নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কে. এম. রাফসান রাব্বি

যান্ত্রিক নগরীর যান্ত্রিক মানুষগুলোর ভিড়ে আমি এক অযান্ত্রিক পথচারী। ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/km.rafsaan

কে. এম. রাফসান রাব্বি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ মোস্ট ওয়েলকাম-২

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ফটোশপ লেভেল অ্যাট ইটস বেস্ট। মুভিটা দেখতে দেখতে মাঝে এক সময় মনে হইতেছিল যা দেখতেছি সবই ফটোশপ। উইন্ডোজের ওয়ালপেপার ব্যাকগ্রাউন্ডে লাগায়ে দুইজন মিলে নাচানাচি করতেছে। আর একেকটা গানে যে ডান্স স্টেপ দ্যাখাইছে!!! মাশাল্লাহ!!! খোদার কসম জিন্দেগীতে এই এই রকম ডান্স স্টেপ দ্যাখার সৌভাগ্য হয় নাই। এর আগে জলিল ভাইয়ের নিঃস্বার্থ ভালবাসা দেখছিলাম। অইটার ডান্সগুলানও এইরকম ভয়ংকর আছিল না।



এখন আসা যাক অভিনয়ের প্রসঙ্গে। বলাই বাহুল্য জলিলের অভিনয় আগের চাইতে বহুত ইম্প্রুভ হইছে। ইংরেজিটাও ডেভেলপ করছে। কিন্তু ভুলভাল ইংরেজি বলার স্বভাব এখনো যায় নাই। অবশ্য অইটাই ওর সিগ্নেচার হয়ে গেছে। ওর মুখে ভুলভাল ইংরেজি শোনার জন্যই ওর ডায়ালগ গুলা এত্ত মনোযোগ দিয়ে শুনি। অবশ্য বিদেশীরাও যে অ্যাক্সেন্টে ইংরেজি কইছে আর ভুল করছে, তার পরে আর কিইবা বলার আছে। আফটার অল, স্ক্রিপ্টটাতো জলিল ভাইয়েই লিখছে। আর বর্ষার অভিনয় হইতেছে সিরিয়াস লেভেলের জোকারি। একটা স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করে ন্যাকা ন্যাকা কন্ঠে সেটা বললেই অভিনয় হয়ে যায়!!! হাউ কিউট!!!



অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তর কাজ-এই ব্যপারটার ব্যত্যয় তার আগের ছবিগুলোর মত এই ছবিতেও ঘটেনি। একটা গাড়ির উপর লাফাই পড়লে সামনে রাখা দুইটা গাড়িও আকাশে উড়ে এটা নিজ চক্ষে না দ্যাখলে বিশ্বাস করা যাবে না। নিউটন, গ্যালিলিও, আর্কিমিডিস যাকিছু আছে সব কিছুরেই বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হইছে, মাশাল্লাহ।



ক্রিস্টোফার নোলান বলেছিলেন, "মানুষ যা কল্পনা করে আমি মুভিতে তা করে দেখায়।" আর জলিল ভাইয়ের মুভি দেখে আমার উপলব্ধি, "মানুষ যা কল্পনাও করতে পারে না তাই তিনি মুভিতে করে দেখান।" ‪#‎রেসপেক্ট‬



সমালোচনার পার্ট শেষ। এখন মেইন কথায় আসা যাক। আস্তে আস্তে অনন্তর সিনেমায় ইম্প্রুভমেন্ট আসতেছে। এক সময় দেখা যাবে হাজার চেষ্টা করেও তার মুভিতে আমরা খুঁত ধরতে পারতেছিনা। যত যাই বলি না কেন, বাংলা সিনেমার 'আমি-তুমি, তুমি-আমি' টাইপের সস্তা প্রেমের ছবি থেকে বের হয়ে এসেছে সে এবং সব মুভিতেই তার দেশের জন্য কিছু করার একটা আকূলতা প্রকাশ পায়। মিঠুন চক্রবর্তী যদি ফাটাকেষ্ট টাইপ মুভি করে বাহবা পেতে পারে তাহলে অনন্তও তার চাইতে বেশি বাহবা পাওয়ার যোগ্য। তুমি সালমান খানের মুভি দেইখ্যা ফিদা হয়ে যাও আর অনন্তর মুভি দেখলে বলবা খ্যাত ,তাইলে বলতেই হবে তোমার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।



এদেশে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর সিনেমার সূচনা করেছেন এই অনন্ত জলিল। সে হয়তো খুব ভাল অভিনয় করতে পারে না কিন্তু দেশের সিনেমা শিল্পে একটা বিপ্লব ঘটানোর স্বপ্নদ্রষ্টা তিনিই। তাই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই স্বপ্নদ্রষ্টার নাম চিরকালই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হবে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ছবিটা দেখি নি এখনো। কিন্তু আপনার রিভিউটা ভাল লাগল।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৩

