নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার সংস্থ্যা কি হাস্যরসের সংস্থা?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আজ আমাকে প্রশ্ন তুলতেই হলো, মানবাধিকার শব্দের অর্থ কি? আসলে আমি যেই অর্থে মানবাধিকার সংস্থাকে আমি চিনতার, মানুষের পক্ষে কথা বলার যে অদম্য ইচ্ছা যে সংস্থার, সেই সংস্থা আজ এত নিরব কেন, সে প্রশ্ন সারা দুনিয়ার মানুষ জানতে চায়। সামাজিক ওয়েব সাইট, বিভিন্ন স্যাটেলাই সংস্থা আমাদের কে যে তথ্য দিতেছে, তাতে পৃথিবীর যে কোন মানুষের বিবেকের গোপন কোঠায় আঘাত করতে বাধ্য। যদি সে মানুষ নামের প্রানী হয়। কিন্তু আমার দু:খ হয় মানবাধিকার সংস্থার কোন বোধদয় হওয়ার কোন দৃষ্টান্ত কেউ পেয়েছে, বলে কোন উদাহরন আমরা পাই নাই। এমন কি একটি কলামও কোন মানবাধিকার সংস্থার কর্মী পর্যন্ত পত্রিকায় প্রকাশ করে নাই। তাই আমার প্রশ্ন মানবাধিকার সংস্থার কাজ কি? কি প্রয়োজন, কার প্রয়োজনে এই সংস্থা কাজ করে? তারা কার নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন? জাতী জানতে চায়। বর্তমানে এই সংস্থার লোকজনকে কেউ দেখলে তাকিয়ে থাকে, চিরিয়াখানার প্রানি দেখার মত, মনে করে এই চিরিয়া মানব সভ্যতায় কেন বিচরন, এরা কারা, মোট কথা এরা এখন উপহাসের পাত্র বলেই আমার মনে হয়। আমাদের দেশের সর্বউচ্চ শিক্ষীত মানুষ গুলো আছে এই সংস্থায় কিন্তু আমার বুঝে আসে না, তারা কি ভাবে এই অন্যায় গুলো চোখ বুঝে আছেন, কানে তুলো এটে আছেন। এটাই কি তাদের দায়িত্ব।



আমি প্রায়ই বিদেশী ওয়েব সাইটে বাংলা খবর গুলো পড়ার চেষ্টা করি। এটা আমার ছোট বেলা থেকেই অব্যস হয়ে আসছে। যখন থেকে বাংলা সংবাদ গুলো বের হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং ভয়েজ অব বিবিসি, সুনতাম রেডিওতে, সবাই গোল হয়ে সবতাম। মাঝখানে থ্রি-ব্যান্ড প্যানাসোনিক রেডিও (জাপানী) এন্ট্রেনা টেনে, আমার বাবা মাষ্টার সাহেব বসে আছে সবাই চুপচাপ, আবার হঠাৎ করে বাবা পাওয়ার অপ করে অন্য কথা বলতেন, বুঝতাম না। আবার অন করলেন, এবার বুঝতে পারলাম কেন এই সুন্দর মুহুতে মাঝখানে রেডিও অফ হলো, কারণ পোঞ্চায়েত সাহেব রাস্তা দিয়ে যাইতে ছিল। তিনি ছিলেন "শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান" । তখন বোধগম্য না হলেও আজ হারে হারে টের পেলাম।বাবা আজ পৃথিবীতে নাই, তার কথাগুলো এবং বাবার অভাব টা খুব বেশী টের পেতেছি। প্রতিটা ক্ষণে তো সেই থেকেই বিদেশী খবর পড়াটা এক প্রকার আমার জন্য নিয়মে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে আমি এই কাজটা ইন্টানেটেই করে থাকি।



