নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবহেলিত কচুর শাক - কেন খাবেন?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩


শাকসবজিপ্রেমী প্রায় সব ভোজনরসিকের কাছেই কচুশাক পরিচিত খাবার। ‘কচু’ কেবলই ‘কচু’ নয়, সর্বজন পরিচিত এ কচুর শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম, ‍আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ।প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের যোগান ছাড়াও এ শাক বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবেও ভূমিকা রেখে আসছে। পর্যাপ্ত অাঁশ থাকায় কচু শাক মনুষ্যদেহের পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়ায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। কচু শাক ছাড়াও এর মাটির নিচের অংশটিতেও (কচুমুখী) রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে কচুশাকেরও জুড়ি নেই।

সাধারণত আমরা দু’ধরনের কচুশাক ভোজন করে থাকি। সবুজ কচুশাক ও কালো কচুশাক।

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের হিসাব মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ ও কালো কচুশাকে যথাক্রমে ১০,২৭৮ ও ১২,০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে যা হলো ভিটামিন ‘এ’র উৎস।
অবর্ণনীয় সব পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ কচুশাকে আর কী থাকে এবারে তা দেখে নেওয়া যাক।

প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ কচুশাকে থাকে-
*৩.৯ গ্রাম প্রোটিন
*৬.৮ গ্রাম শর্করা
*১.৫ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি
*২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
*১০ মিলিগ্রাম লৌহ
*০.২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন)
*০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লেবিন)
*১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’
*৫৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি

প্রতি ১০০ গাম কালো কচুশাকে থাকে-
*৬.৮ গ্রাম প্রোটিন
*৮.১ গ্রাম শর্করা
*২.০ গ্রাম চর্বি
*৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
*৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ
*০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন)
*০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লোবিন)
*৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
*৭৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি


সবুজ কচু শাকের চেয়ে কালো কচু শাক অনেক বেশি পুষ্টিকর। প্রতি ১০০ গ্রাম কালো কচু শাকে ৬.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৮.১ গ্রাম শর্করা, ২.০ গ্রাম চর্বি, ৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিনি বি-১ (থায়ামিন), ০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফেবিন), ৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ ও ৭৭ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি রয়েছে। দেহের পুষ্টি সাধনে এসব পুষ্টি উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে আত্তীকরণ হয়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়া ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে কচুকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মুখী ও পানিকচুর ডগা দেহের ত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া জ্বরের রোগীকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধকচু খাওয়ানো হয়। ওলকচুর রস, উচ্চরক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয়। আবার মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ানোর প্রথা এ দেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় এটি দেহের হজমের কাজে সহায়তা করে।

কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে আত্তীকরণ হয়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়া ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে কচুকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মুখী ও পানিকচুর ডগা দেহের ত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া জ্বরের রোগীকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধকচু খাওয়ানো হয়। ওলকচুর রস, উচ্চরক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয়। আবার মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ানোর প্রথা এ দেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় এটি দেহের হজমের কাজে সহায়তা করে।
আঁশসমৃদ্ধ খাবার
শাক : কচু শাক, মিষ্টিআলুর শাক, কলমি শাক, পালং শাক, পুদিনা পাতা, পুঁই শাক, মুলা শাক, ডাঁটা শাক, লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার আগা-ডগা শাক।
সবজি : অপেক্ষাকৃত বেশি আঁশযুক্ত সবজির মধ্যে রয়েছে সজিনা, কলার মোচা, ঢেঁড়স, ডাঁটা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, শিম, পটল, কচু, বেগুন, বরবটি, মটরশুটি।
ফল : আঁশজাতীয় ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আঁশ থাকে বেল, পেয়ারা, কতবেল, আমড়া, আতা, নারিকেল ও কালোজাম। এছাড়া গাব, কামরাঙা, পাকা টমেটো, পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, আপেল ও আমলকীর মধ্যে মাঝারি পরিমাণে আঁশ থাকে।
ডাল : মটর, মুগ, ছোলা ও খেসারি ডালে বেশি আঁশ পাওয়া যায়।


বাংলাদেশে শাক হিসেবে কচু শাক বেশ জনপ্রিয়। আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর সমাদরও বেশি। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কচু শাকে আছে প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়াম, শর্করা, আয়রন, খাদ্যশক্তি, ভিটামিন এ, বি৬ ও সি। সাধারণ কচুর ডগা এবং কালো রঙয়ের কচু শাকে আয়রন থাকে প্রচুর পরিমাণে। রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচু শাক খাওয়া একরকম আবশ্যক।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরা প্রচুর কচু শাক খেতে পারেন। কারণ কচুতে আছে অনেক আঁশ। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
সারা দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখতে কচু শাকের জুড়ি নেই। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এমনিতেই শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। সেই সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক অনেক বেশি কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচু শাক দারূণ ভূমিকা রাখে। এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রোগের জন্য এই শাক কাজ না করলেও অন্যভাবে পুরো শরীরেরই উপকার করে।
মাঝে মাঝে সামান্য গলা চুলকানো ছাড়া কচু শাকের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। শাকে যতোটুকু ক্ষতিকর অক্সালিক অ্যাসিড থাকে তা এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই চলে যায়। তাই কচু শাক খান নিশ্চিন্তে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহাকে জাতীয় শাক হিসেবে ঘোষণা করা যায়?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: তা যায় বটে. আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


ইহাকে জাতীয় শাক হিসেবে ঘোষণা করা যায়?


=p~

আমি তো কচু খেতেই পারি না। :| খেলেই গলায় কেমন যেন চুলকায়। :|

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: সাথে আমে আচার রাখবেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এরকম একটি জ্ঞান গর্ব বৈজ্ঞানিক তত্ব নির্ভর পুস্তক রচনা ও প্রকাশের জন্য লেখক, প্রকাশক ও অপরাপর সংস্লিষ্ট কুশলিবদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ । পুস্তকটির কল্যানে অগনিত পাঠককুল ছাড়াও দেশের কচু চাষী কিশান কিশানিরাও উপকৃত হবেন বলে দৃঢ় আশা রাখি । পুস্তকটির বহুল ও ব্যপক প্রচার কামনা করি ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ডাক্তার সাহেব, আমি কচুর যে কোন তরকারী ভালবাসি, তাই লিখলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কচুর শাকে ভিটামিন/ নির্ভয়ে খান প্রতিদিন।

কোন কোন কচুর শাকে গলা সামান্য চুলকায়। একটু লেবুর রস মাখিয়ে খেলে চুলকায় না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: তা ঠিক বলছেন, লেবুর রস বা আমের আচার হলেও মোটামুটি ভালই হয়। আপনাকে ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কচু বা কচু পাতাকে প্রথমে গরম পানিতে সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে পরে পাক করে খেলে আর গলা চুলকাবেনা । এভাবে খয়ে দেখুন । অাশা করি ফল ভাল পাব যাওয়া যাবে ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: না এই কাজটি কখনই করবেন না। তাতে উহার গুনাগুন কিছুটা নষ্ট হয়।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কচুর শাক সম্পর্কে অনেক জ্ঞান প্রাপ্ত হলো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, আশা করি খাবারের সাথে কচু বা কচুর শাক খাবেন এবং উপকৃত হবেন। তবেই আমার লেখা স্বার্থক হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.