নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রমোশন নয় পেনশন- গল্প

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

জীবনের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আসার পর, খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্ত অন্যায়ের কাছে হার মানতে শিখিনি।

অনেক কষ্টের বিনেময়ে একটি চাকুরী জোগার হলো, কিন্তু তা আবার এক জন আর্মির মেজর এর সহযোগীতায় বা সুপারিশে, আল-হামদুল্লিাহ, খুশিই হলাম। একজন কর্মচারী হিসাবে যোগদান করলাম সুধুর খুলনা একটি অফিসে তা আবার ডিফেন্স অব মিনিষ্টারীর অধীনে, বেশ ভালই লাগলো। মোটামুটি একটি ধারাবাহিক নিয়ম তান্তিক জীবিকার একটা উৎস বলা চলে। তবে সাটিফিকেট না থাকলেও মনে হয় চলতো, আমাকে আমার অন্যান্য সহকর্মীরা বললেন, ভাই নিরাশ হয়ো না,তোমার সার্টিফিকেট ভবিষ্যতে কাজে আসতে পারে, আমি সেই আশাতেই বুক বেধে সামনের দিকে আগাতে থাকলাম।



জীবন জিবিকার একটা উপায় মাত্র। আর কিছু হোক আর নাই হোক মাস শেষ হলে একটা বেতন নামের মাসিক কিছু টাকা পকেটে আসছে। বাচার একটা উপায় হয়েছে মাত্র এবং মনে মনে বললাম আমার আদর্শ আমি ধরে রাখবোই হায়রে নিয়তি মাস যায় দিন যায়.যে যে খানে পারে আমাকে খাটায়্ । কর্তা ব্যক্তির সার্থ শেষে হয়ে গেলে তিনি ধোমক দিতে একটুে দেরী করেন না। এমনি ভাবে জীবনে অনেক মহা মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেললাম। কিন্তু পিছে ফেলে আসা অনেক কিছুই আমার সামনে আসতে লাগলো, তবে আমি তাদেরকে আর গ্রহন করতে পারছি না। হায়রে চাকুরী আজ আমার কাছে এরা কেন আসে, নির্বোধের মত সুধুই ভাবি। হয়তো কখনো কিছু উত্তর খুজে পাই আবার কখনো কিছুর উত্তর খুজে পাই না।



চলার পথে একজন সহযোদ্ধা মানে সাথী নিজের পছন্দ মত জোগার করে নিলাম, সে সব সময় আমাকে সুখ ও দু:খের পাশ্বে থেকে সর্বউচ্চ সাহস যুগিয়েছেন, আশার বানী সুনিয়েছেন, এবং যেটুকু অর্জন তার বেশীর ভাগই তার অবদান না বললে ভূল করা হবে। বেশ ভালই কাটছিল আমার দাম্পত্য জীবন কিন্তু পিছনের প্রেম এসে মনের দরজায় নয় একেবারে জনসমক্ষে সাক্ষাৎ মহা আবিভার হিসাবে প্রবেশ করলো, হায়রে প্রেম যে আমাকে ভিখারি বলে স্বগর্ভে প্রত্যক্ষান করে ছিল, সে কিনা আজ এই ভিখারির দরজায় দাড়িয়ে আছে, একবার ভাবলাম স্বপ্ন দেখছি কিনা । আসলে দেখলাম আমি স্বপ্ন দেখনি এটা একান্ত ই সত্য। মনটা একবার কেপে উঠলো, আমার সুখের সংসারে কোন কালবৈশাখী ঝড় আসলো নাতো, কিন্তু আমার সহধর্মিনী সত্যই এক মহিয়ষী রমনী, বিনা বাক্যে এবং অবলিলাহ তাকে মহিত করে দিল এবং সংবরন করলো, আমার ভালবাসাকে সত্যই সঠিক মর্যদা দান করলো। তাকে সঠিক আপায়ন করলো। কিন্তু উপায় নাই, আমি বিবাহিত তাই আর তাকে আমার সংগী করা মোটেই সম্ভব হলো না।



