নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানিরা বলেন মানুষ জন্মমাত্রই মানুষ নয়,তাকে যোগ্যতা অর্জন করে তবেই মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে হয়।যোগ্যতা আছে কি না জানি না,হয়তো নিতান্তই মূর্খ এক বাঙ্গাল বলেই নিজেকে নির্দ্বিধায় মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফেলি।

কল্পদ্রুম

আমি আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়

কল্পদ্রুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

(২য় পর্ব)সিনেমা কথনঃরাশমন(Rashomon)-একটি চলচ্চিত্র,একটি মতবাদ

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৩

সিনেমা যে শুধু মাত্র বিনোদনের উৎস তা কিন্তু নয়।কিছু সিনেমা থাকে যেগুলো মানুষকে জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখায়।কিছু সিনেমা কখনো দর্শকের চাহিদা পূরণ করার জন্য তৈরি হয় না।উল্টো দর্শককে তার চিন্তার ধারা বদলাতে বাধ্য করে,নতুন চিন্তার খোরাক যোগায়।আজকের লেখার বিষয় ১৯৫০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা রাশমন(Rashomon)।

রাশমন নিয়ে লেখার বেশ কয়েকটা কারণ আছে।প্রথম এবং প্রধান কারণ এটি আমার পছন্দের সিনেমাগুলোর ভিতর একটি।দ্বিতীয় কারণ একটা সিনেমা কিভাবে মানুষের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে তার একটা শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলো এই রাশমন।আর সবশেষ কারণ বলা যেতে পারে এটি আকিরা কুরাসাওয়ার মত কিংবদন্তীর প্রথম মাস্টারপিস।

এই ভদ্রলোকের সাথে আমার পরিচয় সেভেন সামুরাই(Seven Samurai)(১৯৫৪) এর মাধ্যমে।আকিরা কুরাসাওয়া সম্পর্কে বলা হয় এশিয়ার মধ্যে তো অবশ্যই এমনকি বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম প্রভাবশালী পরিচালক।স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সম্মানজনক একাডেমী এওয়ার্ড। এশিয়ান উইক এবং সিএনএনের মতে শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তিনি 'এশিয়ান অফ দ্যা সেঞ্চুরি' নির্বাচিত হয়েছিলেন।তার অসংখ্য গুণমুগ্ধ শিষ্যকূলের উল্লেখযোগ্য ফ্রান্সিস ফোর্ড কপ্পোলা,স্টিভেন স্পিলবার্গ,মার্টিন স্করসেস।এমনকি তার সমসাময়িক ফেলিনি,রবার্ট এল্টম্যান এর মত মানুষরা তার কাজের প্রশংসা করতেন।এশিয়ানদের ভিতর আমাদের সত্যজিৎ রায় এবং জাপানিজ পরিচালক মিয়াজাকি (আমার মত যারা এনিমেশন মুভির ভক্ত তারা অবশ্যই এই কিংবদন্তীকে চিনবেন) সরাসরি কুরোসাওয়ার কাজ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।ওনার সম্পর্কে লিখতে গেলে আরো অনেক কিছুই লেখা যাবে।আজকের লেখার বিষয় শুধুমাত্র রাশমন নিয়ে।তাই এর চেয়ে বেশি লিখছি না।এইটা নিয়ে হয়তো পরে কখনো লিখবো।

