নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাস চিরবিস্ময়

কারুিণক

সাহিত্য আমার সাধনা

কারুিণক › বিস্তারিত পোস্টঃ

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘ ৬র্ব

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৬র্ব

কথায় যেন কেমন একটা মায়াবী টান। হয়তো আমি চলে গেলে শ্রাবস্তীর একটু অসুবিধা হবে। অনেক ছেলে-মেয়ের সাথে আমার উঠা বসা আছে । কিন্তু শ্রাবস্তীকে সবার থেকে যেন একটু আলাদা মনে হচ্ছে।
একটু মুচকি হেসে ওর পানে তাকিয়ে বললা, “না, বাড়িয়ে যেতে হলে এই ট্রেনেই যেতে হবে।”
“তাই না কি? তবে তো ভালোই হলো।”
একটু খুশি খুশি যেন শ্রাবস্তী। আমিও খুশি খোলামে,লা ব্যবহারে। একটু কৌত’হলী ভাবে বললাম, “ ভালো মানে?”
একটু থতমত ভাবে শ্রাবস্তী বললো, “না-মানে একা থাকতে হবে না তাই।”
আমি কিছু বললাম না। সিটে বসে পড়লাম। মেয়েরা অপরিচিত কোন ছেলের সাথে এই অল্প সময়ে খোলা মনের পরিচয় দিতে পারে-এটা আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। একজনকে দিয়ে দশজনের সম্পকে’ ধারণা করা ঠিক নয়। তবে এইটুকু বুঝতে পারছি আমাকে হয়তো বিশ্বাস করেছে শ্রাবস্তী । আমি সাথে থাকলে ওর একাকীত্ব কিছুটা ঘুচবে! আমি যদি শ্রাবস্তীর সাথে একটু খারাপ ব্যবহার করি, তাহরে কেমন হয়! আশে-পাশে তেমন কোন লোকজনও নেই। ইঞ্জিনের ক্রটির জন্য ট্রেন ছ্ড়তে বিলম্ব হবে। কাছে ধারে যাদের গন্তব্য তারা অনেকেই চলে যাচ্ছে। শরীরে কেমন একটা ভাব জাগছে। কোন পুরুষকে আর্কষণ করার মত সমস্ত গুণাবলী শ্রাবস্তীর আছে। ছিঃ ছিঃ মনে কী সব জাগছে । চুপচাপ থাকা ঠিক হবে না। আমি যেমন ভাবছি, শ্রাবস্তী হয়তো এরকমই কিছু ভাবছে। এক যুবক এক যুবতী সামনা-সামনি বসে আছে, যাদের মাঝে কোন সম্পর্ক নেই; মন কিছুটা বেসামাল হতেই পারে।
স্টেশন থেকে কেনা আজকের পত্রিকাটি বের করে পড়তে লাগলাম। শ্রাবস্তী হয়তো আমার সাথে আর কথা বলবে না। বেশ অনেকক্ষণ হয়ে গেল আমাদের মাঝে কোন কথা হচ্ছে না। পত্রিকার এক পৃষ্টা কি শ্রাবস্তীকে পড়তে দেব! পত্রিকার পৃষ্টার এক কোণা নামিয়েই দেখি, শ্রাবস্তী কী একটা বই এর পৃষ্টা উল্টাচ্ছে। এতক্ষণ ওর ব্যাগ থেকে বই বের করেছে শ্রাবস্তী। পত্রিকা পড়তে আর ইচ্ছা হচ্ছে না । শ্রাবস্তী কি ভাবছে, আমি ভাব দেখাচ্ছি? একটু নড়ে চড়ে বসল শ্রাবস্তী। ওর হাতের বইটা জীবনান্দ দাসের । হয়তো খোলা বই বন্ধ করার ভান করে বই এর লেখকের নাম দেখ্ল আমাকে। বই ফেরিওয়ালার কাছে জীবনানাদ দাসের বই চেয়েছিলাম। শ্রাবস্তীকে তো চালাক মনে হচ্ছে! ও কীভাবে জানলো বইটা আমার খুবই প্রয়োজন? তবে কি আমার প্রয়োজনের সাথে ওর প্রয়োজনের মিল আছে! শ্রাবস্তী সাহিত্যিক নয়তো! তবে কি, বই পড়ার নেশা আছে? না হলে ওর কাছে বই কেন! শ্রাবস্তী কি বইটা পড়তে দেবে আমাকে ? শ্রাবস্তী মায়াবী চাহনিতে আমার পানে তাকাল, চোখে-চোখ পড়ে গেলে বুকের ভিতর কেমন আগুন জ্বলে উঠলো। না-এখানে বসা যাবে না। শ্রাবস্তীকে আমি বুঝতে পারছি না।
কী জানি, কী আছে ওর মনে! ২৪/২৫ শীত গ্রীষ্ম পার করে এসেছি, কোন বদনাম নেই। কারোর সাথে আমার খারাপ সম্পর্কও নেই। আমি সবার কাছে যেন আদরের।

নিয়মিত চলবে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শুরুর দিকে কিছু বানানের ঝামেলা আছে ঠিক করে দিয়েন। আর এই পর্বটা তাড়াহুড়ো করে লেখা, খুব অগোছালো লাগলো। কিন্তু এই পর্বের মূল থিম দিয়ে দারুণ করে লিখতে পারতেন।

ভালো থাকুন, লিখতে থাকুন।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

কারুিণক বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.