নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডানে গেলে জঙ্গীবামে গেলে নাস্তিক;দ্বন্দ্বেতে নেই বাপুআছি হেথা মাঝ ঠিক

কি করি আজ ভেবে না পাই

ডানে গেলে জঙ্গী বামে গেলে নাস্তিক; দ্বন্দ্বেতে নেই বাপু আছি হেথা মাঝ ঠিক।

কি করি আজ ভেবে না পাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সুখের অপমৃত্যু (মোটেই রম্য নহে)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮



ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট কি সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। তখন রেলের 'সুবর্ণ এক্সপ্রেস' সার্ভিস কেবল নয়া নয়া শুরু হয়েছে ঢাকা-চিটাগং রুটে। সৌদিয়া এস.আলম ছেড়ে আমি এবার নিপাট গুড বয়টি সেজে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা গুণমুগ্ধ নিয়মিত যাত্রী। কাঁটায় কাঁটায় পাঁচ ঘন্টায় গন্তব্যস্থল, বিনে টিকিটিযাত্রী ও হকারমুক্ত ফিটফাট পরিপাটি বগি, ঝকঝকে বাথরুম, সুসজ্জিতা উর্দি পরিহিতা সুদর্শনা হুরপরী যথা সব এটেন্ডেন্টস ও চেকার!! দেড়শো টাকায় আর চাই কি বাপু! বাস ছেড়ে ট্রেন ধরেছি বলে পরিবার খোশ, আর ফি মাসে দু দু'বারের অমন স্বর্গভ্রমন সুখ পেয়ে আমি বাগবাগ। কি সুখের মধুদিন সে আহা। ভ্রমনের পাঁচ ঘন্টাকেও আমি ভাগ ভাগ করে নিতেম। ১ম ঘন্টা থিতু হয়ে বসতে বসতেই আধো তন্দ্রায় কেটে যেতো। পরের সময়গুলান ১ঘন্টা 'মাসুদ রানা', পনেরো মিনিট চা, ১০মিনিট করে এক একটা সিগারেট, পনেরো মিনিট চিপস, বিশ মিনিটের নাস্তা, নানা মেয়াদি যাত্রীকুলে হুরপরী খোঁজ দ্য সার্চ, 'ডাইনিং টু বগি'-'বগি টু ডাইনিং' এভাবেই নানা 'ফেজ'এ ভাগ করা ছিলো। সময় যে কোন ফাঁকে পেরিয়ে যেতো টেরও পেতেম না মাইরি ( কাভি কাভি যাত্রার প্রাক্কালে বরিশাল কলোণী কি টিটিপাড়া ঢুঁ মারলেতো কথাই নেই। যদিও সে ভিন্ন প্রসঙ্গ এবং গেমু যথা অকালপক্ককূল ছাড়া তা বুঝা বাকীদের কম্মো নহে)। বিশেষ করে 'ডাইনিং কার'এ কাটানো সময়টা ছিলো আমার সবচাইতে প্রিয় মুহুর্ত। গপাগপ, আরে না না রসিয়ে রসিয়েই চেখে নিতেম জোড়া মাখনটোস্ট, কাটলেট আর ফ্রায়েড চিকেন। খাওয়ার পাশাপাশি সময়ক্ষেপনও যে ছিলো অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য। একটার পর একটা অর্ডার চলতোই। তারপরে আয়েশ করে দুধচিনি 'ডাবল' চা আর সিগারেট। আহা মধু মধু। ভালো কথা, কেবল ভোজনরসিক ভাবলে আমার রাক্ষুসে হজমি অতি সামর্থকে চরম অপমান করা হবে। মানুষ পেট কিংবা গলাপুরে খায় আর আমি খাই মনের হাউসপুরে। খাওয়ার সময় এক আশ্চর্য রুহানি তাকত চলে আসে আমাতে। হারামীর মতন খেতে পারি মাইরি। যতক্ষন ইচ্ছা ততক্ষন খাই। থুঃ থুঃ মাশা আল্লাহ, মা শা আল্লাহ।
অমনি সুখে ভরা মধুময় সোনালী দিনগুলির কোন এক স্বর্গভ্রমনক্ষনে 'ডাইনিং'এ বসে কাটলেটের রস্বাদন করছি। হঠাৎ আধখাওয়া কাটলেটের মাংসের পুরে মনে হলো আঁশ জাতীয় কিছু একটা লেপ্টে আছে। কাঁটা চামচ খুঁচিয়ে উঠাতে গিয়ে দেখি শেকড় আরো লম্বা। মাংসের পুর কেটে কেটে আঁশ উঠে আসছে। যত টানছি আরো আসছে।আরো আসছে, আরো.............একি পুর এবার ফেটে ফেটে যাচ্ছে কেনো? ফেটে যা বেরুলো ভুত দেখেও অত চমকাতেম না ঈমানসে।
পুরো অর্ধেক ফ্রায়েড তেলাপোকা!!
হুটোপুটি, চিৎকার, চেঁচামেচি, হুলোস্থুল, হুমকি-ধামকি ম্যালা কিছু হলো। ডাইনিং ম্যানেজার নির্বিকার। বিক্ষুদ্ধ কাস্টোমারদের খিস্তির তুবড়ি। ব্যস সেদিনের অটুকুন, এই আর কি। যথারীতি বাংলাদেশ রেলওয়ে স্বগৌরবে এগিয়ে চলেছে আপন ঐতিহ্যে। বিচ্ছিন্ন কিংবা রোজকার এ ঘটনায়তো আর জীবন থেমে থাকেনা। দর্শকরাও হয়তো সব ভুলে গেছেন। তবে ক্ষতি যা হবার হয়েছে ঐ একজনেরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ তরুন ছাত্রের কচি বুক ভেঙ্গে খানখান। চিরতরে বিনাশ হলো তার সেই ফি মাসের সুখের মধু ভ্রমন। যে খোকা তেলাপোকা দেখলে নিনাদে পাড়া জড়ো করে আজ সে.....................
বিঃদ্রঃ যারা বুঝেননি তাদেরকে অভিনন্দন। আর শায়মা'পু যথা যারা বুঝেছেন তাদেরকে 'ফার্দার নো মোর খোটা' সতর্কবাণী।