রাশমন চলচ্চিত্র ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে তার অনন্য কাহিনী এবং অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফির কারণে।এগারো শতকে সামন্ত্রতান্ত্রিক জাপানের ঘটনা।কোন এক গ্রীষ্মের দিনে একজন কাঠুরিয়া বনে গিয়েছিলো কাঠ কাটতে।আকস্মিকভাবে সেখানে এক মৃতদেহ খুঁজে পায় সে এবং তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেয়।ঐ ঘটনার তিনদিন পরে আদালতে খুনিকে হাজির করা হয়।খুনি বিখ্যাত ডাকাত টাজোমারু।এর আগে বহু খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিলো কিন্তু কখনো তাকে ধরা সম্ভব হয়নি।আদালতে একে একে জবানবন্দি দেয়--একজন সন্ন্যাসী যিনি তিনদিন আগে নিহত ব্যক্তিকে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেতে দেখেছিলেন।তাঁর বর্ণনা মতে ঐ ব্যক্তি একজন সামুরাই ছিলেন এবং তাঁর সাথে একজন সম্ভ্রান্ত বংশের মহিলা ছিলেন।এরপরে স্বয়ং টোজোমারু জবানবন্দিতে ঐদিনের ঘটনা বর্ণনা করে এবং জীবনে এই প্রথম সে কোন হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে নেয়।সামুরাইয়ের রূপবতী স্ত্রীকে পাওয়ার জন্যই সে এইকাজ করেছিলো এবং এতে তার কোন আফসোস নেই।এরপরে জবানবন্দি দেয় নিহতের স্ত্রী।পুলিশ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত ঘটনার পর থেকে সে মন্দিরে লুকিয়েছিলো।সেও ঐদিনের ঘটনা বর্ণনা করে।সবশেষে জবানবন্দি দেয় স্বয়ং নিহত সামুরাই!(কি অদ্ভুত!)
রাশমনের বিখ্যাত সূচনা সংলাপ


মজার ব্যাপার হলো এই তিনজনের স্বাক্ষ্য নিয়েও আদালত মামলার সমাধান করতে পারেনি।কারণ এদের প্রত্যেকের বর্ণনার সাথে ঘটনাস্থলে পাওয়া আলামতের মিল আছে।ব্যতিক্রম হলো ঘটনার শেষে এরা প্রত্যেকেই নিজেকে হত্যাকারী হিসেবে দাবি করছে।

সিনেমাটা হয়তো শার্লক,ফেলুদার বা হালের কেডি পাঠকের মত কঠিন কোন যুক্তি দিয়ে যে কোন একজনকে দোষী সাব্যস্ত করে,বাকীদের মিথ্যাবাদী প্রমাণ করে শেষ করে দিতে পারতো।কিন্তু তাতে মাস্টারের কারিশমা কোথায় থাকলো!বিশ্ব চলচ্চিত্রে রাশমন অনন্যতা পেত কি করে!

রাশমন কোন ক্রাইম থ্রিলার নয়।রাশমন আসলে খুব সাধারণ একটা ঘটনার মাধ্যমে মানবচরিত্রের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছে।যার বহিঃপ্রকাশ বহু কাল আগে থেকে সমাজ,রাষ্ট্র,নীতি-নৈতিকতা,বিচারিক ব্যবস্থায় ঘটেছে,ঘটছে।ইতিহাসের অনেক বড় বড় ঘটনা নিয়ে আরো বড় বড় তর্ক বিতর্ক রয়েছে।এরকম তো খুব স্বাভাবিক যে একই সময়ের দুজন সাহিত্যিক,দুজন ইতিহাসবেত্তা,দুজন রাজনৈতিক,দুজন সাধারণ মানুষের বক্তব্যের ভিতর আকাশপাতাল তফাৎ দেখা দেয়।একজনকে বিশ্বাস করলে অন্যজনকে অবিশ্বাস করতে হবে।আশপাশের পরিবেশ দুধরণের মতেরই পক্ষে যায়।সেক্ষেত্রে কে সত্য কে মিথ্যা আলাদা করার সুযোগ থাকে না।হয়তো কারো মতই ঠিক নয় কিংবা দুজনেরই মতই আসলে সত্য।প্রশ্ন হলো পরস্পরবিরোধী কিন্তু সবগুলো মত সত্য হওয়া সম্ভব কি না?উত্তর--সম্ভব।এর পিছনে একটা ব্যাখ্যাও আছে।আর এই ব্যাখ্যার নাম হলো 'রাশমন ইফেক্ট'।হ্যাঁ,এই রাশমন ইফেক্ট রাশমন সিনেমা থেকেই উদ্ভুত।রাশমন ইফেক্ট নিয়ে একটু পরে কথা বলি।আগে রাশমন নিয়ে আরো কিছু কথা বলা যাক।

