নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কে. এম. রাফসান রাব্বি

যান্ত্রিক নগরীর যান্ত্রিক মানুষগুলোর ভিড়ে আমি এক অযান্ত্রিক পথচারী। ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/km.rafsaan

কে. এম. রাফসান রাব্বি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯

আজ জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আজকের এই বিশেষ দিনে তাকে নিয়ে কিছু লেখা খুবই জরুরী। কারন ছাগু সমাজের বহু থিওরীর কারণে তাকে নিয়ে অনেক সত্য ঘটনাকেও ম্যানিপুলেট করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আমাদের দেশের অনেকের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে বঙ্গবন্ধু নাকি এসব যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। আবার অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজে কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেননি? কেন যুদ্ধের চল্লিশ বছর পর যখন যুদ্ধাপরাধ নিয়ে এত কন্সপিরেসি থিওরী তৈরী হয়েছে তখন যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছে? বঙ্গবন্ধু চাইলে তো সেসময়ে আরো সহজে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারতেন কারণ সেসময় সব সাক্ষী প্রমাণ সব অক্ষত ছিল। আজকে তাদের জন্যই এই লেখাটা।

যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ অনেকগুলি প্রশ্ন নিয়ে আবির্ভুত হয় তার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন হচ্ছে "Prisoners of War(POW)" এর ভবিষ্যত! এর মধ্যে নানারকম দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলতে থাকে। এর মধ্যে অনেকে "Simla Declaration" এর নাম শুনে থাকবেন যেটি তৈরী করা হয়েছিল যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সমাধানে।

সেইসময়ে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ পাকিস্তানে থাকা প্রায় ৫ লক্ষ বাঙ্গালীকে অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমেরিকান প্রভাব কাজে লাগানোর জন্য আমেরিকান সরকারকে অনুরোধ করেন। তার অংশ হিসেবে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তার বন্ধু ট্রেজারি সেক্রেটারি জন কন্যালিকে দক্ষিণ এশিয়াই পাঠান ব্যাপারটার দেখভাল করার জন্য। কন্যালি বঙ্গবন্ধু সাথে একা দেখা করেন এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশে সব কিছু আবার ঠিকমত ছন্দে নিয়ে আসায় তাঁর অসাধারণ ভুমিকার জন্য তাঁকে নিক্সনের শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন।। বঙ্গবন্ধুও প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে ও আমেরিকাকে তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ প্রদান করেন। বঙ্ঘবন্ধু তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন যুদ্ধে তিন মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর কথা আর সাহায্য করতে বলেন ২০০০০ বাঙ্গালী সৈন্য, ৫০০০০০ বাঙ্গালী এবং বহু সিভিল সার্ভেন্ট ও ব্যাবসায়ীকে পাকিস্তান থেকে এদেশে ফেরত আনার জন্য। সেসময় কন্যালি তাঁকে প্রশ্ন করেন বাংলাদেশে থাকা ১৫০০ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর ভবিষ্যত সম্পর্কে। উত্তরে বঙ্গবন্ধু যা বলেন তা সরাসরি তুলে দিচ্ছি এখানে...

"We must try them. They must pay for these crimes. Not all 1500 but maybe 300, maybe 200 or maybe 100. But we must have some trials."

পরবর্তীতে কেন সেটা সম্ভবপর হয়ে উঠেনি তা সামনের লেখাটিতে লিখব। এই লেখাটি জাস্ট উপরের প্রশ্নগুলোর একটি মোক্ষম জবাব দেয়ার জন্য আর এটুকু বিশ্বাস করানোর জন্য মানুষকে যে শেখ সাহেব তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার চেয়েছিলেন আর তাঁর সেই চাওয়া তার মৃত্যুর চল্লিশ বছর পরে হলেও পূরণ হচ্ছে। জাতির জন্য এর চাইতে সুখের দিন আর কিইবা হতে পারে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.