নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগই আমার পরিচয় । । ।

কথার ফুলঝুরি!

ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে ধরা দিয়েছ যে আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে॥

কথার ফুলঝুরি! › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায় বেলা (গল্প)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩



সিএনজি ছুটছে ধানমন্ডির দিকে, একটু একটু করে জ্যাম এড়িয়ে ।

স্নিগ্ধা চুপ করে বসে আছে , মাঝে মাঝে শুধু দু একটি কথা বলছে। আর মামুন কথা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে। কথা বলা বললে অবশ্য ভুল হবে। যে সব কথা বলছে সেগুলো সব স্নিগ্ধা কে প্যারা দেওয়ার জন্য । অন্য সময় স্নিগ্ধা বক বক করে বেশী আর মামুন চুপ থাকে। কিন্তু আজ উল্টো হচ্ছে।

মামুন- ওখানে কিন্তু আমার ক্লাসে অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ে থাকবে । আমি কিন্তু সবার সাথেই ফ্রেন্ডশিপ করবো । দু একটা সুন্দরী ক্লাসমেট থাকলে মজা হবে খুব।

স্নিগ্ধা- ঈশ! আসছে। সুন্দরী মেয়ের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করবে । কোন মেয়ে টেয়ের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করা চলবেনা । শুধুমাত্র ছেলেদের সাথে মিশবে তুমি ।

মামুন- হাহা ! কি বল তুমি ? ওখানে তো ছেলে মেয়েরা সাবলেট এ বাসা ভাড়া নিয়ে একসাথে থাকে আর তুমি ফ্রেন্ডশিপ করতেই নিষেধ করছ ?
আচ্ছা, জব পেতে দেরি হলে যদি টাকা পয়সা শর্ট পরে, আলাদা বাসা নিতে না পারি তাহলে কিন্তু কোন মেয়ের সাথে সাবলেটে উঠে যাব ।
স্নিগ্ধা- জার্মানি কোথায় আমি কিন্তু চিনি । ওখানে গিয়ে যদি আমাকে ভুলে যাও তুমি, আমি কিন্তু ঠিক গিয়ে হাজির হবো । আর যদি একা যেতে নাও পারি, দরকার পরলে একটা জার্মানি প্রবাসী ছেলেকে বিয়ে করে যাবো আর নয়তো অন্য ছেলেকে বিয়ে করে হানিমুনে জার্মানি গিয়ে তারপর পালিয়ে যাবো তোমার কাছে। আমাকে ভুলে যাওয়া চলবেনা, কিছুতেই না।

মামুন মজা পাচ্ছে খুব ।

সে আবার বললো– ও আচ্ছা, আরেকটা কথা। আমি কিন্তু ডেইলি তোমাকে ফোন দিতে পারবোনা । পড়াশোনা, জব, বাসার কাজ সব মিলিয়ে অনেক বিজি থাকবো । ১৫ দিনে একবার ফোন দিব, ওকে ? মাসে একবার হলে অবশ্য আমার জন্য আরও ভালো হয় ।
এই বলে মুচকি হাসতে হাসতে স্নিগ্ধার দিকে তাকালো মামুন ।

মামুন দেখলো স্নিগ্ধা আর কিছু বলছেনা। একদম চুপ হয়ে গিয়েছে এখন । তার মানে সে মন খারাপ করেছে ও অভিমান করেছে ।
মামুন সবসময়ই এ ধরনের দুষ্টুমি করে স্নিগ্ধার সাথে আর স্নিগ্ধাও খুনসুটি করে, যদি মন ভালো থাকে । কিন্তু এখন আর তা করছেনা ।
মামুন চেয়েছিল একটু দুষ্টুমি করে স্নিগ্ধার মনটা ভালো করে দিতে। সে জার্মানি চলে যাচ্ছে বলে মেয়েটার খুব মন খারাপ ।

মেয়েটি যে তাকে কেন এতো ভালোবাসে তা নিজেও জানেনা মামুন। পরিবারের সব বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে সবসময় মামুনকে সাপোর্ট দিয়ে আসছে, অপেক্ষা করছে মামুনের জন্য । বাসা থেকে আর না পেরে শেষ পর্যন্ত স্নিগ্ধার আগে তার ছোট বোনের বিয়ে দিতে হয়েছে। তবুও মেয়েটির মনে কোন ক্ষোভ বা আফসোস নেই। পাগলপনা ভালোবাসা অনেক দেখেছে মামুন। কিন্তু স্নিগ্ধার মত করে এত যত্ন আর আবেগ নিয়ে কেউ কাউকে ভালোবাসতে পারে বলে মনে হয়না মামুনের। মামুন বলতেই পাগল সে। আর এমন ভাবে সে ভালোবাসে মামুনকে, যে মামুনের মাঝে মাঝে স্নিগ্ধা কে প্রেমিকা মনে না হয়ে ওর বউ মনে হয় ।

একবার মামুন দুষ্টুমি করে স্নিগ্ধা কে জিজ্ঞেস করেছিল

আচ্ছা, ধর যদি কখনো তোমার আম্মু এবং আমি দুইজনেরই কিডনি নষ্ট হয়ে গেল এবং তোমার রক্তের গ্রুপের সাথে আমাদেরটা মিলে গেল। তখন তুমি কাকে কিডনি দিবে? আমি নাকি তোমার আম্মু ?
স্নিগ্ধা প্রথমে কোন উত্তর দেয়নি । হাসছিল। পরে বলল আমি আমার দুইটা কিডনি দুইজন কে দিয়ে দিব।
মামুন বলল, না ডাক্তার তো তা করবেনা। তুমি তোমার একটা কিডনিই দিতে পারবে এবং যে কোন একজনকেই ।
স্নিগ্ধা চুপ করে হাসছে ।
মামুন বলল, তুমি কিছু না বললেও আমি জানি তুমি কাকে দিবে, আমাকে ।
স্নিগ্ধা বলল, হা আমি জানি অবশ্যই আম্মুকে দেওয়া উচিত কিন্তু তোমার নামটাই কেন মনে আসছে। আমি তোমাকেই দিব। এই বলে হেসে দিল স্নিগ্ধা।