আগেই বলেছি রাশমন অনন্যতা পেয়েছে তার কাহিনী এবং সিনেমাটোগ্রাফির কারণে।রাশমনেই প্রথম ফ্লাশব্যাকের সার্থক প্রয়োগ দেখানো হয়।সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন কাজুয়ো মিয়াগাওয়া।আকিরা কুরাসাওয়ার একটা বড় গুণ হলো প্রাকৃতিক আলো ছায়াকে সিনেমাতে কাজে লাগানো।প্রথম ছবি হিসেবে রাশমনে এই মাস্টার পরিচালকের আলো ছায়ার এক্সপেরিমেন্ট চলচ্চিত্র প্রেমীরা দেখতে পায়।ব্যক্তিগতভাবে কুরাসাওয়া নির্বাক ছবির ভক্ত ছিলেন।তার অনেক কাজে নির্বাক ছবির প্রভাব দেখা যায়।আর এইকারণে তিনি অভিনেতা অভিনেত্রীদের সংলাপের চেয়ে এক্সপ্রেশনের দিকে বেশি জোর দিতেন।কোন কথা ছাড়া শুধুমাত্র এক্সপ্রেশনের মাধ্যমে তিনি দর্শককে ঘটনার সাথে যুক্ত করে ফেলতেন।সবাক ছবিতে নির্বাক ছবির এই প্রভাব রাশমন থেকেই শুরু হয়।


রাশমনের ধারণা নেওয়া হয়েছিলো ১৯২২ প্রকাশিত জাপানিজ লেখক আকিতাগাওয়ার ছোটগল্প 'In A Grove' থেকে।চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে আকিরা কুরাসাওয়া এবং শিনোবু হাশিমতো।১৯৫০ সালে রাশমন মুক্তির পর পাশ্চাত্য সিনেমা জগতে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং একাধিক ফিল্ম ফেস্টিভেলে পুরষ্কৃত হওয়ার সুবাদে পাশ্চাত্যের সিনেমার বাজার এশিয়ানদের জন্য উন্মুক্ত হয়।মুক্তির পর রাশমন ভেনিস ফিল্ম ফেয়ারে গোল্ডেন লায়ন পুরষ্কার যেতে এবং সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে ২৪ তম একাডেমী এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সেরা বিদেশী ভাষার ফিল্ম নির্বাচিত হয়।(যদিও তখনো বিদেশী ভাষার সেরা ছবি নামের কোন ক্যাটেগরির সৃষ্টি হয় নি।রাশমন মূলত সম্মানজনক একাডেমী পুরষ্কার পেয়েছিলো।)

রাশমন বিশ্বে এত সুনাম কুড়ানোর পরও নিজের দেশের তৎকালীন চলচ্চিত্র সমালোচকদের মন জয় করতে পারেনি।তারা বলেছিলেন কুরাসাওয়া পাশ্চাত্য রীতির অনুকরণ করেছে।রাশমনে জাপানিজ সমাজের রীতিনীতির প্রতিফলন ঘটেনি।এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিজেদের ক্রেডিট প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো।তারা ভেবেছিলো এরকম হ য ব র ল কাহিনীর সিনেমা দিয়ে তাদের কোন লাভ হবে না।ঐ সময়কার অন্যান্য সিনেমার তুলনায় রাশমন কিন্তু কম বাজেটের সিনেমা ছিলো।কুরাসাওয়া তার অটোবায়োগ্রাফিতে লিখেছেন রাশমনের স্ক্রিপ্ট পড়ার পর তার তিনজন সহকারী পরিচালকের সবাই অভিযোগ করে তারা কাহিনীর কিছুই বুঝতে পারেননি।তিনি তাদের বুঝিয়ে দেন।কিন্তু তারপরেও না কি একজন পরিচালক তখনো বিভ্রান্ত ছিলেন।

গল্প হিসেবে সিনেমা জগতে রাশমনের প্রভাব কতখানি তা নীচের তালিকায় চোখ বুলালেই টের পাওয়া যায়।রাশমন ধারণার উপর ভিত্তি করে নির্মিত সিনেমার ভিতরে উল্লেখযোগ্য-
#Edward Zwick এর Courage under fire
#David Fincher এর Gone girl.
#এনিমেটেড সিনেমা Hoodwinked

