নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা শুধু ব্লগার হিসাবেই নই, সাধারণ সচেতন নাগরিক হিসাবে , মানুষ হিসাবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৩



(ছবিঃ শিক্ষক মহোদয় পা ছুঁয়ে ক্ষমা ভিক্ষা করছেন এক পাষণ্ড ম্যজিস্ট্রেটের কাছে।আমরা খুবই দুঃখিত , লজ্জিত, মর্মাহত ।আপনি আমাদের ক্ষমা করুণ স্যার। আমরা শুধু ব্লগার হিসাবেই নই, সাধারণ সচেতন নাগরিক হিসাবে , মানুষ হিসাবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই)

একটি বহুল প্রচলিত পুরানো কৌতুক মনে পড়ে গেলো-
জনৈক ভদ্রলোক বাসে নিজের সীটে বসতে গিয়ে দেখেন একজন লোক একবোরে দুসীট দখল করে খুব আয়েশ করে বসে আছন।তিনি এবার বসে থাকা লোককে লম্বা একটা সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন-
স্যার, আপনার আব্বাজান কি এই এলাকার মান্যবর চেয়ারম্যান?
না, তা হবেন কেন?
তাহলে আপনার আব্বা অথবা ভাই কি কোনো রাজনৈতিক দল করেন? অথবা দলীয় কোনো ক্যাডার?
না, আমাদের পরিবারে কেউতো কোনো দলের সাথে সম্পৃক্ত না। আর ওরকম ও কেউ নেই
তাহলে কেউ কি বড় আমলা?
জ্বিনা ভাই। ওরকম কেউ নেই।
নিশ্চয়ই কেউ তাহলে পুলিশে আছেন?
না ভাই । তাও নেই।
তাহলে,অবশ্যই কেউ র‌্যাবে আছেন?
জ্বিনা ভাই । তাও নেই। কিন্তু, বুঝলামনা । আপনি আমাকে এসব প্রশ্ন করছেন কেন?
আরে ব্যাটা। রাখ তোর বুঝাবুঝি। আগে আমার সালাম ফেরত দে।আর পাছায় লাত্থি দেয়ার আগে দুসীটের মাঝখানে না বসে নিজের সীটে গিয়ে বস, যা ভাগ।

আসলে এটা স্রেফ একটা কৌতুক হলেও-এখানে দেশের একটি খুবই করুণ চিত্র ফুটে ওঠেছে। অর্থ্যাৎ উপরোক্ত পেশার সাথে যারা জড়িত তাদের ঘাঁটানো যাবেনা। ওরা শুধু দুসীট না পারলে পুরো দেশ দখল করে বসে থাকুক। আর নিশ্চিত হয়ে নিন। উপরোক্ত পেশার সাথে যারা জড়িত না-এরা হলো যে আমজনতা।তাদেরকে পাছায় নিশ্চিন্তে লাত্থি দেয়া যাবে। কোনো ভয় নেই।

এরকম আরেকটি মুখরোচক কৌতুক আছে-এটাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে শোনা ""মোগ বাড়ি বরিশাল মোর দাদায় চহিদার মোরা আইনের মানু মোরে চেন? "

মানে- পদবী একটা হলেই হলো। সাধু সাবধান । একেবারে তফাতে থেকো বাপু।

দেশ থেকে এবার একটু দেশের বাইরে আসি। বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার ভূমিকা, বিভিন্ন দেশে গিয়ে পুলিশিং করা ইত্যাদি দারুণ প্রশ্নবিদ্ধ। আমি সেদিকে যাচ্ছিনা। আমি শুধু এদেশের সাধারণ মানুষের একটি উদাহরণ দিচ্ছি।

সুজান নামে এক মধ্য বয়স্ক শেতাঙ্গ মহিলা আমার অধীনে কাজ করে। সবসময় খুবই হাসিখুশী, উৎফুল্ল।একদিন আমি বাইরে থেকে মধ্যাহ্ন শেষ করে এসে দেখি, বেচারী ওর অফিসে খুব মন খারাপ করে বসে আছে। আমি তাঁর পাশে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম-
সুজান, আপনার মনটা কি খুব খারাপ?
হ্যাঁ। মনটা বেশ ভালো না।
কেন? কি হয়েছে?
আমার মেয়েটা না আজ সারাদিন আমাকে ফোন করেনি। তাই ওর জন্য অল্প চিন্তা করছি। আমি কয়েকবার ফোন করেও পেলাম না।
এখানে, বলে রাখি। আমাদের সাধারণ ধারণা এ দেশ বড় ছেলেমেয়েরা মা বাপের তেমন খোঁজ খবর রাখেনা। কথাটা পুরো ঠিকনা। ওর বেশ স্বাধীন। এ কথা যেমন ঠিক। আবার অনেক পরিবারে খুব সুন্দর পারিবারিক বন্ধন রয়েছে একথাটাও ঠিক।

