নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কে. এম. রাফসান রাব্বি

যান্ত্রিক নগরীর যান্ত্রিক মানুষগুলোর ভিড়ে আমি এক অযান্ত্রিক পথচারী। ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/km.rafsaan

কে. এম. রাফসান রাব্বি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ #VijayDiwas

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

বিজয় দিবস উপলক্ষে এই নিয়ে একটা লেখা লিখার ইচ্ছা আগে থেকেই ছিল। তবে ইন্ডিয়ার বিএসএফ এর ফেইসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করা #VijayDiwas ক্যাপশনের ছবিটা দেখে মনে হল এই ইতিহাসটা শেয়ার করা আসলেই দরকার।

আমাদের মুক্তিবাহিনী আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর আক্রমণে যখন পাকিস্তানি হানাদাররা কোণঠাসা প্রায় তখন বরাহনন্দন ইয়াহিয়া এক নতুন ফন্দি আটলেন যে এই দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধটাকে কিভাবে মহাদেশীয় যুদ্ধে পরিণত করা যায়। যুদ্ধের একদম শেষভাগে এসে অপারেশন চেঙ্গিস খান-এর মাধ্যমে ভারতের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন আর সেদিন ছিল ৩রা ডিসেম্বর,১৯৭১। যদিও তার সেই দূরভিসন্ধি সফল হয়নি। ইতিহাসের অন্যতম ছোট যুদ্ধ হিসেবে মাত্র ১৩ দিনেই তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

এই তথ্যটা তাদের জন্য যারা '৭১ এর ইন্দো-পাক যুদ্ধের কথা দেখলেই ফুঁসে ওঠেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপরে আক্রমণ হিসেবে। ঐ ১৩ দিনের যুদ্ধে তারা জিতেছিলেন এজন্য তারা সেলিব্রেট করতেই পারেন, সেটা কোন সমস্যা না। কিন্তু যেসব পাঠাশিশু মনে করে, ইন্দো-পাকযুদ্ধের ফসল হচ্ছে বাংলাদেশ তাদের মুখে এক খাবলা থু। তবে পরের ঘটনাটা এর উপরে বেইস করেই বলা কারণ ১৬ই ডিসেম্বরে আমরা হয়তো বিজয় অর্জন করেছি কিন্তু প্রকৃত অর্থে সার্বভৌমত্ব তখনও পায়নি আমরা।

১৬ই ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায় কিন্তু ভারতীয় সৈন্যবাহিনী তখনও এদেশে অবস্থান করছিল। স্বাভাবিকভাবেই এটি তখন আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় কারণ অন্য দেশের আর্মি এদেশে অবস্থান করা মানে এদেশের উপর যখন তখন তাদের কর্তৃত্ব বসানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এখন যেটি সেসময় দরকার ছিল ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর এদেশ ত্যাগ করা। কিন্তু কে তাদেরকে চলে যেতে বলবে? যিনি একমাত্র এ কাজটি করতে পারবেন তিনি তো সেসময়েও পাকিস্তানের জেলে আছেন এবং এমন একটি ঘরে যে তার স্বপ্ন যে সত্যি হয়েছে সেই খবরও তার কানে পৌছেনি।

তৎকালীন সময়ে এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন কাজটি করেন আব্দুস সামাদ আজাদ, আমেরিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স। আমরা হয়তো এ লোকটিকে এখন অনেকেই ভালমত চিনিনা যেমন চিনিনা আমাদের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়কদের। তিনিই নিক্সন সরকারের সাথে লিয়াঁজো করেন যাতে তারা পাক সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠায়।

বঙ্গবন্ধু দেশে আসার দুই মাসের মাথায় ভারতীয় সৈন্যবাহিনী এদেশ ছেড়ে নিজের দেশে চলে যায়। '৭২ সালের মার্চের ১৭ তারিখে বঙ্গবন্ধু ভারতে যান এবং ইন্দিরা গান্ধীকে অনুরোধ করেন তাদের সৈন্যদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারণ এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। মার্চ মাসের মধ্যে ভারতের সব সৈন্য এদেশ ত্যাগ করে।

যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের সবাই শুধু খারাপ দিকগুলোর দিকেই আঙ্গুল তোলে কিন্তু এই একটি মানুষ যে নিজের চেষ্টায় তিল তিল করে আজকের সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেইসব গৌরবের ইতিহাসগুলো আমাদের অজানাই রয়ে যায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুধু মাত্র অশিক্ষিতদের পক্ষে এসব জানা সম্ভব হয়নি।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

আরজু পনি বলেছেন: শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
বিজয়ের শুভেচ্ছা রইল ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

কে. এম. রাফসান রাব্বি বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। বিজয়ের শুভেছা আপনাকেও। :)

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

কে. এম. রাফসান রাব্বি বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। বিজয়ের শুভেচ্ছা আপনার জন্য। :)

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.