নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশীয় বাদাম- আমার প্রিয়

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

ইতিপূর্বে আমি বাদাম নিয়ে লিখেছিলাম, প্রিয় পাঠক তিনি কাজু বাদাম ও কাঠ বাদামের উপর আপত্তি উত্থাপন করলেন। যে ঐ খাবার গুলো আমাদের দেশে পাও্য়া যায় না এবং ব্যায় বহুল তাই এবার আমার দেশের সাধারন বাদামের গুনাগুন তুলে ধরলাম, আশা করি এবার আর কারো কোন আপত্তি থাকছে না। আমি বেশ কয়েক জন ডাক্তারের লেখা থেকে এই সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের নিকট উপস্থাপন করতে পারায় আমার বেশ ভাল লাগছে।






চিনা বাদাম পছন্দ করে না এমন লোক খুজে পাওয়া বেশ কষ্টই হবে বটে। অবসরে বা আড্ডায় সঙ্গ দিতে চীনাবাদামের জুড়ি নেই। বাংলাদেশে তো বটেই সারা বিশ্বজুড়ে চীনাবাদাম 'টাইমপাস ফুড' হিসেবে জনপ্রিয়। পৃথিবীতে যত ধরনের বাদাম উৎপাদন হয়, চীনাবাদাম তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয়। কাঁচা এবং ভাজা বাদাম তো বটেই, চীনাবাদাম মাখন, জ্যাম, চানাচুর, কেক, বিস্কুট, তরকারি, ভর্তা, তেল ইত্যাদি তৈরিতেও এর কোন জুড়ি মেলা ভার। চীনাবাদামে 'চীন' শব্দটা থাকলেও এটা প্রথম আবিষ্কৃত হয় দক্ষিণ আমেরিকায়। প্রাচীনকালেও এর চাষ করা হতো বলে এর নিদর্শন পাওয়া যায়। পেরুর লিমায় প্রাপ্ত বহু প্রাচীন পাত্রের গায়ে বাদাম গাছের ছবি অংকিত দেখা যায়। ধারণা করা হয়, ইনক সভ্যতার সময়েও বাদাম খাওয়ার প্রচলন ছিল। কারণ, ইনকাদের মৃতশি্ল্প এর মধ্যে বাদামের আকৃতির পাত্র পাওয়া গেছে। চীনাবাদাম ইউরোপে নিয়ে আসে স্প্যানিশরা। তামাকপাতার মতো তখন বাদামও ব্যবহার হতো বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে। পরে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা চীনাবাদাম আফ্রিকায় নিয়ে যায়। তারা হাতির দাঁত ও মশলার বিনিময়ে আফ্রিকানদের চীনাবাদাম দিত। অবশেষে আফ্রিকান ক্রীতদাসদের মাধ্যমে আফ্রিকা থেকে বাদাম প্রবেশ করে উত্তর আমেরিকায়। যুক্তরাষ্ট্রে চীনাবাদাম খাওয়ার প্রচলন শুরু হয় তাদের গৃহযুদ্ধ হওয়ার আগে। তবে তখন তা গৃহপালিত পশুদের খাবার হিসেবেই বেশি প্রচলিত ছিল। যুদ্ধের সময় খাদ্য সংকট দেখা দিলে কিছু সৈনিক বিকল্প খাদ্য হিসেবে বেছে নেয় চীনাবাদাম। পরে ধীরে ধীরে তা সৈনিকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছুদিন পর পিটি বারনাম নামে এক সার্কাস দলের মালিক সার্কাস চলাকালে বাদাম ভেজে বিক্রি করা শুরু করে এবং বাদামভাজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। অনেক ফেরিওয়ালাই তখন আয়ের নতুন উপায় হিসেবে চীনাবাদাম ভাজাকে বেছে নেয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে চীনাবাদামের মোট উত্‍পাদনের ৪১ ভাগ চীন উৎপাদন করে। এ কারণেই বোধহয় এ বাদামকে চীনাবাদাম বলা হয়। চীনা বাদামের ইংরেজি নাম Ground nut। যাবতীয় বাদামের মধ্যে একমাত্র চীনাবাদামই মাটির নিচে জন্মে। এর বৈজ্ঞানিক নাম apios americana। তবে বিশ্বজুড়ে চীনাবাদাম Peanut নামেই পরিচিত। এর নাম পিনাট হওয়ার কারণ হলো এটা দেখতে 'পি' বা মটরদানার মতো। একে 'মাংকিনাট'ও বলা হয়। বানর সম্প্রদায়ের এই বাদাম বিশেষ প্রিয় বলেই হয়তো এই নামকরণ! অন্যান্য বাদামের তুলনায় চীনাবাদাম খুব সহজলভ্য বলেই হয়তো অনেকেই একে পাত্তা দিতে চান না। কিন্তু খাদ্যগুণে চীনাবাদাম কোনো অংশেই কম নয়।





