নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধুনিক বাংলাসাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি কায়কোবাদ, মহাকবি কায়কোবাদ বা মুন্সী কায়কোবাদ। কায়কোবাদের সাহিত্যকর্মে পশ্চাত্পদ মুসলিমদের নিজেদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণে এবং তা অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বাংলা মহাকাব্যের অস্তোন্মুখ এবং গীতিকবিতার স্বর্ণযুগে মহাকবি কায়কোবাদ মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাস থেকে কাহিনী নিয়ে ‘মহাশ্মশান’ মহাকাব্য রচনা করে যে দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছেন তা তাঁকে বাংলা সাহিত্যের গৌরবময় আসনে স্থান করে দিয়েছে। তিনি বাংলার অপর দুই মহাকবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীনচন্দ্র সেনের ধারায় মহাকাব্য রচনা করেন। তবে নবীনচন্দ্রই ছিলেন তার প্রধান আদর্শ। তিনি কবি হেমচন্দ্র ব্যানার্জী এবং কবি নবীন চন্দ্র সেন এর দ্বারা প্রভাবিত হলেও তাঁদের মত সাম্প্রদায়ীক ভেদবুদ্ধির পরিচয় দেন নি | তাঁর কাছে হিন্দুও বীর, মুসলমানও বীর | মুসলমানদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে তাঁদের হৃত গৌরবের কথা পৌঁছে তাঁদের উন্নতি সাধনে উদ্বুদ্ধ করাই তাঁর প্রধাণ প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে । বাঙালি মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম সনেট রচয়িতা মহা কবি কায়কোবাদ ১৯৫১ সালের আজকের দিনে ইন্তেকাল করেন। আজ তার ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। খ্যাতিমান কবি কায়কোবাদের মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলা ভাষার উল্লেখযোগ্য কবি কায়কোবাদ ১৮৫৭ সালে (জন্ম তারিখ অস্পষ্ট) ঢাকার নবাবগঞ্জের আগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম কাজেম আলী কোরেশী। তার পিতা শাহামতউল্লাহ আল কোরেশী ছিলেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী। ঢাকার পোগজ এবং সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে পড়াশোনা করেন কায়কোবাদ। তারপর ঢাকা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন কিন্তু তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষা না দিয়ে পোস্টমাস্টারের চাকুরী নিয়ে তার স্থানীয় গ্রামে ফিরে আসেন। এখানে তিনি অবশর গ্রহণের আগ পর্যন্ত কাজ করেন। বাল্যাবস্থা থেকেই তাঁর কবিতার পারদর্শিতা চোখে পড়ে | ১৮৭০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ 'বিরহবিলাপ' প্রকাশিত হয় | কায়কোবাদ দীর্ঘ জীবন লাভ করেছিলেন। এই দীর্ঘ জীবনে তিনি বহু সাহিত্যকর্ম রচনা করেন।
জীবদ্দশায় প্রকাশিত তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ সমুহঃ ১। কুসুমকানন (১৮৭৩), ২। অশ্রুমালা (১৮৯৫), ৩। শিবমন্দির (১৯২২), ৪। মহাশ্মশান (১৯০৪), ৫। অমিয়ধারা (১৯২৩) উল্লেখযোগ্য। তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত গ্রন্থ ১। প্রেমের ফুল (১৯৭১), ২। প্রেমের বাণী (১৯৭০), ৩। প্রেম পারিজাত (১৯৭০), ৪। মন্দাকিনী ধারা (১৯৭১) এবং ৫। গাউছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ (১৯৭৯) ইত্যাদি। তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ অবলম্বনে রচিত মহাশ্মশান হচ্ছে তার মহাকাব্য। এটাকে তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাহিত্যে অসমান্য অবদানের জন্য তাকে নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ থেকে তাঁকে কাব্যভূষণ, বিদ্যাভূষণ এবং সাহিত্য রত্ন পুরস্কারে ভূষিত করেন | বাংলাদেশ সরকার তার সম্মানে ১৯৯১ সালে ৬ টকা মূল্যমানের ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
১৯৫১ সালের ২১ জুলাই খ্যাতিমান কবি কায়কোবাদ ইন্তেকাল করেন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। মহাকবি কায়কোবাদের মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রাজিব বলেছেন: জীবন সাহিত্য সাধনা করে যাওয়া এ মহাকবির প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। আশা করি আমাদের আজকের তরুণরা তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নেবে।
৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১৪
সুমাইয়া আলো বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোস্ট কবিদ ভাই। +++++
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
is not available বলেছেন: মহাকবির জন্য বুকভরা শ্রদ্ধা আর সম্মান!