নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

০ নিউজ ডকুমেন্টারিঃ পলিটিকাল নাস্তিক , ওড়াও সাদা পতাকা ০

০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

#let us live #we want peace
পোস্টের টাইটেলটা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচালে সৃষ্টি, কিন্তু তা ধর্মের বিশ্বাস-অবিশ্বাস নয়। এব্যাপারে কথা হবে পোস্টের শেষে।

বস্তুনিষ্ঠতায় সংশয়
শুরু করা যাক, গত ২৪ ফেব্রুয়ারির একটা নিউজ দিয়ে। এদিন সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি দিয়ে একযোগে একই নিউজ প্রকাশ করে অভিযোগ করা হয়; কালের কণ্ঠ , নয়া দিগন্ত , মানবজমিনে ( বাকি পত্রিকা গুলো হয়ত আমার নজরে আসে নি) যে, - সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টা চলছে। প্রথমআলোও সম্পাদক পরিষদের অভিযোগের এই নিউজ টা প্রকাশ করে কিছুটা নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে।
২৬ ফেব্রুয়ারিতে এই অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যমন্ত্রনালয় জানায়, গণমাধ্যম স্মরণকালের সবচেয়ে স্বাধীন। সম্পাদক পরিষদের নামে প্রদত্ত বিবৃতি দেশের সঠিক চিত্র প্রতিফলনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
এই দ্বিমুখী নিউজের ভিত্তিতে পোস্টের বাকি অংশ কত টুকু নির্ভরযোগ্য শুরুতেই, সে বিষয়ে আবার বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে পড়তে হয়েছে আমাকে, পড়তে হবে পাঠকেরও।

হরতাল-অবরোধের হাল-হকিকত

আজ অবরোধের ৫৫ তম দিন। কি নিয়ে অবরোধ, কেন অবরোধ, কারা করছে, কাদের বিরুদ্ধে, কিভাবে করছে, সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে কি নেই- যৌক্তিক নাকি অযৌক্তিক এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই নতুন করে। হয়ত প্রসঙ্গক্রমে রাজনীতিবিদদের মুখেই তুলে ধরতে চেষ্টা করব। গত মাস থেকে অবরোধের সাথে শুক্র আর শনিবার বাদে সপ্তাহের প্রায় ৫ দিন ই থাকছে বি এন পির হরতালের ঘোষণা।
হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে ককটেল, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, আগুন দেয়া । পুড়ছে বাস , ট্রাক , পিকআপ , এমনকি ট্রেনও । আহত হচ্ছে শিশু , পথচারী, বাসযাত্রী, ছাত্র-ছাত্রী , নানা পেশাজীবীর মানুষ। বাদ যায় নি থানার ওসি পর্যন্তটিএসসিতে যুবলীগ চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য ঘটে ককটেল বিস্ফোরণ। চলন্ত বাসে ছোড়া পেট্রোল বোমায় বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছে কুমিল্লায় ৭জন , গাইবান্ধায় ৪ জন , রংপুরে ৪ জন ; নানা জায়গায় এ সংখ্যা বাড়ছেই। ( আপডেট হবে বেশ, আমি কিছু নিউজ খুঁজে পাচ্ছি না)। আবার বিভিন্ন যানবাহনে পেট্রোল বোমায় পুড়ে আহত মানুষ গুলো অনেকদিন দগ্ধ যন্ত্রণা সহ্য করে মারা যাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। কত কত জন কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডেই।
অবরোধে ভোগান্তি, আতঙ্ক নিয়েই হয়েছে ইজতেমা । হরতালে প্রথম দিন থেকেই বাধা পেয়ে পেছাচ্ছে এস এস সি পরিক্ষা
পেট্রোল বোমা , ককটেল সহ ধরা পড়ছে বি এন পি, জামাত - শিবিরের কর্মীরা , কারো আবার দলীয় পরিচয় লেখা নেই পত্রিকায় । এমনকি পত্রিকা বলছে, দুই এক জায়গায় ছাত্রলীগের কর্মীকেও পেট্রোল বোমা-ককটেল সহ আটক করা হয়েছে

