নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চৈত্র শেষে আসছে নতুন বৈশাখ। পয়লা বৈশাখে নতুন বাংলা বছর ১৪২৩ বঙ্গাব্দ বরণ করবে বঙ্গবাসী আর এ বরণে সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয় মঙ্গল শোভাযাত্রা, এখন বাঙালি সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা ছাড়া বাংলা বছরের কথা চিন্তাই করা যায় না। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটি ব্যাপক আয়োজনে পালন করা হয়। আর মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলছে মহাযজ্ঞ।
বৈশাখকে বরণ করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রস্তুতি নামক মহাযজ্ঞের উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রথিতযশা শিল্পীরা। চারুকলার সবুজ আঙিনায় এখন চোখে পড়ছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রতিবছরই চলমান সময়ের বিবেচনায় একটি বিশেষ বিষয় বা ভাবনা হয়ে ওঠে এ শোভাযাত্রার প্রধান অনুষঙ্গ। প্রাথমিকভাবে এ বছরের শোভাযাত্রার ভাবনায় উঠে এসেছে মা ও শিশুর মমতাময় সম্পর্ক। সামাজিক অবক্ষয়ে মায়ের হাতে সন্তানের মৃত্যু কিংবা সন্তানের প্রতি বাবা-মার অযত্ন-অবহেলার প্রেক্ষাপটে নির্ধারিত হয়েছে এবারের বিষয়। সামাজিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে মা ও সন্তানের মধুর সম্পর্কের বিষয়টি হয়ে উঠেছে নববর্ষের শোভাযাত্রার মূল অনুষঙ্গ। চারুকলার শিক্ষকদের সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের নিরলস শ্রমে এগিয়ে চলছে সেই প্রস্তুতি পর্ব। বাংলা বছরের শেষ দিন ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ প্রস্তুতি।
বৈশাখের নানা আনুষ্ঠানিকতার মাঝে বর্ণিলরূপে ধরা দেয় চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা।
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিমঙ্গল শোভাযাত্রার মুখ্য উদ্দেশ্যটি উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, চারুশিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পরিশ্রমে এই শোভাযাত্রা সার্বজনীন রূপ পেয়েছে। সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক অবস্থানের কথাই প্রকাশ করে এই শোভাযাত্রা। মানুষের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান অন্তর্নিহিত আছে এর মাঝে। সেক্যুলারিজম চর্চার পথ ধরেই বেড়ে ওঠা শোভাযাত্রাটি এখন গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। যার কারণে ধার্মিক মানুষটিও মনের আনন্দে যোগ দেন এ আনন্দযজ্ঞে। আর এ সার্বজনীনতাকে স্পর্শ করার তাগিদেই আমরা কখনও বিজ্ঞাপনের খপ্পরে পড়তে চাই না। তাই চারুকলার ছাত্র ও শিক্ষকদের সৃজিত শিল্পকর্ম বিক্রির মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের তহবিল গঠন করি।
১৬ মার্চ চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি পর্বের উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত দুই শিল্পী রফিকুন নবী ও মনিরুল ইসলাম। এরপর রবিবার থেকে সমগ্র শোভাযাত্রার মূল কাজ শুরু হয়েছে। এখন মূলত শোভাযাত্রার খরচ তোলার জন্য শিমঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জলরঙে আঁকা ছবি বিক্রি। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রার অন্যতম আর্কষণ বাহারি মুখোশ ও পেপার ম্যাশের প্রাথমিক কাজ। আজ মঙ্গলবার থেকে পূর্ণাঙ্গরূপে কাজ শুরু হবে।
পয়লা বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল সকাল নয়টায় বেরুবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিভিন্ন লোকজ অনুষঙ্গ ও কাঠামো সঙ্গী করে শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে বের হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল (সাবেক রূপসী বাংলা) হোটেল চত্বর ঘুরে আবারও চারুকলার সামনে এসে শেষ হবে।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
স্বপ্ন007 বলেছেন: এটা স্রেফ একটি কুসংষ্কার। কারন আগামী বছর কেমন কাটবে তা বির্ভর করবে কেবল আমার কর্মের উপর। একটি শোভাযাত্রাতে অংশ নিয়ে আগামী বছর ভাল কাটার প্রত্যাশা করা স্রেফ বোকামী। তাছাড়া ইতিহাস বলে শোভা যাত্রার চল শুরু হয়েছে ১৯৬০ দশকরে পরে। তাহলে এটা বংলা সংস্কৃতির অংশ হয় কিভাবে? বলতে হবে বাংলা সংস্কুতিতে ঢুকে পড়া একটি কুসংষ্কার মাত্র।