ইহা স্রেফ একখানি স্মৃতিচারণমূলক পোষ্ট। বাংলাদেশ রেলওয়ে ভ্রমনকে নিরুৎসাহিত করা মোটেই লেখকের উদ্দেশ্য নহে। শুনেছি আজকাল 'সোনার বাংলা' এবং আরো নয়া নয়া নামে না না স্বর্গভ্রমনের সেবা দেয়া হয়ে থাকে। ইদানিং প্রায় প্রায় ভাবি নেবো নাকি রিস্ক আরেকখানা...................

এই পোষ্ট লিখনের পুরোপুরি ক্রেডিটের হক্বদার একমাত্র সামুর 'প্রিন্স অব রম্য' গিয়াস উদ্দীন লিটন। তাহার একখানি 'সট্য ঘটনা অবলম্বনে' রচিত পোষ্ট পঠনে সুড়সুড়িত এবং প্রনোদিত হইয়া ইহা রচিত হইয়াছে। দিলেম তাহার সেই ঘিনঘিনে পোষ্টের চৌম্বক পেস্টাইয়া,

ঘটনাটা আসলে আমার
এক ক্লোজ বন্ধুর
রুটির সাথে খেয়েছিল
আধাআধি ইন্দুর।

এই গল্প করেছিলাম
ছবির সাথে কুক্ষণে
সব দোষ চাপাচ্ছে সে
আমার ঘাড়ে এক্ষণে।

এই গল্প শুনে ছবি
হেঁসে কুটি কুটি
সেই থেকে সেও খায়
ইন্দুর উইথ রুটি।

গল্পটা জমবেনা
যদি লিখি পদ্যে
মুল বর্ণনাটা তাই
দিলাম এবার গদ্যে।

আমার এক ফ্রেন্ড মেসে থাকে। এক দিন সে ফ্লোরে বসে আয়েশ করে আলুভাজি আর রুটি খাচ্ছিল। সে ছিল আবার বিরাট খাদক। একসাথে দুইটি রুটি রোল করে এক কামড় রুটি আর এক চামুচ ভাজি খাচ্ছিল। এমন সময় আমি দরজায় নক করি, সে এসে দরজা খুলে দেয়।
আমি তার খাটে বসি। সে যথারীতি খাওয়া শুরু করল। আমি খেয়াল করলাম তার মুখে রক্ত লেগে আছে। রহস্য উদ্ঘাটন করে পাওয়া গেল; সে যখন রুটির রোল রেখে দরজা খুলতে গিয়েছে এই ফাঁকে রুটির লুজ রোলের ভিতর একটি ইদুর ছানা ঢুকে যায়। বন্ধুটি খাওয়ার দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে প্রথম কামড়েই ইদুরের কল্লা সহ অর্ধেক খেয়ে ফেলে।
আমার হল শুরু (বমন), তার হল (নাস্তা) সারা।

