নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চুপ রাস্তার একলা পথিক

কায়সার ইয়াসিন

সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভাল লাগে।সবাই বলে আমি খুব সহজ সরল একজন।তখন ঠিকই তাদের চেহারার দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝতে অসুবিধে হয় না আমাকে তারা বোকা বলে সম্বোধন করছে। তবে আমি আমার জায়গায় থেকে যখন কোন কিছু করি নিজেকে খুব পরিষ্কার মনে হয়। পৃথিবীতে আমি মনে করি তিন স্তরের মানুষ আছে। এক নির্বোধ দুই বুদ্ধিমান তিন যাকে কোন নাম দেয়া যায় না।তিন নাম্বারের স্তরের মানুষগুলো যখন কিছু করে তা দেখে কেউ বলে উঠে এত গাধা না হলে এমন কাজ সে করতো না।আবার কেউ বলে উঠে চালাকের সীমা ছাড়িয়ে গেল।হুমায়ূন স্যারের কথাটি সবসময় আমার কানে বাজে জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।আমাদের পথচলার সবচেয়ে বড় চালকটা হচ্ছে বিশ্বাস।তাই আমি বলি এটি যেন কখনো জীবন থেকে হারিয়ে না যায়।কারণ কারো প্রতি জন্ম নেয়া ছোট ছোট আস্থার চারা বড় হওয়ার আগে অকালে ঝড়ে গেলে পরবর্তি বীজ গুলো তার জন্ম নেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

কায়সার ইয়াসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছোট গল্প

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৭

গল্পটির নাম কি দিবো বুঝতে পারছি না।
গপ্লটির নাম আপনাদের জন্য ফাঁকা রেখে দিলাম।




অধরার কোলে মাথা রেখে অনেকক্ষণ
ধরে শুয়ে আছি।মনটা অনেক খারাপ।আগে যখন
অধরা ছিল না তখন মন খারাপ হলে আমি টাইগারপাসের
সেই পাহাড়ের চূড়াতে চলে যেতাম।আমার প্রিয়
একটা জায়গা ছিল সেটি।এখন মন খারাপ হলে অধরার
কোলে শুয়ে থাকি।মনের ব্যাথা গুলো কেন
জানি না আপনা-আপনি সরে যেতে থাকে।অনেক
ভালবাসি মেয়েটিকে।আমাদের সম্পর্ক হল প্রায় বছর
খানেক।প্রতিদিন মেয়েটিকে নতুন
করে ভালবাসতে ইচ্ছে করে আমার।চোখ
দুটো বন্ধ করে তার
কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি।পার্কে আশে-
পাশের মানুষগুলো কেমন এক দৃষ্টিতে যেন
থাকিয়ে আছে মনে হল।তবে তা আমার কিছু যায়
আসে না।আমার থেকেও বেশীকিছু আজকাল এসব
জায়গায় সচারাচর দেখা যায়। হঠাৎ মনে হল আমার
ঠোঁটের উপর এক ফোটা বৃষ্টি এসে পড়ল।জিহবার
সাথে লাগার সাথে সাথে বুঝতে দেরী হল
না এটি বৃষ্টির ফোঁটা নয়।চোখ
মেলে দেখি অধরা কাঁদছে।
কেঁদে কেঁদে মেয়েটা চোখ দুটো লাল
করে রেখেছে।উঠে পকেট
থেকে রুমালটি বের করে চোখ
দুটো মুছে দিলাম।কান্নার পানি যেন মেয়েটা আজ ধার
করে এনেছে।কিছুতেই থামে না।
আদর করে বললামঃ
“আর কেঁদো না প্লিজ।যা লিখা ছিল তা হবে।আমাদের
নিয়তিকে মেনে নেয়া ছাড়া আর উপায় নেয়”
“আমাকে ক্ষমা করো।আমার কিছু করার নেই”
“আমাকে সব কিছু ছেড়ে যেতে হবে”
বুকটা আমার ফেটে যাচ্ছিল।এসব কথা যখন
তাকে বলছিলাম।যখন দেখছিলাম
মুষলধারে বৃষ্টি ঝড়ছে অধরার সেই সুন্দর চোখ
দুটো দিয়ে।যে চোখ দুটো দেখে আমি অধরার
প্রেমে পড়েছিলাম।
অধরা আশে-পাশে কিছু একটা খুঁজতে লাগলো।
আমি বললামঃ কি হল?