ইলি বিডি বলেছেন: অবশ্য অইটাই ওর সিগ্নেচার হয়ে গেছে।

রিভিউটা ভাল লাগল।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২০

রাজিব বলেছেন: আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভাল হত। চাইকি দু একটা গানের ইউটিউব ও দিয়ে দিতে পারতেন। তবে একথা ঠিক যে অনন্ত জলিল বাংলাদেশী সিনেমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন।
৬ মাস আগে অনন্ত জলিল সম্পর্কে লিখেছিলামঃ
আমি অনন্ত জলিলের একদমই ভক্ত নই। বাংলা সিনেমা কবে শেষ দেখেছি তাও মনে করতে পারছিনা। এমনকি বলিউডের ছবিরও ভক্ত নই। সময় ও সুযোগ পেলে হলিউডের ছবি দেখি। তবে অনন্ত জলিল বাংলাদেশের সিনেমার জন্য যা করেছে তার জন্য বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি কৃতজ্ঞ।
লক্ষ লক্ষ টাঁকা নিজের পকেট থেকে বিনিয়োগ করেছে। তার ছবিতে অশ্লীলতা নেই। গৎবাঁধা কাহিনী হয়তো রয়েছে কিন্তু নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়েছে সে। নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছে। তার ছবির গান আর নাচ একটু অন্যরকম বলে মনে হয়েছে আমার। আর অনেক দর্শক তার ছবি দেখছে- শিক্ষিত ও অশিক্ষিত উভয় শ্রেণির।
যারা অনন্তকে বিভিন্ন ভাবে পচানোর চেষ্টা করেন তাদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। যেখানে আমি নিজেই এই লোকটির ভক্ত নই সেখানে যারা তাকে অপছন্দ করেন তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলার নৈতিক অধিকার নেই একথা আমি হাসিমুখে স্বীকার করছি। তবে যারা অনন্তকে পচাতে ভালবাসেন তাদের মধ্যে দু একজন ধনী ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পে নিজের পকেট থেকে কয়েক কোটি টাঁকা বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসতেন তাহলে বোধহয় ভাল হত।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৮

সমন্বয় বলেছেন: এদেশে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর সিনেমার সূচনা করেছেন এই অনন্ত জলিল। সে হয়তো খুব ভাল অভিনয় করতে পারে না কিন্তু দেশের সিনেমা শিল্পে একটা বিপ্লব ঘটানোর স্বপ্নদ্রষ্টা তিনিই। তাই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই স্বপ্নদ্রষ্টার নাম চিরকালই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হবে।



রিভিউ ভাল হয়েছে। এ রকম হলে একবার হলে যাওয়াই চাই। :| :|

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

না পারভীন বলেছেন: রিভিউ ভাল লাগছে। আমি অনন্ত জলিলের যে চিন্তাধারা দেশিয় চলচিত্র নিয়ে তার একনিষ্ঠ ফ্যান :)

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
যতটুকু জানি ব্যাক্তি হিসেবেও জলিল সাহেব খুব একটা খারাপ নন।
ভাল মুভি বানাক অন্তত অশ্লিলতা থেকে দূরে থাকুক।

পোস্ট ভাল হয়েছে

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৯

ইফতেখার কাদির বলেছেন: Think positively!

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


রিভিউ ভাল লাগল +++

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উন্নত প্রযুক্তি প্রচলনের জন্য অনন্ত জলিল অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। মুভি রিভিউ ভাল হেয়েছে ।

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৭

এম এম করিম বলেছেন: রিভিউ ভাল হয়েছে।

অনন্তের ব্যাপারে ভাল বলেছেন।

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

ডি মুন বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে। ছবিটা দেখা হয়নি।

শুভেচ্ছা আপনাকে

১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

আরজু পনি বলেছেন:

বাংলা সিনেমার 'আমি-তুমি, তুমি-আমি' টাইপের সস্তা প্রেমের ছবি থেকে বের হয়ে এসেছে সে এবং সব মুভিতেই তার দেশের জন্য কিছু করার একটা আকূলতা প্রকাশ পায়।

আপনাকে লাল সালাম জানাই।

অনন্তর সিনেমার ভুলভ্রান্তির পরও আমি পছন্দ করি তার সিনেমা...
আশা করছি এটা সিনেমা হলে যেয়েই দেখবো।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ভালো লেগেছে। তবে আরো কিছু লিখতে পারতেন। এটা আমার নিজস্ব মতামত।
ভাল থাকবেন।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আই লাভ জলিল! আমরা যারা জলিল ভক্ত আছি আমাদের উচিৎ তাকে আর তার বউ কে নাচ শিখানো আর জলিল কে কমন সেন্সের ট্যাবেলট খাওয়ানো! না হলে এভাবেই উত্কর্ষতা আর ধর্ষণ কে এক পাল্লায় মাপা হতেই থাকবে! টাকা হলেই শিল্পী হওয়া যায়না, বড়জোর প্রযোজক হওয়া যায়!

