নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী স্বাধীনতা আন্দোলন- ভুল দৃষ্টি ভঙ্গি

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

বড় পোষ্ট এবং বেশ কিছু প্রাপ্ত বয়স্ক অভিমত.।। বিনোদনের ১৮+ নয়। তাই সে আশা গুঁড়ে বালি।

যারা ভাল মানের লেখক বা জ্ঞানী , তাদের লেখার শুরু টা ভাল হয়। আমি জ্ঞানী বা লেখক কোন পর্যায়েই পরি না, তাই শুরু করতে কষ্ট হচ্ছে। আমি কিছু নারী বিদ্বেষী কথা বলতে চাই। এই লেখাকে অনেকেরই তাই মনে করার কথা, তাই স্বীকার করে নিলাম।



বেক্তি স্বাধীনতার মানে কি?

মোটামুটি সবার ই একমত হবার কথা দেশ রাষ্ট্র বা মানুষের ক্ষতি না করে নিজের মত করে জীবন ধারন ও মত, ধর্ম, জীবন দর্শন লালনের ক্ষমতা।



নারী স্বাধীনতা কি?

নারীর পুরুষের মত সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার লাভের ও চলার স্বাধীনতা।



মানবতা কি?

সম্ভবত অন্নের প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, সহানুভুতি, ন্যায়পরায়নতা, সততা, সাহায্য পরায়নতা সব কিছুর মিশ্রণ।



আমি সাধারণ ভাবে কোন নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি না। কে কি ভাবছে, শুনে আমার কিছু যায় আসে না।

নারী স্বাধীনতা বলে নারীকে প্রথমেই মানুষের একটা ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যদি ও মানুষ প্রধানত দুই ধরনের- নারী ও পুরুষ। সেটা মানুষের গঠন কেমন? সেটা জানতে চাওয়া হলে ঐ উত্তর আসবে। কিন্তু নাগরিক স্বাধীনতা মানে সেখানে কোন লিঙ্গ ভেদ থাকবে না। নারী পুরুষ সবার ক্ষেত্রে একই স্বাধীনতা।



যদি ও মানব জাতির এক ভাগ নারী জাতি- সমাজে নানা বইসম্মের স্বীকার হচ্ছে- একারণে গভীরভাবে তাদের সমস্যা বোঝার জন্য নারী স্বাধীনতা কথা টা আসতে পারে, তাদের প্রতি হউয়া পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অবিচার কে তুলে ধরতে আলাদা ভাবে প্রতিবাদের আন্দোলন টা কে নারী আন্দোলন বলা যেতে পারে। হয়ত অনেকে বলতে পারেন, তাই তো হচ্ছে? কিন্তু এখানে বলার কি আছে? আমার কথা হচ্ছে, বইসম্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন কে সবার আগে মানব স্বাধীনতার আন্দোলন ভাবা উচিৎ, তার পর তুলে ধরা উচিৎ- এই মানব স্বাধীনতায় বেশি বইসম্মের স্বীকার নারীরা। আন্দোলনের থিম হউয়া উচিৎ, সকল মানুষের সমান স্বাধীনতা। কিন্তু থিম টা দেখা যায় সকল কাজে নারীর সমান স্বাধীনতা। আন্দোলনের প্রথমেই তো পুরুষের সমান স্বাধীনতার দাবি আসছে, প্রথমেই তো নারীকে কে মানুষ নয়, নারী বলে পরিচয় করে দেয়া হচ্ছে। প্রথমেই লিঙ্গ ভেদ এর পরিচয় দিয়ে নারীর পুরুষের সমান অধিকার চাওয়া কেমন ধরণের আন্দোলন? নারী কে কেন সবার সামনে আগে মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে না?



