নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ওয়াদা ভঙ্গকারী

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সরকারী চাকুরী সামন্য বেতন, যা পাই তাতে কোন ভাবেই সংসার চলে যায়, কারও কাছে কিছু চাওয়া বা পাওয়ার আশা কখনো করি নাই, আমার স্ত্রী কোন সময় কোন বায়না ধরে না, বা তার কোন বারতী আবদার আমাকে কখনোই মেটাতে হয় নাই। আমার সংসার টা বেশ সুখে সাচ্ছেন্দে কেটে গেছে, দুটো ছেলে স্বাভাবিক ভাবে পড়া শুনা করে বড় হয়ে আসতেছে। তারা দুই ভাই নাসিরাবাদ সরকারী বয়েজ হাই স্কুলে পড়াশুনা করে আসছে। মহান আল্লাহু পাকের দরকারে কোটি কোটি শুকরানা আদায় করে আসছি।

সরকারের প্রয়োজনে আমি একটি বাড়তি সুবিদা ভোগ করতেছিলাম। আর সেটা হলো, কম্পিউটার স্কিল, আমার উদ্যোগটাই সবচাইতে বেশী ছিল। যেহেতু সরকারী নির্দেশে একটি কম্পিউটার ল্যাব তৈরি হলো, এটা চালাতে তো হবেই, তাই না? দায়িত্বটা আমার মাথায় অনায়াসেই এসে গেল। আমি ও মনে মনে চাইতেছিলাম, যেন আমি এখানে যোগদান করতে পারি, মেঘ না চাইতে যখন বৃষ্টি হয়ে আমার উপর বর্সিত হলো। আমি মনের আনন্দে তা গ্রহন করলাম, অনেক গুলো ব্যাচ কোর্স করালাম। এক সময় কোর্স টিচার হিসাবে পড়াতে ছিলাম, এমন সময় আমার ছোট সালা সাউদি আরব থেকে বাড়ীতে বেড়াতে আসছে, যেহেতু, আমার স্ত্রীই তার একমাত্র বোন, আরো বড় বোন, মা-বাবা বেচে নাই তাই দেখতে তো আসতেই হবে। তাই তিনি ঘটা করে বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছেন।

বিদেশে থাকা অবস্থায় বেশ টাকার মালিক হয়েছেন। যতই টাকার মালিক হকো না কেন, সে তো আমার ছোট সালা, তার কাছে তো আমি কিছুই দাবী করতে পারি না। যদিও বিদেশে জাবার সময় আমিও কিছু টাকা তাকে ধার দিয়েছিলাম। যদিও যৎ সামান্য কিছু উপহার তার ভাগ্নাদেরকে দিয়েছেন, আমি ও আমার স্ত্রী তাতেই খুব খুশি, কারন, আমার শ্বশুর মরার পর তেমন কোন সম্পদ রেখে জাননি যাতে তারা বিলাসিতা করে খাবে, তাই তারা একটু ভাল থাকুক আমি বা আমার স্ত্রী, মনে প্রাণে এটাই চাই।

আজকে সে ঢাকায় ফিরছে, আমার সাথে দেখা করে ঢাকায় যাবে তাই সে আমার অফিসে আসলো, তার হাতে মোটেই সময় নাই, অফিস টাইম তাই ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছি, আমি কম্পিউটার ক্লাশে ছিলাম, সেখানেই সে সাক্ষাতের জন্য আসলো, তাকে ক্লাশের ভীতর ঢাকলাম, এবং আমার ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। তখন ঐ ক্লাশে এই সুন্দর মেয়েটিও ছিল। মোট কথা, সে আমাকে ডেকে বাহিরে নিয়ে গেল এবং বিবাহের প্রস্তাব দিল, আমি একটু পিছ-পা হলাম। কারণ মেয়ে কলেজে পড়ে, আমার সালা তো, সালা। টাকার মালিক আছে কিন্তু তাকে তো ডিগ্রী পাশ হয় না। সে ইশারা করে বললো, ভাইয়া একটু আলাপ করে দেখো না। তিনির আর ঢাকা যাওয়া হলো না। আমি বললাম যে, আমি একটু আলাপ করে দেখি, কিছু করা যায় কিনা।মেয়েটার সাথে মোটামোটি আলাপ হলো, তাতে বুঝলাম মেয়ের বাবা নাই, এটাই আমার একমাত্র পয়েন্ট, কিছুটা নিশ্চিত হলাম, যে হয়তো প্রস্তাব দিলে রাজি হলেও, হতেও পারে।