যাইহোক, আমি দেখলাম। সুজানার ডেস্কের এক কোণে একটা ছবি। আগে কোনোদিন খেয়াল করিনি। ছবিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আর আর্মির পোষাক পরিহিত এক মহিলা অফিসার। দেখে মনে হলো দুজন খুব আন্তরিক ভাবে কথা বলছেন।

আমার কৌতূহল বাড়লো- জিজ্ঞাসা করলাম। প্রেসিডেন্টের সাথে ইনি কে?
সুজান বললো- কেন, তুমি জানো না? ইনিতো আমার মেয়ে।

আমার কৌতূহল আরো বাড়লো। ও তাই নাকি। ছবিতে তো অন্য আর কাউকে দেখছিনা। শুধু প্রেসিডেন্ট আর আপনার মেয়ে। উনি কি আপনার মেয়েকে ব্যক্তিগতভাবে চিনেন?

হ্যাঁ। চিনবেন না কেন? ওদের তো খুবই ভালো করে চেনাজানা ।

আমি আমার রুমে ফিরলাম। চিন্তা করলাম। সুজান আমার সাথে কাজ করছে আজ কত বছর হলো? কোনোদিন বলেননি-উনার মেয়ে ইউএসআর্মির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্টের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক। নিজেকে এতোটুকু জাহির করে বলেননি- দেখো, আমি অমুকের মা। আমার সাথে সাবধানে কথা বলো। সাধারণ একজন চাকুরিজীবীর মতো কাজ করেই যাচ্ছেন।

অথচ, আমাদের দেশ কারো ভাই, বাপ যদি একটা পদ পেয়েই যায়, একটা উর্দি গায়ে ওঠে, রাজনৈতিক নেতা অথবা ক্যাডার, পুলিশের সুপার অথবা সিপাহী, র‌্যাবের কমান্ডার অথবা সিপাই, আর্মির কর্ণেল অথবা সোলজার, বিসিএস ক্যাডার অথবা চহিদার কোনোভাবেই কোনো পদ পেয়েই যায়-ঐ এলাকায় খবর হয়ে যাবে। উনারা আসছেন-রাস্তা ক্লিয়ার করো। নাহয় খবর আছে। যার পদবি যত বড়-সে তার চেয়ে ছোট পদবির ওপর খবরদারি করবেই। উল্টোপাল্টা হলেই -চাকরি নটও হয়ে যেতে পারে।

আমার মনে পড়ে, আমার এক পরিচিত ভাই। তখন আর্মির নয়া অফিসার।
শাহবাগ এলাকায়- পুলিশ কনস্টেবল উনার মোটর সাইকেল থামিয়ে লাইসেন্স চেয়েছিলো বলে-উনি অত্যন্ত বিশ্রী ভাবে বাপের বয়সী সেই কনস্টেবলকে বলেছিলেন- "ব্লাডি, জানিস, আমি কে? আমি তোর বাপ। যা , কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক।?

আমার সেই করুণ দৃশ্যটি আজো চোখ ভাসে। জানিনা,সেদিন সেই বাপের বয়সী কনস্টেবলকে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে উনার ছেলেমেয়েদের কেউ দেখেছিলো কিনা? দেখলে আগে কার চোখ থেকে পানি আসতো। বাপের না কি ছেলেমেয়েদের? ভাগ্য ভালো- সে সময় সবার হাতে হাতে ক্যামেরাওয়ালা ফোন ছিলোনা।

তবে , আজকের এই ছবিটি সবাই দেখছে। সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়ের অপরাধ উনি কেন এই ম্যাজিস্ট্রেট নামক বেয়াদবকে পরীক্ষা হলে ঢুকার আগে পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন? তাইতো, উনাকে পা ছুঁয়ে ক্ষমা প্রার্থণা করতে হচ্ছে।

আপনাদের মনে পড়ে?- আমাদের বিশ্বসেরা সুপারস্টার সাকিবের পাপন সাহেবের পা ধরে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়ার সেই করুণ আকুতি।