অধরাঃ আমার লাল ব্যাগটি দেখেছ?
আমিঃ কোনটা?
অধরাঃ তুমি আমায় যেটা দিয়েছিলে।
আমিঃ ওই তো তোমার পাশেই।
অধরা ব্যাগটা হাতে নিয়ে আমার
হাতে ধরিয়ে কান্না ভেজা কন্ঠে বলে উঠলো
“এটা তুমি নিয়ে যাও।আমি রাখতে পারবোনা।আমায়
প্রতিনিয়ত এটি কষ্ট দিবে”
আমি নীরব থাকলাম।
হঠাৎ অধরা আমার কপালে একটা চুমু কাটল আর
আমাকে জড়িয়ে ধরল।আর
আরো বেশী কাঁদতে শুরু করে দিল।আমি পুরোই
হতভম্ব।মেয়েটি আজ এই কি করে বসলো।
সে কখনো এমন আচরণ আগে করে নি।যত বার
আমরা দেখা করতে এই পার্কে আসতাম
আমি চেষ্টা করতাম তাকে আমার
বুকে জড়িয়ে ধরতে।কিন্তু
সে কখনো আমাকে তা করতে দিত না।সে প্রায়শ
বলতো
“ন্যাকামি করা লাগবে না।এসব বিয়ের পরে করো।এখন
না”
তারপরেও আমি তাকে অনেক ভালবাসি।কেন?
এইতো সেদিন ঝুমঝুম বৃষ্টি পড়ছিল।টেবিলের
উপরে রাখা সেল ফোনটি বেজে উঠলো।
দেখলাম অধরার ফোন। আমি জানি ও
আজকে বৃষ্টিতে ভিজবে।তাই মনে হয় ফোন
করেছে।
আমিঃ হ্যাঁ বলো অধরা কি খবর?
অধরাঃ ভাল।এখন কই তুমি?
আমিঃ বাসায় কেন?
অধরাঃ তাড়াতাড়ি সি এন জি ধরে আমিন
সেন্টারে আসো।কিছু টাকা নিয়ে এসো।
আমিঃ ঠিক আছে আমি আসছি।
কোন কিছু না ভেবে হাতে এক হাজার টাকা আর
ছাতাটা নিয়ে সি এন জি ধরে চলে এলাম আমিন সেন্টার।
অধরা সামনে দাঁড়িয়ে ছিল।তাকে জিজ্ঞেস করলাম
আমিঃ কি হয়েছে ।এখানে কেন?
অধরাঃ গতকাল একটা লাল ব্যাগ দেখেছি।ওটা কিনব বলে।
আমার হাতটা ধরে সে ভেতরে নিয়ে গেল।
দোতলার একটা দোকানে সে ঢুকলো।
সে একটা শাড়ি কিনলো।
আমি বললামঃ তুমি না ব্যাগ কিনবে এখন
শাড়ি কিনলে কেন?
অধরাঃ কথা বল না।সাথে থাকো।আর
টাকা আনতে বলেছিলাম না।এনেছো?
