নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও ন্যায়ের কথা সহজ করে বলি

সরল কথা

সহজ করে বলি

সরল কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বউ গেছে তাতে কি, নতুন বউ পেয়েছি...................

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

প্রখ্যাত সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন এর গ্রামগঞ্জের সংবাদে খুব ইন্টারেষ্টিং একটি ঘটনা পড়েছিলাম। ঘটনাটি সম্ভবত বৃহত্তর রংপুরের এক শ্রমিক নেতার। ঘটনাটি লেখকের ভাষায় লিখছি।

একদিন সন্ধ্যায় আমরা কয়েকজন সাংবাদিক সহ প্রেসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় বাশার নামের ভাঙ্গা চোয়াল এবং লিকলিকে শরীর নিয়ে শ্রমিক নেতা প্রেসে প্রবেশ করল। সে আমাদের পূর্ব পরিচিত। প্রায়ই তাকে বিভিন্ন রাস্তাখাটে মিছিল করতে দেখা যায়। মিছিল শেষে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতেও দেখা যায়। সেই নেতা হঠাৎ পত্রিকা অফিসে আসার কারণ কি হতে পারে? নিশ্চয়ই শ্রমিকদের বিষয়ে কিছু বলতে চায়! কিন্তু বাশার নামের লোকটিকে উদ্ভ্রান্তের মত দেখাচ্ছিল। মনে হচ্ছে যেন, তার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে! সে বিড়বিড় করে কাকে যেন গালিও দিচ্ছিল। বাশার বলল, রিপোর্টার সাব! আমার একখান সংবাদ আছে! ছাপে দিবার পারবেন! ছাপতে কয় ট্যাকা লাগবে, কন? এ কথা বলে, বাশার পকেট থেকে কয়েকটি পাঁচ টোকার মোড়ানো নোট বের করল! তখন এক রিপোর্টার বলল, সংবাদ ছাপাতে টাকা লাগে না! কি হয়েছে তাই বলেন? বাশার বলল, একখান ছবি ছাঁপা লাগবে! সে পকেট থেকে একটি মুখ খোলা খাম আমাদের দিকে এগিয়ে দিল! খামের ভিতরে এক মধ্যবয়স্ক নারীর ছবি! বাশার বলল, এই মহিলা আমার বউ! গত দিন হল সে পালিয়ে গেছে! এই ব্যাটি আমার মান সম্মান সব শেষ করে ফেলেছে! এখন ছবি পত্রিকায় প্রকাশ করে দিয়ে ওর মান সম্মান খামু! বাশার কে শান্ত হতে বলি এবং পুরো ঘটনা খুলে বলতে বলি! সে বলল, ওর সঙ্গে তিন বছর ভালোবাসা করার পর বিয়ে করেছি! বিয়ের ছয় মাসের মাথায় আমার এক বন্ধু খুব ঘন ঘন আমাদের বাড়ি আসা শুরু করল। ওকে স্নো পাউডার কিনে দিতে লাগল। কিন্তু আমার বুঝে উঠার আগেই ওরা অনেক দূর পৌছে গেছে! গত পরশু রাতে বাড়ি ফিরে দেখি দরজা খোলা! ভাবলাম, বউ হয়তো ভুল করে দরজা খুলে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু ঘরে গিয়ে দেখি বউ নেই। সব জায়গা খোঁজ করলাম কিন্তু বউ নেই। তখন কি মনে করে ঐ বন্ধুর বাড়ি গেলাম! ওর বউকে জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় সে? ওর বউ বলল, একটা কাজ আছে বলে সেই সকালে বেরিয়ে গেছে আজও আসেনি! তারপর নিশ্চিত হই, আমার বউ ওর সঙ্গে পালায় গেছে! এরপর বাশারকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেই! বলি এই সংবাদ প্রকাশ হলে তোমার নিজেরই ক্ষতি। এই ঘটনার ঠিক পাঁচ বছর পর বাশারের সঙ্গে ঢাকায় দেখা! সঙ্গে ঘোমটা দেয়া বউ এবং তিনটি বাচ্চা! তখন ভাবলাম, তার আগের বউ কি ফিরে এসেছে নাকি নতুন বিয়ে করেছে? আর নতুন বিয়ে করলে এতো বড় বড় বাচ্চা কি করে হবে? বাশার আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে, আমাকে এক কোনায় নিয়ে গেল! সে বলল, রিপোর্টার সাব! আমার যে বন্ধুটা আমার বউকে নিয়ে পালিয়েছিল, সেই বন্ধুরই বউ এটা! ও আমার বউকে ভাগিয়ে নিয়েছে। আমি ওর বউকে নিয়েছি। সঙ্গে রেডিমেড তিনটা বাচ্চাও পেয়েছি!

