নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের সাম্পান ওয়ালা- [email protected]

নিশাচড়

গ্রামের এক দুরন্ত ছেলে আমি। মেটো পথ দিগন্তহীন সবুজ মাঠ আর গাছে গাছে দাপিয়ে কাটিয়েছি কৈশোর। স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালোবাসি...স্বপ্ন দেখি সুুন্দর পৃথীবির ....ভালোবাসি দেশ মাটি ও মানুষদের। আমি স্বপ্ন দেখি.... আমি স্বপ্নের সাম্পানে ভর করে উরে বেড়াই সুন্দরের পথে।।

নিশাচড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই সময়

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

যত দ্রুত হাঁটছি তত জোরে কে যেনো পাঞ্জাবির পিছন ধরে টানছে। আমি ভয়ে দৌড়াচ্ছি, আরো জোরে জোরে যেনো পাঞ্জাবি ধরে টানছে।
মাদ্রাসা থেকে প্রায় দের কিলোমিটার দূরে গ্রামের এক বাড়িতে আমার লজিং। পাকা রাস্তার দুই পাশে বিশাল জঙ্গল ও কবরস্থান, এর পরে জমির মাঝখান দিয়ে মাটির রাস্তা পার হয়ে আরো খানিকটা জঙ্গল পেরিয়ে আমার লজিং বাড়ি। জনশ্রুতি আছে এই এলাকায় প্রায়ই ভূতে মানুষের ঘাড় মটকায়।
মাদ্রাসায় থাকি তিন বেলা তাদের বাড়িতে খাই। সন্ধার পরে গিয়ে রাতের খাবারটা টিফিন বক্সে করে নিয়ে আসি।
আজকে নাজিমুদ্দিন ভাই বাড়ি চলে গেছে আমাকে একা যেতে হবে খাবার আনতে। নাজিমুদ্দিন ভাই আমার দুই ক্লাস সিনিয়র, আমার লজিং বাড়ির পাশের বাড়িতে তার লজিং।দুই জন এক সাথে যাওয়া আসা করি।
আজকে আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন, ঝর আসবে হয়তো। মাগরিবের নামাজ পড়ে লজিং বাড়িতে গেলাম, গিয়ে দেখি রান্না হতে আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে।
এই ফাকে আমার লজিং মাস্টারের পরিবারের একটু বর্ণনা দেই, তাঁর চার ছেলে পাঁচ মেয়ে, তিন মেয়ে বেশ বড়ো, আমার চাইতে চার পাঁচ বছরের বড়ো হবে, আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি, তাদের সবাইকে আমি আপা ডাকি, তারা প্রায়ই আমার সাথে বিটলামি করে, আমি চুপ চাপ থাকি। আজকে আপাকে বল্লাম তারাতারি খাবার দিতে, আপা দ্রুতই টিফিন বক্সে খাবার দিয়ে দিলেন।
আমি বের হয়ে পরলাম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে। আকাশে ঘন মেঘ জমেছে। চার দিকে গুডগুডে অন্ধকার। বিজলি চমকাচ্ছে আর মেঘের গর্জনে ভীতিকর অবস্থা।
পাকা রাস্তায় উঠার পর বাতাস বইছে আরো জোরো জোরে, বৃষ্টি নামতে পারে যেকোনো মহুর্তে। রাস্তাঘাট ফাঁকা বেশ ভয় পাচ্ছি, মনে মনে আল্লাহকে ডাকছি।
একটু দ্রুতই হাঁটা শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পর আবিস্কার করলাম পিছন থেকে আমার পাঞ্জাবি ধরে কে যেন টানছে। পিছনে তাকালাম দেখি কেউ নেই। আরো দ্রুত হাঁটছি; আরো দ্রুত টানছে, পিছনে কেউ নেই। এর মধ্যে ঝর শুরু হয়ে গেছে। বাতাসে বাঁশ ঝারের আর গাছের শব্দে আরো ভীতিকর অবস্থা , কবরের কাছে এসে দিলাম দৌড়, এখন যেনো আরো জোরে জোরে টানছে। যত দ্রুত দৌড়াচ্ছি তত জোরে টানছে। এবার সত্যিই দারুন ভয় পেয়ে গেলাম। আর থামা-থামি নেই, এক দৌড়ে মাদ্রাসার দরজায় গিয়ে পরে গেলাম। মাদ্রাসার সব ছাত্ররা দৌড়ে এলো। কি হলো! কি হলো! আমি ঘটনা খুলে বল্লাম। তারা আমাকে সূরা পড়ে ফু-টু দিয়ে গোসল করিয়ে ভয় মুক্ত করলো।

এশার নামাজ পড়লাম, খেতে বসবো। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে টিফিন বক্স নিয়ে খাওয়ার জায়গার যাচ্ছি, তখন আবারো পাঞ্জাবিতে টান লাগলো। এবার বক্সের দিকে তাকিয়ে যেটা আবিস্কার করলাম সেটা দেখে আমি হাসবো নাকি কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারলাম না।
সিলভারের এক প্রকার টিফিন বক্স পাওয়া যায় এক সময় বহুল ব্যব্হৃত টিফিন বক্স ছিলো এটি, দুইটা শিক দিয়ে বিশেষ কায়দায় এর ক্যারিয়ার বানানো।
আমার লজিং মাস্টারের দ্বিতীয় মেয়ে বরাবরই বিটলা। এবার আমার সাথেও একটা বিটলামি করলো। টিফিন বক্সে ভাত তরকারি দিয়ে বক্সের উপরের বাটির ঢাকনাটা দেয়নি, আমিও দেখিনি তারাহুরা করে বেরিয়ে পড়ছি।
যখন দ্রুত হাটা শুরু করলাম তখন হাত সামনে পিছনে নরছে, ক্যারিয়ারের শিকে আর বক্সের মাঝে পাঞ্জাবির সাইড আটকে টান লাগছে। আর এই টানে ভয়ে আমার অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা।
পর দিন এই ঘটনা তাদেরকে বল্লাম তারা হাসতে হাসতে একেকজন মাটিতে লুটিয়ে পরে অবস্থা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সুমন কর বলেছেন: হুম, শেষটা ভালো লাগল।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখা শেষ করার পর একবার ভালো করে চোখ বড় বড় করে পড়ে নিবেন।

অনেক গুলো বানান ভুল আছে। এডিট করে ঠিক করে নিন।
পড়ার সময় বানান ভুল দেখলে পড়ার রুচি চলে যায়।

১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৩

নিশাচড় বলেছেন: ঠিক করে নিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। অনেকগুলি বানান ভুল রয়ে গেলো খেয়ালই করিনি। সামনে আরো মনোযোগী হবো।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক করে নিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। অনেকগুলি বানান ভুল রয়ে গেলো খেয়ালই করিনি। সামনে আরো মনোযোগী হবো।

ভালোবাসা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.