নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেলাকুচা গাছের অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

তেলাকচু, তেলাকুচা বা বিম্বি দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বসত বাড়ির আশে পাশে, রাস্তার পাশে বন-জঙ্গলে জন্মায় এবং বংশ বিস্তার করে। সাধারণত চৈত্র বৈশাখ মাসে তেলাকুচা রোপন করতে হয়। পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে। অবহেলিত এ লতা জাতীয় গাছটি অত্যন্ত উপকারী। আসুন জেনে নিই এর ঔষধি গুণ।

ডায়াবেটিসঃ
ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচার কান্ড সমেত পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে আধাকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকালে খেতে হবে। তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়।



জন্ডিসঃ
জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেতে হবে।

পা ফোলা রোগেঃ
গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায় একে শোথ রোগ বলা হয়। তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।

শ্বাসকষ্টঃ
বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাপানি রোগ নয়) হলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩ থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।

কাশিঃ
শ্লেস্মাকাশি হলে শ্লেস্মা তরল করতে এবং কাশি উপশমে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।

শ্লেম্মাজ্বরঃ
শ্লেষ্মাজ্বর হলে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূলও পাতার রস হালকা গরম ২-৩ দিন সকাল- বিকাল খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে তেলাকচুর পাতা পাটায় বেটে রস করতে হবে।

স্তনে দুধ স্বল্পতাঃ
সন্তান প্রসবের পর অনেকের স্তনে দুধ আসে না বা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকুচা ফলের রস হালকা গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে তেলাকচুর পাতা একটু তিতে হওয়ায় পরিমাণমত সকাল-বিকাল ১ সপ্তাহ খেতে হবে।

ফোঁড়া ও ব্রণঃ
এ সমস্যায় তেলাকুচা পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ব্যবহার করতে হবে।

আমাশয়ঃ
প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস ৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।

অরুচিতেঃ
সর্দিতে মুখে অরুচি হলে তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করতে হবে। খেতে বসে প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ..+++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, পড়ার ও জানার জন্য এবং আমাকে উৎসহ প্রদানের জন্য ।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এ রকম অনেক কিছু আমাদের চারপাশে আছে যা আমরা ভাল মত জানি না, তেলাকুচার তার মধ্যে একটি।

ধন্যবাদ,
শেয়ার করার জন্য।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: জি শাহাদাৎ সাহেব-অনেক কিছু আমাদের চারপাশে আছে যা আমরা ভাল মত জানি না, তেলাকুচার তার মধ্যে একটি। আরো অনেক কিছুই আছে, ভবিষাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মরা হয় তো এই গুলোর খবরই পাবে না। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উপকারী পোষ্ট ++++++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনারা উপকৃত হলেই, আমি ধন্য।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোথায় পাওয়া যায়?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার বাড়ীর চার পাশ্বেই পাবেন, একটু খুজে দেখুন এই জন্য গাছের ছবি দিয়েছি। গাজী সাহেব আপনাকে ধন্যবাদ্।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সুমন কর বলেছেন: অনেক উপকার দেখছি !! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: হ্যাঁ, উপকারী তো বটেই। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাই, ভাল থাকবেন ও ভাল রাখবেন।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৭

জগতারন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
কোথায় পাওয়া যায়?
ইহা গুল্মজাতিয় লতা-পাতায় ভরা উদ্ভীদ। গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে ঝোর-জংগলে জন্মে। পাকা হলুদ-লাল তেলাকচু ফল টিয়া পাখীর প্রিয় খাবার। এই ফল ও এর লতা-পাতা অসাধারন ঔষুধি গুন আছে।
ব্লগার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান -এর প্রতি সুভেচ্ছা এমন ঔষধী উদ্ভীদ সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, এটা গুল্মজাতিয় উদ্ভীদ। এটা গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে ঝোর-জংগলে জন্মে। পাকা হলুদ-লাল তেলাকচু ফল টিয়া পাখীর প্রিয় খাবার। একদম ঠিক কথা। আপনার বর্ণনা প্রাণবন্ত ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.