নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষু ডাক্তার

খোমেনী

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই ......।

খোমেনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবুল হোসেন এর সার্টিফিকেট তারেকের নামে

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতির কারিগর আবুল হোসেনকে দুদক সনদ প্রদান করে আবুল দেশপ্রেমিক ও দুর্নীতিমুক্ত, সাদা কাপড়ের মানুষ। কিন্তু কয়জনই তা বিশ্বাস করে? এদিকে মানিলন্ডারিং মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দুদকের ন্যায় আদালতের সনদ প্রদানে অনেকে টেনশানিত।



অনেকে হয়তো ভাবছেন তারেকের দুর্নীতির বিরেুদ্ধে মামলায় তিনি খালাস পেলেন কিভাবে? যদিও তাকে মি. টেন পারসেন্ট বলা হয়। অবস্থাদৃষ্টে এসকল সরকারী দলের ঘোরতর ষড়যন্ত্র মনে করে সহস্রাধিক সাংবাদিকের উদ্বেগ প্রকাশ।



ফ্লাস ব্যাক, ১১ জানুয়ারী ২০০৭ তারিখে নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর তৎকালীন চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পরে জেনারেল হিসেবে অবসর নেন) মঈন উদ্দীন আহমেদের হস্তক্ষেপে একটি অগণতান্ত্রিক ও অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। তারপর ৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দূর্নীতির মামলার আসামী করে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৫ আগস্ট, ২০০৭ খবর ছড়ায় যে, তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এরপর খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় ও ধারণা করা হয় যে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনকে গোপন করার লক্ষ্যে এই খবর ছড়ানো হয়েছে।



প্রায় আঠারো মাস ব্যাপী নিপীড়িত অবস্থায় কারান্তরীণ থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমান জামিনলাভ করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন বিদেশে চলে যান।



তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগগুলো এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় যাবৎ আইনী লড়াই চালিয়েও কোন কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে দূর্নীতির প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কিনা।



এমতবস্থায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় হয়রানি ও তড়িঘড়ি করে দন্ডাদেশ প্রদানের অপতৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সহশ্রাধিক সাংবাদিক এক যুক্ত বিবৃতিতে সাক্ষর করেন -



বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে অবৈধ সেনা সমর্থিত সরকার এবং শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অপপ্রচারের পাশাপাশি বেশকিছু মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এসব মামলার একটিতেও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।



বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সাংবাদিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- সম্পাদক শফিক রেহমান, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট ভাষা সংগ্রামী ও একুশে পদকে ভূষিত দৈনিক ইনকিলাবের ফিচার সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক একুশে পদকে ভূষিত কবি আল মুজাহিদী, বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডিইউজের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ছড়াকার আবু সালেহ ও ফটোসাংবাদিক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সাপ্তাহিক ফসল সম্পাদক এরশাদ মজুমদার, জাস্ট নিউজ বিডি সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারি, নিউনেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিএফইউজের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বশীর আহমদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খোন্দকার মনিরুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু ও আবদুশ শহিদ, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আহাম্মেদ মীরু, লালপিঁপড়া সম্পাদক কবি মাহমুদ শফিক, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আবদুল মান্নান, সরদার ফরিদ আহমদ ও মুহাম্মদ বাকের হোসোইন, দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক আবদুল বাতেন, কালের কণ্ঠের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন, বাসস’র সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক (বাংলা) গোলাম মহিউদ্দিন খান, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ, টিভি ব্যক্তিত্ব ড. আবদুল হাই সিদ্দিক, সরগম সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাক হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আবদুল আওয়াল ঠাকুর, সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল হুদা, দিনকালের বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, বিশিষ্ট কলামিস্ট খন্দকার হাসনাত করিম পিন্টু, আমিনুর রহমান সরকার, দৈনিক আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, জাস্ট নিউজ বিডি’র বার্তা সম্পাদক মহিউদ্দিন খান মোহন, নয়াদিগন্তের উপ-সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন, কাজিম রেজা, মাহমুদা চৌধুরী, শাহ আহমদ রেজা, সঞ্জীব চৌধুরী, আমিরুল ইসলাম কাগজী, নয়াদিগন্তের চিফ রিপোর্টার হারুন জামিল, দিনকালের বিশেষ প্রতিনিধি আতিকুর রহমান রুমন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামসুল হক হায়দরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ, আমার দেশ চট্টগ্রামের ব্যুরো চিফ জাহিদুল করিম কচি, রাজশাহীর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ড. সরদার আনিছুর রহমান, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাধারণ সম্পাদক হাসান মোল্লা, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মহিদুল ইসলাম মন্টু, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, কঙবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিএম আশেক উল্লাহ, কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিউল্লাহ, ডিউজের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খুরশীদ আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন দৈনিক আমার দেশ-এর ইউনিট চিফ বাছির জামাল, দৈনিক সংগ্রাম ইউনিট চিফ শহিদুল ইসলাম, নয়াদিগন্ত ইউনিট চিফ হাসান শরিফ, দৈনিক ইনকিলাব ইউনিট চিফ ওমর ফারুক আল হাদী, দিনকালের ইউনিট চিফ সৈয়দ আকরাম, মুক্তখবরের ইউনিট চিফ শিকদার আলমগীর, স্বাধীন মতের ইউনিট চিফ তোফায়েল হোসেন, বাসস-এর আবুল কালাম মানিক, দিগন্ত টিভির ইমরান আনসারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এরশাদুল বারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সাগর প্রমুখ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.