এই পাগলী মেয়েটিকে মামুন তার জীবনসঙ্গিনী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে মামুন চিন্তিত। নিজেকে ওইরকম ভাবে প্রতিষ্ঠিত না করে ওর কথা যে বাসায় জানাতেও পারছেনা ।

সিএনজি তে স্নিগ্ধাকে চুপ থাকতে দেখে মামুন ভাবছে,
যাহ! দুষ্টুমিটা কি একটু বেশী হয়ে গেল? বেচারির মন ভালো করতে গিয়ে দেখি আরও খারাপ করে দিলাম ।

স্নিগ্ধার মনে তখন শুধু একটাই ভাবনা । সিএনজি যতই গন্তব্বের দিকে এগোচ্ছে ততই মনে হচ্ছে আর কিছুক্ষণ পরেইতো পৌঁছে যাবো আর তখন আমাকে নেমে যেতে হবে ।
তারপর আগামীকাল রাতে জার্মানির ফ্লাইট। কতদুরে চলে যাবে ও। ভাবতেই বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠে । কবে দেশে ফিরবে, আবার কবে দেখা হবে কোন ঠিক নেই। যে মানুষটাকে একটা দিন না দেখে থাকতে পারিনা, সারাদিনে একটুখানি কথা না বললে ভালো লাগেনা, তাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো । তার উপর, এখানেই একটু বেশী বিজি থাকলে মামুনকে পাওয়া যায়না, আর ওখানে অত ব্যস্ততার মাঝেতো আমাকে ভুলেই যাবে ও ।
বাসা থেকে বিয়ের জন্য সমানে প্রেশার দিচ্ছে । মামুনের বাসায়ও এখনও আমার কথা কিছু জানেনা । ও মাত্র যাচ্ছে, কতদিনে মোটামোটি একটু ইস্টাবলিশ হবে আর আমার কথা বাসায় বলবে ।
আল্লাহ না করুক যদি কোন কারনে মামুনকে হারাতে হয়। ভাবতেই দুনিয়া উলট পালট লাগে স্নিগ্ধার।

এসব কিছু চিন্তা করতে করতে সিএনজি কাছাকাছি চলে এলো । স্নিগ্ধার হার্টবিট বেড়ে গেল । আর মাত্র কিছুক্ষণ আছে ও আমার পাশে ।
মামুনের মাথা থেকেও ততক্ষণে দুষ্টুমির ভূত নেমে গিয়েছে ।
মামুন স্নিগ্ধার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে শুধু বলল “চিন্তা করোনা। আমি একটু গুছিয়ে নিয়েই বাসায় বলবো তোমার কথা” ।

স্নিগ্ধার ইচ্ছে করছে, মামুনকে জড়িয়ে ধরে ইচ্ছেমত কাঁদবে ।
কিন্তু কখনোই যে ও মামুনের সামনে কিছু বলতে পারেনা আর কাঁদতেও পারেনা । দেখা করা শেষ করে রিকশায় বাসায় ফেরার পথে কাঁদে আর যা বলার তা ম্যাসেজ দেয়।

সিএনজি গন্তব্বে চলে এসেছে। স্নিগ্ধা নেমে গেল । তেমন কিছু না বলে শুধু বলল “আসি তাহলে, পরে ফোন দিও” ।
মামুন বলল - ঠিক আছে
দুইজনেই এমন ভাব নিল যেন এ দেখা রেগুলার দেখার মত ।
সিএনজি থেকে নেমে স্নিগ্ধা আর কান্না চেপে রাখতে পারলোনা । রাস্তার একটা দোকানের এক কোনায় দাড়িয়ে কাঁদতে লাগলো ।

কিছুক্ষণ পরেই মামুনের ফোন এলো ।
সে জিগ্যেস করলো -তুমি কোথায় ?
স্নিগ্ধা বলল- এইতো বাসায় ঢুকবো
মামুন বলল-- না, তুমি তো বাসার দিকে যাওনি। তুমি রাস্তায় দাড়িয়ে কাঁদছ।
স্নিগ্ধা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলল – আমি এখন বাসায় যাবো না । আমার কোন কিছু ভালো লাগছেনা । আমি কোথাও গিয়ে চুপচাপ বসে থাকবো আর কাঁদবো। পরে বাসায় যাবো ।
মামুন ওকে ধমক দিয়ে বলল – যা বলছি চুপচাপ শুনবে। একটা কথাও না । বাসায় যেতে বলেছি যাও।

স্নিগ্ধা কখনও মামুনের কথা না শুনে থাকতে পারেনা । আজও লক্ষ্মী মেয়ের মত ওর কথামত চোখ মুছে বাসায় চলে গেল ।
বাসায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মামুন ফোন দিল – বাসায় গিয়েছ?
স্নিগ্ধা শুধু বলল – হা
মামুন বলল – ঠিক আছে। রাখলাম।

