নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা-বাবা হত্যা মামলায় ঐশীর ফাঁসি

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

আমি একজন বাবা, আমার সন্তানরা আমার প্রানের চাইতেও প্রিয়, যেমন প্রিয় ছিলাম আমি আমার বাবার কাছে।
বাবা সকালে ঘুম থেকে তুলে নামাজ পাড়াতেন, কোরআন পড়াতেন, আমিও চেষ্ট করি আমার সন্তানকে, নামাজ পাড়াতে এবং পবিত্র কোরআন পড়াতে, যদি তারা পড়ে তো ভাল কথা, আমি কিন্তু চেষ্টা করি প্রতি দিন নিয়ামিত কোরআন তেলায়ত করতে, একটি দিন ও যেন না শুরু হয় কোরআন ছাড়া।

আত-দুনিয়া মাঝরাতুল আখেরা-- আমাকে এবং আমার সন্তানদেরকে কেন পৃথিবীতে আল্লাহু পাঠিয়েছে, তার মধ্যে কিছু না কছিু কারন আছে। কেউ জানে আবার কেউ জানে না, আবার কেউ জানতে চেষ্টা করে না বা করার ইচ্ছে নাই। এই পৃথিবীতে যা কিছু করুন না কেন, প্রতিটা কাজের হিসাব মহান আল্লাহু তালার নিকট জবাব দিতে হবেই।

বিগত দিন গুলোতে একটি খবর পড়ে আসছি যে, একজন গোয়েন্দা পুলিশ অফিসার ও তার স্ত্রীকে, তার কন্যা সন্তান ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছেন, কথা শুনে শুধুই আমার মন জানতে মন চায় আসলে কি করে, তার বাবা-মাকে খুন করলো।

আমি বার বার সুধুই ভাবতে ছিলাম, এই ঘটনা কি করে সম্ভব, ভেবে কোন কুলকিনারা খুজে পেলাম না। আমার বাস্তব জীবনে আমি যত ঘটনা ঘটতে শুনেছি এবং যতই চিন্তা করি ততই প্রশ্নের ঘোরে আটকে যাই, হয়তো বা কোন কোন দিন কেউ হয়তো এর আসল রহস্য বের করবে, তখন হয়তো ঐশী নামের মেয়েটা আর বেচে থকবে না, সুধুই ইতিহাসের পাতায় তার নামটা পড়ে থাকবে। আমাদের তখন আফসোস করা ছাড়া আর কোন কিছুই করা থাকবে না। আমরা সিনেমা দেখি, ভয়াবহ ঘটনা দেখে কাঁদি এমনকি অবিশ্বাস্য সব কাহিনী দেখি, সকল কাহিনীকে হার মানিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপিত হলো এই ঘটনাটা, হয়তো কোন কোন লোক আমার এই লেখা পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে আমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়বে না।

একদিন আমার জীবনেরও সমাপ্তি ঘটবে, পৃথিবী নামের এই জায়গাটা খালি করে আমার আসন ছেড়ে দিতে হবে, আবার নতুন প্রজন্মের উম্মেস ঘটবে। তারা কিছু সময়ের জন্য হলেও আমাকে জীবন্ত করে তুলবে, আমার এই লেখা পড়ে, তাদের মাঝে প্রশ্ন আসবে এবং হাসবে আবার কেউ কেউ ভেবে হয়তো হসাবে না, আসল রহস্য খুজতে চেষ্টা করবে। হয়তো পাবে হয়তো বা পাবে না। কিন্তু আমি একজন ঐশী নামের মেয়েটাকে নিয়ে কিছু লিখে গেলাম তার রহস্যকে নিয়া।