ব্যাপার টা এভাবে বলা যায়, জীব বিজ্ঞানের প্রধান দুইটা ভাগ- প্রানি বিজ্ঞান ও উদ্ভিত বিজ্ঞান। জীব বিজ্ঞান কে গভীর ভাবে জানার জন্য এই ভাগ হয়েছে। প্রানি বা উদ্ভিত বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলা মুলত জীব বিজ্ঞান নিয়েই কথা বলা- এটা মোটামুটি শিক্ষিত রা বুঝবে। কিন্তু কাওকে যদি প্রথমেই বোঝানো হয় যে, উদ্ভিদ বিজ্ঞান একটি প্রানি বিজ্ঞানের সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে যদি ভাবে উদ্ভিত বিজ্ঞান আগে উদ্ভিত বিজ্ঞান, পড়ে জীব বিজ্ঞান। কথা টা এক হিসেবে ঠিক হলে ও কি সে ঠিক শিখল? একই জ্ঞান সে লাভ করছে, কিন্তু শেখার গোড়াতে যে ছোট্ট ভুল থেকে গেল। এটা কি ভুল শিক্ষা নয়?

মানবতার যেমন লিঙ্গ ভেদ হয় না, তা সবার ই থাকতে পারে। তেমনি আন্দোলনের লিঙ্গ ভেদ করে প্রথমেই বিভেদ সৃষ্টি করে সম অধিকার আইনের জোড়ে পাওয়া গেলে ও যেতে পারে, কিন্তু মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গিতে নারীরা সমান হবে কিভাবে? আমাদের মা বোনেরা সারাজীবন নারী ই থেকে যাবে, তাদের মানুষ ভাবা হবে না।



এ গেল মানব স্বাধীনতার ভিত্তিতে আমার মতামত। এবার আসি স্বাধীনতার সাথে মানবতা ও শিক্ষা রুচি বোধের সম্পর্ক নিয়ে।



স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে গিয়ে হয়ত অন্যকে মনে কষ্ট দেয়া আইনি অপরাধ নয়। তবে সেটা মানবিক অপরাধ। ব্যাপার টা এরকম নানা জন। নানা মতে বিশ্বাসী। আমরা অন্নের মতবাদ যদি তা অমানবিক না হয়, তবে তা না মানলে ও ভিন্ন মত ধারিকে যদি অশ্রদ্ধার সাথে গালাগালি করি- তা কি মানবিক গুনাবলির মাঝে পড়ে? এ তো স্বাধীনতার অপবেবহার। সব মানুষের সহ্য ক্ষমতা এক নয়। অন্যকে সঠিক ভাবে বুঝানোর চেষ্টা না করে উস্কে দিয়ে ধ্বংস যজ্ঞে লিপ্ত করা- টা আমাদের অমানবিক ব্যাবহারের ই সামান্য প্রতিফলন হিসেবে কি ধরা যায় না? একজন ধ্বংসযোগ্য কারী সে অবশ্যই দোষী, তার শাস্তি হউয়া উচিৎ। কিন্তু তার দ্বারা সঙ্ঘটিত অন্যায়ের সমান অপরাধী না হলে ও আমাদের ও অবশ্যই দায় আছে। এ দায় সহজে এড়ানো যায় বলে ই দেশে পাগলা কুকুর বিড়াল সৃষ্টি হয়। পাগলা হয়ে যাওয়া কুকুর কে চিকিৎসা করানো টা ও মানবিকতার পরাজায়ে পড়ে। আমি শুধু দেশের সাধারণ মানুষ গুলোর ক্ষেত্রে বলছি। যারা ঠাণ্ডা মাথার পাগলা কুকুর, তাদের টি ভি তে দেখায় বলে- মানুষের মতই লাগে। যাদের ইচ্ছা থাকলে ও মারা যায় না। আমৃত্যু তাদের কামড় খেতে হচ্ছে, কারণ ঐ টি ভি তে দেখানো কুকুর (আমি এক বিশেষ শ্রেণীর প্রতি ইঙ্গিত করেছি) গুলোর অনেক সাধারণ অনুসারি আছে, যাদের পাগলা কুকুরে পরিনত করতে আমরা ও অনেক ভুমিকা রাখি। মানব স্বাধীনতার অপবেবহারের এই ধারা পরিবর্তন করবে কে? এটা কি নিজে থেকে করা উচিৎ নয়? তবে এর মানে এই নয় যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না। তাদের সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথার খই ফোটাতে হবে। অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবেই। তবে যারা নিজস্ব চিন্তা ভাবনার দ্বারা অন্যায় কারিকে সমর্থন দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন, তাদের সাথে অশ্লীল ভাষার বা শ্রদ্ধাহীন উত্তপ্ত ভাষার চর্চার নিতি কোন দিন দেশে সুফল বয়ে আনবে না।