আমিঃ হুম।
অধরাঃ আমাকে দাও
আমি পকেট থেকে বের করে টাকাটি দিলাম।সে তার
ব্যাগ থেকে আরো কিছু টাকা বের করে কিছু ছোট
বাচ্চাদের জামা কিনে নিল।
এরপর নীচে নামার সময় আমাকে একটা লাল ব্যাগ
দেখিয়ে বললো
“এই ব্যাগটা কিনতে এসেছিলাম।কিন্তু …”
কিছু একটা বলতে গিয়ে সে থেমে গেল।
আমি আমার অধরাকে চিনি।এখন তার কাছ থেকে হাজার
চেষ্টায় ও কোন উত্তর পাওয়া যাবে না।তাই আমি চুপ
থাকলাম।
একটা রিকশায় আমায়
নিয়ে সে চলে আসলো কাজীরদেওরীর
মোড়ে।আমার হাতের
ছাতাটি নিয়ে সে নেমে গেল।আমি রিকশা বিদায়
করে তার পিছু নিলাম।দেখলাম একটা গাছের
নীচে একটা বৃদ্ধ মা তার ১ বছরের
ছেলেকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে।অধরা তার হাতের
কেনা সব জামা-কাপড় তার হাতে তুলে দিল সাথে আমার
ছাতাটিও।আমার কাছে এসে আমার দু’হাত ধরে বলল
“চলো আজ দুজনে বৃষ্টিতে ভিজি ঐ ফুটপাত
ঘেষে হাঁটি”
কীভাবে মেয়েটিকে না ভালবেসে থাকতে পারি।
আমি শুধু বললামঃ “অধরা আজ তোমাকে আরও
বেশী ভালবেসে ফেলেছি।শুধু আমার
হয়ে থেকো”
সেদিন দুজনে অনেক ভিজেছি।অনেক ভাল
লাগা একটি দিন ছিল আমার।রিকশায়
তুলে দিয়ে তাকে সরাসরি চলে আসি আমিন সেন্টার।
বুথ থেকে টাকা তুলে ঐ লাল ব্যাগটি কিনে নিই।
অধরা যা করে না আজ তাই করে বসলো।
আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আজ বুঝলাম আমার
ভালবাসা তার ভালবাসার কাছে কিছুই না।
চোখ দুটি হাত দিয়ে মুছে দিলাম আর ঐ ব্যাগটি তার
হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললাম
“পাগলামি করো না”
অধরা তার ব্যাগটি খুলতে লাগল।ব্যাগ
থেকে সাদা একটি রুমাল বের করলো।
গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাস।ব্যাংকে গিয়েছিলাম
আমার একাউন্টটির কিছু তথ্য ঠিক করতে।ব্যাংকে প্রবেশ
করে দেখি একটা মেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে ভালই
তর্ক করছে।মেয়েটি ছিল অধরা।প্রথম মেয়েটির
যে জিনিসটি আমার নজরে আসে তা হল তার
দুটি টানা চোখ।একটা মেয়ের চোখ এত সুন্দর
হতে পারে তা আমার জানা ছিল না।মেয়েটির
তর্কাতর্কি পাশ ঘেষে আমি কাস্টমার কেয়ারের
সাথে কথা বলার জন্য টিকিট সংগ্রহ করি।
পাশে ওয়েটিং সীটে বসি।আমার পাশের কিছু মানুষ
মেয়েটিকে নিয়ে আলোচনা করছে।আমি আমার
পাশেরটিকে তর্কের কারণ জানতে চাইলাম।পাশের
লোকটি বলল
“মানুষ নিজের কাজ শেষ করতে হাবুডুবু খাচ্ছে।আর ঐ
মেয়েটিকে দেখেন আরেকজনের
সমস্যা নিয়ে নিজে সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে”
আমি দেখলাম মেয়েটির পাশে একটা মহিলা দাঁড়ানো।
আর মনে হচ্ছে মেয়েটি ঐ মহিলার জন্যই
ঝগড়া করছে।মনে মনে ভাবলাম একটু ভাব
মেরে আসি
কাছে গিয়ে কারন জানতে চাইলাম।
এরপর অধরা আমাকে সব খুলে বলল।
মহিলাটি ব্যাংকে কিছু টাকা তুলতে এসেছিল।ব্যাংক একাউন্ট
ছিল ছেলের নামে।ছেলে দেশের
বাইরে থাকে।যাওয়ার আগে চেকে সাইন
দিয়ে গিয়েছিল।কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তারা সাইন
মিলাতে পারছে না।এই জন্য টাকা তোলা যাবে না।
অধরা এটা নিয়ে তর্ক করছে কেন তোলা যাবে না।
এরপর বাংলা সিনেমায় সচারাচর যা হয় আমার
জীবনে তা হয়ে গেল।আমি একটা সমাধান
করে দিলাম।আমি মহিলাটির কাছে গেলাম।তার
কাছে জানতে চাইলাম ছেলে নমিনিতে কার নাম
দিয়েছে।ভাগ্য আমার ভাল মহিলাটির নামি ছিল
এবং সে সময় তার কাছ থেকে নাকি টিপসই নিয়েছিল।
ব্যস!অধরা কে বললাম
“ম্যাডাম আমি কি দশটা মিনিট নিতে পারি?”