উল্লেখ্যঃ ছড়াখানিও গিয়াস লিটনের স্বরচিত। পোষ্টপঠনে কারো বমন ক্রিয়ার উদ্বেগ হইলে কিংবা লাঞ্চ-ডিনারের রিজিক দিন কতেকের জন্যে উঠিয়া গেলে পোষ্টদাতা কুনুভাবেই দায়ি নহে।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

সনেট কবি বলেছেন: রম্য না হলেও না হেসে পারিনি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমার দুখে সদা শায়মাপু সোহানী'পুরাই (মনিরা'পুও) হেসে কুটি। আপনি আর বাদ থেকে কি লাভ? /:)

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোরে তোর রম্যের প্রিন্স সহ মাইনাস X(
অন্য কারো পোস্ট হলে জীবনেও পড়তে আসতাম না ; ওয়াক থুঃ

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সকল দায় কেবলমাত্র সুড়সুড়ি দাতার,

পাঠে কৃতজ্ঞতা,
সঙ্গেই থাকুন। :P

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সুবর্ণতে মহিলা এটেন্ডেন্টস/চেকার তো কখনোই ছিল না! ট্রেনে সাধারণ খাবারের বেশী দামের কারণে কিছু খাইনা(কৃপণতাও বলতে পারেন)...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সুবর্ণ এক্সপ্রেস যখন প্রথম প্রথম চালু হয় তখন সুসজ্জিতা সুন্দরি মহিলা এটেন্ডেন্টস প্রত্যেক কম্পার্টমেন্টেই ছিলো। মোটামুটি ২০০০ সাল পর্যন্ত তাদের দেখি। পরেতো চড়াই ছেড়েছি.............

আর রেলের খাবারের দাম বরাবরি বেশি ছিলো এবং মানহীন। সম্ভবত এখনো।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৪৫

সোহানী বলেছেন: ধুর মিয়া এইটা কিছু হইলো ;) মাত্র একটা তেলাপোকা খেয়ে তোমার এ হাল!!! লিটন ভাইএর আস্ত ইন্দুর হলে একটা কথা ছিল!!

নাও এইটা অতি উপাদেয় ককরোচ স্যুপ.......

ক'দিন আগে চায়না টাউনে গেছিলাম, সেখানকার শপে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন পোকা মাকড়...... ছবি দেখো।


আর তোমারে বাবার কোরিয়ান কলিগদের কাক আর কুকুর খাওয়ার গল্প কি বলেছিলাম? ওকে না বল্লে নেক্সট লিখা হবে এই নিয়ে............

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৩২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: না গো মা ভিক্ষা চাইনা কুত্তা আর কাউয়া ঠ্যাকাও /:) B:-/ :(

ইয়ে, স্যুপ উপাদেয় কি করে বুঝলে? চেখেছিলে বুঝি................

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ, ইচ্ছে আছে এমন কিছু খাওয়ার....... দেখি!

তবে হলে থাকতে এরকম এক আধটা তেলাপোকা ডালে পাইনি এমন ইতিহাস নাই। তা্ ওইটা কুনু ব্যাপার না............

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমার বমনের উদ্বেগ এবং আগামী কয়েকদিনের ভোজনে অরুচির সকল দায়ভার তোমার................

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াক ওয়াক !!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ফিলিং বেটার?

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: লাল মাংস খেলে হৃদয়ের রোগ হচ্ছে তাই উপরোক্ত উপাদেয় খাবার গুলো ইতিবাচক হিসাবে নেয়া সময়ের দাবি।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সময়টা ক'দিন বাড়ানো যায়না? /:)

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়ে মজাতো পেলুম উপরি বিনোদনও ।

হা। হা। হা...........................।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মজা!!!
বটে, খোদা আছেন........... |-)

৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পোষ্ট না পড়াই ভাল ছিল।ওয়াক থু!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমার লেজ কেটেছে, বাকীদের কাটবোই :-B