হরতাল-অবরোধের প্রভাব
দেশের এই চলমান সংকটে দেশ কোন দিকে যাচ্ছে কেওই জানে না। শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ । আবার এর কিছু দিন পরেই লাল চিঠিতে হরতালে ক্লাস নিলে স্কুলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বাজারে বাড়ছে অস্থিরতা। বাড়ছে কৃষকের কান্না, ক্রেতার হাহাকার । জিনিসপত্রের দাম যাচ্ছে বেড়ে । হরতাল–অবরোধের ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে রাজস্ব । গত ৫০ দিনে পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছ । তবুও রাজনীতি চলছে আপন গতিতে।

হরতাল-অবরোধে এক নজরে সরকারপক্ষ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন ইন্সটিটিউট এবং প্রতি জেলায় বার্ন ইউনিট বানানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীকে এ আদর্শ সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । অন্যত্র তিনি এ ও ঘোষণা দেন, দেশ ধ্বংসের চেষ্টা সহ্য করা হবে না এর আগে অবশ্য তিনি নির্দেশ দেন, পেট্রলবোমার হুকুমদাতাদের দ্রুত বিচারের
অরাজক পরিস্থিতিতে যেন কোন ধরণের অভিযোগ না আসে-তা মাথায় রেখে,ছাত্রলীগকে খারাপ খবরের শিরোনাম না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার দলীয় মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মাননীয় অর্থমন্ত্রী জানালেন, হরতাল অবরোধ ব্যর্থ । অন্যত্র তিনি জানান, বোমাবাজদের সঙ্গে কোন সংলাপ হবে না। আবার মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মুখে জানলাম প্রায় একই সুর, ১৯ সালের আগে কোন সংলাপ-নির্বাচন নয়
বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা চালাচ্ছে , বলছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। নাশকতায় পোড়া গাড়িতে সহায়তা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈষম্যের কিছু অভিযোগ যদিও আছে, তবুও আগুনে পোড়া ৭০-৮০ জন দগ্ধ রোগীকেও তিনি অর্থ সহায়তা করেছেন।
আবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন,বিএনপি-জামায়াতের মত দল সরকারের পতন ঘটাতে পারবে নাআগুন সন্ত্রাসী দানবদের উৎপাত মোকাবিলা করতে হবে জানান মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ-হরতাল দেশবাসী না মানাতে সবকিছু প্রায় স্বাভাবিক চললেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন জানতে পারি আমরা মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছে। অন্যত্র তাঁর বয়ানে আশাবাদ জানা যায়, খালেদার পরাজয় ঘনিয়ে আসছে।
অবশ্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসিন আলী বলেছেন, নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করে মেরে ফেলবেন। যদিও জানুরারির শেষে খালেদা জিয়ার খাবার বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, গত মাসের মাঝখানে তাঁর নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করেন শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদনির্বাচন দিন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কাদের সঙ্গে , বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনে ভয় পাই না
সরকারের মতে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংসদে সাধারণ আলোচনা করছেন, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চান খালেদা। ; যদিও বিএনপির চোখে এ সরকার অবৈধ।