বেশ কয়েক দিন যাবৎ পাঠকের ভাবনা http://www.dw.com তে যে খবর গুলো আসে প্রায়ই স্যাটাল্ই নির্ভনশীল, আমার প্রথমত বিশ্বাস করতে কষ্টই হতো, কিন্তু খবরটি এত বেশী দিতেছে, যা কোন সভ্য মানুষ চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে কিনা আমার বড়ই জানতে ইচ্ছা করতেছে। আমি রাজনীতি বুঝি না, কিন্তু মানুষকে বিনা বিচার হত্যা করা কোন ধর্ম আছে, আমি জানতে চা্ই, কেউ কি আছেন? যে আমাকে এই ব্যাখ্যা দিতে পারবেন? আর কত হত্যা হলে, মানবাধিকার কর্মীরা সচেতন হবেন্। বিশ্ব বিবেক সবাকে নাড়া দিবেন। আমি কাউকে ছোট করতে চাই না, রোহিঙ্গারা মানুষ, আমি হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৈদ্য কিছুই বুঝতে চাই না। একটি মাত্র শব্দ, "মানুষ" একটি মাত্র কথা "মানবতা" এটা কি কোন সম্প্রদায়ের জন্য কোট গোষ্টীর জন্য কোন দেশের জন্য নাকি মানুষের জন্য? এমন কি কেউ আছেন? আমাকে এই ছোট একটি প্রশ্নের জবাব দিবেন? পৃথিবীর মানুষ জাতি একটি প্রশ্নের জবাব চায়, আছেন কোন ভাগ্যবান যে, এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিবেন? সবিনয়ে জাতি জানেতে চায়।



যদি এই খবর গুলো মিথ্যা হয়, তবে এই পত্রিকার বিরুদ্ধে কেন আমরা মামলা করি না? আর যদি খবর গুলো সত্য হয়, তবে কেন আমরা তার প্রতিবাদ করি না? মানবাধিকার সংস্থার কি কোন দায়িত্ব এখানে নেই? এখানে আমাদের কি কোন জবাব দিহীতা নাই? আমরা কি মানবতার জবাব দিহীর উর্দ্ধে? নির্বীচারে মানুষ হ্ত্যা কোন আইনে আছে? কোথায় জাতী সংঙ্গ, আমার প্রশ্নে একটি মাত্র জবাব, চাই, কেউ কি আছেন, এর সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?



মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দাবি, হামলায় নিহতরা জঙ্গি৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মূলত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে৷ মনুষ্যত্ব বা মানবতা না থাকার কারণেই এ ধরণের হত্যাকান্ড ঘটছে বলে পাঠকরা মনে করছেন৷



http://www.dw.com/bn/হায়রে-মানুষ-হায়রে-মানবতা-কোথায়-আজ-মনুষ্যত্ব/a-36408218?mা
মি

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দাবি, হামলায় নিহতরা জঙ্গি৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মূলত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে৷ মনুষ্যত্ব বা মানবতা না থাকার কারণেই এ ধরণের হত্যাকান্ড ঘটছে বলে পাঠকরা মনে করছেন৷
http://www.dw.com/bn/হায়রে-মানুষ-হায়রে-মানবতা-কোথায়-আজ-মনুষ্যত্ব/a-36408218?m



ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠক নয়ন স্যাম লিখেছেন, ‘‘বার্মার বৌদ্ধ সন্রাসীরা একে একে মুসলমানদের শেষ করে দিচ্ছে অথচ মুসলিম বিশ্ব নির্বিকার!'' নয়নের সাথে একমত পাঠক আমিনুল ইসলাম শুভ ও আশরাফুল ইসলাম৷

তবে পাঠক বশির খান মনে করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের এমনটা হলে দেশের সুশীল সমাজ এগিয়ে আসতো৷ আর এ ধরণের হত্যাকান্ড সম্পর্কে দেওয়ান কিবরিয়া লিখেছেন, ‘‘হায়রে মানবতা! হায়রে মানুষ! কোথায় আজ মনুষ্যত্ব?''



তানভির শুধু দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘এসব ব্যাপারে আজকাল আর কারও চেতনা জাগ্রত হয় না৷''
আর ডয়চে ভেলের পাঠক বাবুল হাসানের ধারণা, এত দিন ধরে হত্যাযজ্ঞ চলছে, কোনো মিডিয়াই নাকি খবরগুলো সেভাবে প্রচার করছে না৷



