নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কে. এম. রাফসান রাব্বি

যান্ত্রিক নগরীর যান্ত্রিক মানুষগুলোর ভিড়ে আমি এক অযান্ত্রিক পথচারী। ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/km.rafsaan

কে. এম. রাফসান রাব্বি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহর্নিশ

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৪



আজ শুক্রবার। সপ্তাহে একটা দিন ভালমত ঘুমানোর টাইম পাওয়া যায়। কিন্তু কেন জানি সব ইম্পরট্যান্ট কাজগুলো এই দিনেই পড়তে হয়। এমনিতেই এখন রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে ২-৩টা বেজে যায়। সকালে অনেক্ষণ ঘুমানোর প্ল্যান ছিল অমির। আসলে সকালের অ্যাসাইনমেন্টটার কথা বেমালুম ভুলেই গেছিল অমি। তা না হলে, সারা রাত ফেসবুকিং আর ফিফা খেলে কোন দুঃখে ফজরের আযানের সময় ঘুমাতে যাবে সে। তা ভালই একটা ঘুম হচ্ছিল। সুন্দর একটা স্বপ্নও দেখছিল। কিন্তু ব্যাগড়া দিল বেরসিক মোবাইলটা। এমনিতেই মোবাইলের রিংটোন দিয়ে রাখছে একটা হেভি মেটাল গানের ট্র্যাক। সেটা যদি আবার এমন সুন্দর একটা ঘুমের মধ্যে আসে তাহলে মেজাজটা কেমন লাগে? তার পরেও বহুত কষ্টে চোখ কচলাতে কচলাতে মোবাইলটা হাতে নিয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায়ই রিসিভ করল অমি। ভাবল আজকে যে ব্যাটা কল দিছে তার গুষ্টি উদ্ধার করেই ছাড়বে। কিন্তু ফোন তুলতেই কানে এল নীতুর গলা।



-কিরে এখনো পড়ে পড়ে ঘুমুচ্ছিস?



-কে? নীতু?



-না সোনার চাঁন। তোমার আম্মু! বলি এখন সকাল কত হইসে খেয়াল আছে তোর। কালকে অ্যাসাইন্মেন্ট জমা দেয়ার লাস্ট ডেট। গতকালই তো সব ঠিক করলি আজকে অ্যাসাইনমেন্টের কাজ নিয়ে বসবি। আর এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস?



-আরে ফজরের আযানের পরে ঘুমাতে গেছি। কই ভালমত ঘুমাতেই পারলাম। ধুরো বাল!



-এই মুখ খারাপ করবিনা। তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে আয়। সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছি।



-বারে মুখ খারাপ কই করলাম? ও বাল বলছি তাই এ কথা বললি? আরে এটা তো বাংলাদেশের জাতীয় শব্দ।



-চুপ কর শয়তান



-কিরে এখন দেখি তুইই মুখ খারাপ করতেছিস!



-ফোন রাখ!



ওই পাস থেকে ফোন কেটে দিল নীতু। এই মেয়েটাকে চটিয়ে দারুণ মজা পায় অমি। অল্পতে যারা রাগে তাদের রাগিয়ে অমানুষিক মজা পাওয়া যায়। কিন্তু এদের মন থাকে খুব ভাল। এই যেমন নীতু। ওকে কম জালায় অমি! তার পরেও ওই সবসময় খোজ খবর নেবে। আসলে এমন বন্ধু পাওয়াও তো ভাগ্যের ব্যাপার!



তাড়াতাড়ি আড়মোড়া ভেঙ্গে বিছানা থেকে উঠে টয়লেটে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিল অমি। এরপরে কোন রকমে ব্রেকফাস্ট করেই বই খাতা নিয়ে দে ছুট। মা কত বার করে ডাকলেন ভাল করে খাবার জন্য, কিন্তু কে শোনে কার কথা?



রাস্তায় নেমে রিকশা নিল অমি। কিছুদুর যাবার পরে একটা টং দকান থেকে একটা বেনসন ধরালো। সকালে একটা সিগারেট যেম টনিকের মত কাজ করে। যদিও বহু মানুষের এতে অ্যালার্জি আছে, বিশেষ করে মেয়েদের। তাই একটু রেখেঢেকেই সিগারেট খায় অমি। এত রেখেঢেকে খাবার পরেও কয়েকবার মায়ের হাতে প্রায়ই ধরা পড়ে গেছিল সে। মা একবার জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কিরে তোর গা থেকে সিগারেটের গন্ধ বের হচ্ছে কেন রে?’ তখন তাড়াতাড়িই বলে দিয়েছিল, ‘ওই তো যে রিকশায় আসলাম সেই রিকশাওয়ালা খাচ্ছিল। এই জন্যই গায়ে গন্ধ করছে।‘ আল্লায় জানে মা বিশ্বাস করল কিনা। তবে এ নিয়ে মা তেমন একটা ঘাটায় নি।



