নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমলকির গাছ লাগান, দায়িত্ববান অভিভাবক হন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩



আমি যখন ডি এইচ এম এস পড়াশুনা করতাম তখন, বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কথা শুনতাম এই আমলকি সম্পর্কে তবে এই ফলটি যে বহুল পরিচিত ও গুনের দিক থেকে একটা বেশ জায়গা দখল করে আছে, তাতে কোন সন্ধেহ আর আমার থকলো না। যদি আপনারা এটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করেন তবে এখানে অনেক কিছুই জানার আছে, যা আপনার ও আপনার পরিবার সহ, প্রতিবেশীরও কাজে লাগবে।

আমার প্রথম নোটঃ

দেশীয় ফল হিসেবে আমলকি আণাদের সবার কাছেই পরিচিত। এটি দামে যেমন সস্তা ও সহজলভ্য, তেমনি এএর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। চলুক জেনে নেয়া যাক মৌসুমী এই ফলটি আমাদের কি কি উপকার করে থাকে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায়:

* আমলকি ভিটামিন সি এর একটি অন্যতম উত্স। প্রতিদিন ১ থেকে ২টি আমলকি আপনাকে ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ থেকে দূরে রাখবে। একই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

* নিয়মিত আমলকি খেলে পেটের আলসার দূর হয়। এছাড়া আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও পাইলস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

* খাওয়ার আগে মাখন ও মধুর সঙ্গে আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়।

* দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি খুবই উপকারী। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

* দীর্ঘমেয়াদী কাশি-সর্দির জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।

* দেহের অতিরিক্ত মেদ দূর করতে আমলকি কার্যকরী।



আমার দ্বিতীয় নোটঃ

আমলকির গুনাগুন

আমলকি আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ফলগুলোর মধ্যে একটি। আমলকি খেলে অনেক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় বা অনেক রোগ সেরে যায়। এ ফলের গুণাগুণ অমৃত সমান-তাই একে অমৃতফল বলা হয়ে থাকে।

আমলকী বা আমলকি একপ্রকার ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম - আমালিকা। ইংরেজি নাম -aamla বা Indian gooseberry। আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica বা Emblica officinalis।

আমলকির স্বাদ যদিও টক এবং কষাটে কিন্তু সুস্থ শরীরের জন্য আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করা দরকার। এর স্বাদ প্রথমে কষাটে লাগলেও খাওয়া শেষে মুখে মিষ্টি ভাব আসে। আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। প্রতিদিন একটি আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করুন।

আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

রোগ-ব্যাধিতে আমলকির ব্যবহার:

১. শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব রোগ হয়, যেমন - স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

২.হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।

৩. আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে।এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।

৪. পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।

৫. বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘন্টা দুই বাদে সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। নিয়মিত কয়েক টুকরো করে আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে। আমলকি খিদে বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে।

৬. বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।

আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসায় আমলকির ব্যবহার:

১। আমলকিতে বিদ্যমান ভিটামিন সি এবং polyphenols হলো antioxidants সমূহের একটি বড় উৎস। যা শরীরের মৌলে সৃষ্ট ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।
২। আমলকি কলেস্টেরল কমাতে এবং ফাইবার এবং আয়রন সমৃদ্ধ থাকায় তা LDL (Low density lipoprotein) এর জারণ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে বুক ধরফরানি কমবে।
৩। গবেষনায় দেখা গেছে আমলকিতে বিদ্যমান polyphenol ডায়াবেটিস এবং এর জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ফলের অক্সিডেটিভ এর উচ্চ রক্তের চিনির পরিমান রক্ষা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
৪। আমলকি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা কোলাজেন উৎপাদনে অপরিহার্য। এটি ত্বককে তরুণ, প্রাণবন্ত এবং সুদর্শন রাখে ।
৫। এর antioxidant বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৬। খালি পেটে এক চা চামচ আমলকির রস এসিডিটির জন্য খুবই ভালো। পেট খারাপ হলে আমলকি একটি বড় প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৭। গলা ব্যাথা বা কাশির জন্য আমলকির রসের সাথে কিছু আদা মিশিয়ে পান করলে সাথে সাথে উপকার পাওয়া যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে:
জলীয় অংশও - ৯১.৪,
মোট খনিজ - ০.৭,
আঁশ - ৩.৪,
খাদ্যশক্তি - ১৯,
আমিষ - ০.৯
চর্বি - ০.১,
শর্করা - ৩.৫,
ক্যালসিয়াম - ৩৪মি:,
লৌহ - ১.২,
ক্যারোটিন - ০
ভিটামিন বি-১ - ০.০২,
ভিটামিন - ০.০৮মি:,
ভিটামিন সি - ৪৬৩


আমার তৃতীয় নোটঃ

বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘন্টা দুই বাদে সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। নিয়মিত কয়েক টুকরো করে আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে। আমলকি খিদে বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে।

