নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চুপ রাস্তার একলা পথিক

কায়সার ইয়াসিন

সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভাল লাগে।সবাই বলে আমি খুব সহজ সরল একজন।তখন ঠিকই তাদের চেহারার দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝতে অসুবিধে হয় না আমাকে তারা বোকা বলে সম্বোধন করছে। তবে আমি আমার জায়গায় থেকে যখন কোন কিছু করি নিজেকে খুব পরিষ্কার মনে হয়। পৃথিবীতে আমি মনে করি তিন স্তরের মানুষ আছে। এক নির্বোধ দুই বুদ্ধিমান তিন যাকে কোন নাম দেয়া যায় না।তিন নাম্বারের স্তরের মানুষগুলো যখন কিছু করে তা দেখে কেউ বলে উঠে এত গাধা না হলে এমন কাজ সে করতো না।আবার কেউ বলে উঠে চালাকের সীমা ছাড়িয়ে গেল।হুমায়ূন স্যারের কথাটি সবসময় আমার কানে বাজে জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।আমাদের পথচলার সবচেয়ে বড় চালকটা হচ্ছে বিশ্বাস।তাই আমি বলি এটি যেন কখনো জীবন থেকে হারিয়ে না যায়।কারণ কারো প্রতি জন্ম নেয়া ছোট ছোট আস্থার চারা বড় হওয়ার আগে অকালে ঝড়ে গেলে পরবর্তি বীজ গুলো তার জন্ম নেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

কায়সার ইয়াসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের বিস্ময়কর ৬ জন যারা অন্ধ হয়েও শ্রেষ্ঠ… :#)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪



১)বিশ্বের প্রথম অন্ধ এথ্যালিটি (মারলা রুনিয়ান)



তিনি যখন ৯ বছর ছিলেন তখনি একটি অজ্ঞাত রোগের কারণে তার দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন। :( কিন্তু তার এই অক্ষমতা তাকে ধরে রাখতে পারে নি।১৯৮৭ সালে তিনি SAN DIEGO UNIVERSITY তে অধ্যয়নরত অবস্থায়

বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন।এবং এভাবেই তিনি নিজের প্রতিভা বিশ্বের সামনে ধীরে ধীরে তুলে ধরেন।



১৯৯২ সালের SUMMER PARALYMPICS এ তিনি চারটি স্বর্ণমুদ্রক এবং ১৯৯৬ সালের SUMMER PARALYMPICS এর SHOT PUT এ রৌপ্য এবং PENTATHLON(দৌড়, অশ্বচালনা, সাতার, বর্শানিক্ষেপ, শুটিং প্রতিযোগিতায় একসাথে অংশগ্রহন)এ একটি করে স্বর্ণমুদ্রক অর্জন করেন।



তাকে WORLD CLASS RUNNER আখ্যায়িত করা হয় ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে যথাক্রমে AMERICAN GAMES এবং SYDNEY OLYMPICS এর পরে।যেখানে তিনি ১৫০০ ও ২০০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় ৮ম হয়েছিলেন। এরপর ২০০১ সালের NATIONAL CHA MPIONSHIPS এ তিনি ৫০০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছিলেন।তিনি তার আত্মজীবনী নিয়ে একটি বই ও প্রকাশ করেছেন। বইটির নাম “NO FINISH LINE MY LIFE AS I SEE IT.” বইটি এখন অনলাইন শপিং এ পাওয়া যায়।কিছু বছর আগে তিনি তার কোচ ম্যাট লনেরগান এর সাথে বিবাহ সমপন্ন করেন।



২) অন্ধ সার্ফার (ডিরিক রাবিলো)



ডিরিক রাবিলো

২০ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান জন্মগতভাবে অন্ধ হলেও তিন বছর বয়সে তিনি সার্ফিং আয়ত্ত করেছিলেন।

তিনি বলেন -“WITH GOD,EVERYTHING IS POSSSIBLLE”



৩) অন্ধ চিত্রশিল্পী (জন ব্রামব্লিট)



তিনি ৩০ বছর বয়সে ২০০১ সালে epilepsy রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দৃষ্টি শক্তি হারায়।প্রথমে তিনি খুবই আশাহত হন এবং ভেঙ্গে পড়েন।কিন্তু পরবর্তিতে তিনি নিজেকে গুছিয়ে নেন।এবং নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করে নেন শুধু স্পর্শের সাহায্যে তুলির রঙ বুঝে নিতে শিখেন।

তার অংকিত চিত্র বর্তমানে ২০ টি দেশেরও বেশী জায়গায় প্রদর্শিত হচ্ছে।তার চিত্রকর্ম ২০০৮ সালের “MOST INSPIRATIONAL VEDIO” তে ব্যাপক আলোড়ন জাগিয়েছে।তার এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন তিন তিনটি PREDENTIAL SERVICE AWARDS.