যাইহোক, কিছুদিন পর ঘটনাক্রমে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গেলাম । শুনলাম তারও বিয়ে হয়ে গেছে, এটা আল্লাহর একটা মেহেরবাণি ছাড়া আর কিছুই না। তিনি একটা পুত্র সন্তান লাভ করলেন এবং আমাকে গল্প শোনাতে ভুল করলেন না যে তার স্বাথী আমার চাইতে বয়সে ছোটই হবে, বেশী নয়। বলা বাহল্য, জীবন গতিময়, এটাকে আল্লাহ যে ভাবে চালাবে তাতেই খুশি, মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মিয়-স্বজনের সাথে ভালভাবে কাটাতে মন চায় কিন্তু পেরে উঠছি কই। যেখানে যত টাকার প্রয়োজন তাহা চাকুরী করে হয় না, তাই বাধ্য হয়ে চাকুরীর অবসরে কয়েকটি টিউশনি নামে কর্ম জোগার করতে হলো। সকাল বেলা সরকারী চাকুরী বিকালে টিউশনি রাত্র ১০/১১ টায় বাড়ী ফেরা, নামাজ, আহার পড়ে ঘুমিয়ে পড়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। সময় যে কখন কেটে যায় বুঝতেই পারছি না।



তিন বছর খুলনাতে চাকুরী করার পর ঢাকাতে বদলী হলো ভাবলাম সুখের একটা নাগাল পাবো, এখানে আমার শশুর বাড়ী এবং গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার রাস্তাটাও সহজ হলো কিন্তু বিধি বাম এখানে সবাই থাকতে চায় এবং আসতে চায়, ঢাকায় চাকুরী করার জন্য সবাই একপ্রকার পাগল প্রায়। ভাগ্য খারাপ একটা ঘটনার স্বাক্ষী হিসাবে সামনে পড়ে গেলাম মনে হয় এই স্বাক্ষীটা না হলেই ভাল হতো কিন্তু তা তো হবার নয় জীবনে কখনও মিথা কথা বলার অভ্যাস নাই, তাই আমার দ্বারা বলা সম্ভব হলো না। এই আরকি আ্মাকে বদলীর একটা পথ পেয়ে গেল, তাও আবার আমার বাড়ীর উলটো দিকে, একদম রাজশাহী, হায়রে ভাগ্য উপায় আন্ত না পাইয়া পরিশেষে বদলীকৃত স্থানে যাইতে বাধ্য হলাম, শেষ পর্যন্ত চাকুরী ঠেকাতে যাইতেই হলো। আমার প্রথম সন্তান হলো সে একদম কাপড়ে বাধা অবস্থায় রাজশাহী গমন করলাম। আমার আত্মীয়রা বলতে লাগলো যেইনা চাকুরী তাতে বারবার বদলী হয়, দরকার নাই এই চাকুরীর, কিন্ত আমার স্ত্রীর ঐ একই কথা সরকারী চাকুরী করতে হবে, সেটা ছোটই হোক বা বড়ই হোক।



প্রায় তিন বছর সেখানে চাকুরী করার পর, আমার এলাকার একজন অফিসার সেখানে বেড়াতে গেল, তিনি আমার আঞ্চলিক ভাষা শুনে বুঝতে পারলেন আমার বাড়ী তাহার দেশে তাই তিনি কৃপা করে একটু আগাইয়াই বললেন, তুমি এত দুরে চাকুরী কর, সুবিধা মত কোথাও যেতে পারলা না। কিন্তু তিনি তো জানতেন না যে সত্য বলার অপরাধে আমি সাজা হিসাবে এখানে বদলি হয়ে এসেছি। তিনি আমাকে আশা দিলেন তোমাকে দেখি বদলী করা জায় কিনা? তিনি অনেক চেষ্টা করার পর আমাকে জানালেন তুমি কি অপরাধ করেছো যে, তোমাকে বদলী করতে চায় না। তখন আমি তাকে সব খুলে বললাম, কিন্তু তাতে তিনি আরো বেশী করে রেগে গেলেন তিন আমাকে সোজা বলেদিলেন, "এরকম সত্য বলা ছেড়ে দাও, তোর আর সত্য কথা বলার প্রয়োজন নাই , এবারের মত তোমাকে আমি বদলি করে বিমান বাহিনীতে পাঠালাম, তবে সাবধান, আর এরকম যেন আর কিছু না ঘটে" তিন বার স্বীকার করলাম স্যার আর এমন ঘটবেনা, কিন্তু চরিত্র কখনও যে পরিবর্তন হয় না সে কথা আমি বেমালুম ভূলেই গিয়াছিলাম।