কথায় আছে, বাঙালি একাই একশো, কিন্তু একশো বাঙালি কখন ও এক হতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় কথা সত্য। এটা আমাদের গর্ব করার বিষয় নয়, সীমাবদ্ধতা। আমাদের মাঝে আরও সহযোগিতার মনোভাব থাকা উচিৎ।



এবার আসি, মানব স্বাধীনতার নামে গড়ে ওঠা নারী স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে। নারী স্বাধীনতার আন্দোলনের নামে মানবিক অধিকারের নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ইসলাম ধর্মের সাথে সাঙ্ঘারসিক - তা হচ্ছে নারীর পোশাকের স্বাধীনতা।

অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রেমের ও মানবাধিকারের আন্দোলনের নামে যে পোশাকের স্বাধীনতার নামে শুধু ইসলাম ধর্মকে নয়, মানবতা ও দেশীয় সংস্কৃতি দুটোকেই লাথি দেয়া হয়, তা কয় জন ভাবেন?



বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি,

একটা কথা আছে, মানুষের চেহারা নয়, তার কাজ ও বেক্তিত্ত কে মূল্যায়ন করা উচিৎ। প্রকৃত পক্ষেই একজন সুন্দর মনের, সুন্দর বেক্তিত্তের মানুষ সবার আগে দামি হউয়া উচিৎ।

পোশাকে মানুষের বেক্তিত্ত প্রকাশ পায়। একজন মানুষ- সে পুরুষ হোক আর নারী হোক- তার পোশাক পরিচ্ছদ কতটা মার্জিত, পোশাকের রঙ প্রভৃতি দেখে তার মানসিকতা কিছুটা মূল্যায়ন করা যায়। মানসিকতা তো বেক্তিত্তের ই প্রতিচ্ছবি। আমরা নিজেদের শিক্ষিত করতে বেস্ত নিজেদের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু শিক্ষা যে শুধু জ্ঞানার্জন নয়, মানসিকতা ও মূল্যবোধ সৃষ্টির একটা উপায় মাত্র- তা কয় জন মনে রাখে?

একজন নারী, যিনি নারী স্বাধীনতার পোশাকের স্বাধীনতার নামে শরীরের স্রস্থা প্রদত্ত দুই টি অঙ্গ কে আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের মানসিকতা নিয়ে থাকেন- তিনি কি মুলত শারীরিক সৌন্দর্য এর চেয়ে মানসিক সৌন্দর্য এর মূল্যায়ন বেশি এই নিতি তে বিশ্বাস করেন বলে মনে হয়? আমি তো দেখেছি, সবাই হয়ত একমত হবেন, খোলা মেলা পোশাকে অভ্যস্ত নারীরা সাধারণত তাদের শ্রেণী বেতিত অন্নদের ক্ষেত মনে করেন। হয়ত সবাই নয়, তবে অধিকাংশ নয় কি? বেক্তিত্তের সৌন্দর্যের উন্নয়নের চর্চার পাশাপাশি শারীরিক সৌন্দর্যের চর্চার অবশ্যই চলতে পারে। কারণ নিজে কে পরিস্কার পরিছছন্ন রাখা, সুন্দর পোশাক আসাক পরিধান দোষের নয়। কিন্তু মানবিক অধিকারের দোহাই দিয়ে বেক্তিত্তের সৌন্দর্য কে অবজ্ঞা করে শারীরিক সৌন্দর্য বিকাশের চর্চা আসলেই কি মানবিক? এটা মানবিক স্বাধীনতার অপব্যাবহার নয়।



শুধু নারীর কথা ভেবে বলছি, নারীর পোশাক মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় - তাই তাকে প্রথমে রাখলাম।

একজন পুরুষ যে ছেরা প্যান্ট, কানে-হাতে দুল দিয়ে ডুড মুড করে বেড়ায়- তারা তো এই ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে। তাদের কাছে সারা বাংলা ক্ষেতে ভইরা গেছে অবস্থা।



প্রশ্ন আসতে পারে, আমি কি সবার বাড়ি বাড়ি গিয়া দেখছি নাকি, সবার মানসিকতা কেমন?

