নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিশোধের ধারা

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

আল্লাহর সৃষ্ট ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমান। অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণাতেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ বাদে যেসব প্রাণি সবচেয়ে বুদ্ধিমান হিসেবে প্রমাণিত তাদের মধ্যে ডলফিন, ওরাংওটাং, পিঁপড়া, শিম্পাঞ্জি, কাক ও কুকুরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

যেসব প্রাণি আয়নায় নিজেদের চিনতে পারে ডলফিন তাদের অন্যতম। ডলফিন অনেক বছর পরে দেখা হলেও তার নিজের মাকে এবং দলের নেতাকেও চিনতে পারে। বলা হয়ে পানির সব থেকে বুদ্ধিমান প্রাণি হচ্ছে ডলফিন। সাগরে ঢেউ এর মাঝে ঘুরে বেড়ায়, ভেসে বেড়ায়, দল বেঁধে সাঁতার কাটে, খেলে, নিজেরা মজা করতে থাকে। তাদের নিজস্ব একটা ভাষাও রয়েছে, যেটা মানুষ ইদানীং একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছে। ওরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে। পৃথিবীর অন্য সব বুদ্ধিমান প্রাণীদের মতো ডলফিনও অনেক বছর ধরে তার বাচ্চার সঙ্গে থাকে, তাকে শেখায় নানা কৌশল আর ডলফিনদের নিয়ম-কানুন।

মানুষের পরেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান হিসেবে ওরাংওটাং-কে ধরা হয়। ওদের খুব গোছানো সংস্কৃতি আছে, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমটাও বেশ উন্নত। শুনলে হয়তো সবাই বিশ্বাস করতে চাইবে না যে, ওরা বন্য পরিবেশে নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে! ওরাংওটাংরা নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী গড়ে তোলে। নিজেদের মধ্যে ওদের শক্ত সামাজিক বন্ধন রয়েছে। মা ওরাংওটাং অনেক বছর ধরে তার বাচ্চার সঙ্গে থাকে। এভাবে তারা বাচ্চাদের বন্য পরিবেশে টিকে থাকার নানা কৌশলের শিক্ষা দেয়।

কীটপতঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে ধূর্ত প্রজাতি হচ্ছে পিঁপড়া। এরাও ওরাংওটাংয়ের মোত সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করে। এদের সামাজিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন স্তর থাকে, আর প্রতিটি স্তরের সদস্যদের কাজের সীমানা ভিন্ন ভিন্ন হয়। পিঁপড়া সূর্যের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে নিজের পথ চিনে নিতে পারে।

বুদ্ধিমান প্রাণিদের কথা উঠলে কাকের নামও সামনে চলে আসে। এই কাকের মস্তিস্কের আঁকার পাখিদের মধ্যে সবথেকে বড়। কাক তার আশপাশের পরিস্থিতি বুঝে কাজ করতে, আর কোনো কিছু অনুশীলনের মাধ্যমে সেই কাজ করার দক্ষতা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। এমনকি কাক কোনো কাজ করার জন্য দরকারি জিনিষ পর্যন্ত তুলে কাজে লাগাতে পারে। কাকেরা নিজেদের মধ্যে খেলাধুলাও করে থাকে।

কুকুরকেও বুদ্ধিমান প্রাণিদের তালিকায় রেখেছেন গবেষকরা। এই কুকুর মানুষের বলা ৩০০টি শব্দ পর্যন্ত আলাদা আলাদাভাবে বুঝতে পারে। আর পূর্ণ বয়স্ক কুকুরের বুদ্ধি ১ বছর বয়স্ক মানুষের বুদ্ধির সমান হয়।

এছাড়া, শিম্পাঞ্জি যে অনেক বুদ্ধিমান প্রাণি তা আর বলে বোঝাবার দরকার নেই। কিছুদিন আগে বিশেষজ্ঞরা আবিস্কার করেছেন যে, শিম্পাঞ্জিরা ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে আর সেই অনুসারে কাজ করে।
এসব প্রাণির বাইরে বুদ্ধিমান ও ধূর্ত প্রাণি হিসেবে শিয়ালকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেকেই শিয়ালকে ‘পণ্ডিত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। এই শিয়ালের পাণ্ডিত্য নিয়ে বহু গল্প প্রচলিত রয়েছে। আজ আমরা এক চতুর শিয়াল ও কাকের গল্প শোনবো।