রাতে আর তেমন কথা হলনা দুজনের। গোছগাছ ও বাসার সবাইকে নিয়ে মামুন খুব বিজি ।

আজকে মামুনের ফ্লাইট। রাত এগারোটায় । দুপুরের দিকে স্নিগ্ধা একবার ফোন দিল - কোথায় তুমি?"
মামুন বলল – এইতো একটু ধানমন্ডি এসেছি
স্নিগ্ধার খুব মন চাইলো মামুনকে বলে, যে একটু দেখা করবো। কিন্তু সেই সাহস আর পেলোনা ।

সন্ধ্যা ৬ টায় স্নিগ্ধা ম্যাসেজ পাঠালো । "বের হয়েছ বাসা থেকে?"
মামুন রিপ্লাই দিল – হা, মাত্র বের হলাম
স্নিগ্ধা ম্যাসেজ ব্যাক করলো – ইমিগ্রেশন এ ঢুকে ফোন দিও কিন্তু
মামুন রিপ্লাই দিল - ঠিক আছে

রাত ৮ টায় মামুন ফোন দিল – হেই, কি অবস্থা। মাত্র ইমিগ্রেশন ক্রস করলাম ।
স্নিগ্ধা বলল – সব ঠিকঠাক আছেতো ? মামুন বলল হা সব ঠিক আছে । আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু একটা ব্যাড নিউজ আছে ।
স্নিগ্ধা উদগ্রীব হয়ে বলল – কি হয়েছে ?
মামুন বলল- বাসা থেকে বের হবার সময় শুনলাম নানু মারা গিয়েছে । বুঝতেই পারছ আম্মার কি অবস্থা। এমনিতেই আমি চলে যাচ্ছি বলে মন খারাপ তার উপর নানুও চলে গেল । সারা রাস্তা আম্মা কাঁদতে কাঁদতে এসেছে । এয়ারপোর্টে বেশীক্ষণ থাকতে পারেনি আমার কাছে । তাড়াতাড়ি চলে গেল নানুর ওখানে যাবে বলে। আমারও খুব মন খারাপ লাগছে ।
স্নিগ্ধা বলল- মন খারাপ করোনা । আল্লাহ ভরসা ।
মামুন বলল- এই আমি রাখছি। আমাকে ডাকছে , যাচ্ছি। পরে ফোন দিচ্ছি।
স্নিগ্ধা বলল- ঠিক আছে ।

৯ টা বেজে গেল। স্নিগ্ধা মামুনের ফোনের জন্য অপেক্ষা করছে । কিন্তু কোন ফোন আর এলোনা ।
স্নিগ্ধাও আর ফোন দিল না যদি বিজি থাকে এই ভেবে । শুধু মামুনের ফোনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো ।

রাত এগারোটা বাজে। মামুন আর ফোন দিল না বলে স্নিগ্ধা অভিমান নিয়ে শুতে চলে গেল।

ও ভাবছে এখন নিশ্চয় মামুন প্লেনে । সে মনে মনে বলল, "তুমি একটা পচা। তখন তড়িঘড়ি করে ফোনটা রেখে দিলে, বললে পরে ফোন দিবে আর দিলেনা । আমি যে অপেক্ষায় ছিলাম তুমি জানো না ? "

রাত ১ টা বাজে। স্নিগ্ধার ঘুম আসছেনা । মোবাইল এ একটা ম্যাসেজ এলো । মিস কল এর ম্যাসেজ।
মামুন ১০.৩০ এ কল করে মোবাইল অফ পেয়েছে । ম্যাসেজ টা পড়েই স্নিগ্ধার বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো। ও প্লেনে উঠে আমাকে ফোন করেছিল কিন্তু নেটওয়ার্ক না থাকায় মোবাইল অফ পেয়েছে। ভাবতেই কষ্টে বুক ফেটে যায় এমন অবস্থা স্নিগ্ধার।
বেচারা আমাকে ফোন করে পায়নি আহারে, আর আমি ফোন করেনি বলে অভিমান নিয়ে বসে আছি।

এখন আর নং খোলা পাওয়া যাবেনা জেনেও স্নিগ্ধা সাথে সাথেই মামুনের ফোন নং টা ডায়াল করলো । ওপাশ থেকে দুঃখিত বলল ।

স্নিগ্ধার হার্টবিট বেড়ে গেল, নিঃশ্বাস বন্ধ বন্ধ লাগছে , মনে হচ্ছে একটা বিশালাকার ওজনের কোন পাথর ওর বুকের উপরে চেপে আছে।

ওপাশে শুয়ে থাকা ছোটবোন যেন কিছু বুঝতে না পারে তাই খুব সাবধানে চুপচাপ শুয়ে কাঁদতে লাগলো স্নিগ্ধা। আর মনে মনে বলল - "কেন মানুষগুলোকে এত দূরে চলে যেতে হয়? কেন মানুষগুলো সবসময় কাছে থাকেনা ?
মামুন, তুমি ফিরবেতো আমার কাছে ?"

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

ফিরে আহো মামুন।


০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: এইভাবে বললে কি কেউ আসবে :||

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমি কিন্তু মাকে কিডনি দিব। :)


ধূর! গল্প পড়ে শান্তি পেলাম না। লেখার মধ্যে ইন্টার বেশী হয়ে গিয়েছে। চার-পাঁচ লাইন পর প্যারা করবে।
যেমনঃ
সন্ধ্যা ৬ টায় স্নিগ্ধা ম্যাসেজ পাঠালো । "বের হয়েছ বাসা থেকে?"
মামুন রিপ্লাই দিল – হা, মাত্র বের হলাম
স্নিগ্ধা ম্যাসেজ ব্যাক করলো – ইমিগ্রেশন এ ঢুকে ফোন দিও কিন্তু
মামুন রিপ্লাই দিল - ঠিক আছে
রাত ৮ টায় মামুন ফোন দিল – হেই, কি অবস্থা। মাত্র ইমিগ্রেশন ক্রস করলাম ।
স্নিগ্ধা বলল – সব ঠিকঠাক আছেতো ?
মামুন বলল হা সব ঠিক আছে । আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু একটা ব্যাড নিউজ আছে ।
স্নিগ্ধা উদগ্রীব হয়ে বলল – কি হয়েছে ?

