নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষু ডাক্তার

খোমেনী

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই ......।

খোমেনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশুরার দিন কি শুধু নবী দৌহিত্র নিহত হয়েছেন?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

ঐদিন ১০ই মহররম হযরত আলী (রা.) এর নয়ন মণি মা ফাতিমার কলিব্জার টুকরা ইমাম হুসাইনের স্বপরিবারের উনিশজন সদস্যসহ তাঁর বাহাত্তর জন অনুসারীকে যে ভাবে ইয়জিদ বাহিনী কর্তৃক নির্মম ভাবে শাহাদত বরণ করতে হয়েছিল কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়কে যে ব্যথিত করবে তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আর তাই মুহররম মাসের আগে, মনে নতুন করে মুসলমানদের হৃদয়ের নিভৃর্তে মুহররমের নির্মম স্মৃতি যেন সকল ঐতিহাসিক ঘটনাকে ম্লান করে দেয়। ঈমানদার মাত্রই এহেন নির্মম ঘটনায় মর্মাহত হবে এবং হওয়াই ঈমানের দাবী।



কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, আমাদের কিছু সংখ্যক অজ্ঞ মুসলমান কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনাকে স্মরণ করে নিজেদের মনগরা কিছু কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে তারা এই দিনের তাৎপর্যকে ক্ষুণ্ণ করে। ঐদিন তারা তাজিয়া তৈরি করে পথে ঘাটে বুক চাপড়িয়ে মাতম করে। ইমাম হুসাইনের কৃত্রিম কবর তৈরি করে অনৈসলামিক ‘কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।



আসলে আশুরার দিনে যারা তাজীয়া তৈরি করে পথে প্রান্তরে নর্তন কুর্দন ও অন্যান্য অনৈসলামিক কমকান্ডের মাধ্যমে ইমাম হুসাইন (রা.) এর স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাকে লোক চোখে তুলে ধরতে চায় তা ইসলাম স্বীকৃত নয়।



হযরত নবী করীম (সা.) মদীনা শরীকে হিজরত করে স্থানীয় ইয়াহুদীদের লক্ষ্য করলেন যে, তারা ১০ই মুহরর্মে রোযা রাখছে এবং আনন্দ-উৎসব করছে। হুজুর (সা.) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘কী ব্যাপার তোমরা আজকের দিনে রোযা রাখছ কেন?’



উত্তরে, আজকের দিনে আমাদের নবী হযরত মূসা (আ.) ফির আউনের অত্যাচার থেকে নাজাত পেয়েছিলেন আর ফির আউন তার দলবল সহ লোহিত সাগরে ডুবে মরেছিল। আল্লাহর কাছে তারই শোকরিয়া স্বরূপ আজকের দিন আমরা রোযা রাখি।



এ কথা শুনে নবী করীম (সা.) সাহাবীদেরকে বললেন ‘তোমরাও ১০ই মুহররমে রোজা রেখো।’ তবে আমলের দিক দিয়ে এ ব্যাপারে ইয়াহুদীদের বিরোধীতা কর। অর্থাৎ মুসলিম স্বাতন্ত্র বজরায় রেখো আর তা হলো তোমরা দুটি রোযা রেখো একটি ১০ই মুহররম দিনে আর একটি এর আগে বা পরে। (বুখারী মুসলিম ও আবু দাউদ)



স্মর্তব্য, ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহরর্ম মাসের রোযা ছিল ফরজ। পরে মাহে রমযানের রোযা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য ফরজ হলে আশুরার রোযা মুস্তাহাবে পরিণত হয়। (মুসলিম শরীফ)



বস্ত্তত : অতীতে আশুরা দিবসে যে সব স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে সেগুলো থেকে আমাদের চোখ বন্ধ রাখা সমীচীন হবে না। কেননা আদিকাল থেকে যুগে যুগে আশুরা দিবসে যে সকল ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কথা বিভিন্ন সূত্রে আমাদের কাছে পৌঁছে তা অস্বীকার করবার অবকাশ নেই। দৃষ্টান্ত স্বরূপ আমরা জেনেছি, আল্লাহ্ রাববুল আলামীন যেদিন আকাশ, বাতাস, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, জান্নাত-জাহান্নাম, লউহু মাহফুজ ও যাবতীয় সৃষ্টি জীবের আত্মাসৃজন করেন, সে দিনটি ছিল ১০ই মুহররম তথা আশুরা দিবস। শুধু তাই নয় বরং আদম (আ.) এর সৃষ্টি সেই দিন ছিল ১০ই মহররম। হযরত নূহ (আ.) এর জাহাজ ৮০জন সহচর নিয়ে যেদিন নিরাপদে জুদী পর্বতে অবতরণ করেছিল সে দিনটিও ছিল ১০ই মুহরর্ম। এভাবে হযরত ইউসুফ (আ.) এর কুপ থেকে উদ্ধার। আয়ুব (আ.) এর আরোগ্য লাভ, হযরত ইউনুস (আ.) এর মৎস উদর হতে মুক্তি লাভ। মূসা (আ.) এর পরিত্রাণ, হযরত ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন সে দিনটিতে সে দিনটিও ছিল ১০ই মুহরর্ম।



শুধু কী তাই? বরং ঐদিন অর্থাৎ ১০ইং মুহররমেই হাশর ও কিয়ামত সংঘটিত হবে বলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

মদন বলেছেন: নবী পুত্র/নাতি?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

খোমেনী বলেছেন: টাইপিং মিসটেক। ধন্যবাদ মদন ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.