নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য।"
প্রথম দুই লাইন পড়ে অনেকেই হয়তো বুঝে গেছেন আপনাদের কাছে কিছু সাহায্য পাবার আশায় আমার এই লেখাটি। তাই আর ভনিতা না করে সরাসরি আসল কথায় আসি।
নূর এ শাফি আহনাফ
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র, jsc & ssc তে সব বিষয়েই a+ প্রাপ্ত,
স্কুলের গৌরবময় আরডিএস একুশ এর সাবেক বিতার্কিক,জাতীয় বিজ্ঞান মেলা গুলোতেও আছে অসংখ্য পুরস্কার।। শুধু কলেজ নয় বরং সারা দেশের গর্ব হয়ে উঠছিল ছেলেটি...
বর্তমানে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত, পিজি হাসপাতালে ব্লক- ডি, ১৭ তলার ১৭১৭ নম্বর রুমে ভর্তি। এই মুহুর্তে তাকে মুম্বাই এ নিয়ে চিকিত্সা করানো দরকার, এই জন্যে ১০-১৫ দিনের মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রয়োজন।।
আমরা প্রত্যেকদিন অনেক টাকা অনেক পথে খরচ করি। কেউ চা-সিগারেট খেয়ে, কেউবা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের পিছনে, কেউ মুভি দেখতে, কেউ দামী রেস্টুরেন্টে খেতে ইত্যাদি আরো অনেক ভাবে। কিন্তু আমরা যদি এইসব টাকা থেকে কিয়দাংশও বাঁচায়, তাহলে তা একটি জীবন বাঁচানোর মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। আমাদের জীবন-মরনের মালিক মহান আল্লাহ-তা'আলা। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক করনীয় আছে। আমরা একটু চেষ্টা করলেই অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি।
তাই আসুন আমরা একটি জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসি। যে যা পারি সামর্থমত এগিয়ে আসি। আর দশ জনকে উদ্বুদ্ধ করি এগিয়ে আসার জন্য।
আমি নতুন ব্লগার। কিন্তু যারা অনেকদিন আগে থেকে ব্লগিং এর সাথে যুক্ত, তাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা যদি কাইন্ডলি এই লেখাটুকু পড়েন তাহলে এই লেখাটি ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করবেন। দিনকে দিন ছেলেটির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি টাকার সংস্থান হয় ততই মঙ্গল।
আহনাফকে সাহায্য করার ঠিকানাঃ
DBBL account : Golam Mahbub, Dutch Bangla Bank, Digpait, Jamalpur.
Account no. : 200.103.200
Nurzahan,
Islami Bank Bangladesh limited,Jamalpur Branch.
Mudaraba saving account no : 11598 (online)
আপনি চাইলে বিকাশ করতে পারেন। বিকাশ নম্বরগুলো হচ্ছেঃ
01917637310 (আহনাফ এর মা)
01715015075 (আহনাফ এর মা)
01724921889 (আহনাফ এর মামা)
01682608664 (তানজিল )
01676942188 (রুদ্র )
01921670683(পাভেল )
01671102028 (আদনান)
01681685780 (জালাল)
পরিশেষে একটি সত্য ঘটনা বলে শেষ করবো।
আপনেদের নিশ্চয়ই অমিতের কথা মনে আছে ? বিরল, দুরারোগ্য “পোলিও ওয়াইল্ড” রোগে আক্রান্ত হয়েছিলো সে। এই খবর পেয়ে জনকন্ঠ পত্রিকা তার বাসায় যায়। পরের দিন সকালে জনকন্ঠে হেডলাইন হয়েছিলো রিপোর্টারের সামনে বাবাকে বলা ছোট্ট অমিতের সেই বিখ্যাত উক্তি, “বাবা, ঢাকা শহরে এতো মানুষ, সবাই এক টাকা করে দিলেও তো আমি বেঁচে যাই।“
ভাইরাসের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে গেছিলো সেই খবর। দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিলো। বহু অর্থসাহায্য এসেছিলো এবং এক পর্যায়ে মজুদ অর্থের পরিমাণ প্রয়োজনকেও ছাড়িয়ে গেছিলো। বাঙালি প্রমাণ করে ছেড়েছিলো, রোগের কাছে তারা হারতে জানে না, সম্ভাবনাময় প্রাণকে তারা হারিয়ে যেতে দেয় না। এরপর দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলো অমিত।
আমরা কি পারিনা অমিতের মত আরেকটা ইতিহাস সৃষ্টি করে তার সাক্ষী হতে?
©somewhere in net ltd.