রাশমন প্রভাব(Rashomon Effect)ঃ

'রাশমন ইফেক্ট' একটি তত্ত্ব হিসেবে সর্বপ্রথম হার্বার্ড ইউনিভার্সিটির এমিরেট অধ্যাপক নুরি ইয়ালমান ব্যবহার করেন ১৯৬৬ সালে।পরবর্তীতে ১৯৭০ সাল থেকে এটি ব্যাপক হারে সাংবাদিকতায় ব্যবহৃত হতে থাকে ভ্যালেরি আলিয়ার কল্যাণে।রাশমন ইফেক্ট এখন বিচার ব্যবস্থা এবং জার্নালিজম একটি পরিচিত তত্ত্ব হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সংজ্ঞানুসারে-"Rashomon effect is the naming of an epistemological framework-or ways of thinking,knowing and remembering-recquired for understanding complex and ambigous situations."

এই সংজ্ঞা দিয়ে আসলে কে কতটুকু বুঝেছেন জানি না।তবে আমি একটু বাংলায় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।কোন জটিল এবং সন্দেহজনক ঘটনা বর্ণনার ক্ষেত্রে একাধিক স্বাক্ষী যখন বিশ্বাসযোগ্য কিন্তু সম্পূর্ণ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেয় তখন উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বলে রাশমন ইফেক্ট।রাশমন ইফেক্ট তৈরির একটা নিয়ামক হলো প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া ঘটনার অন্য কোন প্রমাণ খুঁজে না পাওয়া।

আমরা কোন ঘটনা বিচারে সবসময় প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেই।বিচারিক আদালতে তো স্বাক্ষী হলো মামলার প্রাণ।স্বাক্ষীর সত্য স্বাক্ষ্যর উপরে মামলার ফলাফল নির্ভর করে।কিন্তু কথা হলো সত্যের সংজ্ঞা কিন্তু সবার জন্য এক নয়।এখানে দুইটা বিষয় আছে-প্রথমত,আমাদের স্মৃতি সবসময় যে আমাদেরকে সঠিক তথ্য দেয় তা ঠিক নয়।(সবচেয়ে সহজ উদাহরণ পরিক্ষার হল। :-B )দ্বিতীয়ত,প্রতিটা মানুষের একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে,চিন্তাধারার জায়গা আছে।আমরা কি দেখছি সেটা যেমন আমাদের ভাবনাকে প্রভাবিত করে।তেমনি আমরা কি ভাবছি সেটাও কিন্তু আমাদের দেখাকে প্রভাবিত করতে পারে।এটা মানুষের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য।কুরাসাওয়া এই সহজাত বৈশিষ্ট্যকে যেমন আমাদের সহজভাবে দেখিয়েছেন তেমনি এর পাশাপাশি আমাদের স্বাক্ষী নির্ভর বিচার ব্যবস্থার দূর্বলতার দিকটি তুলে ধরেছেন।

উপরের কথাগুলো রাশমন সিনেমা নিয়ে আমার যে মুগ্ধতা তার কিছুটা হলেও অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেবার উদ্দেশ্যে লেখা।এখানে লেখা সব কথাই মূলত জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক।এবার সমাপ্তির আগে আমার একান্ত ব্যক্তিগত দুটো কথা বলি।রাশমন ইফেক্ট নিয়ে জানার পর আমার মনে হয়েছে আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস,মুক্তিযোদ্ধা,রাজাকার এই বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের ভিতর একটা রাশমন ইফেক্ট কাজ করছে।কেন করছে,কিভাবে করছে,আমার এরকম মনে হওয়ার কারণ সেগুলো ভিন্ন ধারার আলোচনা।যারা নিখাঁদ সিনেমাপ্রেমী তাঁরা এ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে শুধুমাত্র বিশ্ব চলচ্চিত্রের একটি মাস্টার পিসের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

সবাইকে রাশোমন গেটে আমন্ত্রণ রইলো।

টরেন্ট লিংক আপাতত দিতে পারছি না বলে দুঃখিত।ইউটিউব লিংক দিয়ে দিলাম।মূল সিনেমা থেকে ইউটিউবের ভার্সনের একটু পার্থক্য আছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
চমৎকার রিভিউ।

আপনার রিভিউ পরে মুভিটা এখন দেখা লাগবেই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: সময় করে দেখে ফেলুন।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