৪) অন্ধ গাঁড়ি চালক(মার্ক এনথোনি রিকোবোনো)



জানুয়ারী ২৯,২০১১ মার্ক এনথোনি রিকোবোনো গাঁড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন DAYTONA INTERNATIONAL SPEEDWAY রাস্তায়।দূর থেকে বুঝায় যাচ্ছিল না একজন অন্ধ ব্যক্তি এই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

২টি প্রযুক্তির সহয়তায় তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন।১টি হল “Drive Grip” যা ২টি gloves এর সমন্বয়ে গঠিত।এটি চালককে কম্পনের মাধ্যমে সংকেত দেয় কতটুকু এবং কোন দিকে wheel ঘুরাতে হবে।আর অন্যটি হল Speedstrip যা ড্রাইবারের পায়ের সাথে সংযুক্ত থাকে আর সংকেত প্রেরণ করে কতটুকু speed দিতে হবে।তিনি বলেন-

"It's going to be a lot of work to convince them that we can actually pilot a vehicle that is much more complex and has much more risk. Now we have to convince society that this demonstration is not just a stunt. It's real. It's dynamic research that's doing great things,"





৫) অন্ধ রাঁধুনি (ক্রিস্টাইন হা)



যারা রান্না করেন তারা নিশ্চয় জানেন রান্না এমন একটি শিল্প যা সম্পূর্ণ ইন্দ্রিয় হতে সৃষ্ট।আর যারা এটি বিশ্বাস করেন না তদের সাথে আমি পরিচয় করিয়ে দিতে চায় ২০১২ সালের মাস্টারচেপ বিজয়ী ক্রিস্টাইন হা এর সাথে।যিনি জন্মগত রোগের কারনে ধীরে ধীরে তার দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ২০০৭ সালে একেবারে অন্ধ হয়ে যান।তিনি বলেন "I have to depend a lot more on the other senses to cook – taste, smell, how certain ingredients feel,”

৬)অন্ধ ফটোগ্রাপার (পিটি ইকার্ট)



পিটি ইকার্ট RETINITIS PIGMENTOSA নামক রোগের কারনে তার দৃষ্টি শক্তি হারান।যদিও তিনি sculpture এবং industrial design নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন পরবর্তিতে তিনি ফটোগ্রাফিতে মনোনিবেশ করেন।তার ফটো তোলার ধরণ হল প্রথমে তিনি জেনে নেন তিনি কিসের ছবি তুলবেন এরপর তিনি তার মনে এর কল্পনা একে নেন এরপর পারিপার্শ্বিক শব্দের প্রেক্ষিতে তিনি ছবি তোলেন।তার মতে "I am a visual person. I just can't see,"



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অসাধারন মানুষের অসাধারন ক্ষমতা !!!!

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১২

রাফছানজানি বলেছেন: আমাদের এই মহামূল্যবান চোখ থাকা স্বত্ত্বেও কোন ভালো কিছু করতে পারলাম না।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

আজীব ০০৭ বলেছেন: অসাধারন মানুষের অসাধারন ক্ষমতা !!!!

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

মানুষের ইচ্ছা শক্তি সকল প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

পোস্টে প্লাস++++++++++++

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২৯

আমি অপদার্থ বলেছেন: ইচ্ছা শক্তির জোর থাকলে মানুষ সব কিছুই করতে সক্ষম। এ ধরণের মানুষ দেখলে বুকে সাহস পায়।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



মানুষ চাইলেই পারে সব কিছু করতে।
তাদেরকে স্যালুট !

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

জমরাজ বলেছেন: অনুপ্রেরণাদায়ী পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.