নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগই আমার পরিচয় । । ।

কথার ফুলঝুরি!

ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে ধরা দিয়েছ যে আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে॥

কথার ফুলঝুরি! › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় অপ্রিয় "কেকা ফেরদৌসী"

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১২




“কেকা ফেরদৌসী” বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রন্ধন শিল্পী। তবে কেকা ফেরদৌসী কে আমরা অনেকে রন্ধন শিল্পী হিসেবে যতটা না চিনি তার চেয়ে বেশী চিনি তাঁকে নিয়ে করা ফেসবুক ও ইউটিউব ট্রল এর মাধ্যমে। বিশেষ করে রমজান মাস আসলে তো ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে করা ট্রল এর ছোটখাটো বন্যা বয়ে যায়।

তাঁকে নিয়ে ট্রলের শুরুটা খুব বেশী দিন আগের ও না। এইতো যখন থেকে তিনি ডেকো নুডুলস নিয়ে রান্নার অনুষ্ঠান শুরু করলেন তখন থেকে যেন বিষয়টা নিয়ে আরও বেশী নাচানাচি শুরু হল।

এটা সত্যি তিনি নুডুলস নিয়ে এমন কিছু অদ্ভুত ও উদ্ভট রেসিপি বানিয়েছেন যেগুলোর নাম আসলেই হাস্যকর যদিও সেগুলোর স্বাদ চেখে দেখা হয়নি।
তবে দেশের একজন সম্মানিত বিশিস্ট রন্ধনশিল্পি কে নিয়ে এই ট্রলের ও হাসি ঠাট্টার বিষয়টা আমার কাছে একটু অতিরিক্ত ও অশোভন ই মনে হয়েছে।



রান্না একটা শিল্প। অনেকটা এক্সপেরিমেন্ট। আমরা নিজেরা ও তো বাড়ীতে টিভি, ইউটিউব, রান্নার বই দেখে কিংবা নিজেদের বুদ্ধিতে মাঝে মাঝে নতুন নতুন রান্নার চেষ্টা করি। আমাদের রেসিপি বা রান্না ও মাঝে মাঝে অনেক ভালো আবার মাঝে মাঝে খুব ই জঘন্য হয়। কেকা ফেরদৌসি ও তেমন আমাদের অতি সহজ ও সহজলভ্য ও প্রিয় একটি খাবার নুডুলস কে কিছুটা অন্যরকম ঢং এ রান্নার চেষ্টা করেছেন। সবসময় একই রকম ভাবে রান্না করার রেসিপি টা কে একটু ভিন্ন ও নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। হতে পারে সেটা নুডুলসের ভর্তা, নুডুলস এর সবজি পিয়াজু কিংবা নুডুলস দিয়ে শর্মা।

নাম শুনেই আমরা অস্থির। চিলে কান নিয়েছে শুনে কানের জায়গায় কান আছে কি নেই তা না দেখেই চিলের পেছনে ছুটছি, কিন্তু কেউ কি সেই রান্না বা রেসিপির স্বাদ নিয়ে দেখেছি কখনো আসলেই সেটা খেতে কেমন। এমন ও তো হতে পারে নামে যতটা হাস্যকর খেতে অতটা জঘন্য হয়তো না। কিংবা যদিও জঘন্য হয় আমাদের নিজেদের রান্না ও কি সবসময় বেহেস্তি খানা হয়? শুধু উনি একজন সেলিব্রিটি বলে তার অপরাধ যেন অমার্জনীয়। সেলিব্রিটি রা ও আমাদের মত রক্ত মাংসে গড়া একই দেশ ও একই গ্রহের মানুষ।



সম্প্রতি তিনি ফুল দিয়ে খাবার পরিবেশন করার জন্য বিখ্যাত হয়েছেন। হয়তো বিষয়টা হাস্যকর তবে নতুন কিছু নিয়ে আসতে হলে কখনো সেটা গ্রহণযোগ্য হয় কখনো হয়না। এটাই স্বাভাবিক। বড় কথা একঘেয়েমি থেকে বেড়িয়ে এসে উনি চেষ্টা করছেন রান্না ও রান্নার পরিবেশন কে নতুনত্ব দিতে।

আমরা হুজুগে মাতি বেশী। আর ফেসবুক হওয়াতে সেই হুজুগ পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে যেতে লাগে দুই মিনিট মাত্র। কাউকে বিখ্যাত বানাতে ও লাগে দুই মিনিট আবার একজন সম্মানিত ব্যক্তি কে নিয়ে ট্রল এর হাসাহাসি তে মেতে উঠতে ও লাগে মাত্র দুই মিনিট।
তবে একটা কথা স্বীকার করতে হবে। আমরা আসলেই অনেক মেধাবী জাতি সেটা বুঝা যায় ফেসবুক ও ইউটিউব এর বিভিন্ন ট্রল দেখলে। কি বুদ্ধি একেকজনের যারা এগুলো বানায়। আহারে, এই বুদ্ধি যদি তারা ভালো কোন কাজে ব্যয় করতো। আমার লেখায় মধ্যে যে ট্রল এর ছবি দুইটা দিয়েছি কেকা ফেরদৌসি কে নিয়ে করা এমন হাজারো ট্রল ছবি পাওয়া যাবে গুগল ও ফেসবুক ঘাঁটলে। মানুষকে মজা দেওয়ার জন্য যতখানি সময়, মেধা ও শ্রম ব্যয় করে এসব বানিয়েছেন যারা, ওইটুকু সময়, শ্রম ও মেধা যদি নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিক কোন কাজে ব্যয় করতো তাহলে নিজেদের ই তো ভালো হতো।