গত সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সে সময় পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরের অভ্যন্তরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে কোন এক সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যনারে একটি অনুষ্ঠান চলতেছিল। যার প্রধান অতিথি ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।মিডিয়ার ভাষায় আমি বা আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাপোর্টার। এ রকম কোন অনুষ্ঠানে আমাদের যাওয়ার সুযোগ খুব কমই হয়েছে। মাননীয় মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে কি বক্তব্য দিতে পারে, তা হয়তো অনেকেই ধারনা করতে পারছেন! তিনি বলেন,“আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদবুদ্ধ হতে হবে। সেই চেতনার সংস্কৃতিকে আমাদের লালন করতে হবে”। বক্তৃতা পর্ব এবং আরও আনুষাঙ্গিক বিষয়াদির পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হল। প্রথমেই নাচ। আমরা ভাবলাম হয়তো নাচ হবে, ধন ধান্যে পুষ্পে ভারা আমাদেরই এই বসুন্ধরা টাইপের কিছু! কিন্তু মঞ্চের পাশে সাজিয়ে রাখা সাউন্ডবক্সে বেজে উঠল, আমাদের প্রতিবেশী দেশের হিন্দি গান! আমার পাশের জনকে বললাম, ভাই! এই গানটির কি নাম! তিনি বললেন, ঐ যে সানি লিওনের নাম শুনেনি? সে যে বেবি ডল গানটিতে নেচে ফাটিয়ে দিল! সেই গান এটি! সানি লিওন পর্ব শেষ হলে এর পরের জনও আর এক হিন্দি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করলেন। চেতনাময় সংস্কৃতির চর্চা দেখে মন্ত্রী মহাশয় দ্রুত হল ত্যাগ করলেন। জানি না মন্ত্রী মহাশয় বেজার হয়েছেন কিনা? তবে যে চেতনা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গভীর অধ্যাবসায়ের কারণে আমরা পেয়েছি, সেখানে তাদের চেতনাময় সংস্কৃতিকে বরণ করে নিলে খুব একটা ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। যদি সঙ্গে পাওয়া যায়, সানি লিওনের মত রেডিমেট অনুকরনীয় শিল্পী বৃন্দ! অবস্থাটা এমন,বউ পালিয়ে গেছে তাতে কি! আর একটা বউ তো পেয়েছি! বাংলার ইতিহাসে হিন্দি সংস্কৃতি ঢুকেছে তাতে কি উর্দুকে তো তাড়াতে পেরেছি! সংস্কৃতির বদলে সংস্কৃতি পেয়েছি!

বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে পুলিশের উপস্থিতি এবং কারণে অকারণে তল্লাশি চালানো দেখলে মনে হয় যেন, সরকার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দারুণ চিন্তিত। কিন্তু বাস্তবতা যেন ভিন্ন কথা বলে? চোরের ভয়ে, ছাগল কে বাঘের জিম্মাদারিতে রেখে গেরেস্তো নিশ্চিন্তে থাকলে লোকে যমন তাকে পাগল বলবে, তেমনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ট্রানজিট নামক ব্যবস্থা প্রদান করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরালো করাকে পাগলেরই কাজ বলতে হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খসড়া রিপোর্টে ভারতের সেভেন সিস্টার অঞ্চলকে অনেকটা ল্যান্ড লক্ড হিসেবে দেখিয়ে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার পক্ষে যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে। বলেছে বাংলাদেশ মাঝখানে থাকায় ভারতের ত্রিপুরাকে প্রায় ১৬শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কলকাতা বন্দরে যেতে হয়, সেই কারণেই নাকি ভারতকে ট্রানজিট দেয়া অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জানা নেই ইতিহাস। ভারতের ত্রিপুরা মিজোরামের সাথে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ও লেনদেনের সুবিধার জন্য '৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় বাংলাদেশের প্রাপ্য করিমগঞ্জকে করিডোর হিসেবে ভারতের দিয়ে দেয়া হয়। সুতরাং দেশ বিভাগের সময়ই ত্রিপুরা মিজোরামের সাথে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থা বাংলাদেশ করে দিয়েছে। ত্রিপুরাকে কলকাতা বন্দরে যাবার জন্য অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয় একথা সত্য। কিন্তু এই সমস্যাটা কি ত্রিপুরা মিজোরামের একার? ভারতের অন্য অঞ্চলের কি নেই? কলকাতা বন্দরে যাবার জন্য ত্রিপুরাকে ১৬শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়, কিন্তু ভারতের হিমাচল প্রদেশকে তার নিকটবর্তী মুম্বাই বন্দরে যেতে ১৭৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। আর জম্মুকে মুম্বাই বন্দরে যেতে পাড়ি দিতে হয় ২২৭৫ কি. মি. ,দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় আছে ভারতের কিছু প্রদেশ। সুতরাং দূরত্ব কোনো বিষয় নয়।

