নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

culture and heritage activiti

কাজী চপল

সংষ্কৃতিকর্মী

কাজী চপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ হল বিরক্ত উৎপাদনকারী ভুভুজেলা

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২০

নিষিদ্ধ হল বিরক্ত উৎপাদনকারী ভুভুজেলা। পয়লা বৈশাখে বিকাল ৫টার পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্টান করা যাবে না। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মা্ধ্যমে ভুভুজেলা নিষিদ্ধের দাবি করা হয়েছিল।
সামনে বাঙালির মহোৎসব বাংলা নববর্ষ। যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালি এককাতারে সামিল হবেন। বর্তমানকালের একমাত্র অসাম্প্রদায়িক উৎসব এটি।

কিন্তু ইদানীং বাঙালির একান্ত নিজস্ব ঐতিহ্যের এই উৎসবটিতে বহিরাগত সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রেই কলুষিত হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীতে নববর্ষের উৎসবে যন্ত্রণা হয়ে আসে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা কর্কশ বাঁশি ভুভুজেলা। ঐতিহ্যবাহী গ্রাম্যমেলায়ও আজ নলখাগড়া বা বাঁশের বাঁশির স্থান দখল করেছে ক্ষতিকর প্লাস্টিকে তৈরি এ বাঁশি।

শব্দ ও পরিবেশ দূষণসহ নারীর শ্লীলতাহানি ও অশোভন আচরণেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই বিশেষ বাঁশিটি। তাই আসন্ন নববর্ষে ভুভুজেলা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ইভেন্টও খোলা হয় কিছুদিন আগে। ভুভুজেলামুক্ত পহেলা বৈশাখ চাই নামের একটি ইভেন্ট বেশ সমর্থন পেয়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে। দাবী উঠেছে - বিজাতীয় সংস্কৃতির বিকট ভুভুজেলা চাইনা, আমাদের বাঁশের বাঁশিই আমাদের প্রাণের সুর। জঙ্গলে যোগাযোগের জন্য যার উৎপত্তি, এই নগরে তার দরকার নাই। ভুভুজেলা মুক্ত উৎসব চাই। নববর্ষে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ হোক’।

গত বছরের এই ভুভুজেলার অসহনীয় চিত্রপটে দেখা যায় অসহ্য, বিরক্তিকর এই বাঁশির কর্কশ সুর রমনার বটমূল থেকে টিএসসি পর্যন্ত লাখো মানুষকে চরম যন্ত্রণায় ফেলে। পাশের ব্যক্তিটির কথাও শোনা যাচ্ছিল না এর অত্যাচারে। এদিকে বিজাতীয় সংস্কৃতির ভিড়ে বাঙালি সংস্কৃতির ডুগডুগি, বাঁশি, ঢোল, মাটির তৈজষপত্র ও খেলনা বিক্রি হয়েছে একেবারেই কম। আবার টিএসসিতে নারীদের অর্ধনগ্ন করার সময় আশে পাশের মানুষসহ সবার চিৎকার যাতে না শোনা যায় সেখানে পরিকল্পিতভাবে কয়েকজন মিলে বিকট শব্দে ভুভুজেলা বাজিয়েছে বলে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশ পায়। আর ভুভুজেলা নিষিদ্ধের দাবি ওঠে গত বছর থেকেই।

অবশেষে সকলের প্রত্যাশা পূরণ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্তী। পয়লা বৈশাখে বিকাল ৫টার পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মা্ধ্যমে ভুভুজেলা নিষিদ্ধের দাবি করা হয়েছিল।

সামনে বাঙালির মহোৎসব বাংলা নববর্ষ। যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালি এককাতারে সামিল হবেন। বর্তমানকালের একমাত্র অসাম্প্রদায়িক উৎসব এটি।

অবশেষে সকলের প্রত্যাশা পূরণ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্তী। নিষিদ্ধ হল ভুভুজেলা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: ভালো একটি কাজ করেছে

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

কালনী নদী বলেছেন: টিভিতে শব্দটা শোনতে আমার এতটা খারাপ লাগত না, বরং খেলাটা দেখতে একটা আমেজই পেতাম!