আপনার ক্ষমতা আছে, আপনি পা ধরাবেন। আপনার ক্ষমতা আছে, আপনি কান ধরিয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখবেন।আপনার ক্ষমতা আছে আপনি বাপের বয়সী মানুষকে চড় থাপ্পর মারবেন। কে আপনার বিচার করবে?
আপনার ক্ষমতা থাকলে আপনিতো পুরো বিচার ব্যবস্থাকেই কান ধরিয়ে পারলে দাঁড় করিয়ে রাখেন।

শাহ মুহম্মদ সগীরের একটা বিখ্যাত কবিতার লাইন-
"ওস্তাদে প্রণাম করো পিতা হন্তে বাড়
দোসর জনম দিলা তিহ সে আম্বার" ।

যিনি আজ পা ছুঁয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে যাচ্ছেন-উনি নিজেই হয়তো শত শত ম্যাজিস্ট্রেট তৈরী করেছেন। পুরো জাতি যারা তৈরি করে দেয়, যে গুরু মানুষ বানানোর কারিগর, যারা ২য় পিতা হিসাবে স্বীকৃত, সেই শিক্ষাগুরু, সেই শিক্ষাপিতা যখন মাথা নত করে পা ছুঁতে যায়- তখন এই জাতির সম্মানের , মর্যাদার, গৌরবের, অহঙ্কারের আর কিবা বাকি থাকতে পারে?
সম্মানিত শিক্ষক মহোদয় হয়তোবা মনে মনে বলছেন- হে ধরণী তুমি একটু ফাঁক হও, এই পাষণ্ডের পা স্পর্শ করার আগেই যেন আমি তোমার মাঝে ঢুকে যেতে পারি। আবার হয়তো বা চোখে ভাসছে- বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী, ছোট, ছোট সন্তান-এরা সবাই যে বড় বিপদে পড়ে যাবে। সম্মান দিয়ে ওতো কি হবে?
শুধু পা কেন, যদি জুতো পরিষ্কার করে দিতে বলে তাও যে করতে হবে।পা স্পর্শ করছি, সবাই দেখলে দেখুক। কিন্তু আমার চোখের জল যেন কেউ দেখতে না পায় প্রভু। তার চেয়ে বরং চোখের জল মাটিতে পড়ার আগেই আমি যেন দ্রুত ক্ষমার কাজটা শেষ করে ফেলি।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

সুমন কর বলেছেন: আপনার ক্ষমতা আছে, আপনি পা ধরাবেন। আপনার ক্ষমতা আছে, আপনি কান ধরিয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখবেন।আপনার ক্ষমতা আছে আপনি বাপের বয়সী মানুষকে চড় থাপ্পর মারবেন। কে আপনার বিচার করবে?
আপনার ক্ষমতা থাকলে আপনিতো পুরো বিচার ব্যবস্থাকেই কান ধরিয়ে পারলে দাঁড় করিয়ে রাখেন।


চমৎকার লিখেছেন।

ছবিটি কে তুললো?
ম্যাজিস্ট্রেটের মুখ দেখা যাচ্ছে, তবুও কি বিচার হবে !!

এ রকম ঘৃণিত কাজ শুধু এ দেশেই হতে পারে !! X( X((

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: View this link

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে কর্তব্যরত প্রধান প্রত্যবেক্ষককে (সহকারী অধ্যাপক) লাঞ্ছিত করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশ্রাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা। তারা বলেন, যে কোন সময় শিক্ষকরা আবার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন- তাই আগামী ২৩ মার্চের পরীক্ষার আগে ওই ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আগামী ২৬ এপ্রিল সারাদেশের সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। বেপরোয়া ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও শিক্ষা সচিবের কাছে গতকাল স্মারকলিপিও দিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি প্রফেসর নাসরীন বেগম ও মহাসচিব আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল এইচএসসি ইংরেজি ১মপত্র পরীক্ষা চলাকালীন পিরোজপুরের ভা?ন্ডারিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে প্রধান প্রত্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্য মোনতাজ উদ্দিন। এক পর্যায়ে সেলফোনে কথা বলতে বলতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশ্রাফুল ইসলাম। এ সময় প্রধান প্রত্যবেক্ষক তার পরিচয় জানতে চাইলে ক্ষেপে যান আশ্রাফুল ইসলাম। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা চলে। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন হাওলাদার ও পুলিশ ডেকে পাঠান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা প্রকাশ্যে মোনতাজ উদ্দিনকে ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। শিক্ষকের মাফ চাওয়ার এই ছবি স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারাদেশে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার সংবাদকে বলেন, এ ধরনের ঘটনায় শুধু অফিস ডেকোরামকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখানো হয়নি, সমগ্র শিক্ষক সমাজকে অপমান করা হয়েছে। আমরা এই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় আগামী ১ মে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে, সেখানে ওই বিষয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। - See more at: Click This Link

