নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাস চিরবিস্ময়

কারুিণক

সাহিত্য আমার সাধনা

কারুিণক › বিস্তারিত পোস্টঃ

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়” ৩০পর্ব

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪

“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩০পর্ব

এদিকে তনয় গেছে তো গেছেই। আমি খাট থেকে নেমে রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে যেতেই শ্রাবস্তী বিস্ময় স্বরে বললো, “একি! আপনার পিঠ দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে!”
আমিও একটু অবাক স্বরেই বললাম, “পিঠ থেকে রক্ত বেরুবে কেন?” শ্রাবস্তী হয়তো কৌতুক করে বলছে। মৃদু হাসি এলো, হাসলাম।
“আমার কথা বিশ্বাস করছেন না বুঝি?”
আমি বললাম, “রক্ত বেরুবে কেন?”
ও সোফাসেট থেকে উঠে আমার কাছে এসে বললো, “ঐ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকান। দেখতে পাবেন আমি মিথ্যে বলছি না সত্যি বলছি।”
আমি আয়নার সামনে গেলাম, পেছন ফিরে তাকাতেই দেখতে পেলাম। হ্যাঁ, যেখানে ব্যথা অনুভব করছি সেখান থেকে রক্ত বেরুচ্ছে। শ্রাবস্তীর মুখের দিকে তাকালাম। ওর মুখটা অপরাধীর মত লাগছে। না বোঝার ভান করে ও জিজ্ঞেস করল, “কী ভাবে কাটলো?”
শ্রাবস্তীর কথা শুনে খুবই হাসি পেল। আমি রাখঢাক না করে মৃদু হাসির ছলে বলেই ফেললাম, “মগ দিয়ে যেভাবে মেরে ছেন, রক্ত বেরুবে না?”
ও এবার লজ্জা পেয়ে মিন মিন করে বললো, “আমি বললাম না, বুঝতে পারিনি আপনাকে।”
“না, আপনি ঠিকই করেছেন। আপনার জায়গায় আমি হলে হয়তো তাই করতাম।”
শ্রাবস্তী বলল, “ আমি একটা কথা বলি?”
জিজ্ঞেস করলাম, “কী?”
“মানে যদি কিছু মনে না করেন।”
“বলেন, বলেন । কী আর মনে করবো। যা কপালে আছে তা তো হবেই।”
“বলছি, মানে!”
“আরে এত সংকোচ করার কিছু নেই। আমি একেবারেই সাধারণ এক ছেলে।”
“আপনার জামাটা খুলে ফেলুন, মানে রক্ত বেরুচ্ছে তো। ঐ জায়গায় একটু তুলোতে ডেটল লাগিয়ে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।” ওর এমন মায় দেখানো আমার ভাল লাগলো না।
একটু উপেক্ষার স্বরে বললাম, “না থাক।”
“আপনি বুঝতে পারছেন না, যেভাবে রক্ত বেরুচ্ছে!”
একটু রাগ করে বললাম, “রক্ত বেরুচ্ছে বেরুক।”
“আমার উপর রাগ করে নিজের ক্ষতি করবেন না।”
“কী করতে হবে তাহলে শুনি?”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.