হরতাল-অবরোধে এক নজরে বিএনপি
গত ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস নাম দিয়ে মিছিলের চেষ্টাকালে বাধা পেয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধের ঘোষণা দেন বি এন পির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।শুধুমাত্র সংবাদপত্র ও পত্রিকাবাহী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ-টেলিফোনের জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহন অবরোধের আওতামুক্ত রাখার ঘোষণা হয়। এর পর থেকেই তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন তিনি।
এর আগের দিন গ্রেফতার হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভি।অবরোধ ঘোষণার পরদিনই গ্রেফতার হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফেব্রুয়ারির শুরুতে আবার বেগম জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু গ্রেফতার হন
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহেমদ অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে অভুক্ত রেখে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার । অবশ্য এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খাবারের নামে আরেকটি নাটক করছে বিএনপি
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার প্রবেশে বাধা পৈশাচিক আচরণ। অবশ্য এর কিছু দিন পরে খালেদা জিয়াকে খাবার দিতে গিয়ে আটক হন ৬ জন । এর দুই দিন পর খাবার দিতে গিয়ে ফেরত পাঠান হয় ১২ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের বলে খবরে আসে।সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত- খোকা এও দাবি করেন।
অবরোধ চলাকালীন সহিংসতার অভিযোগে বিএনপির নেতা কর্মীরা গ্রেফতার হন। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব গত মাসের শুরুর দিকেই দাবি করেন, তাদের থেকে নির্যাতন করে নাশকতার স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে । পরবর্তীতে তিনি এও ঘোষণা করেন,সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র । তাঁর পক্ষ থেকে এও হুমকি আসে যে, আওয়ামী লীগকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশের থাকবে না কিছু গণমাধ্যমকে দলকানা হিসেবেও অভিযোগ রয়েছে তাঁর।
দুঃসময়ে মাঠকর্মীদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া, দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের।বেগম জিয়ার তরফ থেকে এও ঘোষণা আছে, মুষ্টিবদ্ধ বাকশালী গণতন্ত্র আর নয়
বিএনপি নিজ দলের গুম, নিহত, আহত নেতা কর্মীদের একটি তালিকা পাঠিয়েছে ইইউ পার্লামেন্টে । গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ায় তিনজন মারা যায়; দেহে পাওয়া যায় ৫৪ টি গুলি, পুলিশ জানায় গণপিটুনি । এর বেশ আগেই অবশ্য হরতাল-অবরোধ চলাকালীন এসব হতাহতের জন্য বিএনপির মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিবৃতি দিয়েই রেখেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার দায় কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীর ওপর বর্তাবে । ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখে তিনি এও অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে
এদিনই অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।এর প্রক্ষিতে সরকারকে উদ্দেশ্য করে সাদেক হোসেন খোকা ও ড.ওসমান ফারুক হুঁশিয়ারি দেন, খালেদাকে ঘিরে ‘অপরিণামদর্শী’ পদক্ষেপ সরকারকে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফেলবে।বিএনপি থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে বিতর্কে জড়াতে চায় না বিএনপি

হরতাল-অবরোধে বহিঃবিশ্ব
বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার-বিষয়ক উপকমিটির সদস্যরা। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় তাগাদাও দিয়েছে ইইউশান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘও।এপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক সমাধানে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও

হরতাল-অবরোধে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও অরাজনৈতিক মহল
অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের বিশেষ ব্যক্তিরা দেশের এ চলমান সংকট নিয়ে নিজ নিজ বিবৃতি দিচ্ছেন নানা জায়গায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেছেন - সঙ্কটের সমাধান তো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাবে
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জামায়াত-শিবির বাদে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন, জনগণ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় । অনেক দিন থেকেই সুশীল সমাজ সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করছে। অবশ্য খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সুশীল সমাজকে পরগাছা ক্যান্সার বলে উপ্রে ফেলার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও ফেসবুকে সুশীল সমাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন দেখা গেছে।
সন্ত্রাস বন্ধ ও সংলাপের আহ্বান জানিয়ে কমিটি পর্যন্ত ঘোষণা করেছিল নাগরিক সমাজ।চলমান রাজনৈতিক সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের ৬৪ জেলায় সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট । ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে হরতাল-অবরোধে সহিংসতার প্রতিবাদে এসেছে রাস্তায় নামার ডাক
২০শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের প্রবন্ধে বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণী লেখা ছাপা হয়েছে, যেখানে মুল বক্তব্য- ফলাফলশূন্য খেলায় নেমেছেন রাজনীতিকরা
মাননীয় রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রিকে চিঠি পাঠান হয়েছিল।