আমলকি আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ফলগুলোর মধ্যে একটি। আমলকি খেলে অনেক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় বা অনেক রোগ সেরে যায়। এ ফলের গুণাগুণ অমৃত সমান, তাই একে অমৃতফল বলা হয়ে থাকে। আমলকী বা আমলকি একপ্রকার ভেষজ ফল।

সংস্কৃত ভাষায় এর নাম - আমালিকা। ইংরেজি নাম aamla বা Indian gooseberry। আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica বা Emblica officinalis। আমলকির স্বাদ যদিও টক এবং কষাটে কিন্তু সুস্থ শরীরের জন্য আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করা দরকার। এর স্বাদ প্রথমে কষাটে লাগলেও খাওয়া শেষে মুখে মিষ্টি ভাব আসে।

আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। প্রতিদিন একটি আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করুন। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

রোগ-ব্যাধিতে আমলকির ব্যবহার:

ক। শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব রোগ হয়, যেমন: স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

খ। হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা মেতে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।

গ। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।

ঘ। পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।

ঙ। বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘন্টা দুই বাদে সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। নিয়মিত কয়েক টুকরো করে আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে। আমলকি খিদে বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে।

চ। বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।

প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে:

জলীয় অংশ - ৯১.৪
মোট খনিজ - ০.৭
আঁশ - ৩.৪
খাদ্যশক্তি - ১৯
আমিষ - ০.৯
চর্বি - ০.১
শর্করা - ৩.৫
ক্যালসিয়াম - ৩৪মি:
লৌহ - ১.২
ক্যারোটিন - ০
ভিটামিন বি-১ - ০.০২
ভিটামিন - ০.০৮মি:
ভিটামিন সি - ৪৬৩

আমার চতুর্থ নোটঃ

আজকাল নাগালের মধ্যে পাওয়া যায় আমলকি। এটি একপ্রকার ভেষজ ফল। আয়ুর্বেদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফল। আমলকির ফল থেকে শুরু করে পাতা ও ছাল সবই উপকারি।

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' থাকে। এতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি, কমলার চেয়ে ১৫-২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন 'সি' রয়েছে। এ ফলে আরও রয়েছে পলিফেনলস (polyphenols), খনিজ পদার্থ আয়রন এবং দস্তা, ক্যারোটিনস (Carotenes) এবং ভিটামিন 'বি' কমপ্লেক্সের মতো যৌগ।আমলকির গুণাগুণ:

- গবেষণায় দেখা গেছে আমলকিতে বিদ্যমান পলিফেনলস ডায়াবেটিস এবং এর জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ফলের অক্সিডেটিভের উচ্চ রক্তের চিনির পরিমাণ রক্ষা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

- খালি পেটে এক চা চামচ আমলকির রস এসিডিটির জন্য খুবই ভালো।

- পেট খারাপ হলে আমলকি প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

- গলা ব্যাথা বা কাশির জন্য আমলকির রসের সঙ্গে কিছু আদা মিশিয়ে পান করলে অল্প সময়ের মধ্যে উপকার পাওয়া যায়।

- আমলকি খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এছাড়া লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

- আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে, ক্ষুধা বাড়ায় এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখে। এছাড়া সর্দি, কাশির জন্যও খুবইউপকারী।

- বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টা দুই পর সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।

- কাঁচা আমলকির পেস্ট চুলে লাগালে গোড়া শক্ত হয়, চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুলের রং কালো হয়।

- আমলকির পেস্ট নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে রাতে ভালো ঘুম হয়।

- আমলকি ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ যা কোলাজেন উৎপাদনে অপরিহার্য। এটি ত্বককে তরুণ, প্রাণবন্ত এবং সুদর্শন রাখে ।

- নিয়মিত আমলকি খেলে ব্রণের দাগ দূর হয়।

আমার পঞ্চম নোটঃ

আমলকি আমাদের শ্রেষ্ট ফলের মধ্যে একটি।আমলকি খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পওয়া যায়। এফলের গুনাগুন অমৃত সমান তাই একে অমৃত ফল বলা হয়। আমলকি এক প্রকার ভেষজ ফল। সংস্কৃত বাংলা ভাষায় এর নাম আমালিকা আর ইংরেজী নাম

