নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।
১৩
১২
১১
১০
৯
৮
৭
৬
৫
৪
৩
২
১
‘জোর বেড়ে অবলার এত সাহস হয়েছে যে চোখ পাকিয়ে আমাকে দাবড়ায়।’
‘প্রেম পিরিতি জপে অগাচণ্ডীর মগজ বিকল হয়েছে। ল্যালার কথা শুনে ছ্যাঁত করে উঠলে, ঘূৎকরে হুতোম প্যাঁচারা হেসে কুটিপাটি হবে।’ বলে আয়মান মুখ বিকৃত করে সরসীর দিকে তাকায়। দাদা কপাল কুঁচকে বললেন, ‘এসব কী বলছিস, এখন তুই রাগলি না কেন?’
সরসীর দিকে তাকিয়ে আয়মান মুখ বিকৃত করে বলল, ‘ল্যালার মাথা খারাপ। বদমাশরাও দূরত্ব বজায় রাখে।’
‘সত্যি! কিন্তু তোকে ভালোবাসে। আমাকে কানে কানে বলেছে।’ বলে দাদা আড়চোখে তাকালে আয়মান হতাশ হয়ে কাঁধ ঝুলিয়ে বলল, ‘এক মণি গাঁটরির মত ওকে আমার গলায় ঝুলাতে চান কেন?’
‘আয়মান শোন, ল্যালা হলেও অবলার অনেক টাকা আছে, দাদা-নাতী মৌজ করতে পারব।’
‘দাদাজান! এসব কী বলছেন?’
‘দেশভ্রমণে যেতে চাই। আমার ফাড়া জেবে টাকা নেই এবং তোর বাপ চাচা আমাকে একটা টাকা দেবে না। কঞ্জুসের ঘরে কেপ্পন জন্মেছে।’ বলে দাদা নাক সিঁটকালে আয়মান আড়চোখে তাকিয়ে বলল, ‘মেনি জবর চালাক। আঁচ করলে লাভের সাথে সুধ উশুল করবে।’
‘বেশি গোনাগুনতি করলে তোর দাদির সাথে দেখা করে আয়ব্যয়ের হিসাব মিলাবার জন্য বলব।’
‘ঠিকাছে। এখন বলুন কোথায় যেতে চান?’
‘বন উপবন পার্বত্য অঞ্চল দেখার বাল্যশখ। তুই রাজি হলে অবলার আশা মিটবে।’
‘সাথে আর কে যাবেন?’
তার কাঁধে হাত রেখে দাদা শরীর কাঁপিয়ে হেসে বললেন, ‘অবলা তোর বগলে ঘুমাবে।’
‘ওর ছায়া দেখলে রগ রাগিয়ে রাগ চরমে ওঠে। কিছু খুঁজে না পেলে খামোখা প্যাচাল করে, এত পেঁচালি!’
‘জানি! কিন্তু কিছু করার নেই। দেশভ্রমণে যেতে হলে ফুসমন্তে ওকে ফুসলাতে হবে নইলে জীবনেও যেতে পারব না।’ বলে দাদা কাতর হয়ে তাকালে আয়মান হতাশ হয়ে কাঁধ ঝুলিয়ে বলল, ‘সত্যি আমার বগেলে ঘুমাবে নাকি?’
‘তাবু মাত্র তিনটা এবং মানুষ ছয়জন, এখন তুই বল কার বগল খালি?’
‘আমারে বগলে ঘুমবে কেন? খুঁতখুঁত করে আমার কাতুকুতু হবে তো।’
‘কাতুকুতুর চিন্তা ভুলে কী করবি তা বল, আমার হাতে সময় নেই।’
‘ঠিকাছে, দেশভ্রমণে গেলে সব ঠিকঠাক হবে।’
‘তোকে অশেষ ধন্যবাদ। কই লো সরসী শোন! পলোয়ানকে কাবু করেছি। ফুসমন্তে এখন তোকে ফুসলাতে হবে, দৌড়ে আয়!’
সরসী দৌড়ে আসলে দাদা মুচকি হেসে পা বাড়িয়ে বললেন, ‘তুই ভাব জমা আমি যেয়ে দেখি চা আনতে পারি কি না?’
‘জি আচ্ছা দাদু।’ বলে সরসী আয়মানের দিকে তাকিয়ে ঘনঘন পলক মারলে আয়মান মুখ বিকৃত করে বলল, ‘বিতনু লো সুতনু সামলা।’
সরসী হতাশ হয়ে বেজার মুখে বলল, ‘এমন করে কথা বলো কেন?’
আয়মান চোখ বুজে মাথা দুলিয়ে গম্ভীরকণ্ঠে বলল, ‘কুতনুর দিকে কানায়ও তাকায় না। শোন! যৌবনমদে টইটম্বুর তোর তনুতে রূপজেল্লার আগুন আছে। অনূঢ়ার অধরমধু পান করলে পাপীষ্টের কলিজা পুড়ে অলাত হবে।’
সরসী তার মুখোমুখি হয়ে বলল, ‘কী বলতে চাও বুঝিয়ে বলো।’
‘সরসী! তোকে আমি কলিজার মত ভালোবাসি।’ বলে আয়মান বিচলিত হয়ে হাসলে সরসী অবাক হয়ে বলল, ‘কোনোদিন বলনি কেন?’