সাধারনে কানাঘুষা
এক অদ্ভুত স্রোতের কানাঘুষা চলছে সর্বত্র। রাজনৈতিক- অরাজনৈতিক নানা মহলে উচু তালার মানুষ গুলো নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ ঘরে বাহিরে, অফিসে, দোকানে, হোটেলে, রাস্তায় চুপেচাপে অনিরাপত্তায় ভুগে ফিসফিস করেই চলেছে।
কেও বলছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছে, কেও বা বলছে বিএনপির জঙ্গিবাদ থেকে বাঁচার জন্য লীগ কেই দরকার।
কেও বলছে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উম্মাদ হয়ে গেছে, কেও বলছে বিএনপির নির্বাচনের দাবিতে হরতাল- অবরোধ আন্দোলন খুবই যৌক্তিক। কেও কেও বলছে বিএনপিকে বদনাম করতে সরকার দেশে এসব অরাজকতা করাচ্ছে, আর বিএনপি যে এসব নৈরাজ্য চালাচ্ছে তা স্বীকার করার মানুষের অভাব নেই। পক্ষ বিপক্ষের নিস্ফল আলোচনার শেষে বাড়ছে হতাশ, অসহায়, অনিরাপদ মানুষের সংখ্যা।


সাম্প্রতিক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি টিএসসির কাছে নির্মমভাবে খুন হন প্রথাবিরোধী লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় । খুনিদের হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। ইসলাম ধর্ম নিয়ে নানা সময়ে কটূক্তিমূলক লেখার প্রতিশোধ নিতে এ খুন করা হয়েছে বলে টুইটারে স্বীকার করে নেয় একটি সংগঠন আনসার বাংলা-৭ । ধর্মের নাম নিয়ে এ ধরণের জঘন্য হত্যায় ভাষা খুঁজে পাই না। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও নিন্দা জানান হয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিবেদনেও তারা আমাদের অনেকের মতই উদ্বিগ্ন বাংলাদেশে ভিন্নমত পোষণকারীরা নিরাপত্তাহীন । জাতিসংঘের নিন্দা প্রকাশ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
ফেসবুক, ব্লগে এমনকি অফলাইনে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। শুধু নাস্তিক নয়, নানা ধর্মের মানুষের সাথে শান্তিকামী মুসলিমরাও হয়েছে শোকাহত।চাইছে বিচার।
অভিজিৎ কি ধরণের ভাষা প্রয়োগ করে মুক্তচিন্তারচর্চা করতেন, সে ব্যাপারে যেতে চাচ্ছি না। হয়ত তা অনেক মুসলমানেরই অনুভুতিতে আঘাত করত। তবুও আজ অনেকেই তারই মৃত্যুতে হয়েছে শোকাহত। তারই খুনের বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলছে।কলমের জবাব অস্ত্র দিয়ে- এ কেমন কথা। এ মেনে নেয়া যায় না।
কিন্তু শঙ্কার চিত্রও কম চোখে পড়ছে না। অভিজিৎ রায়ের অনেক অনুরাগী জঘন্য ভাষায় ইসলাম কে গালাগালি করছে। আবার খুনিদের পক্ষে অনেককে দেখলাম, ধর্মের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করতে জঘন্য ভাবে নোংরা মানসিকতার আনন্দে মেতে উঠছে অনলাইনের আনাচে কানাচে।আমি স্ক্রিন শর্ট দিয়ে সেই নোংরামি গুলো সামনে আনতে চাই না।
কারণ সংখ্যালঘু নির্বোধের পচা আবেগ ছড়িয়ে দুর্গন্ধ করতে চাই না চারপাশ, সে নাস্তিক হোক, আর আস্তিক হোক।
শুধু বলব, যারা অপরের মত, বিশ্বাস, আদর্শকে শ্রদ্ধা রেখে সমালোচনা করতে শেখেনি, সেটা সম্ভব না হলে তা এড়িয়ে নিজ পথে হাঁটতে শেখেনি, শিখেছে একজনের ভুলে অযৌক্তিকভাবে অনেককে দোষী করতে, বিভেদ বাড়াতে, গালাগালি করতে, তাদের স্থান অবশ্যই থাকবে অধিকাংশ শান্তিকামী মানুষের থুথুতে।

