নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে আল্লাহ! সঠিক বিচারের মালিক, সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমাশীল।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকা কলা কেন খাবেন?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৫

আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তু তা ছাড়াও যে, প্রচুর কাজ করে কলা। জেনে নিন কলার বহুগুণ-


প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তার থেকে দূরে রাখবে। অথচ কলা সম্পর্কে এরকমভাবে এতো সুন্দর করে আমরা সাধারণত কিচ্ছু বলি না।
কলাকে আমরা এই অবহেলা করি কারণ কলা আপেলের মতো সেরকম উচ্চ পর্যায়ের না বলে? একমাত্র ব্যাচেলর এবং জিম সচেতন ব্যক্তিরাই কলাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে থাকে। হায়ার পারসপেক্টিভ ডটকমের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিদিন ২টি পাঁকা কলা খেলে, তা আপনাকে দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনে নেতৃত্ব দিতে পারে।

অবসাদ

অবসাদে ভোগা কিছু মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলা খেলে ভাল বোধ করেন তারা। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

অ্যানিমিয়া
কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা কমে। এমনকী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।

রক্তচাপ

কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।

মস্তিষ্ক

টানা ১ বছর ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের টুইকেনহ্যাম স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়ার ওপর। পরীক্ষার আগে টানা ব্রেকফাস্ট, ব্রাঞ্চ ও লাঞ্চে কলা খাওয়ানো হয় তাদের। দেখা গিয়েছিল কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম তাদের মনসংযোগ বাড়ানোর ফলে অন্যদের থেকে পরীক্ষায় ভাল করেছিলেন ওই ২০০ জন পড়ুয়া।

কনসটিপেশন

কলার মধ্যে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।

হ্যাংওভার

আগের রাতের অতিরিক্ত মদ্যপানের হ্যাংওভার কাটাতে বানান মিল্কশেকের কোনও তুলনা নেই। সঙ্গে যদি থাকে ১ চামচ মধু। কলা শরীরের অস্বস্তি কমায়, দুধ পেট ঠান্ডা করে ও মধু বজায় রাখে রক্তে শর্করার মাত্রা।
ফলে অম্বলের হাত থেকেও রেহাই পায় শরীর।

মর্নিং সিকনেস

কাজের চাপ, মানসিক চাপে অনেক সময়ই সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করি আমরা। রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় কম থাকে এনার্জির মাত্রাও। এই সময় কলা বজায় রাখতে রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা।

মশার কামড়

মশার কামড়ে ফুলে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করার আগে কলার খোসা ঘষে দেখুন ত্বকের ফুলে ওঠা অংশে।

স্নায়ু

কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

আলসার

নরম ও মিহি হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী খাবার কলা। অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ

অনেক দেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কলা ব্যবহার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের বদলে খাওয়ানো হয় কলা। তাইল্যান্ডে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।


স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরী আছে। তাই মাত্র একটি কলা খেলেই অনেক সময় পর্যন্ত সেটা শরীরে শক্তি যোগায়।
২। অতিরিক্ত জ্বর কিংবা হঠাৎ ওজন কমে গেলে শরীর দূর্বল হয়ে যায়। এসময়ে কলা খেলে শরীরে শক্তির সঞ্চার হবে এবং তাড়াতাড়ি দূর্বলতা কেটে যাবে।
৩। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কলা একটি উপকারী ফল।
৪। কলা অ্যান্টাসিডের মত কাজ করে। অর্থাৎ কলা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও কলা পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।
৫। কলায় প্রচুর আয়রন আছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য কলা খুবই উপকারী একটি ফল।
৬। যারা নিয়মিত বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন একটি করে কলা খান ভরা পেটে। কলা বুক জ্বালা পোড়া কমায় এবং পাকস্থলীতে ক্ষতিকর এসিড হতে দেয় না।
৭। প্রায় দুই মিনিট ধরে কলার খোসা দাঁতের উপর ঘষলে এটি দাঁতের উপরে থাকা ময়লা ও দাগ দূর করে দাঁতকে সাদা করে তুলবে। মিনারেলে ভরপুর কলার খোসা দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলতে পারে।
৮। ডায়রিয়া হলে শরীরে পানি শূন্যতা হয়ে যায় এবং শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। এসময়ে কলা খেলে শরীরের পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং হার্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
৯। কলায় ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে যা ত্বকের কোষের জন্য ভালো এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই ফ্যাটি এসিড চেইন পুষ্টি গ্রহণ করতেও সাহায্য করে।
১০। কলা মন ভালো করে দেয়। কলায় ট্রাইপটোফ্যান আছে যা সেরোটনিনে রূপান্তরিত হয়ে মন ভালো করে দিতে সাহায্য করে।
১১। কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো। স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্যেও কলা উপকারী।
১২। ধূমপান ছাড়তে হলে বেশি করে কলা খান। কারণ কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি কলা বাগান করেছেন সম্প্রতি?

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: জি না, ভূল ধারনা, বর্তমানে আমি এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য গেলাম তিনি আমাকে প্রতি দিন, রাতের খাবারের পর একটি বা দুটি কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়াছেন, ঠিক কিছু দিন হলো, ভালই উপকারিতা পেলাম। আপনীও খেয়ে দেখতে পারেন। গাজী সাহেব আপনাকে ধন্যবাদ, অনেক দিন পর আপনার কোন মন্তব্য পেয়েছি, তাও আবার সরাসরি প্রশ্ন। ভাল থাকবেন।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩১

মনে নাই বলেছেন: কলার একটা জিনিস আমার পছন্দ না: ২দিন ঘরে না রাখতেই খাবার অযোগ্য হয়ে যায়।
গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২২

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন, আমি তিন/চার দিন পর পর কাচাঁ পাকা মিয়ে কিনে আনি, আস্তে আস্তে পাকে আর খাইয়া শেষ করি, তবে বাড়ী থেকে যে কলাগুলো আসে সেগুলোর মজাই আলাদা প্রতি মাসেই কিছু না কিছু আসে।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে পাকা কলা খাওয়া হয় শরীরে কার্বাইড সরবরাহ করতে?

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ধন্যবাদ ভাই

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:০৭

নিশি মানব বলেছেন: বিচি কলার সম্পর্কে কিছু বলেন।
অনেক দিন খাইনা। ঢাকা শহরেতো পাওয়াই যায়না।
পেলে আয়েশ করে খাই।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: বিচি কলা ক্রিমি নাশক, আমি বাড়ীতে গেলে সব সময়ই বিচি কলা খাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ ভাল থা্কবেন।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কলা তো দেশে নাই। সব ফরমালিন দেওয়া।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ফরমালিন দেওয়া, কি আর করা, খেতে তো হবেই, তবে গ্রামের বাড়ি থেকে একটু কাচাঁ দেখে আনবেন, পড়ে পাকলে খাবেন। তবু ও কলা খাওযা চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.