নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

culture and heritage activiti

কাজী চপল

সংষ্কৃতিকর্মী

কাজী চপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাদপ্রতিম গুনীজন কলিম শরাফী

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০০

জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে,
বন্ধু হে আমার, রয়েছ দাঁড়ায়ে।

জন্ম নিলেই মৃত্যু অবধারিত। আর মৃত্যু মানে চির বিচ্ছেদ। তবে সকল মৃত্যুই চিরবিচ্ছেদের নয়। কীর্তিমানরা বেঁচে থাকেন মৃত্যুর পরও। মৃত্যুতে তাদের শারীরিক প্রস্থান ঘটে কেবল। কিন্তু কর্ম তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে অনন্তকাল। কলিম শরাফী তেমনই এক কীর্তিমানের নাম। স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রবীন্দ্র সংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী।

কলিম শরাফী পুরো নাম মাখদুমজাদা শাহ সৈয়দ কলিম আহমেদ শরাফী। কলিম শরাফীর জন্ম ১৯২৪ সালের ৮ই মে বীরভূম জেলার খয়রাডিঁহি গ্রামে। পিতার নাম সৈয়দ সমী আহমদ শরাফী, মাতার নাম আলিয়া বেগম। মাত্র চার বছর বয়সে মা আলিয়া বেগমকে হারান তিনি। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া কলিম শরাফীর হাতেখড়ি হয় আরবী ওস্তাদজী আর বাংলা পণ্ডিত মশাইয়ের হাতে। এরপর ১৯২৯ সালে তিনি পাঠশালায় ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তাঁতিপাড়া প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে চলে আসেন কলকাতায় বাবা সামি আহমেদ শরাফীর কাছে। সেখানে ১৯৩৫ সালে ভর্তি হন মাদ্রাসা-ই-আলিয়াতে। অ্যাংলো পার্শিয়ান বিভাগে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন। সেসময় পরবর্তীকালে খ্যাতিমান সাংবাদিক শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার তাঁর সহপাঠি ছিলেন।

১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে যুক্ত হয়ে নিজ এলাকায় এক সভায় সভাপতিত্ব করার কয়েক দিন পর ডিফেন্স অব ইন্ডিয়া অ্যাক্টের আওতায় কলিম শরাফীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। কারাগারেই আন্দোলনকর্মী বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বীরভূম জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সেক্রেটারির দায়িত্ব নেন। পঞ্চাশের মন্বন্তর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দুর্ভিক্ষের সময় লঙ্গরখানায় কাজ করার সময় তিনি কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মুজাফফর আহমেদের সংস্পর্শে আসেন, যোগ দন কমিউনিস্ট পার্টিতে।

সম্ভ্রান্ত পীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করার ফলে শৈশবেই তার স্বাধীন জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। রক্ষণশীল পরিবার থেকে উঠে আসলেও কলিম শরাফী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেকে সবসময়ে নিয়োজিত রেখেছেন। ১৯৪৪ সালে তিনি ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার এ্যাসোসিয়েশন (আইপিটিএ)-তে যোগ দিয়ে কলকাতায় হাজারা পার্কে হাজার হাজার দর্শকশ্রোতার উপস্থিতিতে সর্বপ্রথম গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর ১৯৪৬ সালে বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে বের হয় কলিম শরাফীর প্রথম গণসঙ্গীতের রেকর্ড। প্রায় সাথে সাথেই নিয়মিত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন কলকাতা বেতারে।

এরপর ১৯৪৭ সালে তিনি শুভ গুহঠাকুরতা প্রতিষ্ঠিত শিক্ষায়তন ‘দক্ষিণী’তে রবীন্দ্রসংগীতের ছাত্র হিসেবে যোগ দেন। দক্ষিণীতে কলিম শরাফী সঙ্গীতগুরু দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সুচিত্রা মিত্রের সাহচর্য পেয়েছিলেন। এ প্রতিষ্ঠানের অন্য সংগীত শিক্ষকদের মধ্যে একজন ছিলেন সুবিনয় রায়। তাদের কাছেই তিনি সংগীত শিক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি সেখানে শিক্ষকতাও করেছেন।

