নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভাল লাগে।সবাই বলে আমি খুব সহজ সরল একজন।তখন ঠিকই তাদের চেহারার দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝতে অসুবিধে হয় না আমাকে তারা বোকা বলে সম্বোধন করছে। তবে আমি আমার জায়গায় থেকে যখন কোন কিছু করি নিজেকে খুব পরিষ্কার মনে হয়। পৃথিবীতে আমি মনে করি তিন স্তরের মানুষ আছে। এক নির্বোধ দুই বুদ্ধিমান তিন যাকে কোন নাম দেয়া যায় না।তিন নাম্বারের স্তরের মানুষগুলো যখন কিছু করে তা দেখে কেউ বলে উঠে এত গাধা না হলে এমন কাজ সে করতো না।আবার কেউ বলে উঠে চালাকের সীমা ছাড়িয়ে গেল।হুমায়ূন স্যারের কথাটি সবসময় আমার কানে বাজে জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।আমাদের পথচলার সবচেয়ে বড় চালকটা হচ্ছে বিশ্বাস।তাই আমি বলি এটি যেন কখনো জীবন থেকে হারিয়ে না যায়।কারণ কারো প্রতি জন্ম নেয়া ছোট ছোট আস্থার চারা বড় হওয়ার আগে অকালে ঝড়ে গেলে পরবর্তি বীজ গুলো তার জন্ম নেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
প্রিয় আম্মু
জানি শরীরটা সামান্য খারাপ তোমার কিন্তু আমাদের থেকে তা তুমি লুকিয়ে রেখেছ।ফোনে প্রতিদিন কথা বলি খোঁজ খবর রাখি কিন্তু অনেক কিছুই বলতে পারি না।তাই আজ এই চিঠিতে লিখছি কিছু না বলা কথা।
বিশ্বাস করো আর ভাল লাগে না এখানে তোমাদেরকে ছাড়া থাকতে।ইচ্ছে করে সব কিছু ফেলে দিয়ে ছুঁটে চলে আসি কিন্তু পারি না।ঘুম থেকে উঠে যখন আশে-পাশে কাউকে দেখি না এত খারাপ লাগে বুঝাতে পারবো না তোমায়।এখানে শরীর খারাপ হলে কেউ জিজ্ঞেস করে না কেমন লাগছে বাবা? কেউ নেয় মাথায় হাত বুলিয়ে দেবার।
এখনো আমার মনে পড়ে ভীষন জ্বরে রাতে ভাত না খেয়ে শুয়ে পড়বো সেই ভয়ে তুমি নিজেই আমাকে খাইয়ে দিয়েছিলে।মাঝ রাতে উঠে বার বার কপালে হাত রেখে পরীক্ষা করেছিলে।যেদিন প্রথম তোমাকে ছেড়ে একাডেমির হোস্টেলে এ চলে আসি তুমি নাকি অনেক কেঁদেছিলে।তখন সত্যি বুঝি নি কিন্তু যখন প্রথম জাহাজে উঠি তখন আমি ঠিকই বুঝেছিলাম কেন তুমি কেঁদেছিলে।সেদিন নিজের অজান্তে চোখ থেকে শুধু পানি পড়ছিল আর আমি তা তোমার থেকে লুকোচ্ছিলাম।
এবারের ঈদে তোমার কদমবুছি নিতে পারব না।তোমার হাতের সেই সেমাই খেতে পারব না তা মনে করলেই বুকে কি যেন মোচড় দিয়ে উঠে।
আম্মু ! তুমি সব সময় ভাল থেকো, পাশে থেকো।নিজের প্রতি যত্ন নিও।
ইতি
তোমার হতভাগা
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫১
মিআমি বলেছেন: মায়ের মত আপন কেহ নাই এই দুনিয়াই