বাসায় ফিরলাম এবং আমার স্ত্রীর সাথে মোটামুটি একটা আলাপ করলাম, তখন আমার স্ত্রীও বুঝতে পারলো, যে কেন তার ভাই ঢাকা না যাইয়া আবার বাসায় ফেরৎ আসলো। আমি চিন্তায় ঘাম ঝড়াচ্ছি, আর একা একা দুই পক্ষের সাথে মিলাতে চেষ্টা করছি, আসলে কি সম্ভব হবে কিনা। ছেলে পক্ষ এবং মেয়ে পক্ষ, আবার মেয়ে পক্ষ এবং ছেলের পক্ষ, একটার সাথে একটা তুলনা করার চেষ্টা করলাম, তার পর সকাল বেলা দেখি আমার সালা তিনি ঘুম থেকে উঠেই আমাকে বললো, ভাই কি কিছু ভাবছেন? ভাই বলতেছে, আর জানতে চাইতেছে কি চিন্তা করলাম। একটা শিক্ষিত মেয়ে আর একটা কম শিক্ষিত ছেলে কি করে মিলাই ভেবেই পাইতেছিলাম না। যেহেতু তাহার আগ্রহটা খুব বেশী, তাই আমার চিন্তার দার খুলে দিলাম, এবং একটা পথও পেয়ে গেলাম, দেখলাম তাতে আমাকে বেশ মিথ্যার আশ্রয় নিতেই হবে, এছাড়া কোন উপয় নাই । যখন আমি একটু অমত প্রকাশ করার চেষ্টা করলাম, তখন সে একটু জোর খাটালো এবং আমাকে লোভ দেখাতে চেষ্টা বরলো, "ভাই, আপনী যদি এই মেয়েটাকে আমায় বিবাহ করাতে পারের তবে, আপনাকে আমি হজ্জ্ব করতে যত টাকা লাগে দেব।" "এটা একজন মুসলমান ও হাজির ওয়াদা।" মনে রাখবেন আমি এই টাকা কোন দিন ফেরৎ চাইবো না। কারন আমার বাবা থাকলেও তো আমি তাকে হজ্জ করাতাম। হজ্জের কথা সুনে আসলেই লোভ হলো, এটা যদি তার মনের কথা হয় তবে আপত্তি কোথায়। ছোট্ট বেলা থেকেই হজ্জ করার খুব ইচ্ছা আমার। তাই মনটা আনন্দে ভরে গেল।

সকাল বেলা, তাকে বললাম যখন তুমি জোড়া জুড়ি করছো। তবে তুমি আজকের জন্য এখানেই থাকো, অফিস থেকে আমি বাসায় আসি তার পর না হয় তুমি ঢাকা যাইও। দেখা যাক একটু টোপ ফালাই যদি রাজি হয় তবে চেষ্টা করে দেখি কিন্তু বাদ সাধলো আমার বিবেক, সেই বিবেককে কোরবানী করেই ঐ মেয়ের সাথে কথা বললাম, এবং তার পরিবারের সকল খবরাখবর নিতে চেষ্টা করলাম, এবং মেয়ের সাথে তার বাসায় গেলাম ও তার মা এমনকি পরিবার পরিজনের সাথে দেখা করলাম। মোটা মোটি তাদেরকে বুঝিয়ে সুজিয়ে একটু একটু রাজি করাবার চেষ্টা করলাম। মনে হলো আমি অনেকটা সফল, তবে শর্ত হলো, আগামী কাল মেয়ে ও ছেলে কথা ও সাক্ষাৎ হবে। বিপদেই পড়লাম, ভাবলাম এবার আর হলো না। কারণ আমার সালা সাহেব তো খাটো মানুষ আমার গায়ের রংও কালো। আল্লাহুকে বেশী বেশী করে ডাকলাম। তাতেই কাজ হলো, পরের দিন তাদের দেখা ও কথা হলো।