১৯৪৮ সালে নীতিগত বিরোধের কারণে মহর্ষি মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, শম্ভুমিত্র, তৃপ্তি মিত্র, অশোক মজুমদার, মোহাম্মদ ইসরাইল, কলিম শরাফী প্রমুখ আইপিটিএ থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করেন নাট্যসংস্থা ‘বহুরূপী’। ‘বহুরূপী’র যাত্রাপথে ‘নবান্ন’, ‘পথিক’, ‘ছেঁড়াতার’, ‘রক্তকরবী’ ইত্যাদি নাটকের সফল মঞ্চায়ন এক একটি ইতিহাস হয়ে আছে। ১৯৪৯ সালে ফরিদপুরে গোপাল হালদার, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র ও বিজন ভট্টাচার্যসহ সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন কলিম শরাফী।

১৯৪৭-এ দেশ ভাগের পর কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে কর্মহীন হয়ে পড়েন কলিম শরাফী। ১৯৫০ সালে তিনি খুব অর্থকষ্টে পড়ে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী আবদুল আহাদ ও কবি সিকানদার আবু জাফরের আহ্বানে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা এসে তিনি বেতারে ক্যাজুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন এবং ঢাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গণসংগীত গেয়ে, বিশেষত সুকান্তের ‘অবাক পৃথিবী’ গানটি গেয়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দা বিভাগের কুনজরে পড়েন এবং ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম যান এবং সেখানে গিয়ে গড়ে তোলেন ‘প্রান্তিক’ নাট্যদল। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় কার্জন হলের সাহিত্য সম্মেলনে ‘প্রান্তিক’ তার নেতৃত্বে নাটক ও নৃত্য-সংগীত নিয়ে অংশগ্রহণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

১৯৫৬ সালে শেরে বাংলার মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করে সেকশন নাইনটি টু জারি করার ফলে কলিম শরাফীকে আত্মগোপন করতে হয়। সে বছরের শেষ দিকে তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় ‘হ-য-ব-র-ল’ নামে একটি সংগঠনগড়ে তোলেন। এ সংগঠনের ব্যানারেই মঞ্চস্থ করেন ‘তাসের দেশ’ নাটকটি। সে সময় কলিম শরাফীর সহযোগী ছিলেন ড. আনিসুর রহমান ও ড. রফিকুল ইসলাম।

১৯৫৭ সালে পূর্ব বাংলায় নির্মিত ‘আকাশ আর মাটি’ চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে তার প্রথম প্লে-ব্যাক। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করার পর কলিম শরাফীর গান Kolim-Sharafi2রেডিওতে সমপ্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এ নিষেধাজ্ঞা আর তুলে নেয়া হয়নি। ১৯৬০ সালে এসএম মাসুদ প্রযোজিত ‘সোনার কাজল’ ছায়াছবি পরিচালনা করেন তিনি। এ ছবিতে তিনি জহির রায়হানকে কো-ডিরেক্টর হিসেবে নিয়ে কাজ করেন। এ সময় তিনি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। তার সংগীত পরিচালনায় নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘ভেনিস’ আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। তারপর ‘সূর্যস্নান ছবিতে পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে গানটি গেয়ে তিনি শ্রোতামহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এছাড়া কবিয়াল রমেশ শীলের জীবন নিয়ে একটি তথ্য চিত্রও নির্মাণ করেন কলিম শরাফী।