সব এক প্যারাতেই দিবে। ভেতরে ফাঁকা রাখলে পড়ার ছন্দ নষ্ট হয়।।
নিজু।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আমি কিন্তু মাকে কিডনি দিব। :)-- হাহা ! আমি জানি নিজু ভাই মাকেই কিডনি দিবে ;)


@ধূর! গল্প পড়ে শান্তি পেলাম না। লেখার মধ্যে ইন্টার বেশী হয়ে গিয়েছে। চার-পাঁচ লাইন পর প্যারা করবে। -- ঠিক করে দিয়েছি :P

@সব এক প্যারাতেই দিবে। ভেতরে ফাঁকা রাখলে পড়ার ছন্দ নষ্ট হয়।।
নিজু।
-- আপনার পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ কাজিন B-)

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমি কিন্তু মাকে কিডনি দিব। :)


ধূর! গল্প পড়ে শান্তি পেলাম না। লেখার মধ্যে ইন্টার বেশী হয়ে গিয়েছে। চার-পাঁচ লাইন পর প্যারা করবে।

যেমনঃ
সন্ধ্যা ৬ টায় স্নিগ্ধা ম্যাসেজ পাঠালো । "বের হয়েছ বাসা থেকে?"
মামুন রিপ্লাই দিল – হা, মাত্র বের হলাম
স্নিগ্ধা ম্যাসেজ ব্যাক করলো – ইমিগ্রেশন এ ঢুকে ফোন দিও কিন্তু
মামুন রিপ্লাই দিল - ঠিক আছে
রাত ৮ টায় মামুন ফোন দিল – হেই, কি অবস্থা। মাত্র ইমিগ্রেশন ক্রস করলাম ।
স্নিগ্ধা বলল – সব ঠিকঠাক আছেতো ?

মামুন বলল হা সব ঠিক আছে । আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু একটা ব্যাড নিউজ আছে ।
স্নিগ্ধা উদগ্রীব হয়ে বলল – কি হয়েছে ?



দুটোর পার্থক্য বুঝলে?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @দুটোর পার্থক্য বুঝলে? -- জি বুঝতে পেরেছি :P তবে গল্প কেমন হল তাতো বললেন না :( আমি কিন্তু গল্প টল্প লিখতে পারিনা । কি সব লিখলাম জানিনা :(

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

ভাইয়ু বলেছেন: ইদানিং প্রেমের গল্প পড়লে অর্ধেক পড়ার পরেই কেন জানি একগেঁয়েমি ভাব চলে আসে৷তবে এটা লেখার দোষ না, আমার দোষ৷ এভাবে রঁসকস হারায়ে ফেললে তো পরে বউয়ের পিটুনি খেতে হবে৷
যাইহোক আমি কিডনি দুইটাই দিবো, তবে দুটোই আমার আম্মুকেই দিবো...

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ইদানিং প্রেমের গল্প পড়লে অর্ধেক পড়ার পরেই কেন জানি একগেঁয়েমি ভাব চলে আসে৷তবে এটা লেখার দোষ না, আমার দোষ৷ এভাবে রঁসকস হারায়ে ফেললে তো পরে বউয়ের পিটুনি খেতে হবে৷-- হাহা! আপনি মনে হয় খুব বেশী প্রেম করে ফেলেছেন জীবনে :P তাই প্রেমের সব রস কষ চলে গিয়েছে =p~


@যাইহোক আমি কিডনি দুইটাই দিবো, তবে দুটোই আমার আম্মুকেই দিবো
-- হাহা ! আপনার দুটো কিডনি তো ডাক্তার নিবেনা ভাইয়া । :P তবে আপনার মধ্যে তো প্রেমের রস কষ নেই, আম্মু মাঝখানে না থাকলেও আপনি মনে হয় আপনার প্রেমিকা কে দিবেন না কিডনি =p~

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ডেকোরেশন ভাল হয়নি, গল্প ভাল হয়েছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ডেকোরেশন ভাল হয়নি,-- কেমন হলে ভালো হতো বললে খুশী হতাম গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়া। গল্প লেখার অভ্যাস নেই, জানিনা তেমন কিছু :( আপনাদের কাছে থেকে যদি কিছু শিখতে পারি তাহলে ইম্প্রুভ হবে ।

@গল্প ভাল হয়েছে- যাক, গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম, সাথে অনুপ্রানিত !:#P

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গল্প কেমন হল তার জন্য আরেকবার পড়তে হবে। রাতে পড়ে জানাবো....;)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @গল্প কেমন হল তার জন্য আরেকবার পড়তে হবে। রাতে পড়ে জানাবো....;)-- ভয় পেয়েছি আমি :| এইটুকু পড়েই নিজু ভাই ভুল ধরেছে, রাতে আবার পড়ার পরে না জানি কি হয় :(( তবে অপেক্ষায় রইলাম আপনার মন্তব্বের B-)

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

ভাইয়ু বলেছেন: @হাহা! আপনি মনে হয় খুব বেশী প্রেম করে ফেলেছেন জীবনে?
খুব বেশি করিনি আপুু, তবে অাশপাশে যা দেখেছি তার বেশিরভাগেরই শেষ পরিনতি একেবারে বাংলা সিনমায় শেষ সিনে পুলিশ এসে যাওয়ার মত গৎবাধা৷

@আম্মু মাঝখানে না থাকলেও আপনি মনে হয় আপনার প্রেমিকা কে দিবেন না কিডনি ?
অবশ্যই একশতভাগ দিবনা৷ আম্মুর মাধ্যমে ধরা দেখেছি, তাই তিনি এইটুকুন ডিজার্ব করেই৷
দুইদিন আগে পরিচিত হওয়া কোথাকার কে এসে টুপ করে কিডনি নিয়ে চলে যাবে এ আমি মানতে পারবো না...

