নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪৫পর্ব
“দেখ শ্রাবস্তী। ও সরি দেখুন প্রতিটি মানুষেরই নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে।”
“হ্যাঁ, থাকেই তো।”
“প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব তার নিজের মত। অন্য কারোর সাথে মিলে না। আর এই ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে অনেকটা রুচি ও গুণের উপর। আবার এই গুণও কিন্তু তিন প্রকারের।”
একটু আগ্রহ দেখিয়ে শ্রাবস্তী এবার জিজ্ঞাসা করে, “কী, কী?”
মুখ ঘুড়িয়ে নিয়ে শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে বললা, “এক স্বত্ত্ব গুণ, দুই রজঃ গুণ, তিন তমো গুণ। আর এই গুণগুলো আমরা যে খাদ্য-খাবার খাই ,তার উপর অনেকটা নির্ভর করে।”
“আচ্ছা আপনার কি তেমন কোন মেয়েকে পছন্ত হয়েছে?”
“প্রতিটি মানুষের যেমন একটা মন থাকে, তেমনি তার পছন্দও থাকতে পারে। আমার যাকে ভাল লাগবে তাকে আপনার ভাল নাও লাগতে পারে। মনের ব্যাপার বলে কথা কখন কাকে যে ভাল লেগে যায়, কেউ আগে থেকে বলতে পাওে না।”
“আপনি এত সুন্দর করে কথা বলতে পারেন“”
“তাই! হ্যাঁ, যে কথা বলছিলাম। আর একবার যদি কাউকে ভাল লেগে যায়, তার কথা কিন্তু সহজে ভোলা যায় না।”
“এমন সৌভাগ্যবতী নারীটে কে? যে আপনার মনে রঙ লাগিয়ে দিয়েছে? যাকে আপনিও ভুলতে পারছেন না?”
ভুল হয় না
সব কিছু ভোলা যায় না
মনের সুভাসিত কোণে-
যে আসন পেতে বসে,
সহজে কাছে পাওয়া যায় না,
সে ধরা দেয় না।
ভাবনার একাকীত্বে মন ছুটে যায়
বাহু বন্ধনে নিতে,
অবিরল স্বপ্ন দেখা-
সময় ক্ষয়ে ক্ষয়ে।
“ও-মা! আপনি তো আমার চাইতে ভাল কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন। অথচ এ পর্যন্ত একবারও তা বলেননি। কি চালাক আপনি!”
নিজেকে তাচ্ছিল্য ভাব দেখিয়ে বললাম, “কই এ আবার কবিতা আবৃত্তি?”
“কবিতাটি ি আপনার? আচ্ছা যাকে ভুলতে পারছেন না তার নাম কি?”
“না-তা বলা যাবে না।”
©somewhere in net ltd.