেশী কথা হয়। বম্বিং মিশন এর পাইলট দের ক্যা কখনও বাহিরের জগত দেখে নি। তাই তাদের নিজেদের ভিতর যেসব কথা হত তার সবি ট্রেইনিং সম্পরকিত। আবেগ এর কি্ছু ছিল না। তবু ও স্মিথ ভাবে জেকবের কথা। যদি কখন ও জেকবের শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়, তাহলে জেকব আর কথা বলতে পারবে না। সে ও জেকব এর সাথে আর কথা বলতে পারবে না। তার কি খারাপ লাগবে এমন হলে? হটাত স্মিথ এর কেমন যেন লাগে। একটা অদ্ভুত খারাপ লাগার অনুভুতি। তার তো আগে কখনও এমন লাগে নি। কিন্তু জেকবের সাথে কথা বলতে না পারার কথা ভেবে তার এমন কেন লাগছে??? সে যে জায়গায় ছিল সেখানে সর্ব মোট ২৪০ জন ছিল। তাদের বিচরন ছিল পাচ কিলো মিটারের এক বিরাট আরেয়া জুড়ে। এর বাহিরে তাদের যাওয়ার কোন উপায় ছিল না। কিন্তু স্মিথ যেসব জায়গায় বম্বিং করচে এবং আরও যেসব জায়গায় বম্বিং করবে তা তো অনেক অনেক বড়। সেখানে তো আর ও অনেক বেশী মানুষ থাকতে পারে। তাদের ও তো শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। তারা ও হয়ত নিজে দের মধ্যে কথা বলত। যেসব মানুষ কোন না কোন ভাবে হয়ত বম্বিং আরেয়া থেকে কিছু তা দূরে থাকার জন্য নিজের শরীর বিচ্ছিন্ন হউয়া থেকে বেছে গেছে, তারা ও আর কথা বলার পরিচিত মুখ পাবে না। তাদের ও কি একি অনুভুতি হবে?? এত ভাবনার মাঝে স্মিথ ঘড়ি তে আট তার ঘণ্টা সুন্তে পায়। ৫ মিনিট পর তাকে উরাল দিতে হবে আজ কের মিশন এ। স্মিথ আবার ভাবে, যদি এমন খারাপ লাগার অনুভুতি থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই ভাল লাগার অনুভুতি ও আছে। পরক্ষনেই তার মনে হয় যদি সে আজ কে বম্বিং না করে, আর ওইসব এলাকায় যদি মানুষ থাকে, তবে তারা স্বাভাবিক ভাবে বেচে থাকবে। আকে অন্নের সাথে কথা বলতে পারবে। তাদের আর এমন খারাপ লাগার অনুভুতি সহ্য করতে হবে না। এটা ভাবতেই স্মিথ এর মনে আনন্দের একটা অনুভুতি হয়। এ অনুভুতি ও সে আগে কখনও পাই নি। তবে সে এটা বোঝে যে, এই অনুভুতিতাই আনন্দের। স্মিথ জানে না যদি ওইসব মানুষ গুলো বেচে থাকলে আর কি করবে। তবু শুধু এটুকু ভেবেই তার অনেক ভাল লাগে। কিন্তু স্মিথ এর কাজ তো বম্বিং করা, তাকে এটাই সেখান হয়েছে। সে ভাল মন্দের কিছু জানে না। কিন্তু যদি সত্যি ই অত মানুষের মনে কষ্ট দেয়া হয়, অন্তত যদি কেউ বেচে থাকে তাকে কষ্ট দেয়া ও বম্বিং এর কাজ হয়, তাহলে কোথাও না কোথাও অবশ্যই কিছু ভুল আছে। সে এ কাজ করতে পারবে না। জীবনের প্রথম অদ্ভুত এক দিধায় পড়ে যায়। ৮ তা ১০ বাজে। তার টিম এর বাকি পাচ জন উড়াল দিয়ে দিয়েছে। কেয়ার এর নিয়ন্ত্রক রা একটু অবাক হয়। পঁচিশ বছরের ইতিহাসে এখানে প্রথম কোন ট্রে ইনি লেট করল। তবে তারা বেপার টা খুব একটা আমল এ নেয় না। স্মিথ ধিরে ধিরে তার ক্রাফট এ গিয়ে ওঠে। নিমিষেই তার চারপাশের দুই হাজার মাইল ধংস হয়ে যায়। আমেরিকার কোন এক গোপন স্থানের এই " ওয়ার্ল্ড হেরো কেয়ার" সহ এর থেকে এক হাজার মাই ল দুরের নিউ ইয়র্ক এর ফিউচার হাউস নিউ ওয়ার্ল্ড এর অবস্থান কারি ২০০০০ যাত্রী সহ ধংস হয়ে যায়। অন্য দিকে ওয়ার্ল্ড হেরো রা নির্দেশনার অভাবে বম্বিং অব্বাহত রাখবে কিনা কেউ জানে না? যদি টা না করে, তবে যারা বেচে আছে, তারা এক ধংস প্রায় পৃথিবী তে শুরু করবে আদিম তৃতীয় প্রজন্মের যাত্রা। "নিউ ওয়ার্ল্ড" পরিকল্পনা কারি কোন দেশই ভাবতে পারে নি হয়ত যে, ওয়ার্ল্ড হেরো যাদের ভাল মন্দের কোন জ্ঞান নেই, তাদের কেউ এ কাজ করতে পারে.।।।



" মানুষের মাঝেই মানুষ থাকে যাকে সঠিক সময়ে প্রকৃতি নিজেই জাগিয়ে দেয়।"



মানুষ চাইলেই সব পারে না। কারন প্রকৃতির নিয়ন্ত্রিত অজানা কোন স্থানের এক মালিকের হাতে। হয়ত তিনি আমাদের অনেক কাছে আছেন, অথবা দূরে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। :)
+++++++++++++++++++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো লাগল।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল কিন্তু প্রচুর বানান ভুল। ঠিক করে নিন

গল্প ভালই ফেদেছেন। একেবারে সব কিছু ধ্বংস

:)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ। এটা প্রথম লেখা গুলোর একটা। তাই এত বানান ভুল। মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.