প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা চীনাবাদামে রয়েছে -
১। কার্বোহাইড্রেট ৬০ গ্রাম
২। প্রোটিন ৫৩.৩ গ্রাম
৩। খাদ্যশক্তি ৫৬৬ কিলোক্যালরি
৪। ক্যালসিয়াম ৯০ মিলিগ্রাম
৫। আয়রন ৩৫০ মিলিগ্রাম
৬। ক্যারোটিন ৩৭ মাইক্রোগ্রাম
৭। ভিটামিন বি-১ ০.৯০ মিলিগ্রাম
৮। ভিটামিন বি-২ ০.৩০ মিলিগ্রাম
তবে বাদাম ভেজে নিলে এর ক্যারোটিনের মান কমে যায়। বাকি সব উপাদান প্রায়ই সমানই থাকে। স্বাস্থ্যরক্ষায় চীনাবাদামের রয়েছে নানা অবদান।
যেমন -
ক। চীনাবাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশি তৈরিতে সাহায্য করে।
খ। এর কো-এনজাইম হার্টকে অক্সিজেনের অভাব থেকে রক্ষা করে।
গ। চীনাবাদামে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ঘ। এতে উচ্চ মাত্রার নিয়াসিন থাকায় দেহকোষ সুরক্ষিত থাকে।
ঙ। বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রংশের রোগ যেমন, অ্যালঝাইমার্স প্রতিরোধে সহায়তা করে।
চ। মস্তিষ্ক সুস্থ্য রাখে ও রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।
ছ। চীনাবাদাম কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
জ। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সাহায্য করে।
ঝ। চীনাবাদামে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তে লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে।
ঞ। চীনাবাদামের ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিন ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে।
ট। ত্বকে বলিরেখা বিলম্বিত করে।





বাদাম অন্য খাবারের থেকে আসা ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে৷ ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমতে পারে না৷ যা ওজন বাড়ানোর সহায়ক ৷ বাদামের সঙ্গে হূদয়ের দারুণ সখ্য৷ সব ধরনের বাদামেই পাবেন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড৷ এর মধ্যে
বিশেষ করে ওয়ালনাটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিনোলেক অ্যাসিড৷ এই 'এএলএ' হৃদয়কে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে৷
২০০৬ সালের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কাঁচা ওয়ালনাট অলিভ অয়েলের মতোই উপকারী৷ এটি ফ্যাটি মিল নেয়ার পর হার্টের শিরা থেকে ইনফ্লমেশন আর অক্সিডেশন কমায়৷ রোজ আটটি ওয়ালনাট খেলে আপনিও এই উপকার পাবেন৷চিনাবাদাম আর পিনাটে রয়েছে ফলিক' নামের খনিজ পদার্থ৷ এটি মস্তিষ্ক সুগঠিত করে৷ তাই গর্ভস্থ শিশুর ব্রেন সেল গঠনের জন্য অনেক সময় চিকিত্সকরা
অন্তঃসত্ত্বাদের পিনাট নির্দিষ্ট পরিমাণে পিনাট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷এছাড়াও পিনাটে পাবেন ব্রেন বুস্টিং ভিটামিন ই৷ ক্রিমি ব্রেজিল নাট সেলেনিয়াম মিনারেলস-এ ভরপুর৷ এটি প্রস্টেট ক্যানসার রোধে সাহায্যকারী৷ এই বিশেষ ধরনের বাদামে বিটা সিটোটেরল
স্টেরয়েড মেলে৷ যা প্রস্টেট এনলার্জমেন্ট কমায়৷ এক আউন্স ক্রিমি ব্রেজিল নাটে আছে ২০০ ক্যালোরি, ২১ গ্রাম ফ্যাট ও ৩ গ্রাম প্রোটিন৷ এই পরিমাণ বাদাম একজন পুরুষের দেহ সুগঠিত করার পক্ষে আদর্শ৷ অন্যান্য বাদামের থেকে আমণ্ডে রয়েছে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসড, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, প্রোটিন৷ তাই আমন্ড যেমন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তেমনি হূদরোগ, লাং ক্যানসার সহ বহু রোগের প্রতিরোধক৷ একইসঙ্গে ব্যাড লেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে শরীরে গুড কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়৷ রক্তবাহক জালিকার ডায়ালেশন করে৷ এবং শিরাগুলি নমনীয় রাখে৷