আমরা যারা কেকা ফেরদৌসী কে নিয়ে ট্রল বানাই ও হাস্যরসে মেতে থাকি তারা কি এটা জানি যে তিনি একজন আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মান প্রাপ্ত রন্ধন শিল্পী। আমাদের দেশের রান্না ও আমাদের দেশের নাম কে যিনি দেশের গণ্ডি পার করে বিদেশের মাটিতে নিয়ে গিয়েছেন। রান্নার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। মাতৃভাষা বাংলায় লেখা রান্নার বই “স্বাস্থ্য সচেতন রান্না” বইটির জন্য তিনি ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল গরমাল্ড ওয়ার্ল্ড কুকবুক এ্যাওয়ার্ড ২০১০ বেস্ট টিভি সেলিব্রিটি শেফ রেস্ট অফ দা ওয়ার্ল্ড পেয়েছেন। ১৫০ টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লড়ে ২০১০ সালে তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়া ও তিনি যুক্তরাজ্য থেকে পেয়েছেন ব্রিটিশ কারী এ্যাওয়ার্ড।

এইযে বিশিষ্ট এই শিল্পী কে নিয়ে ট্রল বানাচ্ছে যে প্রজন্ম তাদের ও জন্মের আগে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি দেশী বিদেশী রান্না নিয়ে কাজ করছেন।

প্রতি রোজার মাসে চ্যানেল আই তে করা তার রান্নার অনুষ্ঠান টি এ বছর ২০ বছরে পা দিল। হা অনেকে হয়তো বলতে পারেন চ্যানেল আই এর সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। তবে কথা হচ্ছে যে কোন সাফল্য এর ক্ষেত্রে প্রশংসা ও উৎসাহ দেওয়ার মত মানুষ ও যেমন থাকবে তেমন থাকবে নিন্দুক ও সমালোচনা কারী।

এছাড়া ও পত্র পত্রিকা ও অন্যান্য চ্যানেল এ ও তার রান্নার অনুষ্ঠান প্রচার হয় এবং কেকা ফেরদৌসীর রান্না ঘর নামে তার একটি রান্নার স্কুল ও আছে।
কেকা ফেরদৌসীর লেখা কয়েকটি রান্নার বই-
১. ডায়াবেটিসের মজাদার রান্না
২. স্বাস্থ্য সচেতন রান্না
৩. দেশ বিদেশের রান্না
৪.হারানো দিনের রান্না
৫.সোনালী দিনের রান্না
৬.থাই, চাইনিজ ও ভারতীয় রান্না
৭.মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না
৮.ঝট পট আচার
৯.রকমারি নাস্তা
১০.মজাদার রান্না

ব্যক্তিগত জীবনে কেকা ফেরদৌসী চলচিত্র পরিচালক ও চলচিত্র সাংবাদিক মরহুম ফজলুল হক ও কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের কন্যা। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জন্ম তার। স্বামী ইমপ্রেস গ্রুপ এর পরিচালক আব্দুল মুকিত মজুমদার। তার দুই সন্তান সোনালী ও আকাশ।

আর বেশী কথা না বাড়িয়ে পরিশেষে শুধু এইটুকু বলতে চাই, কেকা ফেরদৌসী এর মত একজন আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী রন্ধন শিল্পী কে নিয়ে ট্রল বানিয়ে হাস্যরস করা টা খুব সহজ কিন্তু নিজের দেশের অতি সাধারন রান্না কে নতুন নতুন ঢং এ নিয়ে আসার চেষ্টা, সেই রান্না কে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য কতখানি ধৈর্য, শ্রম ও মেধার প্রয়োজন হয় তা কি ভেবে দেখেছি একবার ও ?

না ভাবলে এবার একটু না হয় ভাবি !

বিশিষ্ট এই রন্ধন শিল্পীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা কেকা ফেরদৌসি" আন্টির হাতের রান্না খাওয়া।। =p~ :-B

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: খুব ই ভালো ইচ্ছা নাতী :P তিনি এত নতুন নতুন রান্না উপহার দিচ্ছেন আমাদের অবশ্যই সেগুলো খেয়ে দেখা উচিত।
লেখা পড়ার জন্য পাঠক খুজে পাওয়া আর নতুন রান্নার জন্য সেটি খেয়ে স্বাদ নেওয়ার মত ভোজন বিলাসী মানুষ খুজে পাওয়া দুটোই কঠিন। =p~

২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

জুন বলেছেন: আমাদের মাঝে কেউ একজন উচুতে উঠলে কি করে তাকে টেনে নামাতে পারি তার এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা আমাদের অনেকের মাঝেই বিদ্যমান । আমার ভাবীর হাতে দু তিন বার নুডলসের পকোরা খেয়েছিলাম । খুবই ভালোলেগেছে । আমার ছেলেও বলে "আম্মু রান্নার মাঝে কিছু নতুনত্ব আনো , একই রকম তরকারী ভাজী আর ভালোলাগে না "।
লেখায় প্লাস কথার ফুলঝুরি ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "আমাদের মাঝে কেউ একজন উচুতে উঠলে কি করে তাকে টেনে নামাতে পারি তার এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা আমাদের অনেকের মাঝেই বিদ্যমান' খুব ই বাস্তব এবং সত্যি কথা বলেছেন।