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

ডি মুন বলেছেন: বিজাতীয় সংস্কৃতির ভিড়ে বাঙালি সংস্কৃতির ডুগডুগি, বাঁশি, ঢোল, মাটির তৈজষপত্র ও খেলনা বিক্রি হয়েছে একেবারেই কম।
-- ঠিকই বলেছেন। এগুলো আস্তে আস্তে বিলুপ্তির পথ ধরেছে। অযত্নে। অবহেলায়।

নববর্ষে ভুভুজেলার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেনে ভালো লাগল। ভুভুজেলার তীক্ষ্ণ শব্দ বিরক্তিকর।
আশাকরি, এবারের নববর্ষ আনন্দমুখর পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এটাই কামনা। ভালো থাকুন

+++

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

সুমন কর বলেছেন: ভালো উদ্যোগ।

কিন্তু লেখাটির প্রথম প‌্যারা ছাড়া বাকিটুকু ২বার এসেছে। ঠিক করে দিয়েন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

কাজী চপল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

বীরেশ রায় বলেছেন: “ভুভুজেলা” একটা আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা বাশিঁ। কিন্তু এই বাশিঁ- ভুভুজেলার আওয়াজ বিকট একটা আওয়াজ । এই বিকট আওয়াজের বাঁশি... এটা নিষিদ্ধ করতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাকে সাধুবাদ জানাই । তেমনি মাত্রা ছাড়া শব্দ দূষণের অন্যান্য জায়গায়ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি। যেমন রাস্তা-ঘাটে বিভিন্ন যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত হর্ণ! আমার মনে হয় বাংলাদেশের ৯৯% যানবাহনের হর্ণ ও মাইকের শব্দ তরঙ্গ অনুমোদিত মাত্রার থেকে অনেক অনেক বেশি! এ ছাড়াও বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে যেভাবে বড় বড় মাইক ও অ্যামপ্লিফায়ার উচ্চ ভলিউমে ছাড়া হয় আমার মনে হয় তা সভ্য ও শান্তি প্রিয় মানুষের কানে প্রচন্ড বিরক্তির উদ্রেক হয়! বিরক্তি বোধ করলেও রাজনীতি, ক্ষমতা কিংবা ঘটনার সাথে ধর্মীয় আবেগ জড়িত বিধায় কেউ মুখ ফুটে বলার সাহস পায় না! সভা সমাবেশ হচ্ছে এক জায়গায় আর ব্যাপক এড়িয়া জুড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে খুঁটিতে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে উচ্চ ভলিউমে বড় বড় অ্যামপ্লিফায়ার! আপনি শুনবেন না? জোর করে উচ্চ ভলিউমের অ্যামপ্লিফায়ার আপনার কানে লাগিয়ে হলেও শোনাবে! যেন দেশটা একটা মগের মুল্লুক! যার যা ইচ্ছা কর কারো কিচ্ছু আসে যায় না!! কাজেই এ ব্যাপার গুলোতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগ ছাড়া স্বাভাবিক প্রচারণায় বন্ধ করার কোন উপায় নেই বা হবেও না! কারণ আমরা বাঙ্গালী জাতি এখন ও এতটা সভ্য হইনি!!
সবাইকে অগ্রিম নববর্ষের শুভেচ্ছা । সবার জন্য শুভ হোক ১লা বৈশাখ ১৪২২!!!

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৮

অপূর্ব আফজাল বলেছেন: সুসংবাদ :)

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫২

মেহেদী সোহেল বলেছেন: আওয়ামী লীগ ভাল কাজ করে তাহলে।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৯

সুদীপ্তা মাহজাবীন বলেছেন: বৈশাখী অনুষ্ঠানের সময়সূচীও নির্ধারণ করে দিয়েছে পড়লাম । বিগত বছরের মত কুৎসিত কিছু হবেনা আশা করছি ।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: ভালো কিছু প্রত্যাশা করি সব সময়ই। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.