সারমর্ম
আমার হাতে পাওয়া নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা গেছে ১০০ ছাড়িয়ে । এখনও আরও বেশি। থেমে নেই জ্বালাও-পোড়াও, গোলাগুলি, বিস্ফোরণ।হরতাল অবরোধসহ বাহিরে মানুষ মারা যাওয়াকে সম্ভবত আমরা স্বাভাবিক ধরে নিতে শিখে ফেলেছি। লঞ্চ ডুবিতে এত গুলো মানুষ মারা গেল , বোঝাই যায় না। সংসদীয় কমিটির উদ্বেগ প্রকাশ করে শুধু । নৌ দুর্ঘটনা ঘটছে, তদন্ত হচ্ছে, ফল শূন্য
ওসমানী মেডিক্যালে এক দিনে ১০ শিশুসহ ৩২ রোগীর মৃত্যুতে আমাদের মধ্যে খুব বেশি ভাবান্তর হয় না। রানা রানা করে গলা ফাটান সেই রানা প্লাজার শ্রমিকদের কি হল, রানার বিচারের কি হল , আমরা ভুলে যাই।
ভোলারই কথা, কারণ বিচারতো চলছে বহুকাল আগে থেকে, কবে শেষ হবে, কে জানে!!!!
আর নিত্য নতুন নানা ইস্যুতে মুখরোচক স্ট্যাটাস দিয়ে নিজ নিজ আদর্শের পক্ষে ফেসবুকেও চলছে কত সাফাই। নিজের নিজের কাছের বা ঘেঁষা কমিউনিটির কারো কিছু হলেই জোড়ে হোক, আস্তে হোক চেচিয়ে উঠছে গলা।
বিপক্ষের ত্রুটি নির্ণায়ন, মুখরোচক আত্তবর্ণনে- ব্যস্থ; রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ছোট বড় গোষ্ঠীর মানুষগুলো। আওয়ামীলীগ, বিএনপি,জামাত,সুশীলসমাজ, কুশিল সমাজ, ব্লগার- সবাই মরলে কথা বলার মানুষ আছে।
কিন্তু সাধারণ মানুষ মরলে নিরপেক্ষভাবে শুধু মৃতেরই পক্ষে কথা বলার মানুষের সংখ্যা তলানিতে ঠেকছে।অবশ্য সবারই পরিবার আছে। কে চায় ঝামেলায় জড়াতে। তবে নিজের কোন লাভের আশায় বা সম্মান রক্ষার খাতিরে নিজের পরিচিত হতাহত নিয়েও বলেন কেও কেও। তাই তাদের আর কি বলব।

কোন ধরণের রাজনৈতিক কাজে জড়িত না থেকেও শুধু নষ্ট রাজনীতির বলি হয়ে মরা মানুষ গুলোর মৃত্যুর জন্য দায়ী সাব্যস্তে চলে রাজনীতির খেলা। আমি জানি এই মানুষ গুলো মৃত্যুর পরে হলেও জেনেছে, রাজনীতিতে তাদের মঙ্গলের জন্য কেও নেই। বিশ্বাস হারিয়েছে রাজনীতিবিদদের ওপর।
এদের নিশান এখন সাদা।
এরাই পলিটিকাল নাস্তিক
তাদের বিশ্বাস আমি ও ধারণ করি, তাই আমিও পলিটিকাল নাস্তিক।
আমার নিশান ও সাদা পতাকা।
আমার ক্ষমতা নেই বলার।
তবু ও নিজের মনেই বলি, যারা আমার মতই বিশ্বাসে একাত্ম, লাভ লস বুঝি না; বাসা-বাড়ি, গাড়ি,অফিস, ফেসবুক,দোকান-পাট সবখানে ওড়াও পলিটিক্স থেকে বিশ্বাস উঠে যাওয়া পলিটিকাল নাস্তিকতার প্রতিক সাদা পতাকা।
নিশ্বাস পর্যন্ত অবলম্বন, নিশ্বাস শেষেও অবলম্বন।