১৯৬৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর জাপানি কারিগরি সহায়তায় পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম টেলিভিশন কেন্দ্র খোলা হয়, যার নাম এনইসি। এ কোম্পানি কলিম শরাফীকে তাদের কোম্পানির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় কলিম শরাফীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের চক্রান্ত চলতে থাকে। এ সময়ে পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে তাকে জাপানে প্রশিক্ষণে যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ এবং অভিমান নিয়ে ১৯৬৭ সালে তিনি টেলিভিশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বৃটিশ কোম্পানি পরিচালিত রেকর্ডিং কোম্পানিতে (ই এম আই গ্রুপ অব কোম্পানিজ, যা পাকিস্তান গ্রামোফোন কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ছিল) তিনি ‘ম্যানেজার ইস্ট পাকিস্তান’ হিসেবে যোগ দেন। পরে এ কোম্পানিতে তিনি জেনারেল ম্যানেজার এবং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কলিম শরাফী ১৯৬৯ সালে সত্যেন সেনের সঙ্গে উদীচীর কর্মকাণ্ডে যোগ দেন এবং ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ’। কলিম শরাফী এই উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক। পরে এই ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ’ই ‘জাতীয় রবীন্দ সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ’-এ পরিণত হয়। ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা পরিষদ-এর সম্মানিত উপদেষ্টা সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৩ সালের এপ্রিলে (১লা বৈশাখ, ১৩৯০) তিনি ‘সংগীতভবন’ নামে একটি সংগীত শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সংগীতভবনের অধ্যক্ষ ছিলেন।

১৯৮৬ সালে সংস্কৃতি অঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কলিম শরাফী ‘একুশে পদক’-এ সম্মানিত হন। ১৯৮৮ সালে নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি ‘বেতার টিভি শিল্পী সংসদ’-এর কার্যকরী পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি বাংলা একাডেমীর ফেলোশিপ অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি কলকাতার রায়মঙ্গল থেকে ‘সত্যজিৎ রায়’ পদকে ভূষিত হন। ১৯৯৬ সালে Kolim-Sharafi1রেডিও-টিভি’র স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে তাকে বাংলাদেশ টেলিভিশন পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেন ‘বেগম জেবুন্নেসা ও মাহবুব উল্লাহ ট্রাস্ট পুরস্কার’। ১৯৯৮ সালে গণসাহায্য সংস্থার সম্মাননা লাভ করেন। ২০০০ সালে মহান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। একই বছর কলকাতার দক্ষিণী ‘শুভগুহ ঠাকুরতা’ পদক এবং শেলটেক সম্মাননা অর্জন করেন। ২০০২ সালে জনকণ্ঠ সম্মাননা অর্জন করেন। একই বছর কলকাতায় ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বাংলা সংগীত মেলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক আমন্ত্রিত হন। ২০০৩ সালে বীরভূম জেলা পরিষদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে জয়দেব মেলা প্রাঙ্গণে বাউল মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার জন্য আমন্ত্রিত হন। অসুস্থতার কারণে তার পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। একই বছর বাংলাদেশ বৌদ্ধ একাডেমী (আনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রকল্প) চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার সম্পৃক্ততার কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ একাডেমী তাকে বৌদ্ধ একাডেমী পুরস্কার ’০২-এ পুরস্কৃত করেন। তিনি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান পদে সমাসীন ছিলেন।

কলিম শরাফী একাধিক চলচ্চিত্রে কন্ঠদান করেছেন ৷ “স্মৃতি অমৃত” তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ ৷ তাঁর গানের পনেরোটি ক্যাসেট ও তিনটি সিডি ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে ৷ তিনি শিল্পকলা একাডেমী কাউন্সিল ও শিশু একাডেমী কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার টিভি শিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা ও নাগরিক নাট্য অঙ্গন-এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

কলিম শরাফী প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৪৯ সালে। প্রথমা স্ত্রীর সাথে ১৯৫৭ সালে বিচ্ছেদ ঘটার পর ১৯৬৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো পরিণয় সূত্র আবদ্ধ হন। কলিম শরাফীর দ্বিতীয় স্ত্রী অধ্যাপিকা নওশেবা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। কলিম শরাফীর দুই সন্তানের নাম আলেয়া শরাফী এবং আজিজ শরাফী।

২রা নভেম্বর, ২০১০ তারিখে নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় সম্মাননার জানানোর পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবনস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রসংগীতের এক অনন্য জাদুকর। তার সেই ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ জাদুকরী কণ্ঠ সুরের সুরভী ছড়াবে অনন্তকাল। এই প্রবাদপ্রতিম গুনীজন কলিম শরাফীর মৃত্যুদিবসে মিডিয়া খবরের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

কাজী চপল বলেছেন: বিজন রায় আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.