১। কোলেস্টেরল কমায় চিনা বাদামঃ বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বর্তমানে কোলেস্টেরলের সমস্যা বেশ বড় আকার ধারন করেছে। লেস্টেরলে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হল অপুষ্টিকর ও তৈলাক্ত খাবার। শরীরের মাত্রাধিক কোলেস্টেরল হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, জন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস এর মতো কঠিন রোগ সৃষ্টি করে। বাদামের অসাধারন কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০-১২ টি বা এক মুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে।

২। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহাজ্য করেঃ চিনা বাদাম রক্ত থেকেসুক্রোজ এর মাত্রা কমায়।প্রতিদিন সকালে এটি বাএর মাখন নাস্তার সাথে খেতে পারেন। তাছাড়া প্রতি রাতে ১০-১৫ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষ ভাবে কার্যকরী।

৩। ওজন কমাতে বেশ কার্যকরীঃ বাংলাদেশে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। শরীর থেকে ওজন কমাতে ভালো ফ্যাটের প্রয়োজন অত্যাবশ্যক। চিনা বাদাম থেকে আপনি সেই ভালো ফ্যাট পাবেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক মুঠো বাদাম যুক্ত করে আপনি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাছাড়া এটি আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।

৪। স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ কিছু কিছু মানুষের স্মৃতি শক্তি তুলনামুলক ভাবে অন্যদের চেয়ে কম। খুব অল্প বয়সেই অনেকেই ভুঘছেন মস্তিষ্কের সমস্যায়। ভুলে যাচ্ছেন সামান্য বিষয় এবং অনেক চেষ্টা করেও মনে রাখতে পারছেন না। এমনটা হয় যখন আমাদের মস্তিস্ক পরিমান মতো পুষ্টি পায় না। একে মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে গন্য করা যায়। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমানে বি৩ আছে যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন চিনা বাদাম বা এর মাখন খাবেন, যাতে করে আপনি স্বয়ংক্রিয় মস্তিস্ক পেতে পারেন।

৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ছোটো ছোটো কারনে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন যেমন ঠাণ্ডা, কাশি, মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, খাওওায় অরুচিআ এবং নিদ্রাহীনতা। শরীরে সঠিক পরিমানে পুষ্টি না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চিনা বাদামের অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা দান করে। তাই, প্রতিদিন চিনা বাদাম খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান। চিনা বাদামের সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে প্রতিদিন অবশ্যই একমুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এর জন্য চিনা বাদাম আপনাকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে।





পরিশেষে আমরা ধরে নিতে পারি, যে কোনো বয়সের মানুষের জন্য চিনা বাদাম একটি স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। এটি পুষ্টি গুনাগুন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে খেতেও বেশ দারুন। বিশেষ করে বাচ্চারা এটাকে বেশ পছন্দ করে, তাই কোম দামের সস্তা উপকারী খাবার সবাই মিলে খেতে পারি, তবে আমি কিন্তু প্রায়ই খেয়ে থাকি, আপনীও ইচ্ছা করলে খেতে পারেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখাতে অনেক তথ্য আছে; দেখি, সময় পেলে চাষ করবো।

রাতে বাদাম কম খাবেন, বিশেষ করে শীতের রাতে, যখন কাঁথা শেয়ার করতে হয়!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার কথায় রস আছে। তবে আমি শুধুই বলতে চাই, এইটি একটি সুসাদু ও উপদেও খাবার, ভাল থাকুন। সুস্থ্য থাকুন, জনাব চাঁদগাজী সাহেব, হা, হা, হা,

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের চিনা বাদামের গুনাগুন ও সহজল্ভ্যতার বিস্তারিত বর্ণনা মূলক পোস্ট দেয়ার জন্য । আমার ব্লগে ভাবী সহ আপনার নিমন্ত্রণ রইল । শুভ কামনা ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার আমন্ত্রন গ্রহন করিলাম, একটি পোষ্ট দেব যেখানে আপনার ভাবী ও আমার দু'জনার ছবিই থাকবে, সাথে থাকবে আমাদের নাতিনও। ভাই আমরা সুস্থ্য ও সুন্দর থাকার চেষ্টা করিব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.