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোরে তোর রম্যের প্রিন্স সহ মাইনাস X( অন্য কারো পোস্ট হলে জীবনেও পড়তে আসতাম না ; ওয়াক থুঃ - মনিরা আপু যা বলেছেন এর পর আর কিছু থাকে না।

তবে আমি একবার ঢাকা ভার্সিটির ক্যান্টিনে খিচুরি খাবার সময় আস্ত একটা ৩ ইন্চি সাইজের পেরেক পেয়েছিলাম, দরজা বা জানালা থেকে খুলে ডেকচির মধ্যে পরে গিয়েছিলাম মনে হয়। ওদের কে ফিরত দিয়ে এসেছিলাম। আবার লাগিয়ে দেবে। এর পরের বার না হলে পেরেকের জায়গায় হয়ত দরজা বা জানালা খুলে পরে যেতে পারে........

লেখা এবং লেখার হাত দুটাই পছন্দ হয়েছে,,,,,,,,,কঠিন........নহে বায়বীয়.....নহে তরল.......।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: তবে আমি একবার ঢাকা ভার্সিটির ক্যান্টিনে খিচুরি খাবার সময় আস্ত একটা ৩ ইন্চি সাইজের পেরেক পেয়েছিলাম, দরজা বা জানালা থেকে খুলে ডেকচির মধ্যে পরে গিয়েছিলাম মনে হয়। ওদের কে ফিরত দিয়ে এসেছিলাম। আবার লাগিয়ে দেবে। এর পরের বার না হলে পেরেকের জায়গায় হয়ত দরজা বা জানালা খুলে পরে যেতে পারে........

আপনার প্রজ্ঞায় যার পর নাই মুগ্ধ মশাই B:-)

লেখা এবং লেখার হাত দুটাই পছন্দ হয়েছে,,,,,,,,,কঠিন........নহে বায়বীয়.....নহে তরল.......

যাক বাবা, যেরূপেই রই পদার্থতো বটেই :P

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: রম্যই মেনে নিলাম, খুব মজাদার ছিল কথাগুলো

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মোটেই রম্য নয় বলার পরও !!
বুঝি বুঝি স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা |-)

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মনিরা সুলতানা আপু আমার উপর অবিচার করছেন। কথাটা প্রথমে চাউর করে ছবি। মাইনাস দিতে হলে তারেই দেন।
তাছাড়া শিয়ালের মাংস খাওয়ার কাহিনিতো এখনো বলিনি :P

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: না না, ছবিতো নির্দুষ
ঐ যে 'উইমেন ইনফিনিটি'
পাইছেতো আমারে আর আপনেরে..............দ্যান দ্যান, জলদি কয়া দ্যান

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নব্যধনী সুরত আলী সপরিবারে আমেরিকা গেছে। রাতে স্ত্রীকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেল। ওয়েটার অর্ডার নিতে এলো। ইংরেজিতে জানতে চাইল কি খেতে চায়।

সুরত আলীতো ইংরেজি জানেনা,সে বিরাট ভাবনায় পড়ে গেল। এরাতো ইংরেজী ছাড়া অন্য কিছু বুঝেনা। অনেক ভেবে চিন্তে ক্লাস ফোরে পড়া কিছু ইংরেজি মনে পড়তেই, বলল- স্যার, আই বিগ টু স্টেট দ্যাট, মাই ফাদার ইস সিরিয়াসলি ইল। কাইন্ডলি গ্রান্ট মি লিভ আফটার থার্ড পিরিয়ড।
খেতে এসে পাগলা এসব কি বলে?ওয়েটার কিছুই বুঝলোনা, ভাবলো- খেতে আসছে যখন, নিশ্চয়ই খাবার চাচ্ছে। সে তার ইচ্ছামতো খাবার এনে দিলো। এদিকে স্বামীর প্রতিভা দেখে স্ত্রী মুগ্ধ-
স্ত্রী : ও আল্লাহ! তুমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারো?
সুরত আলী : আরে! তুমি আমার ইংরেজীর দেখছো কি? এখনো তো ‘দি কাউ’ শুনাই নাই।

সোহানীপু, আপনি শুধু আস্ত ইঁদুর খাওয়া দেখেছেন!
এখনতো শিয়াল খাওয়ার কাহিনী বলিনি--- :P :P

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ইয়েস,
সি হ্যাজ ফোর লেগস টু আইজ টু ইয়ারস টু হর্নস এন্ড এ বিগ টেইল এট বেক। হার ডাং অলসো টু ইউজফুল................