Amla বা indian gooseberry আমলকির বৈঙ্গানিক নাম phyllanthus emblica বা emblica officinalis ।আমলকির সাদ টক এবং কষাটে কিন্তু সুস্থ শরীলের জন্য এটা খুবই উপকারি ফল। আমলকির বেষজ গুন রয়েছে অনেক। প্রতিদিন একটি কওে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করুন কারন এতে আছে ভিটমিন সি। পুষ্ঠি বিঙ্গানিদের মতে কাগজি লেবু ও পেয়ারা চেয়ে ৩ গুন ভিটামিন রয়েছে।
রোগ-ব্যধিতে আমলকির ব্যবহার
১) আমাদেরও মানবদেহের ভিটামিন সি এর ঘাটতি তে আমলকির জুরি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব রোগ হয়:স্কার্ভি,মেয়েদেও লিকোরিয়া,অর্শ ইত্যাদি ক্ষেএে আমলকি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ঘার্টে রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে,পেট পরিস্কার হবে ,ঘন ঘন প্রসাব হওয়া বন্ধ হবে।
২)আমলকি খেলে মুখের রুচি বারে । পেটের পীড়া দূর হবে।
৩) পিত্ব সংক্রান্ত যেকোন রোগে সামান্ন্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে অনেক উপকার হবে।
৪)বার বার বমি হলে শুকনো আমলকি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে ১-২ বাদে সেই পানিতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
৫)বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরীতে আমলকি ব্যবহার হয়। তাছারা আমলকি মাথা ঠান্ডা রাখে। আমলকি বেটে ১ চামচ মাখন মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে মাথায় লাগালে ঘুম ভালো হবে।

প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে :

*জলীয় অংশ-৯১.৪
*মোট খনিজ-০.৭
*আঁশ-৩.৪
*খাদ্য শক্তি-১৯
*আমিষ-০.৯
*চর্বি-০.১
*শর্করা-৩.৫
*ক্যালশিয়াম-৩৪মিলি.
*লৌহ-১.২
*ক্যরটিন-০
*ভিটামিন বি-১.০.০২
*ভিটামিন ০.০৮মিলি
*ভিটামিন সি-৪৬৩

উল ও পাতা ২টি ভেষজ হিসাবে ব্যবহিত হয়্


তাহলে আমার মতে এই আমলকি সব সময় পাওয়া যায় না তাই এর ব্যবহার কি ভাবে করা যায়, বা বাড়ানো যায় তা একবার চিন্তা করি।

এই ফল লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভাল রাখে বিশেষ অবদান রাখে।আমলকীর জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডিটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে। আমলকী অন্য সব ফলের মত অতি নামি দাম ফল না হলেও গুনে সেরা বটে। আমাদের দেশের যেখানে সেখানে হয়ে থাকে । কিন্তু উপকারিতার দিকে নাম্বার ওয়ান যদি চিন্তা করেন তবে অভাক লাগবে তাবে কোন সন্ধেহ নাই।

আমলকির আচার

আমলকী ২৫০ গ্রাম, চিনি ১ কাপ, সিরকা আধা কাপ, আদার টুকরা ৪-৫টি, শুকনা মরিচ ২টি, লবণ পরিমাণমতো।প্রথমে টুথপিক দিয়ে আমলকী ছিদ্র করে ফিটকিরির পানিতে ১৪-১৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। মাঝেমধ্যে পানি পাল্টে দিতে হবে। এবার একটি পাত্রে পানি ও লবণ দিন। একবার ফুটে উঠলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে আমলকী অল্প আঁচে সেদ্ধ করে নিন। আচার হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর বয়ামে ঢুকিয়ে রাখুন।

আমলকির মোরব্বা

আমলকি ৫০০ গ্রাম, চিনি ২৫০ গ্রাম, পাতিলেবু রস, নুন পরিমান মত। প্রণালীঃ আমলকি ধুয়ে, একটা কাঠি দিয়ে সারা গায়ে ফুটো ফুটো করে, এক হাঁড়ি জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন, কষ বেরিয়ে যাবে। কেউ কেউ জলের সঙ্গে একটু ফিটকিরিও দেন। সকালে জল ঝরিয়ে, ধুয়ে, নুন দিয়ে তিন পেয়ালা জলে, কম আঁচে সেদ্ধ বসান। নরম হয়ে গেলে নামান। এবার দেড় কাপ জল দিয়ে চিনির রস করুন। ফুটলে গাদ তুলে ফেলে দিন। একটু পরে লেবুর রস দিন। এবার রসের মধ্যে সেদ্ধ আমলকি ঢেলে, আরো আট-দশ মিনিট ফুটিয়ে, আমলকি গলবার আগে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হলে চওড়ামুখ বোতলে ভরে রাখুন।

এফল দামে সস্তা ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। তবে বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই এই ফল খাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে। আসুন আমরা সবাই মিলে একটু প্রতিজ্ঞা করি গুণী এই বৃক্ষটির সংরক্ষণ ও ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সচেতন এবং মনোযোগী হবো। আমি সুস্থ্য থাকবো এবং এই সমাজকে সুস্থ্য রাখার চেষ্টা করবো। এটা আমার ও আপনার সামাজিক দায়িত্ব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

প্রামানিক বলেছেন: আমলকি নিয়ে সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে আমার মোবারক বাদ, এই পোষ্টটি পড়ার জন্য।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: উপকারী পোষ্ট।

অনেক কষ্টে তথ্য সংগ্রহ লিখছেন বুঝাই যায়। +

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে মোবারক বাদ, আল্লাহু আপনাকে সহ সবাইকে সুস্থ্য রাখুন ও সুন্দর রাখুন। আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.