আমি সত্যি ই জানি না। একজন খোলা মেলা পোশাকের নারীর মানবিক গুন অনেক বেশি থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে বিশেষ অঙ্গের প্রদর্শন করে তারা কি প্রমান করতে চায়? মানবিকতা, দেশীয় সংস্কৃতি নাকি ধর্ম এর প্রতি অনিহা?

বলা হতে পারে যে, আপনার চোখ খারাপ, আপনি কেন তাকাবেন কোন বিশেষ অঙ্গের দিকে? কেন শুধু নারীর মানসিকতা খুজে দেখার চেষ্টা করছেন না?

এখানে কথা হচ্ছে, আমি পুরুষ, তাই যদি পুরুসত্তের আকর্ষণ থাকবেই, বিশেষ ভাবে দৃশ্যমান নারী দেহের বিশেষ অঙ্গের প্রতি চোখ যাইতে চাইবেই- এটাই সত্য, এটাই বাস্তব। কিন্তু আমার যদি মূল্যবোধ থাকে, মানসিকতা ভাল হয়- আমি অবশ্যই একজন খোলা মেলা পোশাকের নারীর শরীর থেকে মন ঘুরিয়ে তার সুন্দর মানবিকতা খোজার চেষ্টা করব। কিন্তু কজন মানুষ তা করতে পারে? যেখানে দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষ ই মনে মনে হলে ও নারী কে পণ্য শুধু শরীর মনে করে, সেখানে অশিক্ষিত মানুষ গুলো র ব্যাপারে তো কোন কথাই নেই। শরীরের প্রদর্শনী তে বেক্তিত্তের সৌন্দর্য খোজার মানুষ দেশে নেই বললেই চলে, পৃথিবীর কোথাও থাকতে পারে।



অনেকে বলে ধর্ষণ এর জন্য নারীর পোশাকের কোন ভুমিকা নেই।

বোরকা পড়া মেয়েরা কি ধর্ষিত হয় না?

এটা সম্পূর্ণ ফালতু যুক্তি বলে আমি মনে করি। খোলামেলা পোশাক আসাকের সংস্কৃতি দেশের কিছু মূর্খ জানোয়ার দের প্রভাবক। তারা আধুনিক নারীদের দেখে উত্তেজিত হয়, কিন্তু সাহসে কুলায় না বলে ধর্ষণ এর জন্য বেছে নেয় সাধারণত নিরিহ নারী শিশুদের। আমি বলছি না যে, নারীরা খোলামেলা পোশাক না পড়লে এই জানোয়ার গুলো ভাল হয়ে যাবে, দেশে ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু যে ই দেশের অনেক শিক্ষিত মানুষেরা ই নারী কে শ্রদ্ধা করার মানুষ ভাবার মানসিকতা রাখেন না, সেখানে লাখ লাখ লালা ঝরা কুকুরের সামনে শরীর কে বিশেষ ভাবে প্রদর্শন করা একজন শিক্ষিত নারীর জন্য কত টুকু যৌক্তিক? সামান্য তম হলে দেশের আনাচে কানাচে অসহায় মা বোন শিশু ধর্ষণের পেছনে তাদের নুন্নতম হলে ও দায় আছে। ছোট ছোট দায় গুলো আমরা এড়িয়ে যাই বলেই, দেশে পরিবর্তন আসেনা।



আমি নারীদের দোষী বলছি না। আমাদের ছোট ছোট দায়বধের কথা বলছি। এই ব্যাপারে অনেক ধরণের প্রশ্ন আসতে পারে। উন্নত দেশ গুলোতে ব্যাপক খোলামেলা পোশাক সত্তে ও ধর্ষণের সংখ্যা কম। কারণ সেটা তাদের সংস্কৃতি, তাদের দেশের মানুষ গুলো অনেক শিক্ষিত আর সেক্স মিউচুয়াল। আমরা কি উন্নতি করতে যেয়ে নিজেদের সংস্কৃতি কে ট্যাগ করছি না? নাকি অন্নের সংস্কৃতি ধারন না করলে আমরা উন্নতি করতে পারব না? চীন রা নিজেদের সংস্কৃতি তে প্রচণ্ড কট্টর হউয়া সত্তেও আজ শুধু পরিশ্রম আর জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার ফলে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি।