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জমানো সেই স্মৃতিকথা দারুণ লাগল। হেসে কুটি -কুটি.... :D
শেষের এই ইদুর খাওয়া বড়ই অরুচি লাগল। শুনতে পেলাম শিয়াল খাওয়ার গল্পও শুনানো হবে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: তবেই বুঝুন তিনি কি চীজ,
আমি মোটেই অমন না.............. :P

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: রাবির ডাইনিং এ ডালের মধ্যে মাছি, তেলাপোকা এমনকি ইদুরও ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর ডাইনীং এ শেয়ালের মাথা পাওয়ার ঘটনাতো সারাদেশে আলোড়ন তুলেছিল। সেই থেকে রাবির মাদার বক্স হলের নাম মাদার ফক্স হয়ে গেছে।

বেশ মজার কাহিনী আর আপনার লেখনি লা জবাব।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: শেয়ালের ব্যপারটা মনে পড়ছে না। লিখে ফেলুন না ঝটপট মশাই। স্মৃতির জাবর কাটা যাবে।
ভালো কথা, 'যা খুশি তাই' বলে কিছু কি চেনেন?

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

সুমন কর বলেছেন: শেষে এসে আমারও কিন্তু বমন লাগল !!

যা হোক, লেখার রম্য মজা হয়েছে। ১৩ নং মন্তব্যে কিছু অভাস পেলাম........+।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: দাদাগো, কমেন্টে আপনার লেট দেখে মে'মানুষতরো ভুল বুঝেছিনু আপনারে।
চর লাথি আমার পাওনা রইলো, সে-ই আমার প্রকৃত হক্ব।বই মেলাতে কড়ায়গন্ডায় বুঝিয়ে দিয়েন।

আর ১৩নং মন্তব্যের রিপ্লাইয়ের পর একটু ঝুঁকি ঝুঁকিই লাগছে মাইরি। কটাদিন গা-ঢাকা দেয়া দরকার বোধ করি................

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এইডা কোন কাম করলেন !!
শেষ মেস ইন্দুরের কল্লা খাওয়াইলেন!!
ওয়াক থু.......................................

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লিটনদা'কে কে বুঝাবে তা..............

১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: যতখানি সাধ ততখানি সাধ্য কাহার আছে ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: উমমম,
ভেবে বলছি.............

১৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: মজা পেলুম।

লিটন ভাইকে দি কাউ শোনানোর জন্য জোর দাবী করছি -)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমিও...

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ওয়াক !! দুপুরে খাইয়া উইঠাই এই পোস্ট পড়িলাম ! পান খাইতে হইলো ! তা সুবর্ণর ক্যান্টিনের ম্যানেজারের গায়ে বমি করছিলাতো ? :D

রাবির মাদারফক্স হলের শিয়াল খাওয়ানোর কথা মনে পড়িল। তবে শিয়ালের মাংস দেশের কোন অঞ্চলের লোকে নাকি বাতের চিকিৎসায় খাইয়া থাকে ! :(

ফেবু দেইখো !

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: নাহহ
পাবলিক দিছিলো কইষ্যা। আমি ক্যান দিলাম না এ্যাই আফসোস আইজো পোড়ায়... :(
(আগেতো আমি গুড বুই ছিলাম ;) )

শিয়ালের ঘটনাটা ইট্টু কওতো দোস্ত। মনে পরে পরে আবার পরে না /:)

২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
রম্য হিসেবে বেশ ভালো । আরো ভাল করতে হবে কিন্তু .।


হাহাহাহাহাহা :D ;) B-)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ভালো মানে ওসব আরো বেশি বেশি খেতে হবে?!? B:-) /:) :(

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
মাঝে মাঝে খেতে পারেন । বেয়ার গ্রিলস তো হর হামেশাই খায় । ;) ;) ;)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লিটনদা আর শায়মা'পু তার ফ্যান,আমি না............. B:-/
(আপনিও বুঝি?)

২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
তার এডভেঞ্চার ফ্যান । খাওয়া দাওয়াতে না । B-) :D :D :D B-) ;)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: তাকে দেখলেই তার ভোজের কথা চোখে ভাসে আর সে ভাসলেই বমন ভেকে হাবুডুবু।
অতএব অ-দর্শনই শ্রেয়.......... :( :| #:-S

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.