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @খুব বেশি করিনি আপুু, তবে অাশপাশে যা দেখেছি তার বেশিরভাগেরই শেষ পরিনতি একেবারে বাংলা সিনমায় শেষ সিনে পুলিশ এসে যাওয়ার মত গৎবাধা৷-- হাহা ! আচ্ছা দেখি আপনার জন্য নতুন ধরনের কোন প্রেমের গল্প নিয়ে আসতে পারি কিনা :P

@দুইদিন আগে পরিচিত হওয়া কোথাকার কে এসে টুপ করে কিডনি নিয়ে চলে যাবে এ আমি মানতে পারবো না... -- ভাইয়াতো দেখি আসলেই রস কষ হীন মানুষ :||

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

ভাইয়ু বলেছেন: @আচ্ছা দেখি আপনার জন্য নতুন ধরনের কোন প্রেমের গল্প নিয়ে আসতে পারি কিনা
আমার জন্য নতুন ধরনের গল্প নিয়ে আসতে চাইছেন তাতেই আমি মহাখুশি৷ ব্লগে মাঝে মাঝেই এক ব্লগার আরেক ব্লগারের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করতে যেয়ে উৎসর্গ করে লেখা লিখতে দেখা যায়৷ আমার ছোটমনে প্রশ্ন জাগে আমার বেলা যেন কখনো এমন না হয়৷ আমি ভুলোা মানুষ, আমাকে ঋণি করবেন না প্লিজ...

@ভাইয়াতো দেখি আসলেই রস কষ হীন মানুষ
জ্বি আপু, ভাবছি এবার নিজ বাড়ি খুলনায় গেলে সুন্দরবনের খাঁটি মধু নিয়ে আসবো৷ রস কষ শুন্যের কোটায় চলে গেলে নাকি আবার লো সুগারে মারা পড়ি...

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আমার জন্য নতুন ধরনের গল্প নিয়ে আসতে চাইছেন তাতেই আমি মহাখুশি৷ ব্লগে মাঝে মাঝেই এক ব্লগার আরেক ব্লগারের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করতে যেয়ে উৎসর্গ করে লেখা লিখতে দেখা যায়৷ আমার ছোটমনে প্রশ্ন জাগে আমার বেলা যেন কখনো এমন না হয়৷ আমি ভুলোা মানুষ, আমাকে ঋণি করবেন না প্লিজ...-- হা, আমাকেও আমার দুইজন খুব প্রিয় সহব্লগার তাদের লেখা উৎসর্গ করেছে, আর আরেকজন একটি ভয়ে করতে চেয়েও করেনি :P তবে আমার একটু সমস্যা আছে । আই মিন, সবাই যা করে আমি তা করতে পছন্দ করিনা :P আর তা ছাড়া, যখন কোন ব্লগারকে নিয়ে লেখা হয়, কিংবা উৎসর্গ করা হয় তখন যাকে নিয়ে লেখা হয় কিংবা উৎসর্গ করা হয় সে খুশী হয় কিন্তু তখন অন্যরা মন খারাপ করে । তবে আমি কাউকে এখনও কিছু উৎসর্গ না করলেও ব্লগারদের নিয়ে লিখে ফেলেছি, তবে ওটা শুধু ছদ্মনাম যাদের তাদের নিয়ে ছিল । সিলেক্টেড না । নেক্সট গল্প লিখলে অবশ্যই আপনাকে দাওয়াত দিব B-)

@জ্বি আপু, ভাবছি এবার নিজ বাড়ি খুলনায় গেলে সুন্দরবনের খাঁটি মধু নিয়ে আসবো৷ রস কষ শুন্যের কোটায় চলে গেলে নাকি আবার লো সুগারে মারা পড়ি...
-- হাহা ! আইডিয়া খারাপ না =p~

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: স্নিগধারা কি সত্যি মামুনদের মনে রাখে ???????
চার বছর আগে আমিও একজনকে রেখে চলে এসেছি দেশের বাহিরে , ছয়মাসের মাথাতেই সে চিরদিনের জন্য আরেকজনের হয়ে যায় !!! আসার আগে দুজনের যে প্রতিজ্ঞা ছিল, সে না রাখতে পারলেও আমি আজও ঠিক ঠিক প্রতিজ্ঞা পূরণ করে যাচ্ছি , বাস্তবতা অনেক নিষ্ঠুর !!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ স্নিগধারা কি সত্যি মামুনদের মনে রাখে ???????-- অনেক মামুনও যে স্নিগ্ধাদের মনে রাখেনা ।


@চার বছর আগে আমিও একজনকে রেখে চলে এসেছি দেশের বাহিরে , ছয়মাসের মাথাতেই সে চিরদিনের জন্য আরেকজনের হয়ে যায় !!! আসার আগে দুজনের যে প্রতিজ্ঞা ছিল, সে না রাখতে পারলেও আমি আজও ঠিক ঠিক প্রতিজ্ঞা পূরণ করে যাচ্ছি , বাস্তবতা অনেক নিষ্ঠুর !!
-- হা, ভাইয়া বাস্তবতা অনেক নিষ্ঠুর । আপনার জীবনের সেই মানুষটি কেন অপেক্ষা করেনি জানিনা । তবে আমার গল্পের নায়িকা কিন্তু অপেক্ষা করবে। যত কঠিন আর প্রতিকুল হোক পরিস্থিতি । তবে মামুন হয়তো ভুলে যাবে স্নিগ্ধা কে .....