"আমার ভাবীর হাতে দু তিন বার নুডলসের পকোরা খেয়েছিলাম । খুবই ভালোলেগেছে । আমার ছেলেও বলে "আম্মু রান্নার মাঝে কিছু নতুনত্ব আনো , একই রকম তরকারী ভাজী আর ভালোলাগে না " সেটিই, নতুন নতুন কিছু চেষ্টা করা উচিত সবার ই, তাতে একঘেয়েমি কাটে এবং একশোটি রান্নার মধ্যে নিশ্চয় সেখান থেকে অন্তত ৫ টি মনে রাখার মত রান্না হবে, এই ৫ টি বিশেষ রান্নাকে স্বাগতম জানানোর জন্য বাকি ৯৫ টি পচা রান্না কে আমরা ভালো ভাবে নিতেই পারি।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

বিজন রয় বলেছেন: আমি মনে হয় ওনার চেয়ে ভাল রান্না করতে পারি।
কিন্তু মিডিয়া আমাকে চেনেনা।

উনি রান্না নিয়ে যে গবেষণা করেন তার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ।

আপনিও কি রন্ধন পটিয়সী??

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "আমি মনে হয় ওনার চেয়ে ভাল রান্না করতে পারি" জেনে ভালো লাগল বিজন রয় ভাই, আপনার হাতের রান্না করা খাবার খেতে পারলে ভালই হতো। :-B

"আপনিও কি রন্ধন পটিয়সী??" তেমন ভালো হয়তো না তবে একেবারে খারাপ ও না। আমার খুব ভালো লাগে আমার পছন্দের মানুষগুলো কে তাদের পছন্দের খাবার নিজে রেধে খাওয়াতে :P

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আসলে নুডুলস আমরা একই ভাবে রান্না করে খেয়ে অভস্থ্য, কেকা ফেরদৌসি নুডুলস রান্নায় বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছেন। নতুন জিনিষ হজম করা বাঙালির জন্য একটু কঠিন, একসময় হয়তো এইসব পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয় হবে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া, নতুনত্ব কে গ্রহন করতে আমাদের একটু সময় লাগে বৈকি। তবে একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠার জন্য নতুন নতুন আইডিয়া দরকার।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: কেয়া ফেরদৌসি থেকে নিজেদের মনের মানুষ খুব ভআল।রাঁধতে পারে। B-)

ভাল লাগলো। উপবাসের সময়ে এমনন পোস্ট।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "কেয়া ফেরদৌসি থেকে নিজেদের মনের মানুষ খুব ভআল।রাঁধতে পারে' হাহা! হয়তো পারে ভাইয়া। তবে উনিও চেষ্টা করছেন নতুন কিছু করতে এ জন্য উনাকে ধন্যবাদ। এবং তিনি কেকা ফেরদৌসি, ভাইয়া :P

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমার বউ রান্না করতে পারেনা। এখন তার বাপের বাড়ী রান্না শিখতেছে :P আমি এখনো বুয়ার হাতের রান্না খাই...
কষ্টের কথা কইয়া লাভ নাই। :P


নানী তোমার হাতের রান্না কবে খাওয়াবে?? :-B

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "আমার বউ রান্না করতে পারেনা। এখন তার বাপের বাড়ী রান্না শিখতেছে" দোয়া করি খুব শীঘ্রই বউ এর হাতের রান্না খাওয়ার সৌভাগ্য হোক। :-B

"নানী তোমার হাতের রান্না কবে খাওয়াবে??" নানী বুড়ী মানুষ, রান্না করতে পারেনা :P

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশে গুনী মানুষকে অসন্মান করা অনেকে তাদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করে। এরা আসলে লিলিপুটিয়ান মগজ নিয়ে জন্মেছে। এদেরকে বললেও বুঝবে না, তাই ইগনোর করাই ভালো।
ভালো লিখেছেন।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "এরা আসলে লিলিপুটিয়ান মগজ নিয়ে জন্মেছে। এদেরকে বললেও বুঝবে না, তাই ইগনোর করাই ভালো" খুব সত্যি একটি কথা বলেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য এর জন্য। ভালো লিখেছি জেনে ভালো লাগল।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

মিথী_মারজান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ফুলঝুরি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ধন্যবাদ মিথী_মারজান আপু আপনার মন্তব্য এর জন্য। লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