আর ইসলামের কথা যদি বলেন, ধর্ম নারীকে পর্দায় থাকতে বলেছে যেমন, পুরুষ কে ও পর্দা করার কথা বলেছে। ইসলাম নিয়ে মুসলমান হিসেবে শুধু একটা কথাই বিশ্বাস করি, ধর্মে অমানবিক কিছু নেই। যা কিছু অমানবিক মনে হয়, তা ব্যাখ্যাকারীর ব্যাখ্যার কারনে। হেফাজতিয় আল্লামা সফি র রিসেন্ত বক্তব্বের একটা ব্যাপারে কনফেস করতে চাই, বেগানা নারী কে দেখলে পুরুষের কাম ভাব জাগবেই, সে যদি শুধু নিজের মা ও বোন না হয়। তবে সফি সাহেব নাকি অনেক ভাল ইসলাম জান্নেওয়ালা, ব্লগার কাটম্যানের পোষ্টে দেখলাম। কিন্তু সফি সাহেব ইসলামে নারীর অবস্থান নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করছেন- এটা তার অজ্ঞতা নাকি ধৃষ্টতা জানি না।



আমার যে বোন এই পোষ্ট টি পড়ে ভাববেন, কেন আমি নারীদের এত ভুল খুজে বের করার চেষ্টা করছি? যত কিছুই বলি আমি পুরুষের পক্ষই নিয়েছি। তাদের বলতে চাই, বোন আমি মানুষের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করেছি।

আর শেষ কথা টা বলতে চাই, এভাবে একজন পুরুষ হয়ে ও বলতে বাধ্য হচ্ছি। বোন নারীদের মানুষ ভাবলেও পুরুসদের মানুষ ভাবতে আমার কষ্ট হয়। নারীরা শুধু ভুল পথে চললেও তাদের হৃদয়ের মায়া মমতা কমে যায় নি অধিকাংশের। আর পুরুষেরা জ্ঞান বিজ্ঞানের ধর্মের জ্ঞানের চর্চার বেশি সুযোগ পাওয়ায় সেই সুবিধে নিতে অনেকেই জানোয়ার হয়ে গেছে।

সবাই কেই মানুষ হিসেবে দেখতে চাই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: হুম!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

খাটাস বলেছেন: হুম! মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সত্যি বলতে কি এই দেশের শিক্ষিত নারী গোষ্ঠীরও একটা বিরাট অংশ নারী স্বাধীনতা বলতে বুঝে শুধু পোষাক আর যেখানে সেখানে ডেটিং এর স্বাধীনতা।

পোষ্টে আপনার ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে সেটাকে সম্মান জানাই। কিছু পয়েন্টের পক্ষে কিছু পয়েন্টের বিপক্ষে আলোচনার অবকাশও আছে। সেসব আলোচনায় আপাততঃ আর না যাই। তবে কিছু পয়েন্ট আছে যেগুলো সেমিনার বা কর্পোরেট নির্ভর সোকল্ড নারীবাদীদের বিপক্ষে যায়। আর এখানে এসেই মহান দার্শনিক *কুনোব্যাঙ* এর একটি উক্তি মনে পড়লো। উনি বলেছেন, সেমিনার নির্ভর সোকল্ড আধুনিক নারীবাদীদের বিপক্ষে কিছু বলা আর ভীমরুলের চাকে ঠিল ছোঁড়া নাকি সমান কথা!