ভার্সিটিতে পৌছতে পৌছতে ১০ টা ৩৫ বেজে গেল। যদিও তাদের এখানে এসে দেখা করার কথা ছিল সকাল ১০ টায়। আশার সাথে সাথে কড়মড় করে তাকাল নীতু। কিন্তু কিছু বলল না। আসিফ আর নউরীন কিছু বলতে যাবে তার আগেই অমি বলে উঠল ‘ভেরি সরি দোস্ত। মাফ করে দে। এখন অ্যাসাইনমেন্টের কাজ শুরু করি।‘ ওর এই কথা শুনে কিছু বলতে যেয়েও বলল না আসিফ আর নউরীন।



তো পুরোদমে অ্যাসাইনমেন্টের কাজ শুরু হয়ে গেল। আসিফ বেশ ভাল ছাত্র। ডিপারটমেন্টে সবসময় প্লেস করে। আর নউরীন মেয়েটা ভাল তবে একটু বেশি কথা বলে। দেখতে তেমন সুন্দর না হলেও মনটা খুব ভাল। তবে নীতু বেশ কম কথা বলে। ফ্রেন্ড হিসেবে ওর জুড়ি মেলা ভার। ও বেশিরভাগ সময় স্যালোয়ার কামিজ পড়ে তবে আজকে শাড়ি পড়ে এসেছে। শাড়ি যেন ওর রুপকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সুন্দরী মেয়েদের একটু দেমাক থাকে। নীতুর ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।



আজকে আসলেই নীতু বেশি সুন্দর করে সেজেছে। অ্যাসাইনমেন্ট করার ফাঁকে ফাঁকে অমি বারবার আঁড় চোখে দেখছিল নীতুকে। নীতুও বিষয়টা লক্ষ্য করেছিল কিন্তু কিছু বলেনি। কাজ করতে করতে কপালে ঘামের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু আর কপালের মাঝখানে একটা গোল টিপে যে কতটা সুন্দর লাগছিল নীতুকে তা বোধহয় সে নিজেও জানে না।



তো কথায় কথায় অ্যাসাইনমেন্টের কাজ শেষ হয়ে এল। টানা তিন ঘন্টা অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করে তিন জনই মারাত্মক ক্ষুদার্থ। নউরীন চট করে সবার মনের কথাটা বলে দিল, ‘এই চল, কোন রেস্টুরেন্টে যেয়ে খেয়ে আসি।‘ সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে গেল।



তো কাছেই একটা ভাল রেস্টুরেন্টে গেল ওরা। খাবারের অর্ডার দিল। নউরীন মেয়েটা আসলেই বেশি কথা বলে। হঠাৎ করে বলে উঠল, ‘দ্যাখ নীতু। ছেলেগুলা কিভাবে এদিকে তাকাচ্ছে।‘ আসলেই নীতুকে বারবার আজকে ছেলেরা দেখছিল। আসলে না দেখলেই অবাক হবার ছিল। এমন সুন্দর মেয়েকে তো ছেলেরা দেখবেই। তবে অমি একটু খোচা দিয়েই বলল নউরীনকে, “বারে তোরা সুন্দর করে সাজবি, আর ছেলেরা তোদের দিকে তাকালেই দোষ? নিজেরাই তো আবার কেউ সুন্দর বললে আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাস।“ এই যাঃ এবার আর যাই কই। এই কথা বলার পর পারলে অমিকে দুইজন ছিড়ে খেয়ে ফেলে। আসলে মেয়েরা সবকিছুতেই গোপনীয়তা পছন্দ করে। ছেলেরা বারবার তাকালে খুশি হবে ঠিকই কিন্তু ন্যাকামি করে ঠিকই বলবে, দ্যাখ ছেলেগুলো কিভাবে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। আবার কেউ যদি এই কথা মুখের ওপর বলে দেয় তাহলে এমন রাগ দেখাবে যেন পারলে ছিড়ে খাবে। নারীজাতি আসলেই বড় রহস্যময়।





তবে অমিকে আর ছিড়ে খেল না দুইজন। কারণ এর মাঝেই খাবার চলে এল। তাই সকলে খাবার ছিড়ে খাওয়াতেই মন দিল। এরই মাঝে গল্পের টপিক চেঞ্জ হল। কথায় কথায় অমির কথা ভুলে গেল দুইজনেই। খাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে সবাই চলে আসল বাইরে।