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১২

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: এ রকম ঘৃণিত কাজের সত্যিই বিচার হওয়া উচিত

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: এ রকম ঘৃণিত কাজের সত্যিই বিচার হওয়া উচিত

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৯

প্রামানিক বলেছেন: বিচার করবে কে যার বিচার করবেন সে তো নিজেই বিচারক।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৩

রঙতুলি বলেছেন: আমরা শুধু ব্লগার হিসাবেই নই, সাধারণ সচেতন নাগরিক হিসাবে , মানুষ হিসাবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই)

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১২

***মহারাজ*** বলেছেন: সুমন কর ভাই বলেছেন

চমৎকার লিখেছেন।

ছবিটি কে তুললো?
ম্যাজিস্ট্রেটের মুখ দেখা যাচ্ছে, তবুও কি বিচার হবে !!

এ রকম ঘৃণিত কাজ শুধু এ দেশেই হতে পারে !! X( X((
সহমত

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৩১

হিল্লো্ল বলেছেন: লজ্জাজনক ব্যাপার

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ম্যাজিস্টেটরে জুতা পেটা করা উচিত। :(

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এই উদ্ধত, বেয়াদব, বেতমিজ ম্যাজিস্ট্রেটকে বরখাস্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

হামিদ আহসান বলেছেন: হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপন .............+++++--

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

সুফিয়া বলেছেন: যিনি আজ পা ছুঁয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে যাচ্ছেন-উনি নিজেই হয়তো শত শত ম্যাজিস্ট্রেট তৈরী করেছেন। পুরো জাতি যারা তৈরি করে দেয়, যে গুরু মানুষ বানানোর কারিগর, যারা ২য় পিতা হিসাবে স্বীকৃত, সেই শিক্ষাগুরু, সেই শিক্ষাপিতা যখন মাথা নত করে পা ছুঁতে যায়- তখন এই জাতির সম্মানের , মর্যাদার, গৌরবের, অহঙ্কারের আর কিবা বাকি থাকতে পারে?

একদম ঠিক বলেছেন। কিন্তও সমস্যা কি জানেন ? আমরা দিনের পর দিন বিবেকের কাঠগড়ায় এই প্রশ্ন উত্থাপন করে যাব, কিন্তু কোন সদুত্তর মিলবেনা। এখানেই আমাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২২

খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: ক্ষমতার অপব্যবহার ।বেশির ভাগই ছোটলোকের ঘর থেকে জন্ম সন্তানেরা এই জঘন্য কাজটা করে।আর বড়লোক হলেই বড় আত্মা হয় না ।

১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাকরুদ্ধ

১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

ইখতামিন বলেছেন:

জাতি এই লজ্জা কোথাও লুকোতে পারবে না

১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

জনাব মাহাবুব বলেছেন: ম্যাজিষ্ট্রেট অতীতে হয়তো ছাত্রলীগ করতো। তাই বেয়াদবের শেষ সীমা অতিক্রম করেছে। X((

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:



মানুষ হিসাবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই.

আপনার লিখা পড়ে কষ্ট লাগছে। আমরা ভীষণ অসহায়। আমি আমজনতা তাই শত অনিয়ম দেখে চুপ করে থাকি তার কারণ একটাই কাকে কি বলতে কি বলে ফেলবো উলটো আমিই যদি বিপদে পড়ে যাই।

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: তবে , আজকের এই ছবিটি সবাই দেখছে। সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়ের অপরাধ উনি কেন এই ম্যাজিস্ট্রেট নামক বেয়াদবকে পরীক্ষা হলে ঢুকার আগে পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন? তাইতো, উনাকে পা ছুঁয়ে ক্ষমা প্রার্থণা করতে হচ্ছে। ''-------- এই কয়েকটা লাইন আন্ডারলাইন করে দিন -------- সকলের বুঝতে সুবিধা হবে ------