আপাততঃ ভীমরুলের হুলের যন্ত্রণা সহ্য করার ইচ্ছা আপাততঃ আমার নাই :|

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

খাটাস বলেছেন: মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ ভাই। কিছু পয়েন্টের পক্ষে কিছু পয়েন্টের বিপক্ষে আলোচনার অবকাশ আছে, তা আমি ও জানি ভাই। আবার অন্য কার ও মতে হয়ত সব গুলো পয়েন্টের বিপক্ষে যুক্তি আছে। তবু ও আপনি উল্লেখ না করলে ও অন্তত কিছু পয়েন্টের পক্ষে আছেন এবং বিপক্ষ পয়েন্টের প্রতি ও শ্রধ্মা জানিয়েছেন, এজন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা কুনোব্যাঙ ভাই।
আর মহান দার্শনিক *কুনোব্যাঙ* এর একটি উক্তি টি কে শ্রধ্মা জানাই। আমি যুক্তি পছন্দ করি, সেই হিসাবে আপনার দর্শন অনেক বেশি যৌক্তিক্‌।
তবু ও ইচ্ছা করেই ঢিল টা ছুড়তে হল, হয়ত আমার নিজের মাঝে থাকা ভুল দৃষ্টিভঙ্গিগুলো শোধরানোর সুযোগ হবে, অথবা অন্নের।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরব থাকতে পারি না মাঝে মাঝে তাই লিখলাম, যদি ও এটা আমার অনেক আগের লেখা।
গোছানো ও সুন্দর মন্তব্বের জন্য আবার ও অনেক অনেক ধন্যবাদ কুনোব্যাঙ ভাই । :)

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার লেখায় যুক্তি আছে ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

খাটাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই পড়ে মতামত জানানোর জন্য। ভাল থাকবেন অনেক ।

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মহান দার্শনিক *কুনোব্যাঙ* বলেছেনঃ


সেমিনার নির্ভর সোকল্ড আধুনিক নারীবাদীদের বিপক্ষে কিছু বলা আর ভীমরুলের চাকে ঠিল ছোঁড়া সমান কথা!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

খাটাস বলেছেন: মহান দার্শনিক *কুনোব্যাঙ* এর একটি উক্তি টি কে শ্রধ্মা জানাই। আমি যুক্তি পছন্দ করি, সেই হিসাব ওনার দর্শন অনেক বেশি যৌক্তিক্‌।
তবু ও ইচ্ছা করেই ঢিল টা ছুড়তে হল, হয়ত আমার নিজের মাঝে থাকা ভুল দৃষ্টিভঙ্গিগুলো শোধরানোর সুযোগ হবে, অথবা অন্নের।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরব থাকতে পারি না মাঝে মাঝে তাই লিখলাম, যদি ও এটা আমার অনেক আগের লেখা।
অনেক ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই এত বড় লেখা পড়ে মন্তব্ব করার জন্য। ভাল থাকবেন অনেক।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: খুব সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে লিখেছ, ভাল লাগল। তোমার লেখায় বেশ যুক্তি থাকে যার দরুন সত্যি পড়তে অনেক ভাল লাগে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

খাটাস বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা আপু সময় করে পড়ার জন্য। আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক অনেক ভাল লাগছে।
অনেক ভাল থাকবেন আপু।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

একজন আরমান বলেছেন:
সুন্দর উপস্থাপন। দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক আছে। মানে আমার সাথে যায় অনেকটা। দার্শনিক কুনো ভাইয়ের উক্তিটা সেইরাম আর যুক্তি সঙ্গতও বটে !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান ভাই। আমার দৃষ্টিভঙ্গি তে ও ভুল আছে, তবু আলোচনার জন্য সামনে উপস্থাপন করেছি, কারও ওপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য নয়। আর হম কুনো ভাই এর কথা টা অদ্ভুত। তবু ও ঢিল ছুড়লাম, কারন আমার বোন বা পরিচিত অপরিচিত বোন ক কর্পোরেট ভিমরুল হিসেবে দেখতে চাই না, বিবেকবান স্বাধীন মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। :)
আর আপনার সাথে তয় মিলবই মিয়া, ভাই বেরাদার না? ;) ;) ভাল থাকবেন ভাই। :D :D :D

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

একজন আরমান বলেছেন:
আসলে ঠিক বেঠিক এর ব্যাপারটা আপেক্ষিক !

আমার কাছে যেটা ঠিক অপরের কাছে সেটা বেঠিকও হতে পারে। এই পৃথিবীর প্রায় সব কিছু আপেক্ষিক।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

খাটাস বলেছেন: সহমত। তবে সম্ভবত অনেকের ইতিবাচক চিন্তার কমন ব্যাপার টাই সমাজে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.