তাদেরকে একটা পার্কে নিয়ে গেলাম, দেখা ও কথা বলার সুৃযোগ করে দিলাম। একটা কথা না বললেই নয়, মেয়েদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে সে ব্যাপারের আমার যত বিদ্যা ছিল, সব গুলোই তাকে শিক্ষাতে চেষ্টা করলাম। যাই হোক, আল্লাহুকে ডাকতে মোটেই কৃপন্য করি নাই। মোট কথা হজ্জ করার ইচ্ছাটা মোটেই সামলাতে পারলাম না। বিয়েটা হলে যদি হ্জ্জ করা সম্ভব হয়। একটানা ৩/৪ ঘন্টাতো হবেই বা তার চাইতেও বেশী হতে পারে, রেজাল্ট হলো, "স্যার, আপনার সালা খাটো", আরে মোর জ্বালা, আমার কাছে এটা যেন বিদুৎ চমকানোর মত মনে হলে, হায়রে আমার আর বুঝি হজ্জ করা হলো না। আমি উত্তর করলাম, দেখ বোন, আমি ইচ্ছা করলে তো আর টেনে টুনে বড় করতে পারবো না। তবে যদি তোমার ভবিষতের কথা ভাবো তবে একবার ভেবে দেখতে পারো। এখানে আমার কিছুই বলার আর থাকলো না। তাকে একটা নাস্তার ব্যবস্থা করে, বাসায় পৌছায়ে দেয়া হলো। এবার আমার সালার পালা, কি হলো দুলাভাই কি বললো, যদি আমি বলি, যে সে না করে দিয়েছে, তবে তো সব গেল। তাই বললাম ভাই আমাকে দু'একটা দিন সময় দেও। দেখি কি করা যায়।

আকাশ পাতাল ভাবতে ছিলাম, মেয়ে তো এক কথায় তাকে যে পাছন্দ হয় নাই, তা কিন্তু আমাকে বলে দিয়েছে। এবার আমার আর কোন পথ থাকলো না। পরের দিন তার মার সাথে দেখা করলাম, এবং তাকে লোভ দেখাতেই সে তা গ্রহন করলো, মেয়ের মা ঠিকই বুঝতে পারলো যে, ছেলে ভাল, তার পিছনে কোন ঝামেলা নাই, তিনি এক কথায় এই ব্যাপারে পাক্কা জোহুরী বটে। আমাকে তিনি আশা দিলেন যে, "আমি মেয়েকে বুঝিয়ে রাজি করাবো", আমি ও নিশ্চিৎ হলাম আমার মিষ্টি যখন রেখেছে, এবং একবার যখন সে বুঝাবার কথা বললো তাতে আমি আসস্ত হলাম। যে, আমি এই বিবাহ ঘটাতে সক্ষম হবো, ইনস আল্লাহু।এবার দেখা দেল টাকার অভাব, কোথায় পাই নগদ টাকা, একটা বিবাহ খরচ বলে কথা, যেভাবেই হোক না কেন দায়িত্ব যেহেতু নিয়েছি, তা শেষ করতে তো হবেই। আমার বোনের কাছে কিছু টাকা ছিল, তাতে হাত লাগাতে হলো, আর বাকী টাকা ধার দেনা করার চেষ্টা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকলো না।

আমি আমার শ্বশুর পক্ষের লোকের উপকার খুব কমই করার সুযোগ পেয়েছি। কারন আমার মা-বাবা, ভাই-বোনের দেখা শুনার ভার আমার উপারই ছিল। ইচ্ছা থাকলেও আমার দায়িত্বের অবহেলা তো আর করতে পারি না।

আল্লাহুর অশেষ মেহেরবাণী বিবাহ হবে। এবার কাজি ডেকে আনা হলো, কাবিন কত? পাঁচ লাখ টাকা, একটু বেশী হয়ে গেল, কারণ এই পরিমান কাবিনের যে খরচ তাও আমার কাছে নাই। হায় রে বিপদ, বিপদ আমাকে ছাড়ে না। যেহেতু শশুর ও শ্বাশুরী কেহই বেচেঁ নাই। আজ যদি আমি কোন ক্রমে পিছপা হই। তবে আমার স্ত্রীর কাছে এটা একটা অশান্তির কারণ হবে, আর সংসারে অশান্তি বিরাজ করবে, ভেবে কোন কুল কিনারা পাইতেছিলাম না। আমার যে কোয়ার্টারে বসবাস করি তাদের কাছে হাত পাতলাম, দেখলাম, ভালই সাড়া পেয়েছি। অনেক চড়াই উৎড়াই পার করে আসলাম। তবে বিবাহ কার্য যে সম্পন্ন হলো, তাতেই আমি খুব খুশি, আমি একদম ভুলেই গিয়েছিলাম যে, আমার সালা মিয়া আমাকে হ্জ্জ করাবেন।