অ রণ্য বলেছেন: আপনি এই সিনেমাটির রিভিউ করেছেন দেখে বেশ তাজ্জব হয়েছি এবং খুশি লাগছে এমন সিনেমাও আজকাল দর্শক দেখে। আমি নিজে কয়েকটি সিনেমার রিভিউ করার সাহস করতে পারিনি, তার মধ্যে রশোমন একটি। এর সিনেমাটোগ্রাফি যেমন শক্তিশালী, তেমনি অনন্য সাধারণ কাহিনী। একটি ঘটনা কয়েকজন মানুষ বর্ণনা করছে, যার প্রত্যেকটিকেই সত্য বলে মনে হচ্ছে, অদ্ভুত এক ব্যাপার।

কুরোশাওয়া কে বিশ্বের প্রায় সব পরিচালকই মাষ্টার মানেন, শুধু পরিচালনার জন্য নয়, বরং এই লোকটি বিশ্ব সিনেমায় কয়েকটি জেনরের সফল বিস্তার ঘটিয়েছেন, যা পরবর্রতীতে হলিউডে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে, যেমন ইয়োজোম্বো সিনেমাটি ওয়েস্টার্ন সিনেমার নতুন মাত্রার পথিকৃত।

এছাড়া সেট ডিজাইনে কুরোশাওয়া ছিলেন চরম রকমের ক্রিয়েটিভ ও পরিশ্রমী। আর এডিটিং বিষয়ে না বললেও চলবে। যাই হোক আপনাকে ধন্যবাদ। রিভিউ করতে থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: কুরাসাওয়ার সবকয়টি কাজ এখনো দেখা হয়নি।ইয়োজোম্বো দেখে ফেলতে হবে সুযোগ পেলে।মন্তব্য এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৫১

ইমরান নিলয় বলেছেন: লিখে ভালো করেছেন। লিস্টে নিলাম। দেখবো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫১

কল্পদ্রুম বলেছেন: দেখে ফেলুন

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৬

কোলড বলেছেন: One of the best movie review from Bangladesh where normally Bollywood movies rule!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৬

আমি সাজিদ বলেছেন: এই পোস্ট পড়েই আমি সিনেমাটা দেখেছিলাম।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫০

কল্পদ্রুম বলেছেন: বাহ! তাহলে তো এই পোস্ট সার্থক। এই পোস্ট লেখার সময় কুরাসাওয়ার উপর একটা মোহ কাজ করছিলো। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? ব্লগে কি কোন রিভিউ দিয়েছিলেন? আমি অনিয়মিত বলে অনেক ভালো লেখা আমার চোখ এড়িয়ে যায়।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: না কোন রিভিউ দেই নাই। রাশমন দেখার পর সেভেন সামুরাই আর রান দেখেছি।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: বেশ।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সূচনা অনুচ্ছেদটা চমৎকার হয়েছে। ওটাই পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে পোস্টের শেষ পর্যন্ত।
পোস্টে উল্লেখিত Rashomon Effect নিয়ে Google Search দিয়ে এর ব্যাখ্যাটাও পেলাম। নতুন করে জানা হলো। জানার কোন শেষ নেই।
Rashomon Effect "এখন বিচার ব্যবস্থা এবং জার্নালিজমে একটি পরিচিত তত্ত্ব হিসেবে ব্যবহৃত হয়" - এ তথ্য জেনে সমৃদ্ধ হ'লাম। ধন্যবাদ, এটাকে গুরুত্ব দিয়ে একটু আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।
'চলচ্চিত্র আলোচনা' বিষয়ভিত্তিক আপনার পোস্টগুলো সুলিখিত। এর আগে 'আয়নাবাজি' নিয়ে লেখা পোস্টটা পড়েও মুগ্ধ হয়েছি। অভিনন্দন!

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০০

কল্পদ্রুম বলেছেন: দেরীতে প্রতিউত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। ভালো চলচ্চিত্র দেখলে এ বিষয়ে লিখতে ভালোই লাগে। আর পরিচালক হিসেবে আকিরা কুরাসাওয়া আমার অত্যন্ত পছন্দের মানুষ। তাকে নিয়ে এবং তার আরো কয়েকটা চলচ্চিত্র নিয়ে লিখবো বলে ভেবেছিলাম। শেষ পর্যন্ত লেখা হয়নি। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.