ভারত আসলে তার পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ সেভেন সিস্টারের সঙ্গে বহুমুখী ট্রানজিট চায় অর্থনৈতিক কারণে নয় সামরিক কারণে। বহুমুখী ট্রানজিটের নামে বহুমুখী করিডোরের পথে ভারত দ্রুত সৈন্য অস্ত্র আনা-নেয়া করতে যেতে চায় তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। টার্গেট উলফা দমন এবং স্বাধীনতাবাদীদের দমন করা।

যে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে উলফা দমন করা হবে, সেই বাংলাদেশকে কি উলফা ছেড়ে দিয়ে কথা বলবে? সেভেনসিষ্টারের সেই সব ফ্রিডম ফাইটাররা শুধু ‍মুখে আঙ্গুল পুরে বসে থাকবে না! এর ফলে হয়তো বাংলাদেশের আপামোর জনসাধারণকে চড়া সুদে মূল্য দিতে হবে!

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

জটায়ু. বলেছেন: পর্যেবেক্ষন ভালো

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

সরল কথা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

উচ্ছল বলেছেন: সেভেন সিস্টারের স্বাধীনতা চাই।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

সরল কথা বলেছেন: উলফা দলের সদস্য বলে জেলে ঢুকাবে!

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: চিন্তার বিষয়

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

সরল কথা বলেছেন: হুম!

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: এত বুঝি না,বুঝতেও চাই না।রাজাকারের ফাসিঁ হইছে,মিষ্টি খেতে চাই।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

সরল কথা বলেছেন: ঠোঙ্গা বিক্রি করে মুড়ি খান!

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: সত্যটা বলেছেন এবং খুব ভাল লিখেছেন ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

সরল কথা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: চড়া সুদে মূল্য দিবে জনগন, সরকার তো আর দিবে না. তাদের সুইজ ব্যাংক আছে না??

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

সরল কথা বলেছেন: হ্যা! যত ফাড়া সব জনগনের মাথার উপর দিয়েই যাবে!

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বৌ পালাল আষাঢ় মাসে, ঘরদোর জুড়ে বৃষ্টি আসে :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

সরল কথা বলেছেন: !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

জীবনতরী চলছে বলেছেন: নিজের বউ হারিয়ে বাশার না হ্য় বন্ধুর বউ নিয়ে প্রতিশোধ নিলো, কিন্তু ব্রাদার আমরা কেমনে দাদা বাবুদের মাসতুতো ভাই বানিয়ে নিব। বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে দাদারা সহায়তা করেছে বলে তারা মহান! একই দাবীতে সেভেন সিস্টারের স্বাধীকার আন্দোলন সেখানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা! কি দারুন না ?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

সরল কথা বলেছেন: দারুন পর্যবেক্ষণ

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

মো: আবু তাহের বলেছেন: সেই ‘৪৭ সাল থেকে আজ অবধি ইন্ডিয়া আমাদেরকে গোলাম করে রাখার জন্য যারপর নাই সব ধরনের চেষ্টাই করেছে। এক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে।
লজ্জার বিষয় হলো আমরা প্রায় সব সময়েই অন্যের গোলামী করতে, অনুকরণ-অনুসরণ করতে কেন জানি ভাল বাসি! আমরা যদি এই গোলামী পরিহার করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরকে আরো চরম মূল্য দিতে হতে পারে। তাই এখনই সময়, তরুন আর যুবকদের জেগে ওঠার। এসব অন্যায় আর অপ-সংস্কৃতির কড়া প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ করার।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