এবার আরম্ভ হলো সংসারিক নাটক, আমি এই নাটকে কখনো বিশ্বস্থ্য ছিলাম না। আমি এবং আমার স্ত্রীর মধ্যে কোন নাটক সংঘটিত হয় নি। আমি আমার স্ত্রীকে যেভাবে বিশ্বাস করি ঠিক তেমনি ভাবে আমার স্ত্রীও তার চাইতে মনে হয় একটু বেশীই বিশ্বাস করে। আমার সংসারে টাকার অভাব থাকলেও ভালবাসার কোন অভাব ছিল না। ভূল বুঝা বুঝি কখনো হয় নি। তবে সালাকে বিয়ে করাবার পর, আমার অভিজ্ঞতার যে জন্ম হলো, তা আমি জীবনে কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই। আমাকে যদি এ ব্যাপারে কেউ পরিমাপ করাতে চায় তবে আমি যে, তাতে ডক্টরেট পাবো তাতে কোন সন্দেহ আমার নাই। সে বিশাল অভিজ্ঞতা বটে। ময়মনসিংহ এলাকার মানুষ বলে কথা।

সব চাইতে বড় অভিজ্ঞতা হলো আমার রক্তের আত্মিয়া, আমার বড় ভাইয়ের বড় মেয়ে, যাকে আমি নিজের কাছে রেখে পড়ার ব্যবস্থা করলাম, বিয়ে দিলাম, নিজের টাকা খরচ করে। সে কিনা আমার ও আমার বউয়ের বিরুদ্ধে ঐ সালার শ্বাশুরী ও তাদের আত্মিয়ার কাছে মিথ্যা বদনাম করলো। অবশ্য সে সফল হয়েছে, আমাদের মাঝে বিশাল বড় ব্যবধান করতে পেরেছে। আমার কষ্ট হলো, মিথ্যা যখন কথা বলে সত্য তখন মাথা নুয়ে থাকা ছাড়া কোন উপয় নাই। আবার সত্য যখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠে, তখন মিথ্যার কোন অস্থিতই থাকে না। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। অনেক অহেতুক অপমান সহ্য করতে হয়েছে। অথচ আমরা এসবের মধ্যে কখনোই ছিলাম না। তবে আমার ভাইয়ের মেয়েটা বেশ সাজা পেয়েছে, সে যদি তা বুঝতে পারে, তবেই ভাল। আজ সে মরন ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন, সে যেন সুস্থ্য হয়ে যায়। তার দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে। আল্লাহ তাকে সেফা করুন।

অনেক মিথ্যার মুখামুখি হয়েছি। কখনো কারো কাছে জবাব চাইনি, কারণ আমার শ্বশুরী বেচে নাই। কাকে বলবো এই সব কথা, নিরবে সহ্য করা ছাড়া আর কোন উপয় নাই। আমার সালা বিদেশে থাকেন, তাকে একটা বুদ্ধি দিলাম, তুমি যদি এই বিয়ে টিকিয়ে রাখতে চাও, তবে যত তারাতারি সম্ভব তোমার কাছে, সাউদি আরব তাকে নিয়ে রাখো। এছাড়া কোন উপায় নাই, তা না হলো কোন ক্রমেই এই বিয়ে টিকবে না। যে কথা সেই কাজ, সকল নাটকের অবসান হলো, যখন সে তার সুন্দরী বউকে তার কাছে নিয়ে গেল। মনে মধ্যে শান্তির নিঃস্বাস ফেললাম।। হে আল্লাহু, তুমি তাদেরকে দেখ ও হেফাজৎ করো। একটা এতিম ছেলের সাথে যা যা করলো, এবং আমার সাথে যে ব্যবহার তারা করেছে, আমি হয়তো কখনো ভুলতেও পারবো না। টাকা ধারকরে সালাকে বিয়ে দেয়ার মজা হাবে হারে টের পেয়েছি। সুধু একটাই লোভ, সালা আমাকে হজ্জ করাবে।