#let us live #we want peace

[ পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কোন নিউজ বাদ পড়ে যেতে পারে, তা অনিচ্ছাকৃত। কোন ভুল পেলে দেখিয়ে দিলে সংশোধনের চেষ্টা করব।বানান ভুল ও অনিচ্ছাকৃত।]

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

মদন বলেছেন: +

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ।
অস্তিত্তের আওয়াজ এটুকুই #let us live #we want peace

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি তো প্রথমে কিছুটা কনফিউসড হয়ে গিয়েছিলাম যে কোন সংকলন পোস্ট নাকি! এখন তো দেখি মাথাই নষ্ট!

আন্তরিক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা পোস্টের জন্য!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

খাটাস বলেছেন: সাধারণের ক্ষমতা তো আঙুলেই এসে ঠেকছে, তাই নিজের অস্তিত্তের আওয়াজ দিয়ে যাই, #let us live #we want peace
ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন পোস্ট। পোস্টটি পড়ে অনুমান করা গেল কতটা স্বাধীন মিডিয়া । #:-S

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪০

খাটাস বলেছেন: আসলে অনুমানটাও করতেও এখন ভয়, কে না মন পড়ে ফেলে।
তাই অস্তিত্তের আওয়াজ দিয়ে যাই, #let us live #we want peace

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

সোজা কথা বলেছেন: ভাল বার্ণ ইউনিটের পাশাপাশি হরতাল অবরোধ দমনেরও ভাল ব্যবস্থা থাকা উচিত!
গতকাল একটুর জন্য আমার গাড়ির উপরই ককটেল পড়ত। না জানি, এভাবে আর কতদিন চলতে হবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

খাটাস বলেছেন: উচিত অনুচিত নিয়ে কথা বলছেন তো দেশের মাথারা, আমরা তো কোন ছাড়।
তাই অস্তিত্তের আওয়াজ দিয়ে যাই, #let us live #we want peace

ওপরওয়ালাকে যদি বিশ্বাস করেন, তো বলব ভাগ্য আপনাকে বাঁচিয়েছে। আর না বিশ্বাস করলে বলব গাড়ি চালানোতে আপনার দক্ষতাই হয়ত আপনাকে বাঁচিয়েছে।
ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ এবং তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। বুঝা যাচ্ছে, পোস্টটি তৈরি করতে অনেক কষ্ট করেছ। ব্যাখ্যা বা যুক্তিগুলো ভালো লেগেছে।

শুধু বলব, যারা অপরের মত, বিশ্বাস, আদর্শকে শ্রদ্ধা রেখে সমালোচনা করতে শেখেনি, সেটা সম্ভব না হলে তা এড়িয়ে নিজ পথে হাঁটতে শেখেনি, শিখেছে একজনের ভুলে অযৌক্তিকভাবে অনেককে দোষী করতে, বিভেদ বাড়াতে, গালাগালি করতে, তাদের স্থান অবশ্যই থাকবে অধিকাংশ শান্তিকামী মানুষের থুথুতে।


দারুণ পোস্টে ভাল লাগা।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

খাটাস বলেছেন: দেশের অবস্থা যা, তাতে নানা জনে নানা কথা বলছে। আমার বলার কিছুই নেই। কারো কাছে চাওয়ারও কিছুই নেই। তবুও কিছু তথ্য এক করে নিজের কিছু কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পোস্টটা লিখি।
সব সময় মানসিক উৎসাহ দিয়ে সহব্লগার হিসেবে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ সুমনদা।
অস্তিত্তের আওয়াজ এটুকুই, #let us live #we want peace