খাবার পরে একটা সিগারেট না খেলে কেমন জানি ম্যাজম্যাজ করে। তাই সবার সামনেই অমি একটা বেনসন ধরালো। ওরা তিন জনেই অমির সিগারেট খাবার কথা জানত, তবে কখনো কিছু বলেনি। কিন্তু আজকে কি হল কি জানি, অমির সিগারেট ধরানো দেখে নীতু খুব রেগে গেল।



-এই তুই আমার সামনে সিগারেট খাচ্ছিস। তাড়াতাড়ি সিগারেট ফ্যাল।



-কেনরে? তুই কে? তোর কথায় সিগারেট ফেলব।



-মানে? অসভ্য! আমি বলছি তুই এখনি সিগারেট ফ্যাল না হলে কিন্তু আমি এখনি এখান থেকে চলে যাব।



-যা তাহলে, মানা করেছে কে? তুই কি আমার গার্লফ্রেন্ড যে তোর কথা আমি শুনব?



এই কথা শুনে নীতু সোজা পিছন ঘুরে চলে গেল। খুব রেগে গিয়েছে ও। কেন জানি চোখ দিয়ে ফোটা ফোটা পানি পড়ছে। কেন পড়ছে তা নীতু জানেনা। কিন্তু খুব করে কানতে ইচ্ছা করছে। নারীজাতি আসলেই বড় অদ্ভুত!





নীতুকে রাগিয়ে দারুণ মজা পায় অমি। কিন্তু আজকে সত্যিই রেগে গিয়েছে নীতু। কেন জানি, খারাপ লাগতে থাকে অমির। সিগারেটটা শেষ করতে পারে না সে। আঁধপোড়া সিগারেটটাই স্যান্ডেল দিয়ে চাঁপা দেয়। বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় আসতে থাকে। নাহ, আসলেই ভাল লাগছে না। মেয়েটাকে অত রাগানো উচিত হয়নি। কেমন জানি বুকের ভেতর হতে থাকে অমির। এর আগেও তো অনেকবার নীতুকে রাগিয়েছে। কিন্তু নীতুর আজকের আচরণকে কেন জানি অমি মানতে পারছে না। নাহ, এরকম অনুভুতি তো তার কখনো হয়নি। মেয়েটা কি তাকে ভালবাসে? নাহ তা হবে কেন? কেউ যদি কাউকে ভালবাসে তার সাথে কি সকাল-দুপুর সবসময় কেউ ঝগড়া করে? নীতু তো ওর সিগারেট খাওয়াটা জানত। কিন্তু আগে তো কখনো এরকম রিয়্যাক্ট করেনি। কোন কিছুই ভাল্লাগছেনা অমির। চিন্তাও করতে পারছে না আবার তাকে ঝেড়ে ফেলেও দিতে পারছে না। নীতুকে ফোন দিল অমি। একবার, দুইবার। নাহ,সুইচড অফ করে রেখেছে।



অবশেষে সকালে ফোনে পাওয়া গেল নীতুকে। সারা রাত চোখের পাতা এক করতে পারেনি অমি। অনেক সমীকরণের পর সে আবিষ্কার করেছে সে আসলে ফ্রেন্ডের চাইতেও একটু আলাদাভাবেই নীতুকে ভাবে। হয়তো সেদিনের ঘটনা না ঘটলে এটা আবিষ্কার করতেই পারত না অমি। নীতুর সাথে তাই সামনাসামনি কথা বলার দরকার। যা হবে হবে। কিন্তু, গলায় কাটা বাধিয়ে রাখার কোন মানে হয়না। কয়েকবার রিং হবার পরে ফোন ধরল নীতু।



-হ্যালো নীতু, শোন। কালকের ঘটনার জন্য আমি এক্সট্রিমলি স্যরি। তোর সাথে আমার দেখা করাটা খুব জরুরি। তুই কি আজকে ফ্রি আছিস?



-এইতো ক্লাসের পরে ফ্রি আছি কিন্তু কি বলবি?



-সেটা দেখা বলব। তুই বিকাল ৫ টায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে থাকবি ঠিকাছে?



-আচ্ছা। ঠিকাছে।



ফোন কেটে দিল অমি। আজকে ও ভার্সিটিতে যাবে না। আসিফ, নউরীন, নীতুরাই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে দিবে। নীতুকে কি বলবে এ নিয়ে টেনশন হতে থাকে তার। মনে কাজ করতে থাকে চাপা উত্তেজনা। বিকেল সাড়ে চারটায় আবার ও ফোন দেয় নীতুকে।



-কিরে? তুই কই?