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোবোন,

গল্পটা আমার খারাপ লাগেনি। তবে আরও একটু গোছানো দরকার ছিল। নিজামভাই একটি বিষয় যেমন উল্লেখ করেছেন, পাশাপাশি গল্প বলার সময় দুটি বিষয় মনে রাখবেন। ১ - বক্তার সামনে ঘটনাটা ঘটছে, সেটা উনি সময়মত বর্ননা করছেন। ২ - প্রথম দুটি চরত্রপের সংলাপ তুলে ধরে গল্পের ধারাবাহিক উত্তোরন। উল্লেখ্য প্রথম ক্ষেত্রে এমনো জায়গা আছে বক্তা বর্নননা করার সময় চরিত্রের সংলাপ তুলে ধরাটা বেশি আকর্ষণীয় সেক্ষেত্রে আবার বক্তার গল্প বলার মধ্যে সংলাপও দেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে বারে বারে অমুকের কথা বলার দরকার হয়না।

অনেকগুলি ইংরেজি শব্দ চলে এসেছে। ভাষার দিকে লক্ষ্য রেখে এগুলির বাংলা শব্দ ব্যবহার করা উত্তম।

প্লট নির্বাচন করেছেন, কিন্তু শেষ হল কোথায়? মামন বিদেশে চলে গেল ঠিক আছে। ওর দেশে ফেরার পরে ও বিদেশে যওয়ার আগে দুটি অবস্থার পরিবর্তনকে আরও করুন করে ফুঁটিয়ে তোলা যেতো। হয়তো এমন হল, মামন বিদেশে গিয়ে স্নিগ্ধার কথা ভুলে গেল। একজন জার্মানকে বিয়ে করে প্রতিষ্ঠীত হল। এদিকে দেশে বেচারা স্নিগ্ধা ওর পথ পানে চেয়ে আর বিয়েই করলোনা। ইতিমধ্যে ওদের যোগাযোগ বন্ধ হল। কিন্তু অনেক বছর পরে হঠাৎ স্নিগ্ধা আবার মামনকে দেশে দেখা পাবে। কিন্তু ততদিনে কঙ্কালসার মামনের জার্মানীতে ব্যাভিচারী জীবন কাটাতে গিয়ে রিভারের রোগে আক্রান্ত। বাস্তবে ওদেশে জার্মান মহিলার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলেও জীবনের শেষ কটা দিন স্নিগ্ধা ঢাকার হাসপাতালে কাটালো।

অবশেষে হসপিটল থেকে ভরসা না দিয়ে যখন ফেরৎ পাঠালো বা জীবনের শেষ খাওয়া দাওয়ার জন্য আত্মীয়দের বলা হল, তখন সেই অবস্থায় স্নিগ্ধা ছুটি এলো চিরদিন বয়ে আনা তার স্বামী দেবতাকে বরন করতে। এ এক মর্মান্তিক বিয়ে। আরও কয়েকদিন পরে মামন পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিল। আর স্নিগ্ধা পেল তাকে স্বামী হিসাবে বহন করার সামাজিক সম্মান। আপনি আরও সময় নিয়ে বিষয়টি ঠিকঠাক সাজালে বেশ আকর্ষণীয় হবে ।


শুভকামনা প্রিয় বোনকে।


১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @তবে আরও একটু গোছানো দরকার ছিল। নিজামভাই একটি বিষয় যেমন উল্লেখ করেছেন, পাশাপাশি গল্প বলার সময় দুটি বিষয় মনে রাখবেন। ১ - বক্তার সামনে ঘটনাটা ঘটছে, সেটা উনি সময়মত বর্ননা করছেন। ২ - প্রথম দুটি চরত্রপের সংলাপ তুলে ধরে গল্পের ধারাবাহিক উত্তোরন। উল্লেখ্য প্রথম ক্ষেত্রে এমনো জায়গা আছে বক্তা বর্নননা করার সময় চরিত্রের সংলাপ তুলে ধরাটা বেশি আকর্ষণীয় সেক্ষেত্রে আবার বক্তার গল্প বলার মধ্যে সংলাপও দেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে বারে বারে অমুকের কথা বলার দরকার হয়না-- হা, পদাতিক ভাই, নিজাম ভাই এর সাজেশনে ওগুলো ঠিক করেছি । পাশাপাশি আপনার পরামর্শ গুলোও ইম্পরট্যান্ট । সংলাপের বিষয়টি এখন ঠিক করতে পারছিনা, তবে শিখলাম ।

@অনেকগুলি ইংরেজি শব্দ চলে এসেছে। ভাষার দিকে লক্ষ্য রেখে এগুলির বাংলা শব্দ ব্যবহার করা উত্তম-- হা ভাইয়া, ঠিক । তবে নরমাল কথোপকথনে আমরা তো এভাবেই কথা বলি তাই ওভাবেই লিখেছি ।