নাজিম সৌরভ বলেছেন: কেকা ফেরদৌসীকে নিয়ে বাজে কমেন্টস বা ট্রল আমিও করিনি । তবে মাঝে মাঝে তিনি বিতর্কিত রেসিপি সাজিয়ে নিজেই ট্রলের পাত্রী হচ্ছেন ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "তবে মাঝে মাঝে তিনি বিতর্কিত রেসিপি সাজিয়ে নিজেই ট্রলের পাত্রী হচ্ছেন' জী ভাইয়া কথা অনেক তা সত্যি, তবে যে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। ধন্যবাদ নাজিম ভাইয়া আপনার মন্তব্য এর জন্য।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম, হুমম উনার গুছিয়ে কথা বলার ঢংটা আমার ভাল লাগে, তাছাড়া খুব সহজে কিভাবে রান্না করা যায় তা উনি খুবই ভাল করে বুঝিয়ে দেন, তবে আমার কাছে যেটা মনে হয় একজন মানুষ তার নিজস্ব স্বকীয়তা দিয়ে রান্নাকে শিল্পে পরিণত করেছে, যেখানে আগে ছিল না, এখন ছেলেরাও রান্নার দিকে ঝুকছে—কারণ আগে ছিল রান্না শুধুই নারীর কাজ এবং তা ছিল বোরিং একটা বিষয় --- যাইহোক আপনার সুন্দর উপস্থাপনা ভাল লেগেছে

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন লাইলী আপু।

"আমার কাছে যেটা মনে হয় একজন মানুষ তার নিজস্ব স্বকীয়তা দিয়ে রান্নাকে শিল্পে পরিণত করেছে, যেখানে আগে ছিল না, এখন ছেলেরাও রান্নার দিকে ঝুকছে—কারণ আগে ছিল রান্না শুধুই নারীর কাজ এবং তা ছিল বোরিং একটা বিষয়" কথা সত্যি আপু, রান্না একটা শিল্প এবং নিজের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ আছে রান্নায়, আর হা ছেলেরা ও ঝুকছে ইদানিং রান্নার ক্ষেত্রে।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আপনার লেখাটি না পড়লে এই বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা থেকে যেতো।
ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা পড়া এবং আপনার মন্তব্য এর জন্য, বিএম বরকতউল্লাহ ভাইয়া।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ধন্যবাদ লাবণ্য আপু। লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইয়ে মানে, বাবুর্চি, শেফ আর রন্ধনশিল্পী এই তিন জিনিসের ভেতর পার্থক্য কি?

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "ইয়ে মানে, বাবুর্চি, শেফ আর রন্ধনশিল্পী এই তিন জিনিসের ভেতর পার্থক্য কি?" হাহাহা! হাসালেন ভাইয়া। =p~ পার্থক্য হচ্ছে, বাবুর্চি ও শেফ এর চেহারা দেখার সৌভাগ্য আমাদের হয়না বেশীরভাগ সময় শুধু তাদের খাবার খেতে পারি আর রন্ধনশিল্পি দের চেহারা দেখতে পারি কিন্তু তাদের হাতের রান্না খাওয়ার সৌভাগ্য হয়না আমাদের। :P

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ!! কেকা ফেরদৌসীকে নিয়ে চমৎকার একটি ফিচার। পড়ে ভাল লাগলো। তবে একটি কথা বলি, প্রতিটি মানুষের উচিৎ নিজের সম্মানকে নিজে থেকে জলাঞ্জলী না দেওয়া। এটা করলে সমাজে তাকে নিয়ে হাসাহাসি হয়। আর মানুষটি যদি সেলিব্রেটি পর্যায়ের কেউ হন তাহলে এর প্রতিক্রিয়া আরো বিস্ফোরক হয়। এতে মানুষটির আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়। আমাদের সবার উচিৎ এ বিষয়টিতে সতর্ক থাকা।

আমি কেকা ফেরদৌসীর কোন ফ্যান নয়। যদিও আমি রান্নাবান্না করতে পছন্দ করি। আমি অনেক ভাল ভাল রান্নার রেসিপি জানি। রান্না করা আমার শখ। কিন্তু গত কয়েক বছরে কেকা আপা রান্নার এক্সপেরিমেন্টের নামে যা করেছেন তা নিতান্ত পাগলামী ছাড়া কিছুই নয়। আমি একজন শেফ। এজন্য জানি রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্টের একটা সীমা পরিসীমা আছে। একজন সেলিব্রটি শেফ এমন আবুল তাবুল রেসিপি টিভিতে দেখিয়ে কখনো নিজের সম্মানকে ধূলায় মেশাবে না।

মানুষ এখন অনেক সচেতন। রান্নার নামে আপনি পাগলামী করবেন আর পাবলিক বিনা বাক্যে তা মেনে নেবে!!! উনাকে নিয়ে ট্রুল হওয়া যথার্থ ছিল। এজন্য উনি নিজেই দায়ী।

(আজকের আমার রম্য গল্পটি একটু দেখে আসবেন, আপু)

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভাইয়া, লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম।
তবে হা ভাইয়া আপনার কথা ও সত্যি, আমরা মাঝে মাঝে যে কোন বিষয়ে একটু বেশী ই করে ফেলি। কেকা ফেরদৌসি, তার ও যেমন নিজের সম্মানের দিকে খেয়াল রাখা উচিত, এমন কিছু না করা যেন মানুষ হাসাহাসি না করতে পারে আবার যারা হাসাহাসি করে তাদের ও অতিরিক্ত করা উচিত না।

"যদিও আমি রান্নাবান্না করতে পছন্দ করি। আমি অনেক ভাল ভাল রান্নার রেসিপি জানি। রান্না করা আমার শখ" জেনে ভালো লাগল ভাইয়া, যদিও আপনার হাতের রান্না খাওয়ার সৌভাগ্য আদৌ হবে না :((