হজ্জের পরিবর্তে আমি ও আমার স্ত্রী সুধুই গালাগালিই পেলাম, তার সাথে সাথে শ্বশুর পক্ষের আত্মিয়দের হাত তালি তো আছেই। যদিও আমার স্ত্রী হাই প্রেসারের রুগী, এতে আমার যে কত টাকা নষ্ট হয়েছে, তার হিসাব করলে, আমি এই সমপরিমান টাকা দিয়ে ঢাকাতে একটা বাড়ী করা সম্ভব হতো। সালাকে বিয়ে করিয়ে, স্ত্রী-পুত্র নিয়ে সুধু কষ্টই পেয়েছি। সুদুই সালাকে বিয়ে করিয়ে, লাভ ক্ষতির হিসাবের খতিয়ান আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। তা না হলে হয়তো স্ত্রীর পিছনে এত টাকা খরচ করার দরকার হতো না।

দুপুরে নামাজ শেষে, খানা শেষ করলাম। স্ত্রীর অসুস্থতার কথা চিন্তা করে, তাকে ডাক্তারের কাছে পাঠালাম। মাথায় টেনশন কাজ করতেছে, আমার স্ত্রী ডাক্তারের কাছে পৌছতে পরলো কিনা। কয়েক বার কল করার পর বড় সালাকে কল করলাম, তিনি আমাকে সুসংবাদ জানাতে একটুও ছাড়লেন না।সাথে সাথে একটু তিরিস্কার ও টিপ্পনী টাকলো, তীরের মত হৃদয়ের মধ্যে আঘাত লাগলো। তিনি জানালেন যে, তার ছোট ভাই তো তার শ্বশুরী মাকে হজ্জ করাতে সৌদি আরব নিয়ে গেছেন, তিনি এখন খুবই ব্যস্ত আছেন। আমি চেষ্টা করলাম ছোট্ট সালার সাথে যোগাযোগ করার কিন্তু তিনি আমার নাম্বার টা ব্লক লিষ্টে ফেলে দিয়েছেন। সবাই কল করলে তিনি রিসিভ করেন কিন্তু আমার টা নয়। মনের ব্যাথাটা এতটাই বেড়ে গেল, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারলাম না। শ্বাশুরী মাকে হজ্জ করাবে, এ ভাগ্যে কয় জনার আছে। আর এটা তো সুধুই আমার উছিলাম, তাই না? সে তো খুব খুশির সংবাদ, একবার ঢাকা আসার গাড়ীভাড়া যার কাছে নাই সে কি না ওমরা করতাছে, আল্লাহুর কাছে লাখ লাখ শোকর আদায় করছি। কিন্তু আসল কথা হলো, আমার সাথে যে ওয়াদা করা হয়েছিল, তার কি হলো।

"ওয়াদা ভঙ্গকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।" হায়রে সালা, আরে ভাই সালা তো সালাই, আমার ভাগ্যে যদি আল্লাহু রাখে তবে একদিন না একদিন ওমরা বা হজ্জ করতে যাবো ইনস আল্লাহু। তবে, সালার সুন্দরী বউয়ের কারণে আর আমার হজ্জ করা সম্ভব হলো না। আমার এই ঘটার লেখার কারণে যদি কেউ ব্যাথা পেয়ে থাকেন তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই ব্যবহারে আমি একজন মুনাফিক ও মুমেনের পার্থক্যটা বুঝতে পারলাম। যদিও একান্ত ব্যক্তিগত কাহিনী, তার পরোও বলবো এখানে শিক্ষনীয় অনেক কিছুই আছে। আল্লাহু যে কোন জুলুম কারীকে ক্ষমা করেন না। তার একটু প্রমান আমি পেয়েছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

ওমেরা বলেছেন: ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন যদি ছিন্ন হয় নারীও কারন । খুবই কষ্ট লাগল আপনার কাহীনি পড়ে ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আমার কষ্টে আপনী কষ্ট পেয়েছেন, সে জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইতেছি। আমার কোন রকম ইচ্ছাই নাই, আপানাকে কষ্ট দেওয়ার, আপনার সহানুভুতির প্রতি সম্মান জানাই। আল্লাহু আপনার নেক হায়াৎ দান করুন, আমিন।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৬

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: ভাই আপনি তাঁকে ক্ষমা করে দিন। তার সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় আপনি লাভবান হয়েছেন । একবার চিন্তা করে দেখুন, আপনাকে হজে পাঠানোর পর যদি সম্পর্ক খারাপ হও তখন কি অবস্থা হত। তখন সে প্রতিনিয়ত আপনাকে বিদ্রূপ করত

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: সবই মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছা, তিনি যে ভাবে রাখবেন , তাতেই আমি খুশি। সত্যিকার কাহিনীটি পাঠ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন ও সুস্থ্য থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.