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: চমৎকার সালতামামি হয়েছে :P । পোষ্ট সোজা প্রিয়তে।

আলোচনা হোক। পরে আসবো।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

খাটাস বলেছেন: হাহাহা আমি তো দেখি অন্ধকারের সালতামামি ভাই। :)
আলোচনা করেই কি হবে কে জানে!
ধন্যবাদ জানবেন।
অস্তিত্তের আওয়াজ দিয়ে যাই, #let us live #we want peace

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। দেশের রাজনীতি কোথায় যাচ্ছে, ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কি আছে, কেউ ঠিক করে বলতে পারবে না। আমরা অন্ধকার গলিতে যাচ্ছি। দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য রাজনীতিবিদ দের খেসারত দিতে হবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫২

খাটাস বলেছেন: অন্ধকারে যাচ্ছি, আছি। কিন্তু এত বিভীষিকাময় অন্ধকার অস্বস্তিকর অনিশ্চয়তায় ফেলে দিচ্ছে পুরো দেশকে। দেশের মাথারা আমিই ঠিক ভেবে বসে আছেন। খেসারত আমাদেরও দিতে হচ্ছে, দীর্ঘদিনের ভুলের কারনে।
ধন্যবাদ ভাই।
অস্তিত্তের আওয়াজ এটুকুই, #let us live #we want peace

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

খাটাস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
অস্তিত্তের আওয়াজ দিয়ে যাই, #let us live #we want peace

৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৪

আহসানের ব্লগ বলেছেন: #let us live #we want peac

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩১

খাটাস বলেছেন: #let us live #we want peace

১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৫৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নিউজ ডকুমেন্টারিতে বাহারি নিউজের ছড়াছড়ি, কিন্তু সবই দেশ আর রাজনৈতিককেন্দ্রিক। অবশ্য দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা হওয়াই স্বাভাবিক।
পলিটিকাল নাস্তিক হয়ে তাদের সাদা পতাকা উড়ালে হয়তো সাময়িক আত্মরক্ষা হবে; কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এর পরিণাম যে ভয়াবহ হবে এটা আপনি যেমন বোঝেন, আমিও তেমনি বুঝি। কারণ তখন মানুষ আর পশুতে কোন তফাৎ খুঁজে পাওয়া যাবে না। পলিটিকাল নাস্তিক হয়ে সাদা পতাকা উড়ানোর কথা যে আপনার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু দেশের সার্বিক অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ বাৎলে দেয়ার মতো কোন কার্যকরী রাস্তাও এই মুহূর্তে উল্লেখ করার মতো হাতের নাগালে নাই। বরং মন্তব্য যত বড় হবে ততই হতাশা গ্রাস করবে। তার চেয়ে বরং কিছু না বলেই ইতি টেনে দিলাম খাটাস। ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫১

খাটাস বলেছেন: হ্যাঁ নিউজ ডকুমেন্টারির নামটাই পলিটিকাল নাস্তিক, তাই সব নিউজ রাজনীতি নিয়ে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ না রাখারই চেষ্টা করেছি, কারণ ক্ষোভ দেখাতে হলে নির্দিষ্ট কাও কে দরকার, এখানে ক্ষোভের কারণ এত বেশি যে, ক্ষোভ ও শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই।
মুক্তিযুদ্ধের নামে মানুষ এক হয়, ধর্মের নামে হেফাজত এক হয়, জামাত ও ধর্মের নামে প্রচারণা চালিয়ে মানুষ জড় করে, বঙ্গবন্ধুর নামে এক হয়, জিয়াউর রহমানের নামে মানুষ এক হয়, এরশাদের নামে এক হয়, মুক্তমনের নামে এক হয়, তাতে হয়েছে হত অনেক কিছুই আবার কিছু হয়ত হয় নি।
এই ধারাবাহিকতায় অনাস্থা থেকে এক হউয়া দীর্ঘমেয়াদে কি কি সমস্যা হবে, আমি সত্যিই বুঝি না।
শুধু একটা বড় আওয়াজের অপেক্ষায়, বাঁচতে দাও, শান্তি চাই।
শিশু ক্ষুধা লাগলে জোড়ে কাঁদলে মা তো দুধ দেয়ই ভাই।
উত্তরণের কোন উপায় হয়ত আপাত দৃশ্যমান নয়। কিছু না হউয়ার চেয়ে কিছু হউয়া ভাল। ভাল কিছু হলে তো ভাল, আর তা না হলে, আমরা স্বর্গে নেই মর্তেই আছি।
মত যেমনি হোক, সাধারণের কথা চাই। এত গুলো কথা গুরুত্ব সহকারে বলায় ধন্যবাদ জানবেন বাঙালি ভাই ।