"রান্নার নামে আপনি পাগলামী করবেন আর পাবলিক বিনা বাক্যে তা মেনে নেবে!!! উনাকে নিয়ে ট্রুল হওয়া যথার্থ ছিল। এজন্য উনি নিজেই দায়ী' হাহাহা! ভাইয়া খেপলেন কেন :P

"(আজকের আমার রম্য গল্পটি একটু দেখে আসবেন, আপু)" ভাইয়া, প্রথম পাতায় যেদিন থেকে আসলাম আর অমনি আমার কাজ ও বেড়ে গেল অফিস এ, একটু ও সময় করে কারও লেখা পড়তে পারছিনা। আজকের টা নিয়ে আপনার লাস্ট দুইটা লেখা পড়া হয় নি। :( আমার মনে আছে ভাইয়া, আপনার লেখা কি ভুলতে পারি আমি? তাড়াহুড়ো করে না পড়ে একটু সময় নিয়ে ভালো মত পড়তে চাই।



১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: চ্যানেল আই না থাকলে আপনাকে অনেক কেই চিনতে পারতাম না।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: রাজীব নুর ভাইয়া, মাঝে মাঝে আপনার মন্তব্য এর মানে বুঝতে আমার কয়েক মিনিট লাগে । হাহা! :P অল্প কোথায় অনেক কথা বলেন আপনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্য এর জন্য।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি একবার একটা বিদেশী রিয়েলিটি শো দেখছিলাম। সেখানে প্রতিযোগী খারাপ গান গাচ্ছিল বলে অডিয়েন্সরা বুউউ করছিল। তখন প্রতিযোগী রেগে যায় এবং বলে, "শ্যাট আপ গাইজ!" তখন জাজ বলেন, "দিজ ইজ শো বিজনেস, তুমি নিজে থেকে এখানে এসেছ নিজের ট্যালেন্ট দেখাতে। অডিয়েন্সের অপিনিওন আছে, তারা সেটা দেখাবে। ইফ ইউ ক্যান্ট টেক দ্যা হিট, ইউ শুডন্ট নট বি ইন আওয়ার কিচেন!"
এই কথাটি বলার মানে হচ্ছে একজন তারকা হওয়া মানে আসলেই রক্ত মাংসের মানুষের উর্ধ্বে চলে যাওয়া। তারকা হলে ভালো কাজের অতিরিক্ত সম্মান এবং খারাপ কাজের অনেক বেশি দাম দিতে হবে। একজন গৃহিনী খারাপ রান্না করলে তারা পরিবারের ৫/৬ জন হয়ত খারাপ কিছু বলতে পারে। যখন কেকা ফেরদৌসি মুরগীর ভেতরে নুডুলস ঢুকিয়ে দেন, ডুলুসের ভর্তা তৈরি করেন (আই ডোন্ট কেয়ার দে টেস্ট গুড অর নট, এমন কিছু দেখেই আমার খাবার ইচ্ছে মরে যেত), তখন দেশের প্রতিটি পরিবার যেহেতু তাকে চেনে, তাকে তো ট্রলিং ফেস করতেই হবে। আবার তিনি দেশের হাজার মানুষের কাছে অনুপ্রেরণাও বটে। এই নুডুলস ঘটনার আগ পর্যন্ত তার শুধু ভালো অবদানই দেখা গেছে কুকিং ইন্ডাস্ট্রিতে।

কাওসার চৌধুরীর মন্তব্যে লাইক! আমি সহমত পোষন করছি ওনার সাথে।

আপু, আপনার পোষ্টের বক্তব্য আমি বুঝতে পারছি। আপনি অনেক গুছিয়ে নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারেন। এটা একটা গুণ। আমি সহমতও পোষন করছি অনেকটা। সবকিছুরই লিমিট থাকে, লেবু বেশি চিপে তিতা করার মানে নেই। সম্মানী মানুষকে নিচে নামানোর আগে আমাদের ভাবা উচিৎ, তেমনি সম্মানী মানুষটিরও ভাবা উচিৎ কিভাবে নিজের সম্মানটাকে ধরে রাখা যায়।

অনেক ভালো থাকবেন কথা আপু!

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সত্যি বলতে আপু, আমার নিজের ও প্রথম প্রথম উনার বিষয়গুলো হাস্যকর লাগত। কিন্তু যখন দেখলাম বিষয়টা একটু অতিরিক্ত তখন কেমন অশোভন ও লাগল আমার কাছে। তাই লেখাটি লেখা।

আপনি ঠিক বলেছেন আপু, যে অডিয়েন্স এর কথা ভাবতে হবে, অডিয়েন্স ই রায় দিবে কোন কিছুর মান সম্পর্কে, তবে অডিয়েন্স এর ও কিন্তু উচিত যে কোন কিছুর স্বাদ নিয়ে তারপর মন্তব্য করা , তাদের রায় দেওয়া। একটা গান না শুনে, একটা সিনেমা না দেখে, যে কোন লেখার শুধু শিরোনাম দেখে কিন্তু লেখাটি না পড়ে আমরা যেমন মন্তব্য করতে পারিনা বিষয়টি কেমন ঠিক তেমনি কোন রান্না না খেয়ে শুধু নাম দেখেই আমরা মন্তব্য করতে পারিনা সেটির স্বাদ কেমন।
রান্না সম্পর্কে তখন ই মন্তব্য করতে পারব যখন সেটি খেয়ে দেখব, Otherwise Not. কেউ যদি আমাকে বলে তিনি কেকা ফেরদৌসীর রেসিপি রান্না করে খেয়ে দেখেছেন স্বাদ জঘন্য আমি তার মতামত একসেপ্ট করবো কিন্তু যে না খেয়ে শুধু নাম দেখে বলবে জঘন্য আমি তার মতামত একসেপ্ট করবো না। কোন রান্নার অনুষ্ঠানে বিচারক রা নিশ্চয় শুধু নাম দেখে রান্না টি না খেয়ে নং দেন না। হতে পারে তার রান্নার নাম টি জঘন্য কিন্তু খেতে তো অতটা জঘন্য না ও হতে পারে।

