নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চুপ রাস্তার একলা পথিক

কায়সার ইয়াসিন

সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভাল লাগে।সবাই বলে আমি খুব সহজ সরল একজন।তখন ঠিকই তাদের চেহারার দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝতে অসুবিধে হয় না আমাকে তারা বোকা বলে সম্বোধন করছে। তবে আমি আমার জায়গায় থেকে যখন কোন কিছু করি নিজেকে খুব পরিষ্কার মনে হয়। পৃথিবীতে আমি মনে করি তিন স্তরের মানুষ আছে। এক নির্বোধ দুই বুদ্ধিমান তিন যাকে কোন নাম দেয়া যায় না।তিন নাম্বারের স্তরের মানুষগুলো যখন কিছু করে তা দেখে কেউ বলে উঠে এত গাধা না হলে এমন কাজ সে করতো না।আবার কেউ বলে উঠে চালাকের সীমা ছাড়িয়ে গেল।হুমায়ূন স্যারের কথাটি সবসময় আমার কানে বাজে জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।আমাদের পথচলার সবচেয়ে বড় চালকটা হচ্ছে বিশ্বাস।তাই আমি বলি এটি যেন কখনো জীবন থেকে হারিয়ে না যায়।কারণ কারো প্রতি জন্ম নেয়া ছোট ছোট আস্থার চারা বড় হওয়ার আগে অকালে ঝড়ে গেলে পরবর্তি বীজ গুলো তার জন্ম নেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

কায়সার ইয়াসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ডায়েরীর কিছু পাতা

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪



বারঃ রবিবার

তারিখঃ ৩০.১০.২০১১



আজ কি বার? আমার সত্যি জানা নেই।বারের সন্ধানে আমার চোখ রাখতে হল ইংরেজী দিন-পঞ্জিকায়।এত অলস হয়েছি তাও করতে মন সায় দিচ্ছিল না।চীফ অফিসার চলে গেল প্রায় এক সাপ্তাহ হল।আমাদের ও যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে।ইচ্ছা এক বছরের পাতায় পা রেখে বিদেশ ছেড়ে স্বদেশ যাওয়ার।কিন্তু উপরওয়ালার যে ইচ্ছা তাকে মেনে নিব আরকি।সত্যি বলতে ডায়েরী বের করে কলমকে যখন ডায়েরীর সামনে নিয়ে আসি আর মনের সিন্ধুককে যখন খুলে দিয়ে লেখার ভান্ডারকে সামনে ধরি তখন উপলব্ধি করি আজকাল লেখার কোন টপিক্স খুঁজে পাই না।কি নিয়ে লিখব,কাকে নিয়ে লিখব কিছুই মাথায় আসে না।এইদিকে আমার লেখার হাতের যে হযবরল অবস্থা তার মাঝে টপিক্স খুঁজে না পাওয়া সব কিছু যোগ করে ফলাফল খুঁজে পাই আমি “একা”।





জীবনের যোগ-বিয়োগ গুন-ভাগ আর এই পথচলার সরল অংক সেই ছোটকাল থেকে শুরু করেছি একটার নীচে একটা সমাধান খুঁজেই চলেছি কিন্তু কোন প্রকার মান পাওয়া যাচ্ছে না।জীবন অংকের পাটিগনিতে পাস মার্ক তুলতে আমার পাঁচ-প্যাচ হয়ে পড়ছে।জানি না কোন বীজগনিত আবার নতুন হয়ে যোগ হবে হয়রানির জন্য।



অন্য প্রসঙে আসা যাক।আমার খুব ভাল লাগে নীল সাগরের ডুবন্ত সূর্য।যেখানে আছে ছুঁয়ে যাওয়া ভালবাসার অতৃপ্ত তৃপ্তি।যেখানে আছে ছুটে যাওয়া স্বপ্নভরা পাখির ঝাক।যেখানের হিমেল বাতাসের মাঝে লুকিয়ে আছে শান্তি।যেখানে পাওয়া যায় সুপ্ত নীরবতা।কিন্তু আজকাল আর দেখি না এই ডুবন্ত সূর্য।হারিয়ে গেছে এই সূর্য কোথা আমি জানি না।আমার ভাল লাগে সবুজ বনের মাঝে একাকি বসে গুন গুন করতে।রাতের আকাশের তারা আর জোনাকির প্রতিযোগিতা দেখতে।ভাল লাগে সেই কাল্পনিক মনোহরিণী তোমাকে।কল্পনার ক্যানভাসে সাত রঙ মিশানো অদ্ভুদ রঙ দিয়ে চিত্রিত সেই তোমাকে।জগৎ ঘুরে খুঁজে বের করতে চাই আমি সেই তোমাকে আর উপহার দিয়ে অলংকিত করতে চাই তোমার হৃদয়কে।দিতে চায় আমার সকল ভাল লাগা।পেতে চায় তোমার সকল মৌনতা।নিঃস্তব্ধতা কি তুমি কখনো উপলব্ধি করেছ?চেষ্টা করো নীরবতার মাঝে খুঁজতে নীরর ভালবাসাকে।আজ তুমি চেষ্টা করো অন্ধকারকে পড়তে।খুঁজে পাবে তুমি এই কাল্পনিক মেয়ে খুঁজে পাবে তুমি এই আমাকে।তুমি হারিয়ে যেও না আমার কল্পনা থেকে।আমার বিন্দু বিন্দু ভালবাসা তোমাকে নিয়ে।তুমি যখনি আসবে তুমি তখনি পাবে

তুমি পাবে এই আমাকে।



অনেক গুলো স্বপ্ন একেঁ রেখেছি শুধু তুমি আসবে বলে।চেয়ে দেখো!এখনও প্রদীপটাকে জ্বালিয়ে রেখেছি তোমার পথ আলোকিত করবে বলে।কতবার দুষ্ট হাওয়া আর বর্ষার বারি এসেছিল প্রদীপকে নিঃশেষ করতে।আমি নিঃশেষ হয়ে গেছি শুধু একটি বার তোমায় দেখতে।নিভতে দেই নি আমি সেই প্রদীপকে যে প্রদীপের আলোয় আমি দেখব তোমায়,তোমার সৌন্দর্যকে।এমনি করে পার করছি দিবা-রজনী।তুমি আসবে বলে ফুলগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছি।তুমি কি জানো রজনীর সুবাস বাতাসে ছড়ানো বন্ধ হয়ে গিঁয়েছে।গোলাপগুলোর কলি অপেক্ষা করছে শুধু তুমি আসবে বলে।



টেবিলটাকে আমি গুছিয়ে রেখেছি আমার প্রিয় রঙ দিয়ে ঢেকে রেখেছি চেয়ারের উপরি অংশকে।সুন্দর একটি সাদা গোলাপ সাথে বেলী ফুলের গুচ্ছ টেবিলের মাঝে টিউবে ভরে রেখছি।দুইটা চেয়ার পেতে রেখেছি পাশাপাশি।তুমি আসবে বলে এখনও টেবিলের উপরে রাখা ক্যান্ডেল স্টেন্ডের ক্যান্ডেল্টা আমি জ্বালাইনি।তুমি এসো আর কল্পনাতে চিত্র এঁকো না গো।তুমি বাস্তবে এসো।তোমার জন্য চেয়ে দেখ আমি রেখছি আমার প্রেমের গুচ্ছ ……

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.