নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বরিশালের আমড়া

০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

অনেক দিন পড়ে আবার সামহোয়ার ইন ব্লগে বসলাম ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ী যাব, লঞ্চ ঘাটে আমড়ার হাকা হাকি কিন্তু দেখতে তেমন ভাল লাগলো না। কিন্তু হাক ছাড়তাছে , আমড়া খাবেন, আমড়া, বরিশালের আমড়া। কিন্তু আসল কথা হলো বরিশালের আমড়া এত ছোট না । বিশেষ করে বরিশালে আমড়ার স্বাদ একটু আলাদাই। এবার আসি আসল কথায়।

বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল হচ্ছে আমড়া। আর সেই আমড়া যদি হয় বরিশালের তবে তো কোন কথাই থাকে না। এই ফলটি তার সহজলভ্যতা ও কচমচে স্বাদের জন্য খুব সহজেই সকলের মনে স্থান করে নিতে পেরেছে। বর্ষাকাল হচ্ছে এই আমড়া ফলের শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ এ সময়েই এই ফল বাজারে আসা শুরু করে। সাধারণ ফল বিক্রেতাদের কাছে তো পাবেই, ভ্রাম্যমাণ ফল ও আচার বিক্রেতাদের কাছেও প্রচুর মেলে এই ফল।

পরিপক্ব কিন্তু কাঁচা আমড়াই ফল হিসেবে সবাই বেশি ভালোবাসে। কারণ পেকে গেলে এর কচকচে ভাবটা কমে যায়। কিন্তু পুষ্টিগুন কমেনা, আমড়া লবণ-মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মেখে খেতে খুবই চমৎকার লাগে। আমড়া ফল হিসেবে তো বটেই আচার বানিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়াও আমড়া দিয়ে চাটনি, ভর্তা, তরকারি ইত্যাদিও তৈরি করা হয়। আমার জানা মতে এই ফল ছোট-বড় সবাই পছন্দ করেন। আসুন জেনে নিই প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় কি পরিমানে পুষ্টিগুণ আছে :

খাদ্যশক্তি- ৪৬ কিলোক্যালরি,
আমিষ- ০.২ গ্রাম,
চর্বি - ০.১ গ্রাম,
শর্করা - ১২.৪ গ্রাম,
ক্যালসিয়াম- ৫৬ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ৬৭ মিলিগ্রাম,
আয়রন- ০.৩ মিলিগ্রাম,
ক্যারোটিন- ২০৫ আইইউ,
থায়ামিন- ০.০৫ মিলিগ্রাম,
রিবোফ্লেভিন- ০.০২ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন সি- ৩৬ মিলিগ্রাম

আমরা এবার দেখবো আমড়ার কত সুস্বাদু খাবার হতে পারে আসুন ছবি দেখি। বরিশালের আমড়া বলে কথা তাই না -



















উপকারিতা:
প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানে সমৃদ্ধ আমড়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন করে।
যেমন -
১। আমড়া রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
২। স্ট্রোক ও হৃদরোধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩। আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম।
৪। মাঢ়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আমড়া সাহায্য করে।
৫। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৬। খিঁচুনি, পিত্ত ও কফ নাশক হিসেবে আমড়ার ব্যবহার রয়েছে।
৭। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৮। অরুচি ও শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপকে নিষ্কাশনে সাহায্য করে আমড়া।
৯। ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখে আমড়ার গুণাগুণ।
১০। ত্বকের নানা রোগও প্রতিরোধ করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.