সরল কথা বলেছেন: জি যথার্থ বলেছেন।

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজের জিনিস বড় ম্লান অন্যের চকচকে ইমিটশেনে তাই আমাদের বড় আগ্রহ। ঐতিহ্যকে মানুষের কাছে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনার দায়িত্ব কার?
পরিবার, স্কুল, প্রতিবেশী চারপশে অন্যের জয়জয়কার। নিজেরদের কথা বলে গলা ফটিয়ে চলছে দুচারজন। তারা হাসির খোরাক যোগায় ...

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

সরল কথা বলেছেন: সকেলেই নিজের দায়িত্বটা পালন করলে দু’চারজনকে আর গলা ফাটানোর প্রয়োজন পড়ে না!

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

হোসেন মালিক বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। নির্বাচিত পাতায় আসা উচিত ছিল

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

সরল কথা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কতকিছুই উচিত! কিন্তু কয়টা হয়? আমি আশঙ্কায় ছিলাম সামুর মডুরা আমাকে আবার না ব্যন করে দেয়! আর আপনি বলছেন নির্বাচিত হওয়া উচিত ছিল! হাসালেন ভাই!

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবস্থাটা এমন,বউ পালিয়ে গেছে তাতে কি! আর একটা বউ তো পেয়েছি! বাংলার ইতিহাসে হিন্দি সংস্কৃতি ঢুকেছে তাতে কি উর্দুকে তো তাড়াতে পেরেছি! সংস্কৃতির বদলে সংস্কৃতি পেয়েছি!

বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে পুলিশের উপস্থিতি এবং কারণে অকারণে তল্লাশি চালানো দেখলে মনে হয় যেন, সরকার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দারুণ চিন্তিত। কিন্তু বাস্তবতা যেন ভিন্ন কথা বলে? চোরের ভয়ে, ছাগল কে বাঘের জিম্মাদারিতে রেখে গেরেস্তো নিশ্চিন্তে থাকলে লোকে যমন তাকে পাগল বলবে, তেমনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ট্রানজিট নামক ব্যবস্থা প্রদান করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরালো করাকে পাগলেরই কাজ বলতে হয়।

ভাল বলেছেন। কিন্তু বুঝার কথা যার সেতো বুঝবে...না।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

সরল কথা বলেছেন: আপাতোত আপনি আমি বুঝি! পরবর্তিতে না হয় অন্যদের কথা ভাবা যাবে!

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

বিপরীত বাক বলেছেন: নিজেরা যখন হিন্দি সিনেমা দেখে জায়গায় জায়গায় প্রেম করে বেরিয়েছেন,,
হিন্দি সিনেমার গানের কথায় প্রেমিকা কে পটিয়েছেন,,
হিন্দি সিনেমার নায়কের হেয়ারকাট নকল করে পোসপাস করে বুক ফুলিয়ে পাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছেন,,
হিন্দি সিনেমার ভাষায় ক্লাসমেট বা পাড়ার জুনিয়র টাকে গালিগালাজ করে আত্মতৃপ্তি লাভ করেছেন,,
বিয়ের অনুষ্ঠানে হিন্দি গান বাজিয়ে আভিজাত্য দেখিয়েছেন বা অনুষ্ঠানে আসা মহিলা অতিথি দের নজর কেড়েছেন,,,

তখন কোন দোষ হয় নাই। তখন আপনাদের দেশপ্রেম দন্ডায়মান হয়নি।। জাত্যাভিমান জাগ্রত হয় নাই??

আর এখন মন্ত্রী সাহেব যুগের সাথে তাল মিলিয়ে জনগণের চাহিদানুযায়ী অনুষ্ঠানে হিন্দী গান বাজিয়েছে আর অমনি আপনাদের দেশ, স্বাধীনতা, জাতি এক্কেরে উইড়্যা গেছে।। তাই না? !