অনেক দিন আগের কথা। এক মরুভূমির পাশের গ্রামে একটি শিয়াল বাস করত। ওই বনের সব পশু-পাখির কাছে জ্ঞানী, পণ্ডিত ও অভিজ্ঞ হিসেবে শিয়ালের খুব সুনাম ছিল। শিয়াল হাঁস-মুরগী ও আঙুরবাগানের দুশমন হলে কী হবে- বনের অন্যান্য পশু-পাখি কিন্তু তাকে ভয় পেত না। কারো কোনো প্রয়োজন হলেই চলে আসত শিয়ালের কাছে। তার সঙ্গে বুদ্ধি-পরামর্শ করত।
ওই বনে একজনের সঙ্গে তার খুব ভালো পরিচয় ছিল। সে ছিল এক দাঁড়কাক। উঁচু পাহাড়টির ওপর তার বাসা। পাথরের গর্তেই সে বাসা করে নিয়েছে। শিয়াল যখনই পাহাড়ের ওদিকটায় আসত তখনি কাকের সঙ্গে বসে গল্প-গুজব করত।

একদিন শিয়াল বের হলো বনের পশু-পাশিদের সুখ-দুঃখের খবর নিতে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফিরে শেষ পর্যন্ত পৌঁছল কাকের বাসায়। এসেই দ্যাখে কাক মুখ গোমড়া করে বসে আছে। তার চেহারায় গভীর দুঃখ ও আতঙ্কের ছাপ। শিয়ালকে দেখে কাক কোনো কথা বলল না। শিয়াল সালাম দিয়ে বলল: আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছো বন্ধু? ব্যাপার কী হে! মনে হয় তোমার সময় ভালো যাচ্ছে না। তা হঠাৎ এমন কী ঘটল যে, তুমি মন খারাপ করে বসে আছো?
শিয়ালের কথা শুনে এবার কাক মুখ খুলল এবং বলল-বন্ধু আমার! কী আর বলব, আমার মনে কোনো শান্তি নেই। বেশ ক’দিন হলো এক উটকো বিপদ এসে পড়েছে আমার ওপর। আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ফেলেছে।