আমি শুধু এটাই বলব নামে নয় কাজে পরিচয় হওয়া উচিত

কিচেনে আসলে তাপ তো অবশ্যই সহ্য করতে হবে। আমার লেখা খারাপ হলে অবশ্যই আমাকে পাঠকের খারাপ মন্তব্য হজম করতে হবে, তবে সেটি পজিটিভ ভাবে, যেন পরের লেখায় আমি আরও ভালো লেখা দিয়ে তাদের প্রশংসা অর্জন করতে পারি। কেকা ফেরদৌসী ও খুব সুন্দর ভাবে তাঁকে নিয়ে করা ট্রল এর জবাব দিয়েছেন। এবার ভিম মনোহর ইফতারের কোন এক পর্বে তিনি বলেছেন, ডেকো নুডুলস নিয়ে করা তার অনুষ্ঠানের পরে অনেক ট্রল হয়েছে তাঁকে নিয়ে, তাই এবার তিনি নিজেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক রাঁধুনি কে নিয়ে এসেছেন শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব নুডুলস এর রেসিপি রান্না করার জন্য। বিষয় টি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। তিনি সেই গানের অনুষ্ঠানের গায়কের মত শাট আপ বলেন নি তার অডিয়েন্স কে।

যাই হোক আপু, আমার আসলে জানার খুব ইচ্ছা ছিল আমার ব্লগার বন্ধুরা কি বলে তাঁকে নিয়ে। আমরা বিষয় টা কে অতটা নেগেটিভ ভাবে না নিয়ে যদি পজিটিভ ভাবে যদি নেই তাহলে কেমন হয়। আমি অনেকের মন্তব্য পেয়েছি , ভালো লাগল তাদের মতামত জানতে পেরে। আপনি ও খুব ই চমৎকার ভাবে আপনার মতামত ব্যাখ্যা করেছেন বিষয়টি ভালো লেগেছে আপু। আশা করি আমার আগামী দিনের লেখা গুলো তেও এমন চমৎকার ভাবে আপনার মতামত জানাবেন।

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

সুমন কর বলেছেন: হুম, উনার সম্পর্কে অজানা কিছু জানলাম.....

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমার লেখা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুমন কর ভাইয়া।

১৮| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: কথার ফুলঝুরি, আপনি সত্যিই তো কথায় ফুলঝুরি দিয়ে কেকা ফেরদৌসীকে সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
খ্যাতিরও কিছু বিড়ম্বনা থাকে, কেকা ফেরদৌসীর বেলায় তার ব্যত্যায় ঘটেনি। রন্ধনশিল্পে তিনি অন্যতম একজন শিল্পী।
তবে মাঝে মধ্যে কিছু বিষয় বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। ক্ষেত্র বিশেষে তিনি কেন হাস্যকর হোন, কারণটা কিন্তু তাঁকেই পজিটিভলি ভেবে দেখতে হবে। এক্সপেরিমেন্টের বলগা গতি নিয়ন্ত্রণ হলে অনেকটা হাস্যরসের খোরাক থেকে মুক্ত হবেন।
খাবারের সাজ-সজ্জায় ফুল দেওয়াটাও বাড়াবাড়িই মনে হয়েছে আমার। বিজ্ঞানকে বুঝতে হবে। খাদ্যে হাইজেনিক ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করলে হবে না, এ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা আবশ্যক। ফুলে এমন কিছু কীট ও জীবানু থাকে যা আমাদের সুস্থতা ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাদ্যে ফুলের সাজ-সজ্জা পরিহার করা উচিৎ। পরিশোধিত বিভিন্ন শাক ও সবজী দিয়ে নতুন নতুন ধারায় সাজানোর অনেক সুযোগ রয়েছে, এছাড়াও হাইজেনিক বিভিন্ন আইটেম দিয়েও তা করা যায়। সিদ্দিকা কবীর কিন্তু রান্নায় সুরুচী, স্বাস্থ্যপ্রদ ও পুষ্টিগুণের দিক বিবেচনা করে থাকেন। কেকা ফেরদৌসীও এদিকে নজর দিতে পারেন। ভাল কিছু অনুসরণ করা দোষের কিছু নয়, এতে শিল্পের উৎকর্ষ বাড়ে বই কমে না।
কথার ফুলঝুরি ও কেকা ফেরদৌসীর মঙ্গল কামনা করি।
[কেকা ফেরদৌসী নামেই আমি ওনাকে জানি, যদিও লেখিকা তাঁকে কেকা ফেরদৌসি নামে উপস্থাপন করেছেন।]