পাঠক নজরুল ইসলাম ‘‘আল্লাহ নির্যাতিত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করুন!'' এই বলে শুধু প্রার্থনা করছেন৷
শেষমেশ মোবারক হোসেনের সুমনের শুধু প্রশ্ন, ‘‘এভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, এতে কি কোন মানবধিকার লঙ্ঘন হচ্ছেনা ?''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যা এবং ব্যাপক ঘর পোড়ানো
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা এবং সেনাবাহিনীর চলমান সংঘর্ষ সপ্তাহান্তে ব্যাপক রূপ নিয়েছিল৷ সংঘর্ষে অন্তত ২৮ জন রোহিঙ্গা এবং দু'জন সেনাসদস্য মারা গেছে৷ স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে রোহিঙ্গাদের অনেক ঘর পোড়ানোর দৃশ্যও ফুটে উঠেছে৷ (14.11.2016)

মিয়ানমারে ইসলামবিরোধী বক্তব্য বন্ধ করার নির্দেশ
হেট স্পিচ মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে যায়৷ মানুষে মানুষে বাড়ায় বিভেদ, বাড়ায় সহিংসতা৷ মিয়ানমারের ধর্ম মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নির্দেশ দিলেন, দেশে যেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আর ইসলামবিরোধী ‘ঘৃণা বক্তব্য' না দেয়৷ (15.07.2016)

রোহিঙ্গারা ভারতে নিরাপদ বোধ করে
রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিগৃহীত সম্প্রদায়ের একটি৷ কেউ তাদের চায় না৷ তাই নিজের ভিটে মিয়ানমার বা বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে এদের অনেকেই বাস করছে ভারতে, শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে৷ চিনা কাপুর তুলে ধরছেন তাদেরই কথা৷ (24.09.2016)

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যে ১৩ জন নিরাপত্তাকর্মী৷ দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশকে হত্যার জেরই হামলা কারণ৷ (13.10.2016)

রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গাদের প্রবেশের ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ অনেক বাংলাদেশিও আছেন তাঁদের মাঝে৷ থাইল্যান্ডে গিয়ে কবরেও ঠাঁই হয়েছে অনেকের! আজকের ছবিঘরটি তাঁদের নিয়েই৷ (12.05.2015)


পাঠক মহোদয়, রাজনীতিকে একটু দুরে রাখুন, প্রথম মানবতার কথা ভাবুন, আমার বড় কষ্ট, যে খবর বা ছবি আমার মানবতা, আমার বিবেক বাধাদান করে, আমি পারছি না ঐ সমস্ত ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করতে, একজন মায়ের কোল থেকে বার্মা আর্মি একটি শিশুকে দুলে নিয়ে হত্যা করলো, বাবা দৌড়ে আসলে তাকেও নির্মম ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। হায় আল্লাহু এটাও কি দেখা যায়। আবার একজন নারীকে আগুলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করছে।

পরিশেষে আমার প্রশ্ন, বর্তমানে বার্মায় গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্যেও কি করে এই হত্যা হচ্ছে। তাহলে সবাই অন সান সুচীকেই আঙ্গুল তুলে বললে, যে এই হত্যার জন্য বার্মার প্রধানমন্ত্রীই দায়ী। যে রাজনৈতিক নেতা শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছে। আমার কথা আমি প্রমান করে দিলাম। আমি শান্তি চাই। আমি যুদ্ধ চাই না। আমি হত্যা চাই না। ধর্মের কথা বলে মুসলিম হত্যা বন্ধ করুন।কারন ওরা মানুষ, ওদের বাঁচার অধিকার আছে। এই পৃথিবীটাকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিবেন না। ২য় বিশ্বযুদ্ধের দাগ এখনো শুকায় নাই, আজও হিরোশিমা ও নাগাসিকো, বিশ্বযুদ্ধের দাগ বহন করে যাচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থার কর্মিরা আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন, কোন ভাবেই প্রভাবিত হবেন না। আপনার বিবেককে সচেতন করুন, আপনার মানবতাকে দায়বদ্ধতার আওতায় উপস্থাপন করুন। এমন এক সময় আসবে, যে দিন আপনীও রেহাই পাবেন না। মনে হয় সে দিন বেশী দুরে না হতে পারে। আমরা কি এই সহিংসতা পরিহার করতে পারি না? আসুন চেষ্টা করি.....................

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: নিশ্চই কোন কারণ আছে!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: কারন টা কি আপনার জানা আছে? জানা থাকলে বলুন, আমার জানতে ইচ্ছা করে। তবে এই অমানবিক আচারনই কি তার একমাত্র প্রতিকার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.