যোগদান করলাম চট্টগ্রামের বিমান বাহিনী ঘাটি জহুরুল হকে । জীবন যৌদ্ধের এক কঠিন যোদ্ধা হিসাবে মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, সবাইকে নিয়া বসবাস করার চেষ্টা করলাম কিন্ত বাধ সাধলো আমার ভাগ্য বাবা প্রায়ই অসুস্থ্য থাকেন তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে যে পয়সার প্রয়োজন তাহা সংকুলন করতে হলে আর কারো খাবার জোগার করা সম্ভব হবে না। তাই একজন ভাল ডাক্তার দেখাতে পারি নি আমার বাবাকে, যে দু:খটা প্রায়ই আমার বুকের মাঝখানে বেদনা সৃষ্টি করে, যখন পয়সা জোগার করে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম তখন আমার বাবা চিকিৎসার অযোগ্য হয়ে পরেছেন। হায়রে নিয়তি, মেনে নিলাম সবই নিয়তি।



অফিসে যেয়ে সুনতে পেলাম আমার প্রমোশন লেটার এসেছে, আমাকে ঢাকাতে যেতে হবে প্রমোশন পরিক্ষা দেওয়ার জন্য, এই ফিরিস্থি টানতে টানতে দুই বছর চলে গেল, কিন্তু ঢাকাতে আর যাওয়া হলো না, এবার ফেসে গেলাম একটি সত্য গল্পের সাথে, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আবার বদলী কিন্ত এবার চট্টগ্রামের বাহিরে নয়, চেয়ে ছিলাম চট্টগ্রামের বাহির কোথাও্ বদলি হউক কিন্তু তাহা আর হলো না, মনে হয় তারা আমার মনের আসল উদ্যেশ জানতে পেরেছে। যাই হোক আবার প্রমোশন পালা এই ভাবে প্রমোশন ঝাপটা আমার জীবনে বহুবার এসেছে কিন্তু ঐ সোনার হরিটা আমি ধরতে কখনই পারি নাই,



পরিক্ষা দেয়ার জন্য ঢাকা হেড অফিসে আসলাম, পরিক্ষা দিলাম, প্রথম স্থান অধিকার করলাম কিন্তু আমার প্রমোশন হলো না,. প্রমোশন হলো টাকার, হাতাওয়ালা চেয়ারে বসলো টাকাওয়ালা নোয়াখালীর সেই দুইজন আর কুমিল্লার একজন কিন্তু আমার আর হাতাওয়ালা চেয়ারে বসা হলো না।



কিছুদিন এইভাবে চলে গেল আবার আসলো প্রমোশন লেটার, পরিক্ষায় অংশগ্রহন করলাম কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস পরিক্ষা রেজাল্ট আউট হলো আমি সারা বাংলাদেশে ১ম হলাম বোর্ড আমার পক্ষে রায় দিল, তাকে প্রমোশন দেয়া যায় কিন্ত আমার কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রমোশন দিলেন না। এখানেও ঐ একই ঘটনা সত্য বলার অপরাধে এবং ঘুষ না দেওয়ার অপরাধে আমি অপরাধি। শুধু আমার জন্য কাহারও প্রমোশন নামের বস্তুটি মিলো না। হায় রে নিয়তি তোমার কি খেলা বোঝার সাধ্য আছে কার।



চাকুরী যখন ২৫ বছর পার গলো বড় ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডিপ্লিমা পাশ করলো বুঝতেই পারলাম না ছেলেরা কখন পাশ করে বের হলো। তাহাকে বিএসসি পড়ানো প্রয়োজন, উপায় নাই চাকুরী ছাড়তেই হবে, দুটো ছেলেকে বিএসসি পড়াবার টাকা কোথায় পাবো, সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো আর হাতি পোষা একই কথা নয়কি? হাতি পোষার টাকা কোথায় পাবো, তাই প্রমোশনের পরিবর্তে পেনশনের আবেদন করতে হলো। আমার সাটিফিকেট সরকারী চাকুরীর ব্যাপারের কোন কাজেই আসলো না।