আমি টেলিভিশনে ঐশীকে কাঁদতে দেখে আমি ভাবতেই পারি নাই ঐ মেয়ে কি করে তার জন্ম দান কারি মা-বাবাকে হত্যা করতে পারে। আজ রেডিওতে বিবিসি থেকে জানলাম, ডা: বলছেন, পরিকল্পিত হত্যা, আবার যদি কোন লোক নেশায় আসক্ত হয়, সে এই ধরনের কাজ এত সহজে করতে পারে না, নেশা থাকা অবস্থায় যদি একটি লোক যখন কোন অন্যায় কাজ করে সে কিন্তু তাহা ঠিক ভাবে করতে পারে না। ডাক্তার সাহেবের কথায় কোথায় যেন একটা তফাৎ পরিলক্ষিত হয়েছে। আমি একজন বাবা হিসাবে ঐ মেয়েটাকে অন্যায়ের আসনে বসাবার বহু চেষ্ট করেও পারিনাই। আমি বুঝতে ব্যার্থ হলাম না আমার স্নেহের দুর্ভলতা, ঠিক চিন্তা করে কুল কিনারা করতে পারলাম না। তার পরও আমি আমার পাঠককে মনে করিয়ে দিতে চাই এইটা কি অন্য কোন ঘটনার সাথে জড়ানো হলো কিনা? একজন স্বনামধন্য গোয়েন্দ অফিসার কি ভাবে খুন হলো, নাকি সময়ের আবর্তে ঐ অফিসার, তার স্ত্রী এবং তার কন্য সবাই বন্দি হয়ে গেল?

১২ নভেম্বর ২০১৫

পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। ঐশীকে তার বাবা হত্যার জন্য একবার এবং মা হত্যার জন্য আরেকবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন অাদালত। একই সঙ্গে মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ঐশীর আরেক বন্ধু জনিকে অভিযোগ থেকে খালাস দেন আদালত। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সে তার বাবাকে খুন করেছে। পরবর্তী সময়ে সে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে আদালতেও জবানবন্দি দেয়।

রায় শুনে অঝোরে কাঁদলেন ঐশী

রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বের করে নেওয়া হচ্ছে ঐশীকে। ছবি : এনটিভি
আদালতে আসার সময় মুখ ঢেকে মাথা নিচু করে এলেও বেশ স্বাভাবিকই ছিলেন তিনি। তবে রায় শোনার পর আর কান্না ধরে রাখতে পারলেন না ঐশী। রায় পড়া শেষ হতে না-হতেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন ঐশী। এ সময় তাঁর পাশে থাকা নারী পুলিশ সদস্যরা তাঁর চোখ মুছে দেন।

* আমার মনের কোণে একটি ছোট প্রশ্ন বার বার ঘুড়ে বেড়াচ্ছে, ঐশি তার বাবা-মাকে খুন করলো? নাকি তার বন্ধুরা খুন করলো? নাকি অন্য কিছু ঘটে ছিল? আমি আশা করেছিল, বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ অতি সহজে এই ঘটনার আসল রহস্য খুজে বের করবে। আমরা এরকমই আশা পোষণ করতে পারি কিনা?

জাতীকে আর কত হতাস হতে হবে? নিরাস হতে হবে? তা আমার জানা নাই। অনেক লোকের মাঝে কথা বলাবলি করতে দেখি, বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মত ব্যক্ত করে, আবার কেউ কেউ খোদ সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে প্রশ্ন করে, কিছুই বুঝতে পারছিনা। আসল রহস্য কি? কি ঘটেছিল এ সময়ে। ঐশী মারা যাবে, তার ছোট্ট একটি ভাই বেচেঁ আছে , সে কি তার বাবা-মা মরার কোন রহস্য জানতে পারবে, আমাদের গোয়েন্দ বিভাগ তার কাছে কি, সঠিক কোন তথ্য তাকে দিতে পারবে? হয়তো কেউ দিলে দিতেও পারে, আবার নাও পারে।

তবে সত্য ঘটনা কিন্তু চাপা থাকবে না। একদিন না একদিন সত্য প্রকাশ পাবেই, হয়তো সেদিন, আমি বা আমরা অনেকেই এই পৃথিবী নামক স্থানটি খালি করে চলে যেতে হবে, ছোট্ট শিশুটি হয়তো একদিন বড় হবে, সকল সত্য তার কাছে সচ্ছ জলের মতন পরিস্কার হবে, কিন্তু তখন ঐ ছোট্ট শিশুটি বুড়ো হয়ে যাবে, আর মানবতা নামক ঐ শব্ধটা একটি প্রশ্নে কাছে বন্ধি হবে, একটি প্রশ্ন করে ক্লান্ত হবে, আমার বাবা-মাকে হত্যা কর হয়েছে, আমার বোনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। মানবতা কি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারবে, ঐ পুলিশ অফিসারের ছেলেকে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.