@প্লট নির্বাচন করেছেন, কিন্তু শেষ হল কোথায়? মামন বিদেশে চলে গেল ঠিক আছে। ওর দেশে ফেরার পরে ও বিদেশে যওয়ার আগে দুটি অবস্থার পরিবর্তনকে আরও করুন করে ফুঁটিয়ে তোলা যেতো। হয়তো এমন হল, মামন বিদেশে গিয়ে স্নিগ্ধার কথা ভুলে গেল। একজন জার্মানকে বিয়ে করে প্রতিষ্ঠীত হল। এদিকে দেশে বেচারা স্নিগ্ধা ওর পথ পানে চেয়ে আর বিয়েই করলোনা। ইতিমধ্যে ওদের যোগাযোগ বন্ধ হল। কিন্তু অনেক বছর পরে হঠাৎ স্নিগ্ধা আবার মামনকে দেশে দেখা পাবে। কিন্তু ততদিনে কঙ্কালসার মামনের জার্মানীতে ব্যাভিচারী জীবন কাটাতে গিয়ে রিভারের রোগে আক্রান্ত। বাস্তবে ওদেশে জার্মান মহিলার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলেও জীবনের শেষ কটা দিন স্নিগ্ধা ঢাকার হাসপাতালে কাটালো।

অবশেষে হসপিটল থেকে ভরসা না দিয়ে যখন ফেরৎ পাঠালো বা জীবনের শেষ খাওয়া দাওয়ার জন্য আত্মীয়দের বলা হল, তখন সেই অবস্থায় স্নিগ্ধা ছুটি এলো চিরদিন বয়ে আনা তার স্বামী দেবতাকে বরন করতে। এ এক মর্মান্তিক বিয়ে। আরও কয়েকদিন পরে মামন পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিল। আর স্নিগ্ধা পেল তাকে স্বামী হিসাবে বহন করার সামাজিক সম্মান। আপনি আরও সময় নিয়ে বিষয়টি ঠিকঠাক সাজালে বেশ আকর্ষণীয় হবে ।-
-- হা ভাইয়া, আমি আসলে একটি বিদায় বেলার কঠিন অবস্থাটা শুধু ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম তাই ওইটুকুই রেখেছি । তবে আপনার আইডিয়া দারুন । কিন্তু আপনার বোনের মন যে অনেক নরম ভাইয়া :( মামুনের ওমন কঠিন পরিস্থিতি যে লেখিকা হিসেবে আমি করতে পারবোনা, আর বিরহ যে ভালো লাগেনা আমার । তবে একটু সময় নিলে গল্পটি কে বাড়ানো যায় আপনার আইডিয়া ফলো করে, শুধু মামুনের একটু ভালো অবস্থা করে তারপর দুইজনের মিল করিয়ে দিব :D
লেখক লেখিকারা কি সুন্দর নিজের মনের মত করে গল্পগুলোর পরিনতি টানতে পারে, বাস্তবে আমরা তা কেন পারিনা :(

তবে গল্প টল্প আমার দ্বারা হবেনা বুঝে গিয়েছি, অনেক কঠিন :(( আর সাহস হবেনা গল্প লেখার, আমার কবিতাই ভালো :P

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি! অনেকগুলি টাইপো হয়ে গেছে। ক্ষমা প্রার্থী। ♥♥♥♥

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @স্যরি! অনেকগুলি টাইপো হয়ে গেছে। ক্ষমা প্রার্থী-- কোনো ব্যাপার না ভাইয়া ।

প্রিয় পদাতিক ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, সময় নিয়ে ছোট বোনের লেখা পড়ে খুব সুন্দর কিছু পরামর্শের জন্য । আবার যদি কখনো সাহস হয় গল্প লেখার তখন অবশ্যই ওগুলো ফলো করবো আমি ।

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

রাকু হাসান বলেছেন: সিগ্ধা কে মামুনের প্রশ্ন টি কেমন যেন লাগলো আমার । কঠিন প্রশ্ন । এবং সাহসী আশ্চর্যচনক উত্তর । আসলে আবেগ বলে কথা । তবে এইসব কথার বান্তবতাও আছে ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @সিগ্ধা কে মামুনের প্রশ্ন টি কেমন যেন লাগলো আমার । কঠিন প্রশ্ন । এবং সাহসী আশ্চর্যচনক উত্তর । আসলে আবেগ বলে কথা । তবে এইসব কথার বান্তবতাও আছে---- হাহা ! হুম, আসলেই অনেক কঠিন প্রশ্ন এবং সাহসী উত্তর :P সত্যিকারের ভালোবাসা আর আবেগ আমাদেরকে সাহসীই তো করে তোলে, তবে এই সাহস নিজের ও পরিবারের জন্য ক্ষতিকর :(


@তবে এইসব কথার বান্তবতাও আছে-- হয়তো আছে :P কারন বাস্তব থেকেই তো গল্প হয় ।

রাকু হাসান ভাইয়াকে ধন্যবাদ আমার লেখা গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।
তবে গল্প লেখার আর সাহস নেই :((

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার প্রতিদিন প্রায় এক ঘন্টা ২০/২৫ মিনিট আপ ও ডাউনে অটোতে কাটে। এই সময় আমার ব্লগিং এর কমেন্টে টাইপোগুলি হয়ে থাকে। যে কারনে আমার কমেন্টে এত টাইপো। এই যেমন এখন অটোতে বসে টাইপ করছি



শুভকামনা প্রিয় ছোটোবোনকে।


১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আমার প্রতিদিন প্রায় এক ঘন্টা ২০/২৫ মিনিট আপ ও ডাউনে অটোতে কাটে। এই সময় আমার ব্লগিং এর কমেন্টে টাইপোগুলি হয়ে থাকে। যে কারনে আমার কমেন্টে এত টাইপো। এই যেমন এখন অটোতে বসে টাইপ করছি-- ভাইয়া যে এতো ভয়ানক ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের লেখা নিয়মিত পড়েন ও মন্তব্য করেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা ।