হায়রে নিয়তি, পেনশন নিলাম এবং চলে আসলাম ঢাকায়, তবে আমার তো বলাই হলো না, আমার একটা অতিরিক্ত পেষা আছে সেটা হলো আমি একজন কম্পিউটার টেকনিশিয়ান, হার্ড ওয়ার এবং শফটওয়ার। কাজে লেগে গেলাম, একদা একজন ভদ্রলোক আমাকে ফোন করে আবস্থান জানতে চাইলেন, আমি তাকে বললাম, ভাই আমি চট্টগ্রাম অভিমুখে যাচ্ছি তিনি আমাকে চায়র দাওয়াত দিতে চাইলেন, আমি কবূল করলাম। আগামী যে কোন দিন আপনার অফিসে দাওয়াত খাবো। তাবে আমাকে সবাই দাওয়াত দেয় কম্পিউটার মেরামতের জন্য , আমি ভাবলাম হয়তোবা এটাই হবে। কিন্ত তাহার কাছে যাওয়ার পর ব্যাপারটা হলো ভিন্ন, তিনি আমাকে আবার একখানা চাকুরীর অফার দিয়া বসলো। তাহার অফিসে এ্যাকাউন্টস অফিসার হিসাবে, আরে বাবা, আমি তো বিজ্ঞানের ছাত্র, আমি হিসাবের কি বুঝবো, কিন্তু তিনি নাছাড় বান্ধা, আমাকে ছাড়লোই না বললো, আপনি যা বুঝবেন তাতেই আমার চলবে। ঐ কোম্পানীতে চাকুরি করার পর কিছু দিন যাইতে না যাইতেই একটি বড় কোম্পানীতে যোগদান করলাম জোনাল ফাইন্যান্স ম্যানেজার হিসাবে। আল্লাহুর কি মেহেরবাণী যে প্রমোশনের জন্য কত চেষ্টা করলাম কিন্ত সেই প্রমোশন আমার হাতের কাছে থাকতেও আমি তাকে ধরতে পারিনাই কিন্তু এখানে সততার জন্য আমাকে পদ মর্যদার সর্ব উচ্চে স্থান দেওয়া হয়েছে।



তাই আমি মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজারো কুটি শোকর জানাই, আমিন, আমিন, আমিন।।।।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫০

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: তিন বছর আগের লেখা। পড়ে ভালোই লাগলো। আপনার গল্পটা অনেকটা আমার সাথে মিলে যায়। তবে আপনি সরকারী চাকরী করতেন আর আমি বেসরকারী। আমাকে তারা যথাসাধ্য খাটিয়ে নেয়; কিন্ত প্রমোশন দেয় না। প্রমোশনের ক্ষেত্রে বসেরা স্বজনপ্রীতি অবলম্বন করে। সেই সাথে আমার সার্টিফিকেটের দুর্বলতা আমাকে ভোগায়। ‍যদিও একই সার্টিফিকেট দিয়ে অন্যরা প্রমোশন বাগিয়ে নিয়েছে শুধু মাত্র উচ্চপদে তাদের নিকটাত্মীয় আছে বলে। অথচ তাদের চেয়ে কাজে কর্মে অনেক সৃজনশীল হলেও আমার প্রমোশন হয়না। আপনার মত আমারও বৃদ্ধ বাবা আছে, হার্টের রোগী; আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে যার উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে পারছিনা। ভাবছি ছোট খাট একটা ব্যবসায় শুরু করব; কিন্তু মুলধন যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। যাহোক, অবশেষে আপনি আপনার প্রাপ্য সম্মান পেয়েছেন, ভালো লাগলো। মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজারো কুটি শোকর জানাই, আমিন! আমিও তার উপরেই ভরসা করে আছি; নিশ্চই তিনি আমার জন্য ভালোকিছু করবেন।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: ওহ্ আপনাকে বলা হয়নি, বর্তমানে আমাকেও ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে বদলী করা হয়েছে। ইহাতে আমি আর্থিক ও পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছি। কি করব বুঝতে পারছিনা। আমার জন্য দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.