কৌতুকটা দারুন এবং বাস্তবধর্মী, সাথে বরিশালেরটিও

ঐ ম্যাজিস্ট্রেডের দ্রুত বিচার হওয়া উচিত ----- বদমাইশের একটা সীমা আছে

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

টি এম মাজাহর বলেছেন: আসলেই কি এই দেশে শিক্ষকদের মর্যাদা দেয়া হয়? অথবা শিক্ষকরা কি তাদের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন। আমার মনে বারবার একটা প্রশ্নই ঘুরছে, যতই ভয় দেখানো হোক না কেন, যাই ঘটুক না কেন, ঐ শিক্ষক কেমন শিক্ষক হলেন, যিনি পা ধরতে গেলেন?

২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আইনের কোনো ফাঁক ফোকর দিয়ে যেন এই অপদার্থ ম্যজিস্ট্রেট বের হয়ে গিয়ে আবারো শিক্ষকের মর্যাদাকে ভুলন্ঠিত করতে না পারেন, সেই জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখুন। দাবী জোরালো হোক। যে যেভাবে পারেন- প্রতিবাদে গর্জে ওঠুন।

২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: কোনো জানোয়ারই মানুষ না, কিন্তু কোনো কোনো মানুষ হলো জানোয়ার।

২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সত্যিই লজ্জাজনক। শিক্ষক সম্মানের স্থান। বিচার হওয়া প্রয়োজন। তীব্র ধীক্কার জানাচ্ছি।

২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩০

তিথীডোর বলেছেন: তীব্র ধীক্কার জানাচ্ছি!!!!!!!!!!!!

২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

রমিত বলেছেন: উনি নিজেই হয়তো শত শত ম্যাজিস্ট্রেট তৈরী করেছেন। পুরো জাতি যারা তৈরি করে দেয়, যে গুরু মানুষ বানানোর কারিগর, যারা ২য় পিতা হিসাবে স্বীকৃত, সেই শিক্ষাগুরু, সেই শিক্ষাপিতা যখন মাথা নত করে পা ছুঁতে যায়- তখন এই জাতির সম্মানের , মর্যাদার, গৌরবের, অহঙ্কারের আর কিবা বাকি থাকতে পারে?

২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক চমৎকার লিখেছেন খেয়াঘাট ভাই । এই ঘাটনাটা সামগ্রিক দুর্বৃতায়নের একটা উদাহরণ মাত্র । আপনি যেমন লিখেছেন আমাদের সমাজে প্রতিদিন, প্রতিপদে এমন হাজারো ঘটনা ঘটে চলেছে । আমরা আছি, চলছে .....।

বাংলাদেশ দুর্বৃতায়ন আর ক্ষমতার অপব্যবহারে সম্ভবত যেকোন দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে । আমদের দেশে আছে একদিকে ক্ষমতাহীন, তুচ্ছ সাধারণ মানুষ আর আছে তাদের দণ্ডমুর্তের কর্তা ক্ষমতাবান মন্ত্রী, আমলা, রাজনৈতিক ন্যাতা, ক্যাডার । এই ন্যাতা, ক্যাডাররা শুধু চুরি করে সুখে নেই, তারা বাংলার ষোল কোটি জনগনকে দৌড়ের উপরে রেখেছে ।

আমার ধারণা এই যে, এ ঘটনার মজিস্ট্রট / ভূমি কমিশনার নিশ্চিতভাবেই রাজনৈতিক ক্যাডার, খুব সম্ভব চাত্র দলের ক্যাডারই হবে । আর রাজনৈতিক ক্যাডারদের ক্ষমতায়ন হয় একে বারে টপ থেকে, যারা নির্দেশ দেয়, হরতালের দিন অফিস করলে অফিসগামী লোকের প্যান্ট খুলে দিতে । যতদিন না ন্যাতারা মুখের ভাষায়, আচরণে, প্রতিহিংসা পরায়নাতায় বর্বর, অসভ্য, জঙলী থেকে যাবে ততদিন আমদের কোন আশা নেই ।

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: " চাত্র দলের ক্যাডারই " meant to be "চাত্র-লীগ", যদিও আমার কাছে সমার্থক শব্দ, তবুও জ্ঞানীজনেরা বলে চাত্র-লীগের অপকর্মের কাছে নাকি চাত্র-দল নেহায়েত শিশু কিশোর অপরাধী .......।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.