নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
view this link
গত এক মাসে বিনা অপরাধে চাকরি হারিয়েছেন একুশে টেলিভিশনের শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। যাদের চাকরি যাওয়ার মত কোন অপরাধই ছিল না, দীর্ঘদিন যাবৎ যাদের অক্লান্ত মেধা আর পরিশ্রম এর ফসল আজকের একুশে টেলিভিশন সেইসব কর্মীদের বিনা বাক্য ব্যয়ে চলে যেতে বাধ্য করা হল। প্রায় প্রতিদিনই পালাক্রমে চাকরি হারাচ্ছেন একুশে টেলিভিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিশ্বস্তসুত্রে জানা গেছে যে নতুন করে একজন চাকুরীতে যোগ দিচ্ছেন আর একজন করে পুরাতনকর্মীকে চাকুরীচ্যুত করা হচ্ছে। পুরাতন সকলে এখন আতংকে আছেন আর অপেক্ষায় আছেন কখন তাকে বলে দেয়া হবে যে আপনি পদত্যাগ করবেন না চাকুরীচ্যুত হবেন।
অথচ বর্তমান কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম মালিকানায় এসে বলেছিলেন কাউকে বাদ দেয়া হবেনা, সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাবে একুশে টেলিভিশন। ধীরে ধীরে পুরোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাদ দেয়ার এ রীতিকে মিডিয়ার লোকজন অনৈতিক কাজ হিসেবে দেখছেন।
২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল উন্মুক্ত টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন কেন্দ্র হিসেবে সম্প্রচার শুরু করলেও ২০০২ সালের ২৯ অগাস্ট চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে আদালতের রায়ের পর একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর ২০০৫ সালের ১৪ এপ্রিল পুনরায় সম্প্রচারের অনুমতি নিয়ে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ স্যাটেলাইট টেলিভিশন হিসেবে সম্প্রচারে আসে একুশে টিভি।
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা এক মামলায় ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন একুশে টিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই থেকে তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন। পরে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়।
আব্দুস সালাম জেলে থাকার সময় গত বছরের ৮ অক্টোবর এক নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে একুশে টেলিভিশন লিমিটেডের শেয়ার এবং ট্রেডমার্ক, সার্ভিস মার্ক, লোগোসহ এতদসংক্রান্ত সব কিছু কিনে নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর ২৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মণ্ডলীর এক সভায় পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আসে। বর্তমানে একুশে টিভির পরিচালনা পর্ষদে মোহাম্মদ সাইফুল আলম চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সামাদ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন।
বর্তমানে নতুন পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহনের পর একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। সম্প্রতি অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন ফারহানা নিশো। একদিকে নতুন নতুন কর্মচারীর যোগদান অন্যদিকে চলছে সাধারন কর্মীদের চাকরি হারানোর পালা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪১
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনি এছাড়া আর কী আশা করতে পারেন? একটি সবল-শক্তিশালী জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমকে শেষ পর্যন্ত নিলামে তুলে কিনে ফেলা হলো! এরপর কারা এটির ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে, আর কারা চাকুরিটাও হারাবে সেটি জানার জন্য কি চোখ খুলে তাকিয়ে থাকার দরকার থাকে? শিক্ষা কাকে বলে দেখুন!