নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা ঝিঙ্গা কেন খাব?

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৩

আজ আমরা একটি গ্রীষ্ম কালীন অতি পরিচিত সবজি নিয়া আলোচনা করবো, তার মানে আমরা এই সবজিটি সবাই খাই, খেতেও বেশ ,মজাদার, কিন্তু এর মধ্যে যে কত ধরনের উপাদান আছে তা আমরা অনেকেই জানি না। গ্রামের বাড়ীতে অনেক সবজি আছে আমরা তার কোন খবরই রাখি না। ভাল কোন কিছু পাইলেই আমি তাহা সংগ্রহ করি এবং আমার বন্দু মহলে জানাতে সাহায্য করি। এর মাধ্যমে সবাই হয়তো জানতে পারবে, বেশী করে শিশুদেরকে বেশী বেশী সবজি খাওয়াতে চেষ্টা করুন।

এই সবজির পরিচয় নতুন করে দেয়ার কিছু নেই। তবে ঝিঙ্গার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

প্রতি এক কাপ বা ২২৭ গ্রাম খাদ্য উপযোগী ঝিঙ্গায় পাবেন আমিষ ২.২ গ্রাম, জলীয় অংশ ২১৪.৭ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ৩ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪১ কিলোক্যালরি, শর্করা ৯.৪ গ্রাম, চিনি ৩.৯ গ্রাম, ফ্যাট ২২৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ১২৫৮ আইইউ, ভিটামিন সি ৯.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৭১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৫২৪ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩২৫ মিলিগ্রাম, জিংক ৪৬৫ মাইক্রোগ্রাম। ঝিঙ্গায় থাকা এসব উপাদান আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগপ্রতিরোধে শক্তিশালী করে তোলে। আসুন জেনে নেয়া যাক ঝিঙ্গার কিছু উপকার সম্পর্কে।

১। ঝিঙ্গায় থাকা খাদ্যশক্তি আপনার দেহের দূর্বলতা কাটিয়ে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

২। ঝিঙ্গায় থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে জলীয় অংশ দেহের পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

৩। এতে থাকা ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেন্টকে শক্তিশালী করে। রোগ প্রতিরোধে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে। এমনকি ক্যানসারের জীবানু প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

৪। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ থাকায় হজমে সহায়তা করে। গ্যাসের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।

৫। ঝিঙ্গা রক্তে প্রবাহিত ক্ষতিকর কোলেস্টরেল দূর করতে সাহায্য করে।

৬। নিয়মিত ঝিঙ্গা খেলে আপনার লিভার সুরক্ষিত থাকবে।

৭। ঝিঙ্গায় উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি এর উপস্থিতি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সহায়তা করে।

৮। ঝিঙ্গায় থাকা ফোলেট হার্ট অ্যাটাক রোধেও সাহায্য করে।

৯। আয়ুর্বেদ মতে ঝিঙ্গা শীতল, মধুর, পিত্তনাশক, ক্ষুধাবর্ধক।

১০। এটি শ্বাসের কষ্ট অর্থাৎ হাঁপানি, জ্বর, কাশি ও কৃমিরোগ উপশম করে।

১১। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ ঝিঙ্গা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও পেট পরিষ্কার করে।

১২। প্রায়ই বমি বমি হলে ঝিঙ্গার পাকা বীজ তিন-চারটা নিয়ে বেঁটে এক কাপ পানি দিয়ে গুলে খেলে উপকার পাবেন ।

হয়তো আরো বেশী গুনাগুন থাকতে পারে আমার হয়তো জানা নাই, যতটা সংগ্রহ করতে পেরেছি ততটাই এখানে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।


আসলেই একটি ভাল সবজি। গ্রামের মানুষেরাই বেশী খায় এবং তাজা খায়।
আমরা হয়তো সেউ পছন্দ করি আবার কেউ করি না. তবে সবজিটি যে, আমাদের উৎপাদ করিতে বেশী অর্থ বা খটুনীর প্রয়োজন হয় না।তাহা হলফ করে বলতে পারি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।

আমার'তো ঝিঙ্গা পছন্দই। হাহাহা......

১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: সবজি আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। কিন্তু শিশুদের জন্য আরো বেশী দরকার। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.