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: সত্যি অনন্তকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা হয়, তবে মানুষ হিসেবে সে খুবই ভালো। আর নিজের পকেটের টাকা খরচ করে চেষ্টা করছে ভাল কিছু করতে, এজন্য অনন্ত ধন্যবাদ পেতেই পারে।

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভাল লাগলো রিভিউ

বাংলা সিনেমা একদিন অন্য কোন মাত্রায় পৌঁছে যাবে সেই দিনের স্বপ্ন দেখি।
তবে তার জন্য ভাল কাহিনী, ভাল অভিনয় শিল্পী দরকার। এই দুটোর এ দেশে অভাব হবে না। আমরা জন্মগত ভাবেই অনেক মেধা নিয়ে জন্মাই।
আর সাথে দরকার টাকা খরচ করা এই খাতে। এই কাজটা অনন্ত করছে। তাই তাকে বাহবা দিতেই হয়। একটা সময় অনন্তর মত অনেকে এগিয়ে আসবে, পরিবর্তের ছোঁয়া আসবে আমাদের সিনেমায়।

১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

সারাহেপি বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। আমরা অন্তত জলিলের খুত না ধরি। উনিতো আর সারা জীবন নায়ক থাকবেন না , তবে তিনি চলচিত্রের গট -বাধা জট খুলে দিয়েছেন যা সত্যিই অনেক প্রয়োজন ছিল।

১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবিটা দেখিনি। দেখার ইচ্ছাও নাই।

১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২২

কে. এম. রাফসান রাব্বি বলেছেন: সকলকে ধন্যবাদ রিভিউটা পড়ার জন্য। আপনাদের এই মন্তব্যগুলো আমার ভবিষ্যতে আরো ভাল লেখার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

কাহিনীর দিক থেকে বিচার করলে অনন্তর সিনেমার তেমন কোন বিশেষত্ব নেই। ছবিতে বহু আজগুবি জিনিস ঢুকানো হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটাকে একটু পজিটিভলি চিন্তা করি। আমরা যদি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পায় তারা বর্তমানে সিনেমা শিল্পে বহু উন্নতি করেছে। তাদের বেশকিছু আর্ট ফিল্ম অনেক উন্নত মানের। কিন্তু একটু যদি ফ্ল্যাশব্যাকে যায় তাহলে দেখতে পায় বছর দশেক আগেও টলিউড পাড়ার অবস্থা ছিল যথেষ্ট নাজুক। বস্তাপঁচা কাহিনী, আজগুবি অ্যাকশন এইসব নিয়েই তাদের সিনেমা ছিল। সেই সময় এক প্রসেনজিতই এই ধুঁকতে থাকা শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। অবশ্য তার পিছনে তাপস পাল, চিরঞ্জিত কিংবা রঞ্জিত মল্লিকরাও ছিলেন। কিন্তু কাহিনীর দিক দিবেচনা করলে তা ছিল যথেষ্ট নিম্নমানের।

কিন্তু তাদের সিনেমা শিল্পে বর্তমানে এত উন্নতি করার কারণ একটাই তাদের হলগুলো কখনো খালি ছিল না। তাদের দেশের দর্শক এইসব সিনেমা দেখেই হলগুলো বাঁচিয়ে রেখেছিল। যার কারণে পরবর্তীতে বহু ট্যালেন্ট পরিচালকের আবির্ভাব হয়। ঋতুপর্ন ঘোষ, গোতম ঘোষ, অপর্না সেন, অঞ্জন দত্ত কিংবা হালের শ্রীজিত সকলে মিলেই এই বিপ্লবটা সঙ্ঘটিত করেছেন।

এত কথা বললাম এজন্যই যে সিনেমা শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যেটা সবচাইতে বেশি প্রয়োজন তা হল দর্শকের উপস্থিতি। অনন্ত যেরকম সিনেমায় বানাক না কেন তিনি এদেশের হল বিমুখ দর্শকদের হলে ফিরিয়েছেন, সেটা যেভাবেই হোক। তার সিনেমা শুধু ম্যাস পিপলের জন্য নয়, ক্লাস পিপলও অ্যাটলিস্ট সমালোচনা করার জন্য আর খোড়া বিনোদন লাভের উদ্দেশ্যে সিনেমা হলে যাচ্ছে। এইব্যাপারটারই দরকার ছিল। বাংলায় ট্যালেন্টের অভাব কখনো হয় নাই। শুধু এই ট্যালেন্টগুলোকে কাজে লাগানোর বড্ড অভাব। যদি তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায় তাহলে এদেশের সিনেমাতেও বিপ্লব আসতে বাধ্য।

২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

লিখেছেন বলেছেন: তাই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই স্বপ্নদ্রষ্টার নাম চিরকালই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.