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আসলে ভাইয়া, আমার নিজের ও প্রথম প্রথম উনার বিষয়গুলো হাস্যকর লাগত। কিন্তু যখন দেখলাম বিষয়টা একটু অতিরিক্ত তখন কেমন অশোভন ও লাগল আমার কাছে। তাই লেখাটি লেখা। আমি চাচ্ছিলাম আমার ব্লগার বন্ধুরা কি মতামত দেয় এই বিষয়ে তা জানতে। ভালো লাগল আপনাদের মন্তব্য গুলো দেখে।

একেক জনের কাছে একেক রকম লাগবে এটাই সস্বাভাবিক ।সব ই আমাদের যার যার ব্যক্তিগত মতামত। তবে বিষয়টি নিয়ে আমার লেখার উপস্থাপন ভালো হয়েছে জেনে খুশী হলাম।

আর ভাইয়া, হা ফুলের বিষয়টি ঠিক বলেছেন। তবে রন্ধন শিল্পী নিজেই বলেছেন ফুল দিয়ে সাজানোর সময়, যে, তিনি ফুলগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছেন। আর অনুষ্ঠান টির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি প্রতিটি গেস্ট দের কে ফুল দেওয়ার পাশাপাশি খাবার ও ফুল দিয়ে সাজাচ্ছেন। হাহা! :P

"কেকা ফেরদৌসী নামেই আমি ওনাকে জানি, যদিও লেখিকা তাঁকে কেকা ফেরদৌসি নামে উপস্থাপন করেছেন" হাহা! ভাইয়া, লেখার সময় তাড়াহুড়ো তে বিষয়টি চোখে পরেনি। :P যখন চোখে পরল তখন এডিট করতে পারছিলাম না, ভাবছিলাম সকালে করবো আর কেমন খারাপ ও লাগছিল বানান ভুল টা, একদম শিরোনামেই ভুল। কিন্তু তার আগেই আপনি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিলেন :P যাই হোক ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য এর মাধ্যমে আপনার মতামত জানানোর জন্য ও ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আশা করি সামনের দিনগুলো তে ও আপনাকে এমন ভাবে পাশে পাবো।

১৯| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি ভোজন রসিক
খেতে খুব ভালোবাসি
কিন্তু এই ভ্যাজালের যুগে
কোনটা খেয়ে বারোটা বাজে
সেই ভয়ে রিচ ফুড খেতে ডরাই।
কথার ফুলঝুরি না হয়ে ভালো খাবার
ডিসের ফুলঝুরি হলে খারাপ হতোনা!

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আপনি ভোজন রসিক জেনে খুব ই ভালো লাগল নূর ভাই, কারন লেখিকা নিজেও খেতে ভালোবাসে। :P

"কথার ফুলঝুরি না হয়ে ভালো খাবার
ডিসের ফুলঝুরি হলে খারাপ হতোনা" হাহা! আসলেই খারাপ হতো না তাহলে। ইফতারির পর মজা করে খাওয়া যেত। :P
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার চমৎকার মন্তব্য এর জন্য।

২০| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথার ফুলঝুরি!



সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন ।
চমৎকার করে বলেছেন - কি বুদ্ধি একেকজনের যারা এগুলো বানায়। আহারে, এই বুদ্ধি যদি তারা ভালো কোন কাজে ব্যয় করতো। ........................... মানুষকে মজা দেওয়ার জন্য যতখানি সময়, মেধা ও শ্রম ব্যয় করে এসব বানিয়েছেন যারা, ওইটুকু সময়, শ্রম ও মেধা যদি নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিক কোন কাজে ব্যয় করতো তাহলে নিজেদের ই তো ভালো হতো।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: 'সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন" জেনে খুশী হলাম ভাইয়া, সাথে অনুপ্রানিত।

আপনার সুন্দর মন্তব্য এর জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি পাশে থাকবেন সবসময়।

২১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মন্তব্যের প্রত্যুত্তর আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনার প্রাঞ্জল লেখায় "কথার ফুলঝুরি!" নামটিও সার্থকতা পেয়েছে।
এডিটের সুযোগ থাকলে [..... ] অংশটি মুছে দিতাম।
শুভ কামনা সব সময়।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "এডিটের সুযোগ থাকলে [..... ] অংশটি মুছে দিতাম" হাহা! কোন সমস্যা নেই ভাইয়া। আমি চাই আমার পাঠক বন্ধুরা আমার লেখার ভুলগুলো ধরিয়ে দিক যেন তাদের সহযোগিতায় আমি লেখার ক্ষেত্রে শুদ্ধতা পাই।
আপনার জন্য ও অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।

২২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

হাঙ্গামা বলেছেন: আমি ওনার অনেক বড় ভক্ত। :D

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "আমি ওনার অনেক বড় ভক্ত" জেনে খুব ই ভালো লাগল, কারন আমি আজ পর্যন্ত কাউকে দেখি নাই তার ভক্ত হিসেবে। আমরা শুধু পারি মানুষের পজিটিভ বিষয়গুলো কে গুলোকে ইগ নোর করে নেগেটিভ গুলো কে প্রাধান্য দিতে । আপনার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখে ভালো লাগল ভাইয়া।

অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য এর জন্য।

২৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৫

স্োরনাভ বলেছেন: খেক খেক খেক।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "খেক খেক খেক" হাহাহা! খুব ই চমৎকার মন্তব্য এর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :#)

২৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

ত্রিকোণমিতি বলেছেন: কেকা ফেরদৌসি তার যোগ্যতা বলে অবশ্যই সম্মানীয়। তবে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ সম্মান ধরে রাখতে হয়। উনি সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যাই হোক, কাউকে নিয়ে ট্রল করা আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই সমর্থন করি না। আপনার গঠনমূলক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
[অফ টপিক - সামুতে নতুন লেখালেখি করছি, সময় থাকে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো। আমার ব্লগ

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "কেকা ফেরদৌসি তার যোগ্যতা বলে অবশ্যই সম্মানীয়। তবে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ সম্মান ধরে রাখতে হয়" ভাল কথা বলেছেন
ত্রিকোণমিতি ভাইয়া। :P

"কাউকে নিয়ে ট্রল করা আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই সমর্থন করি না" জেনে খুশী হলাম ।

"সামুতে নতুন লেখালেখি করছি, সময় থাকে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো" অবশ্যই অবশ্যই যাব, খুব শীঘ্রই।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার লেখা পড়া ও মন্তব্য এর জন্য। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৫| ১০ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১০

সোহানী বলেছেন: অামাদের হাতে আছে ইর্ন্টানেট নামের আলাদিনের চেরাগ আর আছে অফুরন্ত বেকার সময়। আর তার রেজাল্ট এইসব ট্রল।

কাওসার আর সামু পাগলার মন্তব্যে সহমত। তবে একটু যোগ করতে চাই, মাহফুজুর রহমান এর গান নিয়ে মনে হয় এর চেয়েও বেশী ট্রল হয়েছে। কিন্তু তাকে কখনই রাগতে দেখিনি। এবং তার সাক্ষাতকারে ও এ নিয়ে অনেক মজা করেছে উপস্থাপক কিন্তু তাকে রাগতে দেখিনি। হাঁ, আমি এটাই জানাতে চাই কেকা ফেরদৈাসী একটু বেশীই রিয়েক্ট করছে। সে বিভিন্ন সাক্ষাতকারে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যা ইউটিউব বেকারদের আরো উৎসাহ জুগিয়েছে।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "অামাদের হাতে আছে ইর্ন্টানেট নামের আলাদিনের চেরাগ আর আছে অফুরন্ত বেকার সময়। আর তার রেজাল্ট এইসব ট্রল" হাহা। খুবই সত্যি কথা আপু। সাথে আছে ব্রেইন :P

আমার আসলে এমন কোন অনুষ্ঠান বা সাক্ষাৎকার চোখে পরেনি আপু। তবে এবার ভিম মনোহর ইফতারের এক পর্বে তাঁকে নিয়ে করা এসব ট্রল এর বিপরীতে তিনি বলেছেন, ডেকো নুডুলস নিয়ে করা তার অনুষ্ঠানের পরে অনেক ট্রল হয়েছে তাঁকে নিয়ে, তাই এবার তিনি নিজেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক রাঁধুনি কে নিয়ে এসেছেন শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব নুডুলস এর রেসিপি রান্না করার জন্য। বিষয় টি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্য এর জন্য।

২৬| ১৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: লোকে তাহারে ট্রল করিলে কি সমস্যা ! বিনে পয়সায় তাহার ব্র্যান্ডিং , পাবলিসিটি হইয়া গেল !
উনি বরং নুডুলসের বিরিয়ানি , তেহারি , পোলাও ,হালিম তৈয়ার করিয়া দেখাইতে পারেন ! আমি নিশ্চিত তিনি উহাতেও সুপারহিট হইবেন !

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: তাহার বদৌলতে না হয় পুরনো খাবারে কিছুটা নতুনত্ব আসল :P

২৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ভালো লিখেছেন। তাঁর রান্না বান্নায় অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তিনি যদি নিজ মন, বোধ-বুদ্ধি ও রুচি থেকে নডুলস বা অন্য যে কোন খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করে ব্যতিক্রমী খাবার রান্না করতেন, তাতে কেউই কিছু মনে করতোনা। কিন্তু তার আচমকা নডুলসনীষ্ঠতার পেছনে অনেকেই্ শ্রেফ এক্সপেরিমেন্ট প্রবণতা নয় বরং বাণিজ্যিক প্রণোদনার কালো হাত দেখতে পাচ্ছেন। আর সব কিছুতে নডুলস মেশানোর জনস্বাস্থ্যহানিকর দিকটিতো রয়েছেই। আফটার অল, নডুলস একটি প্রসেসড ফুড বৈ অন্য কিছু তো নয়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ধন্যবাদ তৌফিক জোয়ার্দার ভাইয়া, আমার লেখা পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য । আসলে ভাইয়া সবকিছুরই একটা সীমা থাকা উচিত । তিনি নিজেও হয়তো নুডুলস নিয়ে একটু বেশী বেশীই করেছেন তাই ট্রলকারী রাও তাকে নিয়ে এমন করেছেন। তবে আমার কাছে দেশের একজন বিশিষ্ট সম্মানিত রন্ধনশিল্পীকে নিয়ে যা করা হয়েছে তা একটু বেশী বেশীই মনে হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.