নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চুপ রাস্তার একলা পথিক

কায়সার ইয়াসিন

সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভাল লাগে।সবাই বলে আমি খুব সহজ সরল একজন।তখন ঠিকই তাদের চেহারার দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝতে অসুবিধে হয় না আমাকে তারা বোকা বলে সম্বোধন করছে। তবে আমি আমার জায়গায় থেকে যখন কোন কিছু করি নিজেকে খুব পরিষ্কার মনে হয়। পৃথিবীতে আমি মনে করি তিন স্তরের মানুষ আছে। এক নির্বোধ দুই বুদ্ধিমান তিন যাকে কোন নাম দেয়া যায় না।তিন নাম্বারের স্তরের মানুষগুলো যখন কিছু করে তা দেখে কেউ বলে উঠে এত গাধা না হলে এমন কাজ সে করতো না।আবার কেউ বলে উঠে চালাকের সীমা ছাড়িয়ে গেল।হুমায়ূন স্যারের কথাটি সবসময় আমার কানে বাজে জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।আমাদের পথচলার সবচেয়ে বড় চালকটা হচ্ছে বিশ্বাস।তাই আমি বলি এটি যেন কখনো জীবন থেকে হারিয়ে না যায়।কারণ কারো প্রতি জন্ম নেয়া ছোট ছোট আস্থার চারা বড় হওয়ার আগে অকালে ঝড়ে গেলে পরবর্তি বীজ গুলো তার জন্ম নেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

কায়সার ইয়াসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতীক গল্প

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৩

হাসপাতালের কেবিনের দিকে দৌড়িয়ে গেলাম।ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছে অধরার বেডের পাশে।আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো "ঐ দিকে যান"
ছুটে গিয়ে দেখলাম দোলনার মধ্যে শুয়ে আছে আমার স্বপ্ন।
আমার ফুটফুটে জলকন্যা।আমার জীবনে রংধনু একে যাওয়া আমার মেয়ে।দেরী আর সহ্য হল না।খালি বুকের দরফর থামাতে দুহাতে বুকে জড়িয়ে নিলাম।আমার স্পর্শে আমার মেয়েটি জেগে উঠল।আমার দিকে তাকালো সোনালি দুচোখ দিয়ে।যেন নতুন চাঁদ উঠল আমার আকাশে।নতুন ঈদের চাঁদ হয়ে আমার জীবনে এল আমার পরী।অধরার পাশে গিয়ে বসলাম।পাশে আমার পরীটা রাখলাম আর কপালে চুমু দিয়ে বললাম
"thanks"

এভাবে আমার আর অধরার পথচলার নতুন সঙ্গী আমার ফুটফুটে পরী।আমার ঘরের নতুন প্রদীপ।আমার জীবনের পথচলার সিঁড়ি।ছোট ছোট পায়ে আমার হাত ধরে হাঁটা শিখা সেই মেয়েটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।এখনও আমার মনে পড়ে তার প্রথম বাবা ডাকটি।পৃথিবীতে বেঁচে থাকার নতুন চারা রোপন করেছিলাম সে দিন।

আজ আমি আবার হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে।আমার ফুটফুটে মেয়েটি আজ ছটফট করছে এসিডের থাবায়।আমার পূর্ণিমার চাঁদটি ঝলসে গেল মুহুর্তে।কীভাবে আমি বাবা হয়ে আজ আমার কান্নার স্রোত থামাবো?এভাবে আমার মেয়েটি অন্ধকারে হারিয়ে যাবে কীভাবে আমি বাবা হয়ে মেনে নিবো?কীভাবে?


বিঃদ্রঃ আর কত বাবাকে এসব প্রশ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে? আর কত?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.