সে কিছু না বলে পাশের সীটে বসে গেল।
আমি কর্মকর্তাকে বললাম আ্পানারা দয়া করে নমিনি চেক
করুন।নমিনির সাথে ওনার ছবিটি মেলান আর টিপ্সইটি ও।
এরপর কর্মকর্তাটি সব কিছু ওকে করে দিল।
অধরা আমার কাছে এসে কিছু একটা বলতে চাইল।এরপর
থেমে গিয়ে বলল
“ধন্যবাদ”
ঐ দিনের পর আর অধরাকে আমি অনেক
খুঁজেছি কোথাও দেখি নি।সেদিন ভুল করে তার কাছ
থেকে কোন কিছু সংগ্রহ করা হয় নি।এমন কি তার নাম
পর্যন্ত আমার জানা ছিল না।শুধু মনে ছিল সেই
দুটি চোখ। প্রায় সময় ব্যাংকে গিয়ে ঘুরে আসতাম।
বেশ কয়েকদিন পর আগ্রাবাদের আক্তারুজ্জামান
সেন্টারে তার সাথে দেখা হয়ে যায়।
সত্যি বলতে আমি তাকে দেখিনি।পেছন
থেকে সে আমাকে ডাক দিয়েছিল।নীল
একটা জামা পড়েছিল সে।সেদিন থেকে আমার
পরী দেখার স্বাদ মিটে গিয়েছিল।
অধরা মেয়েটিকে না দেখলে আমার
অজানা থেকে যেত পরীরা দেখতে কেমন?
সেদিন থেকে আমার সাথে তার
ঘনিষ্ঠতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।অর্থ্যাৎ
আমি আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়তে থাকি।
ধীরে ধীরে নিজেকে আমি চিনতে থাকি।
আমাকে নতুন ভাবে আমি জানতে থাকি।
পৃথিবীকে নতুনভাবে বুঝতে থাকি।আমি অনেক
ভাবে বলার চেষ্টা করি কিন্তু বলতে পারি না।এরপর
সিদ্ধান্ত নিই অন্যরকম ভাবে।
সেদিন মেঘলা আকাশ ছিল আমি অধরাকে ফোন
দিয়ে লাকি প্লাজার মোড়ে আসতে বলি।
একটা সাদা রুমাল তার হাতে ধরিয়ে চলে আসি।
ওখানে লিখা ছিল
"প্রথম যেদিন তোমাকে ব্যাংকে দেখি আট-
দশটা সাধারণ মেয়ের মত তোমাকে মনে হয়েছিল।
মনে হয়েছিল সাধারণ স্বভাব তোমার।কিন্তু যখন
থেকে তোমার সাথে আমি চলতে থাকি আমি প্রতিদিন
শুধু নিজেকে পরিবর্তন হতে দেখি।সবসময় নতুন কিছু
দেখি।পৃথিবীকে ভালবাসতে শিখি।
মানুষকে কাছে পেতে শিখি।আমার জীবনের
সবচেয়ে সুন্দর ক্ষণ
গুলো আমি খুঁজে পেয়েছি শুধু তোমার
সাথে কাটানো ছোট ছোট মুহুর্ত গুলোর মাঝে।
যতবার তোমার সাথে দেখা করতে আমি আসতাম
আমি পকেটে একটি জিনিস নিয়ে আসতাম।কিন্তু
কখনো দেয়া হয়নি।
তোমাকে অদৌ দেয়া হবে কিনা জানি না।তবে আজ
আমি বলতে চাই তোমাকে আমি ভালবাসি।
যদি প্রশ্ন করো তোমাকে পাবার জন্য
আমি কি করতে পারি?
