নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের সাম্পান ওয়ালা- [email protected]

নিশাচড়

গ্রামের এক দুরন্ত ছেলে আমি। মেটো পথ দিগন্তহীন সবুজ মাঠ আর গাছে গাছে দাপিয়ে কাটিয়েছি কৈশোর। স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালোবাসি...স্বপ্ন দেখি সুুন্দর পৃথীবির ....ভালোবাসি দেশ মাটি ও মানুষদের। আমি স্বপ্ন দেখি.... আমি স্বপ্নের সাম্পানে ভর করে উরে বেড়াই সুন্দরের পথে।।

নিশাচড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবানী

৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮

মঙ্গলবার আমাদের এখানে হাটবার। শিবানীদের বাাড়ির সামনে দিয়ে অনেক মানুষের যাতায়েত, পাঁচ গাঁওয়ের মানুষ এদিক দিয়ে যাওয়া আসা করে, এখানে দাঁড়িয়ে তারা তিন বোন সম-সূরে ডাকে মালা নিবেন এই মালা বকুল ফুলের মালা, এক টাকা করে মালা বিক্রি করে তারা। হাটবারের দিন মালা বেশী বিক্রি হয়। কেউ নিয়ে যায় প্রেয়সী স্ত্রীর জন্য কেউবা তার আদরের মেয়ের জন্য কেউ বোনের জন্য আবার কেউ পাশের বাড়ির সখির জন্য। এ ছাড়াও প্রতিদিন সকালে কিছু মালা বিক্রি হয়, স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা কিনে।তারা মালা কিনে কি করে? কেউ নিজের হাতে পড়ে কিংবা তাদের প্রেমিক-প্রেমিকাকে উপহার দেয়। শিবানীর গাথা মালা পড়িয়ে প্রেমিক তার প্রেমিকার সাথে কত কথার মালা গেঁথেছে।কখনো স্কুল ছুটির পর বকুল মাল্যখানি দেবে বলে বালিকার পিছু পিছু যেতে যেতে পথ শেষ হয়ে গেছে তবুও ভালোবাসার মালা আর দেয়ার সুযোগ হয়নি।
এই বকুল ফুলের মালাকে উপলক্ষ করে কত ছড়া কবিতা সৃষ্টি হয়েছে, বালক-বালিকার প্রেম হয়েছে, কত তরুন-তরুনীর প্রণয় হয়েছে এর হিসেব কারো কাছে নেই।
শিবানীদের বাড়ি কুমার পাড়ায়, পাড়া বলতে তাদের তিন চারটা ঘরই আছে এখন বাকিরা সব ইন্ডিয়া চলে গেছে। তাদের বাড়ির সামনেই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এর আঙ্গিনাতেই বকুল গাছ। বিশাল বড় বকুল গাছ, বয়স কত হবে সেটা কেউ বলতে পারেনি। অনুমান! সেটাও বলতে পারবো না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার বাবার বন্ধু প্রায়ই আসতাম বাবার সাথে। বাবা ডাক্তারের সাথে বসে গল্প করতো আমি শিবানিদের বাড়িতে চাকতি ঘুরিয়ে মাটির হাড়ি পাতিল বানানো দেখতাম অথবা শিবানীর মালা গাথা। বড় হয়ে শিবানীর কাছ থেকে মালাও কিনেছি।

বাবা মারা গেলো, বাবার ডাক্তার বন্ধু অবসরে গেলো। আমিও গ্রাম ছেড়েছি ওদের খোজ খবর জানি না।চলার পথেও তাদের দেখিনা অন্যদেরও দেখি না মালা বেচতে।

একদিন গেলাম শিবানীদের বাড়িতে, কত বছর হবে? প্রায় দশ বছর।গিয়ে দেখি মাটির পুতুলে রং করছে মনের সমস্থ মনোযোগ দিয়ে।কেমন আছো শিবানী? আমাকে দেখে চমকে গেলো, চিনতেও মনে হয় কষ্ট হচ্ছে। ভালো মন্দ অনেক কথাই হলো। আমি কি করি, কত পড়াশুনা করেছি, বিয়ে করেছি কিনা সেটাও।

শিবানীকে জিগ্যেস করলাম বকুল গাছটা তো মরে গেলো।তবে তোমার হাতে গাথা ফুলের মালা দিয়ে যতজন তাদের প্রেমের মালা গেথেছিলো তাদের প্রেম কি আছে? নাকি তাদের প্রেমও বকুল গাছের মত মরে গেছে।এর উত্তরে সে কি বলবে কিছুই খুজে পেলো না।শুধু ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।কি করে বলবে নিজের হাতের গাথা মালা দিয়ে সঞ্জয়ের সাথে যে ভালোবাসার মালাটি গেঁথেছিলো সেটিই যে ছিড়ে গেছে...।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কষ্টের কাহিনী

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

নিশাচড় বলেছেন: জী। ধন্যবাদ

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: বেলী ফুলের মালা রাস্তায় দেখলে আমিও কিনি বউ এর জন্য।
শিবানীর একটা ছবি দেন দেখি।

ভালো লিখেছেন।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

নিশাচড় বলেছেন: রাজীব ভাই! শিবানীর ছবি তো নাই। তবে ঈদে বাড়িতে গিয়ে আপনাকে শিবানীর ছবি দেখাবো।

ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গল্প! না সত্যি!!

যাই হোক। জীবন আসলেই এমনই!
স্বপ্ন, কষ্ট আর সামনে এগিয়ে চলা!!!

+++++

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

নিশাচড় বলেছেন: গল্প আগে কখনো লিখিনি এটাই প্রথম। সত কথাগুলি এভাবেই লিখলাম। আর গাছের ছবিটাও সেই মরে যাওয়া বকুল গাছটার।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: মালা ছিঁড়ে গেলে আবার গাঁথতে হবে, নতুন ফুল দিয়ে।

হয়তো নতুন কষ্ট এস জুড়ে বসবে তবুও।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

নিশাচড় বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক। তবে আশে পাশে আর বকুল গাছ নাই।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ! ভালো লাগলো লেখা। বকুল ফুলের মালা আমার ও খুব প্রিয়।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২২

নিশাচড় বলেছেন: কোনো একদিন বকুলের মালা পাঠিয়ে দিব আপনার কাছে
অথবা বকুলের গ্রাণ ছড়িয়ে দিব চার পাশে
কিংবা পাপড়ি ছিটিয়ে দিব কোপার ভাজে ভাজে।

ধন্যবাদ কবি। ভালো থাকবেন।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

উদাস মাঝি বলেছেন: শিবানি কি আপনাকে ভালবাসত ?

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

নিশাচড় বলেছেন: আট দশ বছর বয়সের কাহিনি। তখন তো ভালোবাসা শব্দের অর্থই জানতাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.