আপনাদের প্রতিচ্ছবি ই তো আপনাদের জনপ্রতিনিধি রা।।

এমন সস্তা জাত্যাভিমানের মুখে ___ মারি।।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১

সরল কথা বলেছেন: বাহ!বাহ! জনাবের চেতনা দন্ড যেন লম্ফ দিয়ে জেগে উঠল! জনাব, নিজে চোর বলিয়া আশে পাশের দশ জনকেও চোর ভাবিয়া ভুল করতে যাবেন না! নিজের প্রেম নিবেদনের আদ্য ইতিহাস দিয়ে আমার বা আমাদেরকে তেমনটা ভাবতে যাবেন না! আসলে কি জানেন, আপনাদের ভিতরে বিবেটা আজ একরোখা বা দলীয় কেন্দ্রীক হয়ে গেছে! আজ আপনাদের কাছে দেশের থেকে দল বড় দলের চেয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চামচামো বড়!

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: কে শোনে কাহার কথা!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

সরল কথা বলেছেন: অযথাই শুধু বকে যাওয়া!

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

বিপরীত বাক বলেছেন: সরকার বা শাসক দল কে দেখেন কেন শুধু?

পুরো জনগণের পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভারত দিয়ে ভরা। চোখ দিয়ে শুধু ভারত ই ( হিন্দি সিরিয়াল) দেখে।
চলেও ভারত ( ইন্ডিয়ান বাইক, ইন্ডিয়ান সিএনজি, ইন্ডিয়ান ট্রাক, ইন্ডিয়ান ট্রেন কি নাই !) দিয়ে।
পড়নেও ভারত ( ইন্ডিয়ান শাড়ী, থ্রি পিস, শার্ট, হাত ঘড়ি কি নাই। ...... যে দেশী গার্মেন্টস নিয়ে হোগা ফাটায়া গর্ব করেন সেটারও বাইং হাউস বেশিরভাগ ইন্ডিয়ান অপারেটেড, ডিজাইন গুলো ও ইন্ডিয়ান, কাপড় অসে ইন্ডিয়া থেকে)।

বাকি ছিল শুধু ইলেকট্রনিকস। এখানে চায়না জাপানের অাধিপত্য অনেকদিন ধরে চলছিল। এখন সেটাও ইন্ডিয়ান। ওভেন, ফ্রিজ , টিভি বেশিরভাগ ইন্ডিয়া।

অার অাপনারা জনগণ এইসব ব্যবহার করেন খুব গর্ব করে, অাত্মতৃপ্তি নিয়ে। নিজেরাই ভারত কে চাইট্টা চুইট্টা খান উঠতে বসতে অার দোষ দেন ওই শালা সরকার কে।

এই দেশে ভারত বিরোধিতা একটা হাস্যকর অশ্লীল নোংরা কৌতুক ছাড়া অার কিছুই নয়।

প্রতিবেশি দেশের সবচেয়ে বড় চামচা হলো জনগণ অার এই জাতি।

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মিথুন আহমেদ বলেছেন: লেখক সাহেব , অলরেডি ভারতের পেটের ভিতর ঢুকে গেছি। বাকি শুধু আমাদের পাসপোর্ট পরিবর্তন আর দাদাবাবুদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

সরল কথা বলেছেন: সেই ঘোষনা আর আনুষ্ঠানিকতার খুব একটা দেরি আছে বলে মনে হয় না! নামেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কামে কিন্তু ভারতের অঙ্গরাজ্য সরকার!

১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

blackant বলেছেন: এইসব পোষ্ট পড়ে মন খারাপ করে হার্টের অসুখ বাড়ানো আর মাদ্রাজের ডাক্তারদের বড়লোক করা ; কুচ্ছু হইবনা দেশ ছরম গতিতে চইলত থাকব । ভয় নাই । লবন পানি এখনো দেশেই প্রস্তুত হয় খাইয়া লন । মইরা গেলে অভিশাপ দিয়াম আর কুছু করা পারাম না । "আ ... আ...... !!!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

সরল কথা বলেছেন: চরম কথা কথা কইয়েছেন মিয়া ভাই!

১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিপরীত বাক বলেছেন: যাত্রাবাড়ি-গুলিস্তান ফ্লাইওভার তো ওরিয়ন গ্রুপের হাতে। ওইটা হাওয়া ভবনের চ্যালা। তারেক বাস্টার্ড টার বন্ধু। ওখানে ভারত গেল কেমনে?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

সরল কথা বলেছেন: দুঃখিত! হয়তো আমার জানাটা ভুল ছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.