শিয়াল: কে সে প্রাণী যে তোমার জীবনকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে? বলো তা পরিচয়। যদি শক্তিতে কুলোয় তাহলে তা চামড়া তুলে নেব।
কাক: না ভাই, তোমার শক্তিতে কুলোবে না। আমার শত্রু এক মারাত্মক বিষধর সাপ। ক’দিন পর পর এসে হানা দেয় আমার বাসায় এবং আমার কলিজার টুকরো বাচ্চাদের এক একজনকে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলে। তুমি তার সাথে পারবে না। তার ঝগড়া করতে গেলেই ছোবল মারবে। তোমার ধারালো দাঁত থাকলে হয়তো কামড়াতে পারবে কিন্তু সে তোমার জিহ্বাতেই ছোবল মারবে।
শিয়াল: তা তুমি ঠিকই বলেছো। কিন্তু তোমার জোরও তো তাকে কিছুই করতে পারবে না। তাহলে কী করবে ভাবছো?
কাক: আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিশোধ নেবই। যদি সফল হই তো বিপদমুক্ত হলাম। তা না হলে মরণ তো একবার আছেই। একবারই মরব, একবারই কাঁদব। যদি তার ভয়ে সবসময় চুপ করে থাকি তবে তার আমাদের কাউকেই রেহাই দেবে না। আমরা কখনো শান্তিতে থাকবে পারব না।
শিয়াল: আরে ভাই, তুমি তো সাপের সাথে লড়াই করে টিকতে পারবে না। সাপ যদি তোমার গলা পেঁচিয়ে ধরে তাহলে নির্ঘাত দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে।
কাক: তুমি ঠিকই বলেছো। তবে আমি এত বোকা নই যে, আমি সাপকে গিয়ে বলব- ‘হে সাপ! একটু সবুর করো, চুপচাপ বসে থাকো, আমি তোমাকে মারবো।’
শিয়াল: তাহলে কিভাবে সাপকে মারতে চাচ্ছ তুমি?
কাক: আমি যখন দেখব যে, সাপ ঘুমিয়ে আছে তখন তার উপর অতর্কিত হামলা করব। আমার ঝারালো নখ দিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলব। অন্ধ হয়ে গেল সাপ আর চোখে দেখতে পারবে না এবং আমার বাসাও খুঁজে পাবে না। বাসা খুঁজে না পেলে আমার কলিজার টুকরো বাচ্চারাও আর মারা পড়বে না। তুমি কী বলো- শিয়াল ভাই, আমার পরিকল্পনা কি ঠিক আছে?
কাকের পরিকল্পনা শুনে শিয়াল কিছুক্ষণ কী যেন ভাবল। তারপর বলল-
শিয়াল: না ভাই, এ কাজ করতে যেও না। এতে সাফল্যের সম্ভাবনা খুবই কম। যদি সাপ ঘুম থেকে সজাগ হয়ে যায় এবং তোমাকে দেখে ফেলে আর তুমি তাকে অন্ধ করে না দিতে পারো তাহলে সে তোমার প্রতি ভীষণ ক্ষেপে যাবে। এখন হয়তো শুধু খাওয়ার লোভে তোমার বাসায় আসে কিন্তু তখন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আসবে এবং অনেক বেশি ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।
কাক: তাহলে বলো আমি এখন কী করতে পারি?
শিয়াল: আমি বলি কি জানো, এমন কাউকে সাপের সাথে লড়াইয়ে পাঠাও যার গায়ে জোর আছে। দেখো না মানুষ নেকড়ের সাথে লড়াই করার জন্য সব সময়ই মেষপালের সাথে কুকুরও রাখে। মানুষের বুদ্ধি হলো এই যে, তারা দুই দুশমনকে পরস্পর লেলিয়ে দেয়। এতে করে এই দুই দুশমনের একজন অন্তত শেষ হয়ে যায় এবং অন্যজন মানুষের বশে আসে। এতে মানুষ নিরাপদ থেকে যায়।
কাক: তোমার দৃষ্টিতে পশুদের মধ্যে কার এমন জোর আছে যে, সাপের সাথে পেরে উঠবে? কে এক হাতে সাপের মুণ্ডু ধরে অন্য হাতে তার গলা ছিঁড়ে ফেলতে পারবে? বিড়াল হয়তো পারত কিন্তু বিড়ালের সঙ্গে আমার তেমন বন্ধুত্ব নেই। এখন কী করি তাই বলো।
বিড়াল: বেশ ভালো কথা। বিড়াল ছাড়াও কেউ থাকতে পারে। তাছাড়া, বিড়াল যদি বন্ধু হতো তা হলেই কি তাকে লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানো যেত? দুনিয়ার কোনো কাজ কখনো শুধু শুধু কাউকে দিয়ে করানো যায় না। সবাই তার স্বার্থ দেখতে চায়।
কাক: তাহলে তুমিই বলো, কোন পশুকে পাঠাতে পারি সাপকে বধ করতে?
শিয়াল: পশু দিয়ে কাজ হবে না বরং মানুষ পাঠাতে হবে। মানুষই পারে সাপকে মেরে টুকরো টুকরো করতে।
মানুষের কথা শুনে কাক খানিকটা অবাক হয়ে গেল। এরপর শিয়ালকে উদ্দেশ করে বলল:
কাক: তুমি হয়ত ঠিকই বলেছো কিন্তু কাকের বাচ্চার জন্য মানুষের কেন এত দয়া হবে যে, তারা ছুটে আসবে সাপ মারতে?
শিয়াল: কাকের বাচ্চার জন্য মানুষের দরদের প্রয়োজন নেই। মানুষ নিজের প্রয়োজনেই ছুটে আসবে সাপ মারতে। সাপ যেমনি কাকের শত্রু, তেমনি মানুষেরও শত্রু। মানুষ যেই জানতে পারবে এখানে সাপ বাসা বেঁধেছে অমনি ছুটে আসবে সাপ মারার জন্য।
কাক: তা না হয় বুঝলাম কিন্তু মানুষ কিভাবে জানবে যে, এই পাহাড়ে সাপ আছে।
শিয়াল: মানুষ নিজের ইচ্ছায় জানবে না, তাদেরকে জানানোর দায়িত্ব আমাদের।
কাক: আমরা কিভাবে জানাবো, আমরা তো মানুষের ভাষা জানি না!!
শিয়াল: ভাষা না জানলেই যে, মানুষকে জানানো যাবে না ব্যাপারটা এমন নয়। যেকোনো সমস্যার সমাধান আছে। প্রয়োজন শুধু চিন্তা-ভাবনা করা। আল্লাহ আমাদের মাথায় যে বুদ্ধি দিয়েছেন তা খাটাতে হবে।
কাক: তা তো ঠিকই বলেছো। কিন্তু...
শিয়াল: কোনো কিন্তু নয়। শোনো, আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। তুমি উড়ে যাবে পাশের গ্রামে। এরপর মানুষের ঘরবাড়ি বা উঠোন থেকে কোনো হালকা পাতলা কিন্তু দামী জিনিস ছো মেরে উঠিয়ে নেবে। তা ঠোঁটে নিয়ে এমনভাবে উড়তে থাকবে যাতে মানুষ তোমাকে দেখতে পায়। এরপর জিনিসটি নেয়ার জন্য লোকজন তোমার পিছু পিছু দৌড়াতে থাকবে। তুমিও এমনভাবে আস্তে আস্তে উড়বে যেন মানুষ নিরাশ না হয়। এরপর পাহাড়ের ওপর এসে যেখান সাপকে দেখবে সেখানে জিনিসটা ফেলবে। এরপর তোমাকে আর কিছুই করতে হবে না, বাকি কাজ মানুষই করবে।
শিয়ালের কথা শুনে কাক আনন্দে নেচে উঠল। খুশিতে গদগদ হয়ে বলল:
কাক: তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শিয়াল ভাই। তোমার বুদ্ধির প্রশংসা করে শেষ করতে পারব না। আল্লাহ তোমাকে দীর্ঘজীবী করুন।