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপু,

আমার আইডিতে কিছু সমস্যা মনে হচ্ছে। আমার ড্রাফটগুলো শো করছে না। :(


তোমার ড্রাফ্ট করা পোস্টগুলো ঠিক আছে নাকি দ্যাখতো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আমার আইডিতে কিছু সমস্যা মনে হচ্ছে। আমার ড্রাফটগুলো শো করছে না। :(
-- আসলেই কি সমস্যা হয়েছে নাকি অন্য কিছু :P


@তোমার ড্রাফ্ট করা পোস্টগুলো ঠিক আছে নাকি দ্যাখতো
-- আমার কোন পোস্টই ড্রাফ্‌ট করা নেই ।


আমার যেন কি হয়েছে কাজিন :( লিখতে ভাল্লাগছে না কয়েকদিন হল । লেখাও পড়িনা, শুধু লগ ইন করে বসে থাকি সারাদিন :(

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কথাটা আমি সিরিয়াসলি বলেছি।


আজকে তোমার মন খারাপের দাওয়াই দিতে পারবো না। মেজাজ গরম...
ভালো থেকো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @কথাটা আমি সিরিয়াসলি বলেছি-- ও আচ্ছা :|| যাই হোক, দুঃখিত । আমার ড্রাফট নেই কোন ।

দোয়া করি আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাক জলদি আর সাথে মেজাজ ও ওকে হোক :P

@আজকে তোমার মন খারাপের দাওয়াই দিতে পারবো না-- এর একটাই দাওয়াই, যেটা অ্যামাজন জঙ্গলে আছে :|

১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৩

চোখেরে কাঁটা বলেছেন: গল্প ভাল হইছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @গল্প ভাল হইছে।-- যাক, ভালো লাগলো জেনে যে ভাইয়ার কাছে আমার লেখা গল্প ভালো লেগেছে B-) আমি কিন্তু গল্প টল্প লিখতে পারিনা ভাইয়া । কিন্তু মাঝে মাঝে দু একটু মন চায় লিখতে :(( অত ভালো হয়না ।

১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩০

চোখেরে কাঁটা বলেছেন: ভাল থাকবেন

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ভাল থাকবেন -- ধন্যবাদ । আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া ।

১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: ছোট গল্পের আসল থিম কি জানেন? শেষ হয়েও না হয় শেষ। পাঠকের কাছে প্রশ্ন রেখে যাবেন? তাকে চিন্তা করতে দিবেন। তাকে ভাবতে দিবেন আর কোন ফিনিসিং কি আনা যেত! হলে কেমন হতো। আপনার ফিনিসিং টা দারুন হয়েছে, যে যাই বলুক।

প্রেমের গল্প লিখতে বসে গদ্য লিখবেন নাকি? লিখেছেন তো প্রেমের গল্প কিন্তু প্রেমের রস এত কম কেন? লেখা শেষ করে প্রেমের গল্প কে একবার রিভিশন দিয়ে প্রেমের রসে চুবিয়ে নিয়ে আসবেন। তারপর দেখেন পাঠক কিভাবে খায়?

আর একটা কথা, কথোপকথন লেখার সময় প্রথমে নাম দিচ্ছেন কেন? আপনার লেখাই তো বলে দিবে কার ভাষা কোনটা? পাঠক কে সিকোয়েন্সের ঢুকিয়ে দিন। তাকে আন্দাজ করতে দিন।

সব শেষে উপদেশ দেবার জন্য স্যরি। প্রিয় বলেই এত কথা বললাম।

শুভ কামনা রইল।


২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ছোট গল্পের আসল থিম কি জানেন? শেষ হয়েও না হয় শেষ। পাঠকের কাছে প্রশ্ন রেখে যাবেন? তাকে চিন্তা করতে দিবেন। তাকে ভাবতে দিবেন আর কোন ফিনিসিং কি আনা যেত! হলে কেমন হতো। আপনার ফিনিসিং টা দারুন হয়েছে, যে যাই বলুক--আমিতো গল্প লিখতে পারিনা নীলআকা৩৯ ভাইয়া :( তবে হাল ছাড়িনি এখনও, চেষ্টা করছি কবিতার মত গল্পেও প্লাস পেতে B-)

@প্রেমের গল্প লিখতে বসে গদ্য লিখবেন নাকি? লিখেছেন তো প্রেমের গল্প কিন্তু প্রেমের রস এত কম কেন? লেখা শেষ করে প্রেমের গল্প কে একবার রিভিশন দিয়ে প্রেমের রসে চুবিয়ে নিয়ে আসবেন। তারপর দেখেন পাঠক কিভাবে খায়?--- লেখাটি যতখানি না প্রেমের তার চেয়ে বেশী বিরহের। বিদায় বেলার বিরহ :( আমার নিজের মনেই কি প্রেমের রসের অভাব আছে নাকি :P তবে ইদানীং বিরহ টা একটু বেশী প্রেম কম :(

@আর একটা কথা, কথোপকথন লেখার সময় প্রথমে নাম দিচ্ছেন কেন? আপনার লেখাই তো বলে দিবে কার ভাষা কোনটা? পাঠক কে সিকোয়েন্সের ঢুকিয়ে দিন। তাকে আন্দাজ করতে দিন।

সব শেষে উপদেশ দেবার জন্য স্যরি। প্রিয় বলেই এত কথা বললাম।
-- উপদেশ তো চাই আমি । কারন আমি চাই ইম্প্রুভ করতে । ধন্যবাদ আপনার উপদেশের জন্য ভাইয়া ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.