-এইতো বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে যাচ্ছি। তুই কি পৌছে গেছিস?



-না এখনো পৌছায়নি। খানিক্ষণ বাদেই পৌছে যাব। তুই যা আমি আসতেছি। বাই।



-বাই



রাস্তার মোড়ের দোকান থেকে এক তোড়া লাল গোলাপ কিনেছে অমি। সাথে এক তোড়া রজনীগন্ধা। সাথে ছিল একটি চিরকুট। সেই চিরকুটে লেখা নীতুর নাম আর নির্মলেন্দু গুণের ‘তোমার চোখ এত লাল কেন’ কবিতাটি। ফুল হাতে নিয়ে রিকশায় উঠে সে। ইঞ্জিন ওয়ালা রিকশা। শহরের বিভিন্ন মানুষ এটাকে বিভিন্নভাবে দেখে। কেউ ভাবে এতে সময় বাঁচ্ছে আবার কেউ ভাবে রিকশায় ঘোরার মজাটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অমি কিভাবে সেটা আর ঠাহর করতে পারল না। হয়তো প্রথম পক্ষেই। কারন আগে নীতুর কাছে যাবার দরকার। নীতুকে নিয়ে ঘোরার সময় হয়তো অন্য রকম মনে হতো। সে যাই হোক। একটা সিগারেট ধরাতে খুব ইচ্ছে করলেও ধরাল না সে। রিকশা এগোতে থাকে। হঠাত রিকশার বিপরীত দিক থেকে এগিয়ে আসে একটি গাড়ি। রিকশাওয়ালা রাকশা সাইড করতে যাবে কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরী হয়ে গেছে। তারপর.........



রাস্তার মাঝখানে অমি আর রিখশাওয়ালার নিথর দেহদুটি পড়ে থাকে। শরীরের রক্তে লাল গোলাপ গুলো যেন আরো বেশি লাল হয়ে পড়েছে। সাথে রজনীগন্ধাগুলোও।



নীতু অপেক্ষা করতে থাকে। ১৫ মিনিট, ৩০ মিনিট, ৪৫ মিনিট, ১ ঘন্টা। কয়েকবার ফোন দেয় অমিকে। কিন্তু সুইচড অফ। ভাবে হয়তো অমি ওকে রাগানোর জন্য্য আবার ফাজলামি করেছে। রাগে দুঃখে চোখে জল এসে যায় নীতুর। পার্ক থেকে বেরিয়ে আসে নীতু। একটা রিকশা নেয়। ফোটা ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে ওর গাল বেয়ে। আর জীবনেও ও অমির সাথে কথা বলবে না। হঠাত ওর মোবাইলে আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসে।



-আপনি কি নীতু?



-জ্বি। আপনাকে...



-আমি থানা থেকে বলছিলাম। আজকে রোড অ্যাক্সিডেন্টে রাহাত পারভেজ অমি নামে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একটা চিরকুটে আপনার নাম দেখলাম। তারপর উনার মোবাইলেটি ড্যামেজ হয়ে যায়। উনার সিম থেকে আমরা আপনার নাম্বার পাই। উনি এখন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। আপনি ইমেডিয়েটলি হাসপাতালে আসুন।



নীতু কোন কথা বলতে পারে না। শুধু দু চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরতে থাকে। সোজা হাসপাতালে ছুটে যায় নীতু। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। পুলিশের কাছ থেকে ও চিরকুটটি পায় আর রক্ত মাখা ছেড়া গোলাপ আর রজনীগন্ধাগুলোও দেখতে পায়। হয়তো কিছু কথা অমি মুখে বলতে পারেনি কিন্তু ওর লেখা চিরকুটে নীতুর নাম আর কবিতাটিই যেন কথার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। ওগুলোই যেন নীতুকে অহর্নিশ কাঁদানোর জন্য যথেষ্ট। হয়তো কিছু কথা নীতুরও বলার ছিল। কিন্তু কিছু মানুষের জীবনটাই তো এমন। এসব কথা শুধু গোপনই থাকে আর কাঁদায় মানুষকে অহর্নিশ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১৮

কে. এম. রাফসান রাব্বি বলেছেন: আপনারা গল্পটি পড়ে কেমন হয়েছে তা জানাবেন। আপনাদের মন্তব্যগুলি আমাকে ভবিষ্যতে আরো ভাল লেখার প্রতি প্রেরণা যোগাবে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.