এই বলে কাক পাখা মেলল আকাশে। উড়ে গেল পাশের গ্রামে। এক বাড়িতে দেখল একদল মেয়ে বসে গল্প-গুজব করছে। একজন মহিলা একটি সুন্দর জামা সবাইকে দেখাচ্ছে। জামাটি বেশ মূল্যবান এবং নতুন বলে মনে হলো। কাক ভাবল এটি ছো মারা সহজ হবে। একটি ছোট বালিকা জামাটি দেখার জন্য হাতে নিতেই কাক তা ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। জামার একটি হাত কামড়ে ধরে কাক ছুটল পাহাড়ে দিতে। মহিলাদের চিল্লাচিল্লি ও ছুটাছুটিতে গ্রামে পুরুষও ছুটল কাকের পিছু পিছু। এমন আজব কাণ্ড দেখে গ্রামসুদ্ধ মানুষ ছুটল পাহাড়ের দিকে। তাদের ধারণা- কাক বেশিদূর জামাটি নিয়ে যেতে পারবে না, এক জায়গায় গিয়ে ক্লান্ত হবেই।

এদিকে, কাক আঙুর বাগান পার হয়েই দেখতে পেল সাপকে। লোকজন আসার অপেক্ষায় পাহাড়ের উপর কয়েকটি চক্কর দিল। যেই দেখল যে, মানুষজন পাহাড়ের কাছে পৌঁছে গেছে অমনি কাক তার মুখের জামাটি ছুঁড়ে ফেলল সাপের গায়ের উপর। কাপড় দেখেই মানুষজন ছুটল কাপড়ের দিকে। ওদিকে সাপও প্রথমে চমকে উঠল। লোকজন এসেই সাপ দেখে থমকে দাঁড়াল। তাড়াতাড়ি ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে দূরে সরিয়ে লাঠি-সোটা ও ইট-পাথর নিয়ে হামলা চালাল সাপের উপর। সাপকে মেরে টুকরো টুকরো করে ফেলল। কোত্থেকে এক চিল এসে ছোঁ মেরে সাপের টুকরোগুলোকে নিয়ে গেল। লোকজন এসে জামাটি উদ্ধার করে আনন্দ করতে করতে গ্রামের দিকে গেল।
সাপের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর উড়াল দিয়ে সোজা চলে গেল শিয়ালের কাছে। শেয়ালকে সব ঘটনা খুলে বলল এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাল

আমি এই গল্পটি বলার একটা উদ্যেশ আছে বটে, সামাজিক অবস্থা এমন হয়েছে, যে, সবাই শুধুই তাদের নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য এমটাই করে থাকে, ছোট্ট ছোট্ট কাজ থেকে শুরু করে বড় বড় সমস্যা গুলোই এমনি এক জাল বিস্তার করে বেড়াচ্ছে। আমরা কি সুন্দর এই পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বাচতে পারি না? এই কাকের মত বুদ্ধি করার কি প্রয়োজন বা অন্যের বাসায় হামলা করে আহার করারই বা কি প্রয়োজন, এই অভ্যাস কি কোন দিন শেষ হবে না।

আসুন সবাই মিলে একটি সুস্থ্য সমাজ গড়ে তুলি। বর্তমান বিশ্বে যে, দৃশ্য আমরা দেখছি, তাতে কখন যে যুদ্ধ বেধে যায় তা বলার আর অবকাশ রাখে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.