অধরা শোনো সবকিছু আমি করবো কিন্তু
মরতে পারবো না।
সারাজীবন তোমাকে পাশে নিয়ে থাকতে চাই।
বাস্তববাদী মেয়ে তুমি আমি জানি তুমি এর জবাব
আমাকে দিবে হ্যাঁ অথবা না।আমি আছি ফুড ফেয়ার এর
দোতলায় তোমার অপেক্ষায়।"
আমার জানা ছিল সে আসবেই।কিছু একটা বলার জন্য।খুব
কষ্ট লাগছিল এ বুঝি তার সাথে আমার শেষ দেখা।শুধু
তাকিয়ে ছিলাম এক নজরে শেষ দেখাটুকু যেন বিন্দু
মাত্র নষ্ট না হয়।
সে আমার পাশে এসে বসলো।হালকা একটা থাপ্পড়
দিল আমার গালে।আর বললঃ
"দেখি পকেট থেকে ওটা বের কর"
আমি আংটি টা বের করে সামনে রাখলাম।
সে বলে উঠলঃএত বোকা কেন তুমি?
একটা মেয়ে এতদিন তোমার
সাথে চলাফেরা করছে তারপরেও তুমি মেয়েটির
মনের কথা বোঝো না।মেয়েরা তাদের মনের
কথা কখনো বহিঃপ্রকাশ করে না।
বুদ্ধু আমি গত মাস থেকে এই দিনটির জন্য প্রহর
গুনছিলাম কবে আসবে এই দিন।
এখন আমি কি নিজেই এই
আংটি টা পড়বো নাকি তুমি পড়িয়ে দিবে?
ঐ মেঘলা ভরা দিনটি আমার জীবনের স্মরণীয় এক
দিন হয়ে থেকে গেল।আমরা দুজন বের হওয়ার সময়
এক পশলা বৃষ্টি এসে আমাদের ভিজিয়ে দিয়ে গেল।
সেদিন থেকে বৃষ্টি আসলেই
অধরাকে নিয়ে আমি ভিজতে বের হয়ে যায় প্রায়
সময়।
শুধু একটি কথাই আমি সেদিন বলেছিলাম
"তুমি কি আমার পাশে সারাজীবন থাকবে?"
আজ সেই রুমালটি সে বের করলো।নিশ্চয়
আমাকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।আমি বললাম
"এই সব কি করছো অধরা।পাগল হয়েছো নাকি?শুধু
৬ মাসের জন্য আমি চাকরির কারনে জাহাজে যাচ্ছি।
তোমার আমার engagement হয়ে গেছে।এখন
আমাদের আলাদা করার কেউ নেয়।এভাবে পাগলের
মত কেন কান্না করছো?
এভাবে ভেঙ্গে পড়লে আমি কি যেতে পারবো বলো?
প্লিজ অধরা আর কেঁদো না।"
আজ আবার আমি আমার
অধরাকে আরো বেশি ভালবেসে ফেলেছি।
পকেট থেকে আমার রুমালটি বের করে তার
চোখের পানি মুছে দিয়ে বললামঃ
"অধরা তোমার
ভালবাসা আগে কখনো আমি বুঝতে পারিনি।আজ আবার
তুমি আমাকে শিখালে ভালবাসা শুধু প্রকাশের নয়
ভালবাসা অনুভবের।ভালবাসা দু'টি আত্মার
বাধনের।"তোমার ভালবাসার ছোট্ট অংশ আমি আমার
রুমালে করে নিয়ে যাচ্ছি।"
আমাকে এমন করে সবসময়
ভালোবেসো অধরা ... ... ...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.