অস্তিত্তের আওয়াজ হোক, #let us live #we want peace

১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১০

জাফরুল মবীন বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ভাই খাটাস!

তাই আমিও পলিটিকাল নাস্তিক -আমিও...

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ মবীন ভাই। যেদিন আমরা দলে ভারী হব, হয়ত শাসক ওরাই থাকে কেও না কেও, বা ওদের লেজ ধরেই কেও; কিন্তু অন্যায় করতে পারবে না। গণতন্ত্র তখনি আসবে।


অস্তিত্তের আওয়াজ হোক, #let us live #we want peace

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

সোহানী বলেছেন: অসাধারন বললে ও ভুল হবে.......... পোস্টটা স্টিকি করার জোড় দাবী জানাচ্ছি।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

খাটাস বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু। সাধারণ হিসেবে খুব বেশি কিছু বলতে না পারলেও অন্তত কিছু বলার সময় এসে পেড়িয়ে যাচ্ছে। সংখ্যায় বাড়তে হবে অনেক। সমমনেও আজ কত ফাটল, কত দুরুত্ত।

অস্তিত্তের আওয়াজ হোক, #let us live #we want peace

১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

আমি বিষ্মিত!!!

অসাধারণ পোস্ট।++++

অনেক অনেক ধন্যবাদ খাটাস ভাই।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

খাটাস বলেছেন: বিস্ময়রে বিস্ময় এ এদেশে বিস্ময়ের শেষ নেই, শুধু বিস্ময় যেয়ে মেলে না আনন্দে, মাঝে মিশে যায় .।.।.।.।.।.।.।.।.।।
কথা বলার চেয়ে না বলা ভাল। কিন্তু কিছু সময় না বলার চেয়ে কিছু অন্তত বলা লাখো গুন ভাল।
ধন্যবাদ জানবেন ভাই।

অস্তিত্তের আওয়াজ হোক, #let us live #we want peace

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:




সামু কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ রইল পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০১

খাটাস বলেছেন: এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভুমি- গানটা যেন ভবিষ্যতেও চিরসবুজ থাকে, বিলুপ্ত কোন মিথ না হয়; এই প্রত্যাশা।
ধন্যবাদ ভাই।

অস্তিত্তের আওয়াজ হোক, #let us live #we want peace

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

তুষার কাব্য বলেছেন: একদম ফাটিয়ে দিয়েছেন :) পোস্ট স্টিকি করা হোক ।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৩

খাটাস বলেছেন: যত গলা এক হবে, আওয়াজ তত বাড়বে। ওপরওয়ালার নাকি পৃথিবীওয়লার কানে যাবে, সে ভেবে এখন কাজ নেই। যাবে তো কোথাও না কোথাও। আর না গেলে কি আসে যায়। একই গলার সুরের অনেক গুলো মানুষ, এক সাথে দুঃখটাই না হয় ভাগ করে নেয়া যাবে।
ধন্যবাদ জানবেন ভাই।

অস্তিত্তের আওয়াজ হোক, #let us live #we want peace

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.