নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাস চিরবিস্ময়

কারুিণক

সাহিত্য আমার সাধনা

কারুিণক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

স্বপ্ন
কিশোর কারুণিক


সেজে গুঁজে তাপস রওনা দিয়েছে। ওর কেমন যেন দিদির বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে । চুল কাটিং করেছে । জুতা পলিস করেছে। নতুন জামা প্যান্ট। মনেতে অনেক আনন্দ। দুই কেজি মিষ্টি নিয়েছে,্ খালি হাতে কি দিদির বাড়ি যাওয়া যায়! দিদির বাড়িতে ঢুকলো । দিদি বসতে বললো । মিষ্টির প্যাকেটটা দিদির হাতে দিলো । দিদি হেসে বললো, “ মিষ্টি আনার কী দরকার ছিলো । তাপস একটু হাসি হাসি ভাব করলো । দিদি বললো,“ তুই এমন সময় এলি আমরা তো এক জায়গায় যাব । তা বাড়ি থেকে খেয়ে এসেছিস তো?”
“ হ্যাঁ দিদি খেয়ে এসেছি ।”
কিছুক্ষণের মধ্যে বাস এলো । বাসে অনেকের সাথে ওরাও ঘুরতে বের হলো ।অবশ্য তাপসকে নিয়ে গেল, সিট খালি ছিল না। একটি টুলের ব্যব্স্থা করা হলো । ওর টুলে বসার ব্যবস্থা হলো । তাপসের খুব ক্ষিধে লেগে গেছে, বাড়ি থেকে কিছু না খেয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল যে দিদির বাড়িতে ভালমন্দ খাবার খাবে ।
এখন মধ্য দুপুর। বাস চলছে তেদা চলছেই। তাপস বাসের পেছনের দিকে। আর দিদি সামনের সিটে। কিছুক্ষণের মধ্যে একজন প্যাকেট বিতরন করতে লাগলো। বলা হলো সামনে এক জায়গায় বাস থামবে ঐ সময় যেন সবায় খাবার খেয়ে নেই। সবায়কে প্যাকেচ দিতে দিতে তাপসের পর্যন্ত পৌঁছালো না।কারণ প্যাকেট লোক সংখ্যা অনুযায়ী ব্যবস্থা। তাপস তো বাড়তি একজন। তাপস বুঝতে পারলো বিষয়টা । বাস থামলো। লোকজন তাড়াতাড়ি নেমে পড়লো কেউ বাসের সিটে বসেই খাবার খেয়ে নিলো। ঘন্টা খানেক পর বাস ছাড়লো। তাপসের আর ভাল লাগছে না, এদিকে প্রচন্ড ক্ষিধে আর টুল-এ বসে এমন অবস্থা একটু হেলান দিয়া যাচ্ছে না। পিটে ব্যথা করছে। কী যে করবে ভাবছে। তাপস যে উৎফুল্লতা নিয়ে এসেছির, তা যেন নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে। ও ভেবেছিল , ওকে দেখে দিদি খুশি হবে, ওকে বেশি,ওকে যতœ কওে খেতে দেবে। না, ভাবনাটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছির।তাপস তা বুঝতে পারলো। বাস নিদ্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছালো।
বাস থেকে নেমে সবায় ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল্ োসুন্দর জায়গা, সুন্দর প্রকৃতি, ইচ্ছা হলো নয়ন মেলে দেখতে। কিন্তু প্রচন্ড ক্ষুধাতে তাপসের কাছে কোন কিছুই আর ভারলাগলো না পকেটে টাকা আছ্ েকিন্তু কিছু যে কিনে খাবে তা খেতে পাচ্ছে না, ভাবছে দিদি কী মনে করবে! তাপস ঘুওে ঘুওে দেখতে লাগলো ঘন্টা দুই পর বাস ছাড়লো। বাড়ির সামনে নেমে রাত ১টা। দিদি জিঞ্জেস করল্,ো “কেমন লাগলো জায়গাটা?”
“ভাল।”
বাড়ি ঢুকে একটি ঘর দেখিয়ে দিলো। তাপসকে বললো, “এখানে শুয়ে পড়, সকালে গল্প হবে।” বলে দিদি চলে গেল। দরজার সিটকিনি দিয়ে তাপস ঘুমাবার চেষ্টা করলো। কিন্তু ঘুম আসছে না । তাপসের চোখ বেয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়লো। ভাবলো আর কোন দিন আসব না এখানে।
বিছানায় গড়াতে গড়াতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে টের পায়নি। ঘুম ভেঙে গেল। ঘড়ির পানে তাকিয়ে দেখে সকাল ৯টা। তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে, মুখ ধুয়ে জামা প্যান্ট পড়ে নেয় । দিদির ঘরে ঢুকে দেখে দিদি ঘুমাচ্ছে।
তাপস বলে, “দিদি আমি চলে যাচ্ছি।”
ঘুমের ঘোরে দিদি বলে, “থাক চলে যাবি কেন?”
“না দিদি, বাড়িতে কাজ আছে।”
“আচ্ছা ঠিক আছে, কত দিন পড় এলি আবার আসিছ।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
তাপস দিদির বাড়ি থেকে চলে আসে। সামনে হোটেল থেকে নাস্তা করতে বসলো। তাপসের চোখ বেয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়ছে। ও বুঝতে পারলো গত কালকের দিনটা স্বপ্ন ছিল কিন । নিজেকে বুঝাতে চাইলো কিন্তু চোখ কোন বুঝ মানলো না অঝরে অশ্র“ ঝরে পড়তে লাগল ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.