‘অদ্য আমিও মরব। আমি মরলে তুই বালবিধবা হবে জেনে ইচ্ছা করে বলিনি।’
‘বরণ করে আমাকে উরে টানো পলকে ভেলকিবাজি বন্ধ হবে।’
আয়মান মাথা দুলিয়ে বলল, ‘জানি অলোকসামান্যতা ধাধসপুরে বারবেলা। সম্মোহিত হলে চোখে ভেলকি লাগে। ভানুমতীর খেলা দেখলে সবার আক্কেলগুড়ুম হয়। মায়াবীর মনে মায়াশক্তি আছে এবং বর্ণচোরা ভেক বদলাতে পারে। সত্যপিরের সংস্পর্শে আমি সিদ্ধাই হয়েছি।’
‘কী বোঝাতে চাও?’
‘জিন জাতিরা জাদুবিদ্যা জানে এবং ভেকধারণ করে আবির্ভূত হলে আমাদের চোখে ভেলকি লাগে। অমর হওয়ার জন্য জুজুবুড়ি মরিয়া হয়েছে। আমি ওর সন্ধান পেয়েছি।’ বলে আয়মান মাথা তুলে এদিক ওদিক তাকিয়ে সুপারি গাছে বাজপাখি বসা দেখে চিন্তিতকণ্ঠে বলল, ‘সরসী! কড় কড় কড়াৎ করে জানি আজ বাজ পড়বে না কিন্তু বাজপাখি চিৎ না করলে অমঙ্গল হবে।’
‘বন্দুক আনতে গেলে উড়াল দেবে, কী করবে?’
‘গায়ের জোরে বুম্যারাং ছুড়ে মারলে ধমাৎ করে বাজ পড়বে এবং ফেরতা হাতে ফিরবে।’
সরসী তাজ্জব হয়ে চোখ কপালে তুলে বলল, ‘বুম্যারাংকে ভাষান্তর করলে কেমনে?’
‘বহুভাষাবিদের মত ধেয়ানচিন্তা করে।’
‘তোমার ফেরতা কোথায়, দেখতে পারব?’
আয়মান পিছনে হাত দিয়ে বুম্যারাং বার করে সরসীর হাতে দিয়ে মৃদুহেসে বলল, ‘গায়ের জোরে ছুড়ে মার, বাতাসে ঘুরে ফিরে আসবে।’
‘আয়মান ভাই! কামতেষ্টায় অতিষ্ঠ আমি অকালবসন্তে মরলে, তোমার তনুরসে তৃষ্ণা মিটাবার জন্য কামসখে আমার অতৃষ্ণআত্মা ফিরে আসবে অবনীতলে।’ বলে সরসী চারপাশে তাকিয়ে পলকে তার অধরচুম্বন করে শিউরে বাজপাখির দিকে নিশানা করে বলল, ‘ইস! অধরমধু জবর মজা।’
আয়মান দাঁত কটমট করে মাথা নাড়ে এবং সরসী গায়ের জোরে বুমারাং ছুড়ে মারলে বাজপাখি উড়াল দেয়। বুম্যারাং ফিরে আসছে কিন্তু সরসী সরছে না দেখে আয়মান ঝাঁপ দিয়ে সরসীকে ধরে মাটিতে পড়ে ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে দেখে সুপারি গাছ দ্বিখণ্ড করে বুম্যারাং মাটিতে গেঁথেছে। সরসী শিউরে বলল, ‘এত ধার নাকি?’
‘খেলনা নয় বুম্যারাং অস্ত্র, মনে থাকে যেন।’ সরসীর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে আয়মান দাঁড়িয়ে হাত ধরে ওকে উঠিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে বুম্যারাং হাতে নিয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে বলল, ‘দাদা বলেছেন, তুই নাকি দেশভ্রমণে যেতে চাস?’
‘তুমি নিয়ে গেলে চন্দ্রীকার জন্য যমপুরে যাব।’
‘আমাকে এত বিশ্বাস করিস কেন?’
‘একমাত্র তুমি হলে আমার দরদিয়া তোমার বিরহে আমি বিরহিণী হব অশরীরী।’
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি ভালাছি মিঞাভাই, আপনের খবর কী?
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার খবর কম খারাপ না.......ব্লগে কি এখন নিয়মিতই আইতাছেন নাকি? আহেন আবার আগের মতো ব্লগটাকে জমিয়ে তুলি.......শুক্রবারের আড্ডা চালাইয়া দিমু নাকি?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নিয়মিত হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মডারেটররা চায়না আমরা ব্লগিং করি। ওরা ওদের মত ব্লগ চালাতে চায়।
মানে, মড়াকে কলাগাছের ভেলায় ভাসাতে চায়।
এই ব্লগে ডর লাগে। জমলে ওরা সব বানচাল করে দেয়। জানি না কেন ওরা এমন করে।
আপনি শুরু করুন আমি সময় দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমি আসলে মহাউপন্যাসে এখন কাজ করছি। কয়েকবার রিরাইট করেছি, আবার রিরাইটিং করছি। এই বইকে শেষ করতে চাই।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
শুক্রবারে ঘণ্টা খানেক সময় দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার সময় ১১.৩০ থেকে ১২.৩০। পরে জুম্মায় চলে যাব।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
বিদ্যুৎ বলেছেন: কি খবর ভাই কেমন আছেন?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৮
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি ভালো আছি, আপনার খবর কী?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মে ভাই, কেমন আছেন?